লেখা-পড়া শেষ করে বিয়ে করার বিষয়ে ড. বেলাল ফিলিফস্ যা বললেন।
পড়াশোনা শেষ করে তবেই বিয়ে করার সংস্কৃতি।
বিলাল ফিলিপস যা বলেছেন

এক.
"বয়সে যারা নবীন তাদেরকে তাদেরই মতন
নবীনদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বে সন্তানদেরকে বলা হয় তাদের পড়াশোনা আগে শেষ করতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অন্যান্য ডিগ্রি ইত্যাদি শেষ করে তারপর বিয়ে করতে। এই কারণে অনেক সন্তানকে তাদের জীবনের সবচাইতে কঠিন সময়টা অবিবাহিত অবস্থায় পার করতে হয়। যখন তারা ত্রিশের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন তারা বিয়ে করে। তাহলে ১৩ থেকে ৩০ বছরের এই প্রায়বিশটি বছর কী ঘটে? কী হয় তাদের জীবনে? আর এই ভুলের জন্য দায়ী কে? প্রাথমিকভাবে, এটা বাবা-মায়ের দোষ। যখন সন্তানরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যায় এবং শারীরিকভাবে সাবালক হয় তখন তাদের সকল কাজের দায়ভার অবশ্যই তারাই বহন করে, কিন্তু বাবা-মায়েরাও তাদের এই বিশাল পাপের ভাগীদার হয় তাদেরকে এই অবস্থাটি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য না করার জন্য।"
--- ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস♠
দুই.
"বর্তমান সময়ে ২০-২২ বছরের কোন যুবক যদি বিবাহ করতে চাই তাহলে সমাজ বলবে ছেলেটার লাজ-লজ্জা সব গেল । কিন্তু ২০-২২ বছরের কোনযুবক কে পার্কে/রিক্সায় কোন মেয়ের সাথে অপ্রকৃত অবস্থায় দেখা গেলে তখন সমাজের লাজ/লজ্জা যায় না । কারন সমাজের চোখে সেটা আধুনিকতা । যে আধুনিকতা একজন যুবকের বেহায়্যাপনা থেকে বাঁচার আকুতি শুনতে চাইনা কিন্তু
একজন যুবক কে একজন যুবতীর সাথে লুতুপুতু করার অনুমতি দেয় সে আধুনিকতাকে আমি ফ্রি কিক মারি ।
একজন ২২ বছরের যুবক তার মোটামুটি আয়ের উপর ভরসা করে যখন বাসায় বিবাহ করার ইঙ্গিত দিবে তখন বাসায় ছেলেটা কে নির্লজ্জ ভাববে। কিন্তু রাত ১ টার পরও যখন ঐ ছেলের রুম থেকে ফোনে কথালাপের শব্দ শোনা যাবে তখন অভিভাবকরা ভাববে ছেলে বড় হয়েছে , ছেলে কে স্বাধীনতা দেয়া দরকার । ছেলে বিয়ে করার জন্য বড় হয়নি কিন্তু ঠিকই ফালতু-হারাম কাজের জন্য বড় হয়েছে । একসময় দেখা যায়, ঐ ফালতু কাজের জন্য বড় হওয়া ছেলেটি মা-বাবার মুখে চুন-কালি মেখে পালিয়ে বিয়ে করে । আর বিয়ে করতে চাওয়া আল্লাহ ভীরু সেই ছেলেটি ঠিকই মা-বাবার হৃদয় নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে ।এই হচ্ছে আমাদের কুলুষিত সমাজ ব্যবস্থা !"
- আব্দুল্লাহ (গুরাবা)
তিন.
