বিবাহের কু প্রথা
বিয়েকে দুর্গ বলা হয়েছে,কেননা(বিয়ে)
স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সকল প্রকার লজ্জাজনক
কাজ থেকে দুর্গবাসীদের মতোয় বাচিয়ে
রাখে। (মুফরাদাত)
তবে এই পবিত্র কর্ম পালন করতে গিয়ে মাঝে
মাঝে কিছু কু-প্রথা মানা হয়।যা কিনা অনুচিত।আসুন
নবীগণের(আলাহিসসালাতু আসসালাম) এই সুন্নাত
কে সুন্নাত তরীকায় পালন করি।
বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা:
১.চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে
অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব
পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিবাহ শাদী হওয়া অথবা যে
কোন শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী
শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি
নিষেধ নেয়। বরং উপরিউক্ত কাজগুলো বিশেষ
কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না
মনে করাই গুনাহ।
২.বিবাহ উৎসবে অথবা অন্য যে কোন উৎসবে
পটকা-আতশবাজি ফুটান,অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা,
রংবাজী করা বা রঙ দেওয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের
দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়।
আল্লাহু-তা’য়ালা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤُﺒَﺬِّﺭِﻳﻦَ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺇِﺧْﻮَﺍﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِۖ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ
ﻟِﺮَﺑِّﻪِ ﻛَﻔُﻮﺭًﺍ
“নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান
হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (বানী
ইসরাঈল-২৭)
৩.বাঁশের কুলায় চন্দন,মেহদি,হলুদ,কিছু ধান-দূর্বা ঘাস
কিছু কলা, সিঁদুর ও মাটির চাটি নেওয়া হয়।মাটির চাটিতে
তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। স্ত্রী ও
বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগায় এমনকি মূর্তিপূজার
ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর-কনের
মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধুঁয়া ও কুলা
হেলিয়ে-দুলিয়ে বাতাস দেওয়া হয়। এসব হিন্দুয়ানী
প্রথা ও অনৈসলামিক কাজ।
৪.বরের আত্মীয়রা কনেকে কোলে তুলে
বাসর ঘর পর্যন্ত পৌছে দেওয়া অথবা বরের
কোলে করে মুরুব্বীদের সামনে স্ত্রীর
বাসর ঘরে গমনের নীতি একটি বেহায়াপনা,
নিরলজ্জতা ও অনৈসলামিক কাজ।
৫.বরের ভাবী ও অন্য যুবতী মেয়েরা বরকে
সমস্ত শরীরে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে
দেওয়া নির্লজ্জ কাজ যা ইসলাম সমর্থন করে না।
৬.বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে
যাওয়ার সময় মাথার উপর বড় চাদর এর চার কোনা চার
জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।
৭.বিবাহ করতে যাওয়ার সময় বরকে পিড়িতে বসিয়ে
বা সিল-পাটাই দাড় করিয়ে দই-ভাত খাওয়ান ইসলামিক প্রথা
নয়।
৮.বিবাহ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বরকে দাড় করিয়ে
সালাম দেওয়ানোর প্রথা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম)
দ্বারা প্রমানিত নয়।
৯.বর ও কনের মুরুব্বীদের কদমবুসি করা একটি
মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে তো নয় এমনকি যে
কোন সময় কদমবুসি করা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম)
দ্বারা কোন কালে প্রমানিত নয়। কদমবুসি করার সময়
