মুমিনদের কর্তব্য ও আল্লাহর সাহায্য
আল -কুরআনে বর্নিত মুমিনদের আদেশ -
নিষেধ
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত
হওয়ার পর) (১০)
★মুমিনদের সম্মোধন (২)।আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
ﻳﺎﺍﻳﻬﺎﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍﺍﺳﺘﻌﻴﻨﻮﺍﺑﺎﻟﺼﺒﺮﻭﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻊ
ﺍﻟﺼﺎﺑﺮﻳﻦ0
ﻭﻻﺗﻘﻮﻟﻮﺍﻟﻤﻦ ﻳﻘﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﻮﺍﺕ ﺑﻞ ﺍﺣﻴﺎﺀ ﻭﻟﻜﻦ
ﻻﺗﺸﻌﺮﻭﻥ0
ﻭﻟﻨﺒﻠﻮﻧﻜﻢ ﺑﺸﻴﺊ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻮﻑ ﻭﺍﻟﺠﻮﻉ ﻭﻧﻘﺺ ﻣﻦ ﺍﻻﻣﻮﺍﻝ
ﻭﺍﻻﻧﻔﺲ ﻭﺍﻟﺜﻤﺮﺍﺕ ﻭﺑﺸﺮﺍﻟﺼﺎﺑﺮﻳﻦ0
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺫﺍ ﺍﺻﺎﺑﺘﻬﻢ ﻣﺼﻴﺒﺔ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﻧﺎﻟﻠﻪ ﻭﺍﻧﺎﺍﻟﻴﻪ ﺭﺍﺟﻌﻮﻥ0
ﺍﻭﻟﺌﻚ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺻﻠﻮﺍﺕ ﻣﻦ ﺭﺑﻬﻢ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﻭﺍﻭﻟﺌﻚ ﻫﻢ ﺍﻟﻤﻬﺘﺪﻭﻥ0
অনুবাদ : (১৫৩)ওহে, যারা ঈমান এনেছো,
তোমরা সবর ও স্বালাতের
মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ
ধৈয্যশীলদের সাথে আছেন।
(১৫৪)আর তোমরা আল্লাহর পথে নিহত
ব্যক্তিকে মৃত বলনা। বরং তারা জীবিত।
কিন্তু তোমরা উপলদ্ধি করতে পারনা।
(১৫৫) আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু
ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের, প্রানের ও ফল -ফসলের
ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। আর
(হে রাসূল) তুমি ধৈয্যশীলদের সুসংবাদ
দাও।
(১৫৬) যাদের কাছে যখন কোন মুসীবাত
আসে, তখন তারা বলে, নিশ্চয়
আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়
আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন করবো।
(১৫৭) উহাদের উপরে অনেক অনুগ্রহ ও
অনুকম্পা আছে এবং উহারাই হিদায়াত
প্রাপ্ত।
★প্রাথমিক কথা : আল্লাহ বলেন,
ﻭﻛﺬﺍﻟﻚ ﺟﻌﻠﻨﺎﻛﻢ ﺍﻣﺔ ﻭﺳﻄﺎ ﻟﺘﻜﻮﻧﻮﺍ ﺷﻬﺪﺍﺀ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ
ﻭﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺷﻬﻴﺪﺍ
অনুবাদ : আর অনুরুপভাবেই
আমি তোমাদেরকে মধ্যম
পন্থি জাতি বানিয়েছি,
যাতে তোমরা মানুষের
কাছে সাক্ষী হতে পার এবং রাসূল
তোমাদের কাছে সাক্ষী হতে পারেন।
(সূরা আল -বাকারাহ, ১৪৩নং আয়াত)
মুসলিম জাতি মধ্যমপন্থি ও ন্যায় বিচারক
জাতি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মুসলিমদের
কাছে পরিপুর্ন ইসলাম সত্য বলে যেমন
মৌখিক সাক্ষ্য দিয়েছেন,
অনুরুপভাবে আমল করে বাস্তব সাক্ষ্য
দিয়েছেন। বিশ্ব মানবতার
সামনে পরিপূর্ন ইসলামের মৌখিক ও
বাস্তব সাক্ষ্য দেয়া মুসলিম জাতির
দায়িত্ব। বিশ্বনেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব
মুসলিমদের। তাই আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
ﻛﻨﺘﻢ ﺧﻴﺮ ﺍﻣﺔ ﺍﺧﺮﺟﺖ ﻟﻠﻨﺎﺱ ﺗﺎﻣﺮﻭﻥ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﻭﺗﻨﻬﻮﻥ ﻋﻦ
ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ ﻭﺗﻮﻣﻨﻮﻥ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﻟﻮ ﺍﻣﻦ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻟﻜﺎﻥ ﺧﻴﺮﺍ ﻟﻬﻢ