বিয়ের কথা আসলেই আপনি টাকার কথা বলেন, কিন্তু আমি জানি, খুব ভালোভাবেই জানি যে শুধু টাকার জন্য আমাদের কারো বিয়েই আটকে থাকে না.. এটা আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার.. আমরা বিয়েকে তেমন জরুরি ভাবি না.. আমাদের কাছে মনে হয় "থাক, একটা প্রেম তো আছেই, গার্লফ্রেন্ড তো আছেই, কয়টা মেয়ে বান্ধবী তো আছেই.. আপাতত ওতেই কাজ চলবে" বাবা-মাও বিয়ে বিষয়টা কে গুরুত্বের সাথে নেন না.. কেন ভাই বিয়ে করতে কত টাকা লাগে? বিয়ে করতে যত না টাকা লাগে, তারচে বেশি টাকা খরচ করি আমরা অনুষ্ঠানে, শাড়ি-গয়না কিনতে, ডিজে পার্টি ভাড়া করতে! বিয়ে করতে হলে যে এইসব করা লাগে কোথায় বলা আছে? লোকদেখানো কাজকর্ম করতে যেয়ে শেষে বিয়েটাই পিছিয়ে যায়! এই যে বিয়ের কথা আসলেই আমরা টাকার দোহাই দেই, অথচ, আমাদের জীবনে সবকিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলছে.. আমরা মোবাইল চালাইতে পারি, ল্যাপটপ কিনতে পারি! আরো টাকা পেলে হয়ত একটা গাড়ি কিনব, তবু বিয়ের কথা ভাবব না! আল্লাহ তা'আলা কি বলসেন,
সেটাও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না.. আমরা কেমন মুসলিম হলাম?আল্লাহ বলেন, বিয়ে করলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন [সুরাহ নুর: ৩২]
আমরা তো কুর'আনের সেই আয়াতে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারি না.. যদি করি, তাহলে সেটা খুব ভয়ঙ্কর! খুবই ভয়ঙ্কর.. আমরা মুসলিম.. অল্প কয়দিনের জন্য আমরা এই দুনিয়া তে আসি, এরপর বিদায় নেই.. জীবনে যেন সুন্দর ভাবে চলতে পারি এইজন্যই আল্লাহ আমাদের জন্য কিছু নিয়ম- নীতি দিসেন, ইসলাম দিসেন.. আমাদের উচিত এই সমাজকে অনুসরণ না করে, এর ভ্রান্ত-দুষিত নিয়মগুলো মেনে নিজেদের উপর অত্যাচার না করা ।
আলী রা এর যখন বিয়ে হয়, তখন উনার মোহরানা দেয়ার টাকা টা পর্যন্ত ছিল না.. অথচ তার বিয়ে হলো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির কন্যার সাথে! আর তার স্ত্রী হবে জান্নাতে নারীদের নেত্রী! বিয়ে করতে অনেক টাকা লাগে না.. যেটা লাগে সেটা হচ্ছে তাওয়াক্বুল, আল্লাহর উপর ভরসা।
চার.
Late marriage-দেরীতে বিবাহ”-ইসলামের
বিরুদ্ধে শতাব্দীর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র!!
কুফফাররা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে, শুধু অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে পরাজিত করা সম্ভব নয় কেননা মুসলিমরা তো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়াকেই তাঁদের চূড়ান্ত সফলতা মনেকরে। তাছাড়া যাদের একমাত্র লক্ষই হচ্ছে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া আপনি তাঁদেরকে কিভাবে থামাবেন??
তাই কুফফাররা চিন্তা করলো মুসলিম যুবকদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিতে হবে কেননা নৈতিকতাই হচ্ছে মুসলিম যুবকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এ অস্ত্রের জোরেই তারা আল্লাহর পথে কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই তারা প্রথমে মুসলিম দেশগুলোতে বিবাহের উপর একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা বেধে দিলো যে, এর আগে বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যদিও একটি ছেলে এবং মেয়ে এই নির্দিষ্ট সময় সীমার অনেক আগেই বিবাহের উপযুক্ত হয়। সেই সাথে তারা এমন শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করলো যে, এই শিক্ষা
ব্যবস্থায় একটা ছেলে চাইলেও ২৮-৩০ বছরের আগে উপার্জনক্ষম হতে পারবেনা। যদিও একটা ছেলে ১৫ বছর বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। তাহলে একটি ছেলে যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার পরের ১৫ টি বছর
কিভাবে পাড়ি দিবে??
