আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ৯
আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়!
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার
পর) (9-)
(7)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সপ্তম শর্ত
হলো আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা।
আল্লাহ তায়ালা সাহায্যের ওয়াদা করেছেন,
সেই সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মুমিনের
কাজ। সমাজে প্রচলিত একটা কথা আছে, ﺍﻻﻧﺘﻈﺎﺭ
ﺍﺷﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻮﺕ অর্থ অপেক্ষা করা মৃত্যু যন্ত্রনার
চেয়েও কঠিন। পুর্ববর্তী রাসুল ও মুমিনগন কঠিন
দৈহিক ও আর্থিকভাবে নির্যাতিত হয়েও আল্লাহর
সাহায্য কখন আসবে? আর কত অপেক্ষা করতে হবে?
প্রশ্ন তুলে তাঁদের আকুতি ও মিনতি পেশ করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা জবাবে বলেছেন, নিশ্চয়
আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী সময়ে আসবে।
এখনো অপেক্ষা করতে হবে। একথা উল্লেখ
করে আল্লাহ বলেন,
ﺍﻡ ﺣﺴﺒﺘﻢ ﺍﻥ ﺗﺪﺧﻠﻮﺍ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻟﻤﺎ ﻳﺎﺗﻜﻢ ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺬﻳﻦ
ﺧﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﻗﺒﻠﻜﻢ ﻣﺴﺘﻬﻢ ﺍﻟﺒﺎﺳﺎﺀ ﻭﺍﻟﻀﺮﺍﺀ ﻭﺯﻟﺰﻟﻮﺍ
ﺣﺘﻲ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻣﻌﻪ ﻣﺘﻲ ﻧﺼﺮ
ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻ ﺍﻥ ﻧﺼﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺮﻳﺐ
অর্থ( 214)তোমাদের কি এই ধারনা যে,
তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ সে লোকদের
অবস্থা এখনো তোমাদের কাছে আসেনি,
যারা তোমাদের পুর্বে অতীত হয়েছে। তাদের
নিকট এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর
তাদেরকে শিহরিত হতে হয়েছে। এমনকি রাসুল
(সাঃ) এবং তাঁর সাথী মুমিনগন বলেছে, আল্লাহর
সাহায্য কখন আসবে? তোমরা শুনে নাও, আল্লাহর
সাহায্য অতিনিকটে। (সুরা আলবাকারা)
রাসুল ও সাথী মুমিনগন যখন আল্লাহর সাহায্য
কখন আসবে বলে প্রশ্ন করেছেন।তারপরেও
আল্লাহর সাহায্য অতিনিকটে বলে আল্লাহর
সাহায্যের অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
পুর্ববর্তী মুমিনদের ইতিহাস রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বর্ননা করেছেন।
ﻋﻦ ﺧﺒﺎﺏ ﺑﻦ ﺍﻻﺭﺕ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺷﻜﻮﻧﺎ ﺍﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻌﻢ ﻗﻠﻨﺎ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻻ ﺗﺴﺘﻨﺼﺮﻟﻨﺎ ﺍﻻﺗﺪﻋﻮ
ﻟﻨﺎﻓﻘﺎﻝ ﺍﻥ ﻣﻦ ﻛﺎﻥ ﻗﺒﻠﻜﻢ ﻛﺎﻥ ﺍﺣﺪﻫﻢ ﻳﻮﺿﻊ ﻋﻠﻲ
ﻣﻔﺮﻕ ﺭﺍﺳﻪ ﻓﻴﺨﻠﺺ ﺍﻟﻲ ﻗﺪﻣﻴﻪ ﻭﻻﻳﺼﺮﻓﻪ ﺫﺍﻟﻚ ﻋﻦ
ﺩﻳﻨﻪ ﻭﻳﻤﺸﻂ ﺑﺎﻣﺸﺎﻁ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﻟﺤﻤﻪ ﻭﻋﻈﻤﻪ
ﻭﻻ ﻳﺼﺮﻓﻪ ﺫﺍﻟﻚ ﻋﻦ ﺩﻳﻨﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻟﻴﺘﻤﻦ ﻫﺬﺍ
ﺍﻻﻣﺮ ﺣﺘﻲ ﻳﺴﻴﺮ ﺍﻟﺮﺍﻛﺐ ﻣﻦ ﺻﻨﻌﺎﺀ ﺍﻟﻲ ﺣﻀﺮﻣﻮﺕ
ﻻﻳﺨﺎﻑ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺬﺋﺐ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻐﻨﻢ ﻭﻟﻜﻨﻜﻢ
ﺗﺴﺘﻌﺠﻠﻮﻥ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ ﻭﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﺣﻤﺪ
অর্থ হযরত খাব্বাব বিন আলআরিত (রাঃ)
থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) এর কাছে অভিযোগ করলাম।
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ),আপনি আমাদের জন্য সাহায্য
প্রার্থনা করছেননা কেন? আপনি আমাদের জন্য
দুআা করছেন না কেন? তিনি জবাব দিলেন,
তোমাদের পুর্ববর্তী যেসব মুমিন ছিলেন, তাদের
কারো মাথায় করাত রেখে পা পর্যন্ত দ্বিখন্ডিত
করা হয়। অথচ এ নির্যাতন তাকে দ্বীন
থেকে ফিরাতে পারেনি। লোহার
চিরুনী দিয়ে কারো হাড় ও গোস্ত পৃথক
করা হয়েছে। অথচ এ নির্যাতন তাকে দ্বীন
থেকে ফিরাতে পারেনি। তারপর তিনি বলেন,
আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, এ দ্বীন, এ আন্দোলন
অবশ্যই পুর্নতা লাভ করবে।
এমনকি আরোহী ব্যাক্তি সানআ
থেকে হাজারামাওত পর্যন্ত ভ্রমন করবে,
কারো ভয় করতে হবে না,
আল্লাহকে এবং ছাগোলের উপর বাