প্রেম করা ইসলামে হালাল নাকি হারাম।

ইসলামে প্রেম করা হালাল নাকি হারাম??

image



শরীয়তের দৃষ্টিতে প্রেম স্বাভাবিক দুরুত্বে অবস্হান করে প্রেমঃ
অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে,
দুরুত্ব রেখে প্রেম করলে তো সমস্যা হবার
কথা না। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মতো আচরণ করলে সমস্যা কি? উত্তরঃ
উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন
পুরুষ যখন কোন নারীর সাথে একান্তে থাকে, তখন তাদের মাঝে তৃতীয় জন হিসেবে উপস্থিত হয় স্বয়ং শয়তান তাদের
মাঝে ভাবাবেগকে উৎসাহিত.করে এবং উভয়ের মাঝে খারাপ কুমন্ত্রণা দিতে থাকে এবং সর্বশেষে লজ্জাকর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায়।
সুতরাং বোঝা যায় যে নিভৃতে বেগানা নারী পুরুষ এক সাথে নির্জন স্হানে বসা যায়েয নেই।


image



হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী রাঃ কে লক্ষ্য
করে বলেনঃ “হে আলী! তুমি একবার
তাকাবার পর পুনর্বার তাকাবে না। তোমার প্রথম দৃষ্টিপাত ক্ষমার যোগ্য কিন্তু
দ্বিতীয়বার নয়।” অনেকেই মনে করেন যে কোন নারী হিজাব অবস্হায় থাকলে (মুখ ও কব্জি যদি খোলা থাকে) তখন বারবার তাকানোতে দোষ নেই। এই.হাদীস থেকে আশা করি তারা শিক্ষা নিতে পারবেন।
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “লালসার দৃষ্টি চোখের
ব্যভিচার, লালসার বাক্যালাপ জিহবার
ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের
ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের
ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের ব্যভিচার,
গুপ্তাঙ্গ- যা বাস্তবে রূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি)
এই হাদীস শোনার অনেকেই
হয়তো বলতে পারে যে এখানে তো
লালসার কথা বলা হয়েছে, আমরা তো লালসার মাধ্যমে এসব করবো না।
বরং আমরা পবিত্র.প্রেম করবো। তাদের উত্তর হলো যে, যাদের বিপরীত লিঙ্গের
সাথে নিভৃতে এক.সাথে থাকার পরও লালসার কোন চিহ্ন প্রকাশ পায় না, তাহলে তাদেরকে মেডিকেল
সায়েন্স এর ভিত্তিতে পুরুষ মহিলা বলা যাবে না। তাদের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান
ভিন্ন। দেখা না করে শুধু কথা বলে প্রেম
বা মোবাইলে প্রেমঃ অনেকেই মনে করেন
মোবাইলে কথা বললে তো ব্যভিচারের
আশংকা অনেক কমে যায়। তাদের জন্য
নিম্নোক্ত হাদীসটি আবার প্রণিধানযোগ্যঃ হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “লালসার দৃষ্টি চোখের
ব্যভিচার,লালসার বাক্যালাপ জিহবার ব্যভিচার, কামভাবে স্পর্শ করা হাতের ব্যভিচার, এ উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের
ব্যভিচার, অশ্লীল কথাবার্তা শুনা কানের
ব্যভিচার, কামনা বাসনা মনের
ব্যভিচার, গুপ্তাঙ্গ- যা বাস্তবে সূপদান করে কিংবা দমন করে।”(বোখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযি)
এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে,
ব্যভিচার অনেক রকম হতে পারে। এবং প্রত্যেক ব্যভিচারই হারাম।
এছাড়া যদি প্রয়োজন মোতাবেক
কথা বলতেই.হয় সেক্ষেত্রে কর্কশ ভাষায়
কথা বলতে হবে।
এক্ষেত্রে কোরআনে কালামের
নিম্নোক্ত আয়াত প্রণিধানযোগ্যঃ
আল্লাহ পাক বলেনঃ “তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে পরপুরুষদের সাথে কোমল কন্ঠে কথ বলবে না। তা হলে যার অন্তরে রোগ আছে, সে প্রলুব্ধ হয়ে পড়বে। তোমরা স্বাভাবিক
ভাবে কথা বল।” (সুরা আহযাব-৩২)
অনেকেই বলতে পারেন যে আমরা প্রেম
করলে তো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলবো।
কন্ঠ কোমল করবো না। তাদেরকে বলতে চাই, এই আয়াতের দ্বারা তাফসীরবিদগণ
প্রয়োজনীয় কথা বার্তা ছাড়া অন্যান্য
কথাবার্তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
যেমন আল্লামা আলুসী রঃ বলেনঃ “ভিন্ন
পুরুষদের কথার জবাব দেয়ার সময়
তোমরা বিনয় ও নম্রতাপূর্ণ এবং নারীসুলভ কোমল ও নরম স্বরে কথা বলবে না, যেমন করে সংশয়পূর্ণ মানসিকতাসম্পন্ন ও চরিত্রহীনা মেয়ে লোকেরা বলে থাকে।”


image



এছাড়া সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ
এবং তাবে তাবেয়ীগণদের
সময়ে বর্তমান সময়ের প্রচলিত ধরণের
প্রেমকে জায়েয বলা হয়নি এবং কেউ করেনওনি। এ ছাড়া আলিমগণ এসকল দলিলের ভিত্তিতে একযোগে এই ধরণের
প্রেমকে হারাম বলেছেন। আল্লাহ
তায়ালা আমাদেরকে হিদায়াত দিন।

আমিন।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়