এই জন্যে কুফফাররা ব্যাপকহারে পর্ণ ছবি ছড়িলে দিলো, বিবাহপূর্ব প্রেম ভালবাসাকে ছড়িয়ে দিলো। যুবকদের যুবতীদেরকে একটা মেসেজ দিলো যে, “এই নাও পর্ণ ছবি। এগুলো দেখো। এগুলো দেখে উত্তেজিত হও। উত্তেজিত তো হয়েছো কিন্তু এখন কি করবে?? বিয়ে তো করতে পারবেনা। তাহলে প্রেম করো, প্রেম করে প্রেমিকার সাথে সেক্স করো, যৌবনের চাহিদা মেটাও।
আর যে যুবক প্রেম করবে, পর্ণ দেখবে, প্রেমিকার সাথে অবৈধ সেক্স করবে সেই যুবক কি কখনো আল্লাহর রাস্তায় কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার কথা চিন্তা করবে??
কন্মিশকালেও না। এভাবেই কুফফাররা মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, আমাদের যুবকদের জীবনী শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আসুন কুফফারদের এই গভীর চক্রান্তকে ধ্বংস করে দেই, সমাজে Early marriage এর বিপ্লব ঘটাই।
পাঁচ.
মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক বলেনঃ
“সন্তানদের জন্য বিয়েকে সহজ করে দেয়া
আমাদের জন্য ইবাদাত স্বরূপ। আর তাদের জন্য বিয়েকে কঠিন করে ফেলা একটি পাপ, যা অন্যান্য আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়।”
"ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়সটা
আসলে কত হওয়া উচিত?" Sayeed Rageah কে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উনি উত্তর দিয়েছিলেন-
"বিয়ের সাথে বয়সের সম্পর্ক নেই। বিয়ের
সাথে সম্পর্ক আছে দায়িত্ববোধের। আমি এমন সব ভাইকেচিনি যাদের কাছে আমার মেয়ে দেয়া তো দূরের কথা, একজোড়া জুতার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েও আমি ভরসা পাইনা।
আবার ১৫-১৬ বছরের এমন ভাইও আছে যাদেরকে পুরো মসজিদের দায়িত্বও যদিদিয়ে যাই তা সে সুষ্ঠু ভাবে পালন করতে পারবে।"
সংকলনে - বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব ডেস্ক
বিলাল ফিলিপস যা বলেছেন

এক.
"বয়সে যারা নবীন তাদেরকে তাদেরই মতন
নবীনদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বর্তমান মুসলিম বিশ্বে সন্তানদেরকে বলা হয় তাদের পড়াশোনা আগে শেষ করতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি, অন্যান্য ডিগ্রি ইত্যাদি শেষ করে তারপর বিয়ে করতে। এই কারণে অনেক সন্তানকে তাদের জীবনের সবচাইতে কঠিন সময়টা অবিবাহিত অবস্থায় পার করতে হয়। যখন তারা ত্রিশের কাছাকাছি পৌঁছে, তখন তারা বিয়ে করে। তাহলে ১৩ থেকে ৩০ বছরের এই প্রায়বিশটি বছর কী ঘটে? কী হয় তাদের জীবনে? আর এই ভুলের জন্য দায়ী কে? প্রাথমিকভাবে, এটা বাবা-মায়ের দোষ। যখন সন্তানরা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছে যায় এবং শারীরিকভাবে সাবালক হয় তখন তাদের সকল কাজের দায়ভার অবশ্যই তারাই বহন করে, কিন্তু বাবা-মায়েরাও তাদের এই বিশাল পাপের ভাগীদার হয় তাদেরকে এই অবস্থাটি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য না করার জন্য।"
--- ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস♠

দুই.
"বর্তমান সময়ে ২০-২২ বছরের কোন যুবক যদি বিবাহ করতে চাই তাহলে সমাজ বলবে ছেলেটার লাজ-লজ্জা সব গেল । কিন্তু ২০-২২ বছরের কোনযুবক কে পার্কে/রিক্সায় কোন মেয়ের সাথে অপ্রকৃত অবস্থায় দেখা গেলে তখন সমাজের লাজ/লজ্জা যায় না । কারন সমাজের চোখে সেটা আধুনিকতা । যে আধুনিকতা একজন যুবকের বেহায়্যাপনা থেকে বাঁচার আকুতি শুনতে চাইনা কিন্তু
একজন যুবক কে একজন যুবতীর সাথে লুতুপুতু করার অনুমতি দেয় সে আধুনিকতাকে আমি ফ্রি কিক মারি ।
একজন ২২ বছরের যুবক তার মোটামুটি আয়ের উপর ভরসা করে যখন বাসায় বিবাহ করার ইঙ্গিত দিবে তখন বাসায় ছেলেটা কে নির্লজ্জ ভাববে। কিন্তু রাত ১ টার পরও যখন ঐ ছেলের রুম থেকে ফোনে কথালাপের শব্দ শোনা যাবে তখন অভিভাবকরা ভাববে ছেলে বড় হয়েছে , ছেলে কে স্বাধীনতা দেয়া দরকার । ছেলে বিয়ে করার জন্য বড় হয়নি কিন্তু ঠিকই ফালতু-হারাম কাজের জন্য বড় হয়েছে । একসময় দেখা যায়, ঐ ফালতু কাজের জন্য বড় হওয়া ছেলেটি মা-বাবার মুখে চুন-কালি মেখে পালিয়ে বিয়ে করে । আর বিয়ে করতে চাওয়া আল্লাহ ভীরু সেই ছেলেটি ঠিকই মা-বাবার হৃদয় নরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকে ।এই হচ্ছে আমাদের কুলুষিত সমাজ ব্যবস্থা !"