ﻣﻨﻬﻢ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻮﻥ ﻭﺍﻛﺜﺮﻫﻢ ﺍﻟﻔﺎﺳﻘﻮﻥ
অনুবাদ :তোমরা শ্রেষ্ঠজাতি, মানুষের
কল্যানের জন্য আবির্ভাব
ঘটানো হয়েছে। তোমরা ন্যায় কাজের
আদেশ করবে, অন্যায় কজ থেকে নিষেধ
করবে এবং তোমরা আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাসী থাকবে। আর
আহলে কিতাব যদি ঈমান
ttআনাতোলিয়া, তাহলে তা তাদের
জন্য কল্যান হতো।তাদের মধ্য থেকে কিছু
মুমিন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসিক
(অনানুগত)। (সুরা আলে ইমরান, ১১০
নং আয়াত)
বিশ্বের সর্বোত্তম জাতি মুসলিম
জাতি। বিশ্বমানবতার কল্যানের জন্য
তাদের আল্লাহ আবির্ভাব ঘটিয়েছেন।
বিশ্বমানবতাকে সৎ ও ন্যায়ের নির্দেশ
দেয়া এবং অসৎ ও অন্যায় থেকে নিষেধ
করার দায়িত্ব পালন করা মুসলিমদের
দায়িত্ব। বিশ্বের সকল শ্রেনীর
মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করা,
পুর্ন ইসলাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ
দেয়া, কল্যান কারীতা বুঝানো, আকর্ষন
সৃষ্টি করা, দাহওয়াত দেয়া এবং পালন
করার নির্দেশ দেয়া। ইসলাম বিরুধী সকল
মত ও পথের
প্রতি ঘৃনা সৃষ্টি করা এবং কুফরী মতবাদ,
শির্কী মতবাদ ও জাহিলী মতবাদ মানব
সমাজের জন্য অনুপযোগী, অন্যায় ও গুনাহ
বলে বুঝানো এবং সকল অন্যায়
কাজকে নিষেধ করা । বিশ্বমানবতার
নেতৃত্বের গুন অর্জন করে ইসলামের
আলোকে পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা চালান। বিশ্বনেতৃত্বের
যে দায়িত্ব আল্লাহ
মুসলিমজাতিকে দিয়েছেন, এ দায়িত্ব
কোন ফুলসয্যা নয় এবং আরাম
কেদারা নয়। এ দায়িত্ব
অনুভুতি মনে জাগ্রত করে কাজ
করা উচিৎ।
নিষেধ
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত
হওয়ার পর) (১০)
★মুমিনদের সম্মোধন (২)।আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
ﻳﺎﺍﻳﻬﺎﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍﺍﺳﺘﻌﻴﻨﻮﺍﺑﺎﻟﺼﺒﺮﻭﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻊ
ﺍﻟﺼﺎﺑﺮﻳﻦ0
ﻭﻻﺗﻘﻮﻟﻮﺍﻟﻤﻦ ﻳﻘﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﻮﺍﺕ ﺑﻞ ﺍﺣﻴﺎﺀ ﻭﻟﻜﻦ
ﻻﺗﺸﻌﺮﻭﻥ0
ﻭﻟﻨﺒﻠﻮﻧﻜﻢ ﺑﺸﻴﺊ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻮﻑ ﻭﺍﻟﺠﻮﻉ ﻭﻧﻘﺺ ﻣﻦ ﺍﻻﻣﻮﺍﻝ
ﻭﺍﻻﻧﻔﺲ ﻭﺍﻟﺜﻤﺮﺍﺕ ﻭﺑﺸﺮﺍﻟﺼﺎﺑﺮﻳﻦ0
ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺫﺍ ﺍﺻﺎﺑﺘﻬﻢ ﻣﺼﻴﺒﺔ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﻧﺎﻟﻠﻪ ﻭﺍﻧﺎﺍﻟﻴﻪ ﺭﺍﺟﻌﻮﻥ0
ﺍﻭﻟﺌﻚ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺻﻠﻮﺍﺕ ﻣﻦ ﺭﺑﻬﻢ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﻭﺍﻭﻟﺌﻚ ﻫﻢ ﺍﻟﻤﻬﺘﺪﻭﻥ0
অনুবাদ : (১৫৩)ওহে, যারা ঈমান এনেছো,
তোমরা সবর ও স্বালাতের
মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ
ধৈয্যশীলদের সাথে আছেন।
(১৫৪)আর তোমরা আল্লাহর পথে নিহত
ব্যক্তিকে মৃত বলনা। বরং তারা জীবিত।
কিন্তু তোমরা উপলদ্ধি করতে পারনা।
(১৫৫) আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু
ভয়, ক্ষুধা, সম্পদের, প্রানের ও ফল -ফসলের
ক্ষতির মাধ্যমে পরীক্ষা করবো। আর
(হে রাসূল) তুমি ধৈয্যশীলদের সুসংবাদ
দাও।
(১৫৬) যাদের কাছে যখন কোন মুসীবাত