সালাতের রুকু-সিজদার মত অবস্থা হয়। বেশি সম্মান
প্রদর্শন করতে গিয়ে হিন্দুয়ানী প্রণামকে প্রথা
হিসেবে নিয়ে আসা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য নয়।
ইয়া আল্লাহ,দয়া করে আমাদের তুমি সুন্নাত তরীকায়
বিবাহ করার তওফিক দিয়।আমিন।
স্বামী-স্ত্রী উভয়কে সকল প্রকার লজ্জাজনক
কাজ থেকে দুর্গবাসীদের মতোয় বাচিয়ে
রাখে। (মুফরাদাত)
তবে এই পবিত্র কর্ম পালন করতে গিয়ে মাঝে
মাঝে কিছু কু-প্রথা মানা হয়।যা কিনা অনুচিত।আসুন
নবীগণের(আলাহিসসালাতু আসসালাম) এই সুন্নাত
কে সুন্নাত তরীকায় পালন করি।
বিবাহে প্রচলিত কু-প্রথা:
১.চন্দ্র বর্ষের কোন মাসে বা কোন দিনে
অথবা বর/কনের জন্ম তারিখে বা তাদের পূর্ব
পুরুষের মৃত্যুর তারিখে বিবাহ শাদী হওয়া অথবা যে
কোন শুভ সৎ কাজ করার জন্য ইসলামী
শারী’য়াতে বা ইসলামী দিন তারিখের কোন বিধি
নিষেধ নেয়। বরং উপরিউক্ত কাজগুলো বিশেষ
কোন মাসে বা যে কোন দিনে করা যাবে না
মনে করাই গুনাহ।
২.বিবাহ উৎসবে অথবা অন্য যে কোন উৎসবে
পটকা-আতশবাজি ফুটান,অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা,
রংবাজী করা বা রঙ দেওয়ার ছড়াছড়ি ইসলামের
দৃষ্টিতে অবৈধ ও অপচয়।
আল্লাহু-তা’য়ালা বলেনঃ
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤُﺒَﺬِّﺭِﻳﻦَ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﺇِﺧْﻮَﺍﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِۖ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ
ﻟِﺮَﺑِّﻪِ ﻛَﻔُﻮﺭًﺍ
“নিশ্চয় অপচয়কারী শয়তানের ভাই। আর শয়তান
হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ।” (বানী
ইসরাঈল-২৭)
৩.বাঁশের কুলায় চন্দন,মেহদি,হলুদ,কিছু ধান-দূর্বা ঘাস
কিছু কলা, সিঁদুর ও মাটির চাটি নেওয়া হয়।মাটির চাটিতে
তেল নিয়ে আগুন জ্বালানো হয়। স্ত্রী ও
বরের কপালে তিনবার হলুদ লাগায় এমনকি মূর্তিপূজার
ন্যায় কুলাতে রাখা আগুন জ্বালানো চাটি বর-কনের
মুখের সামনে ধরা হয় ও আগুনের ধুঁয়া ও কুলা
হেলিয়ে-দুলিয়ে বাতাস দেওয়া হয়। এসব হিন্দুয়ানী
প্রথা ও অনৈসলামিক কাজ।
৪.বরের আত্মীয়রা কনেকে কোলে তুলে
বাসর ঘর পর্যন্ত পৌছে দেওয়া অথবা বরের
কোলে করে মুরুব্বীদের সামনে স্ত্রীর
বাসর ঘরে গমনের নীতি একটি বেহায়াপনা,
নিরলজ্জতা ও অনৈসলামিক কাজ।
৫.বরের ভাবী ও অন্য যুবতী মেয়েরা বরকে
সমস্ত শরীরে হলুদ মাখিয়ে গোসল করিয়ে
দেওয়া নির্লজ্জ কাজ যা ইসলাম সমর্থন করে না।
৬.বর ও কনেকে হলুদ বা গোসল করতে নিয়ে
যাওয়ার সময় মাথার উপর বড় চাদর এর চার কোনা চার
জনের ধরা হিন্দুয়ানী প্রথা।
৭.বিবাহ করতে যাওয়ার সময় বরকে পিড়িতে বসিয়ে
বা সিল-পাটাই দাড় করিয়ে দই-ভাত খাওয়ান ইসলামিক প্রথা
নয়।
৮.বিবাহ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর বরকে দাড় করিয়ে
সালাম দেওয়ানোর প্রথা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম)
দ্বারা প্রমানিত নয়।
৯.বর ও কনের মুরুব্বীদের কদমবুসি করা একটি
মারাত্মক কু-প্রথা। বিয়ে তো নয় এমনকি যে
কোন সময় কদমবুসি করা রাসুল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ও তার সাহাবীদের (রাযি আল্লাহু আনহুম)
দ্বারা কোন কালে প্রমানিত নয়। কদমবুসি করার সময়
সালাতের রুকু-সিজদার মত অবস্থা হয়। বেশি সম্মান
প্রদর্শন করতে গিয়ে হিন্দুয়ানী প্রণামকে প্রথা
হিসেবে নিয়ে আসা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য নয়।
ইয়া আল্লাহ,দয়া করে আমাদের তুমি সুন্নাত তরীকায়
বিবাহ করার তওফিক দিয়।আমিন।
Comments
Post a Comment