- আব্দুল্লাহ (গুরাবা)

তিন.
বিয়ের কথা আসলেই আপনি টাকার কথা বলেন, কিন্তু আমি জানি, খুব ভালোভাবেই জানি যে শুধু টাকার জন্য আমাদের কারো বিয়েই আটকে থাকে না.. এটা আসলে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার.. আমরা বিয়েকে তেমন জরুরি ভাবি না.. আমাদের কাছে মনে হয় "থাক, একটা প্রেম তো আছেই, গার্লফ্রেন্ড তো আছেই, কয়টা মেয়ে বান্ধবী তো আছেই.. আপাতত ওতেই কাজ চলবে" বাবা-মাও বিয়ে বিষয়টা কে গুরুত্বের সাথে নেন না.. কেন ভাই বিয়ে করতে কত টাকা লাগে? বিয়ে করতে যত না টাকা লাগে, তারচে বেশি টাকা খরচ করি আমরা অনুষ্ঠানে, শাড়ি-গয়না কিনতে, ডিজে পার্টি ভাড়া করতে! বিয়ে করতে হলে যে এইসব করা লাগে কোথায় বলা আছে? লোকদেখানো কাজকর্ম করতে যেয়ে শেষে বিয়েটাই পিছিয়ে যায়! এই যে বিয়ের কথা আসলেই আমরা টাকার দোহাই দেই, অথচ, আমাদের জীবনে সবকিছুই স্বাভাবিক গতিতে চলছে.. আমরা মোবাইল চালাইতে পারি, ল্যাপটপ কিনতে পারি! আরো টাকা পেলে হয়ত একটা গাড়ি কিনব, তবু বিয়ের কথা ভাবব না! আল্লাহ তা'আলা কি বলসেন,
সেটাও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না.. আমরা কেমন মুসলিম হলাম?আল্লাহ বলেন, বিয়ে করলে আমাদের রিজিক বৃদ্ধি করে দিবেন [সুরাহ নুর: ৩২]
আমরা তো কুর'আনের সেই আয়াতে সন্দেহ প্রকাশ করতে পারি না.. যদি করি, তাহলে সেটা খুব ভয়ঙ্কর! খুবই ভয়ঙ্কর.. আমরা মুসলিম.. অল্প কয়দিনের জন্য আমরা এই দুনিয়া তে আসি, এরপর বিদায় নেই.. জীবনে যেন সুন্দর ভাবে চলতে পারি এইজন্যই আল্লাহ আমাদের জন্য কিছু নিয়ম- নীতি দিসেন, ইসলাম দিসেন.. আমাদের উচিত এই সমাজকে অনুসরণ না করে, এর ভ্রান্ত-দুষিত নিয়মগুলো মেনে নিজেদের উপর অত্যাচার না করা ।
আলী রা এর যখন বিয়ে হয়, তখন উনার মোহরানা দেয়ার টাকা টা পর্যন্ত ছিল না.. অথচ তার বিয়ে হলো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির কন্যার সাথে! আর তার স্ত্রী হবে জান্নাতে নারীদের নেত্রী! বিয়ে করতে অনেক টাকা লাগে না.. যেটা লাগে সেটা হচ্ছে তাওয়াক্বুল, আল্লাহর উপর ভরসা।

চার.