আসে, তখন তারা বলে, নিশ্চয়
আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়
আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তন করবো।
(১৫৭) উহাদের উপরে অনেক অনুগ্রহ ও
অনুকম্পা আছে এবং উহারাই হিদায়াত
প্রাপ্ত।
★প্রাথমিক কথা : আল্লাহ বলেন,
ﻭﻛﺬﺍﻟﻚ ﺟﻌﻠﻨﺎﻛﻢ ﺍﻣﺔ ﻭﺳﻄﺎ ﻟﺘﻜﻮﻧﻮﺍ ﺷﻬﺪﺍﺀ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺎﺱ
ﻭﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺷﻬﻴﺪﺍ
অনুবাদ : আর অনুরুপভাবেই
আমি তোমাদেরকে মধ্যম
পন্থি জাতি বানিয়েছি,
যাতে তোমরা মানুষের
কাছে সাক্ষী হতে পার এবং রাসূল
তোমাদের কাছে সাক্ষী হতে পারেন।
(সূরা আল -বাকারাহ, ১৪৩নং আয়াত)
মুসলিম জাতি মধ্যমপন্থি ও ন্যায় বিচারক
জাতি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মুসলিমদের
কাছে পরিপুর্ন ইসলাম সত্য বলে যেমন
মৌখিক সাক্ষ্য দিয়েছেন,
অনুরুপভাবে আমল করে বাস্তব সাক্ষ্য
দিয়েছেন। বিশ্ব মানবতার
সামনে পরিপূর্ন ইসলামের মৌখিক ও
বাস্তব সাক্ষ্য দেয়া মুসলিম জাতির
দায়িত্ব। বিশ্বনেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব
মুসলিমদের। তাই আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
ﻛﻨﺘﻢ ﺧﻴﺮ ﺍﻣﺔ ﺍﺧﺮﺟﺖ ﻟﻠﻨﺎﺱ ﺗﺎﻣﺮﻭﻥ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﻭﺗﻨﻬﻮﻥ ﻋﻦ
ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ ﻭﺗﻮﻣﻨﻮﻥ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﻟﻮ ﺍﻣﻦ ﺍﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻟﻜﺎﻥ ﺧﻴﺮﺍ ﻟﻬﻢ
ﻣﻨﻬﻢ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻮﻥ ﻭﺍﻛﺜﺮﻫﻢ ﺍﻟﻔﺎﺳﻘﻮﻥ
অনুবাদ :তোমরা শ্রেষ্ঠজাতি, মানুষের
কল্যানের জন্য আবির্ভাব
ঘটানো হয়েছে। তোমরা ন্যায় কাজের
আদেশ করবে, অন্যায় কজ থেকে নিষেধ
করবে এবং তোমরা আল্লাহর
প্রতি বিশ্বাসী থাকবে। আর
আহলে কিতাব যদি ঈমান
ttআনাতোলিয়া, তাহলে তা তাদের
জন্য কল্যান হতো।তাদের মধ্য থেকে কিছু
মুমিন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসিক
(অনানুগত)। (সুরা আলে ইমরান, ১১০
নং আয়াত)
বিশ্বের সর্বোত্তম জাতি মুসলিম
জাতি। বিশ্বমানবতার কল্যানের জন্য
তাদের আল্লাহ আবির্ভাব ঘটিয়েছেন।
বিশ্বমানবতাকে সৎ ও ন্যায়ের নির্দেশ
দেয়া এবং অসৎ ও অন্যায় থেকে নিষেধ
করার দায়িত্ব পালন করা মুসলিমদের
দায়িত্ব। বিশ্বের সকল শ্রেনীর
মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করা,
পুর্ন ইসলাম মেনে চলার জন্য উৎসাহ
দেয়া, কল্যান কারীতা বুঝানো, আকর্ষন
সৃষ্টি করা, দাহওয়াত দেয়া এবং পালন
করার নির্দেশ দেয়া। ইসলাম বিরুধী সকল
মত ও পথের
প্রতি ঘৃনা সৃষ্টি করা এবং কুফরী মতবাদ,
শির্কী মতবাদ ও জাহিলী মতবাদ মানব
সমাজের জন্য অনুপযোগী, অন্যায় ও গুনাহ
বলে বুঝানো এবং সকল অন্যায়
কাজকে নিষেধ করা । বিশ্বমানবতার
নেতৃত্বের গুন অর্জন করে ইসলামের
আলোকে পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক
প্রচেষ্টা চালান। বিশ্বনেতৃত্বের
যে দায়িত্ব আল্লাহ
মুসলিমজাতিকে দিয়েছেন, এ দায়িত্ব
কোন ফুলসয্যা নয় এবং আরাম
কেদারা নয়। এ দায়িত্ব
অনুভুতি মনে জাগ্রত করে কাজ
করা উচিৎ।
Comments
Post a Comment