Late marriage-দেরীতে বিবাহ”-ইসলামের
বিরুদ্ধে শতাব্দীর এক জঘন্য ষড়যন্ত্র!!
কুফফাররা অনেক চিন্তা ভাবনা করে দেখলো যে, শুধু অস্ত্র দিয়ে মুসলিমদের হত্যা করে পরাজিত করা সম্ভব নয় কেননা মুসলিমরা তো আল্লাহর পথে শহীদ হওয়াকেই তাঁদের চূড়ান্ত সফলতা মনেকরে। তাছাড়া যাদের একমাত্র লক্ষই হচ্ছে আল্লাহর পথে শহীদ হওয়া আপনি তাঁদেরকে কিভাবে থামাবেন??
তাই কুফফাররা চিন্তা করলো মুসলিম যুবকদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দিতে হবে কেননা নৈতিকতাই হচ্ছে মুসলিম যুবকদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এ অস্ত্রের জোরেই তারা আল্লাহর পথে কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই তারা প্রথমে মুসলিম দেশগুলোতে বিবাহের উপর একটি নির্দিষ্ট সময় সীমা বেধে দিলো যে, এর আগে বিয়ে করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যদিও একটি ছেলে এবং মেয়ে এই নির্দিষ্ট সময় সীমার অনেক আগেই বিবাহের উপযুক্ত হয়। সেই সাথে তারা এমন শিক্ষা ব্যবস্থাও চালু করলো যে, এই শিক্ষা
ব্যবস্থায় একটা ছেলে চাইলেও ২৮-৩০ বছরের আগে উপার্জনক্ষম হতে পারবেনা। যদিও একটা ছেলে ১৫ বছর বয়সেই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। তাহলে একটি ছেলে যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার পরের ১৫ টি বছর
কিভাবে পাড়ি দিবে??
এই জন্যে কুফফাররা ব্যাপকহারে পর্ণ ছবি ছড়িলে দিলো, বিবাহপূর্ব প্রেম ভালবাসাকে ছড়িয়ে দিলো। যুবকদের যুবতীদেরকে একটা মেসেজ দিলো যে, “এই নাও পর্ণ ছবি। এগুলো দেখো। এগুলো দেখে উত্তেজিত হও। উত্তেজিত তো হয়েছো কিন্তু এখন কি করবে?? বিয়ে তো করতে পারবেনা। তাহলে প্রেম করো, প্রেম করে প্রেমিকার সাথে সেক্স করো, যৌবনের চাহিদা মেটাও।
আর যে যুবক প্রেম করবে, পর্ণ দেখবে, প্রেমিকার সাথে অবৈধ সেক্স করবে সেই যুবক কি কখনো আল্লাহর রাস্তায় কুফফারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার কথা চিন্তা করবে??
কন্মিশকালেও না। এভাবেই কুফফাররা মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে, আমাদের যুবকদের জীবনী শক্তিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আসুন কুফফারদের এই গভীর চক্রান্তকে ধ্বংস করে দেই, সমাজে Early marriage এর বিপ্লব ঘটাই।

পাঁচ.
মুফতি ইসমাইল মেঙ্ক বলেনঃ
“সন্তানদের জন্য বিয়েকে সহজ করে দেয়া
আমাদের জন্য ইবাদাত স্বরূপ। আর তাদের জন্য বিয়েকে কঠিন করে ফেলা একটি পাপ, যা অন্যান্য আরো অনেক পাপের জন্ম দেয়।”
"ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়সটা
আসলে কত হওয়া উচিত?" Sayeed Rageah কে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল। উনি উত্তর দিয়েছিলেন-
"বিয়ের সাথে বয়সের সম্পর্ক নেই। বিয়ের
সাথে সম্পর্ক আছে দায়িত্ববোধের। আমি এমন সব ভাইকেচিনি যাদের কাছে আমার মেয়ে দেয়া তো দূরের কথা, একজোড়া জুতার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েও আমি ভরসা পাইনা।
আবার ১৫-১৬ বছরের এমন ভাইও আছে যাদেরকে পুরো মসজিদের দায়িত্বও যদিদিয়ে যাই তা সে সুষ্ঠু ভাবে পালন করতে পারবে।"
সংকলনে - বিবাহ একটি উত্তম বন্ধুত্ব ডেস্ক
Comments
Post a Comment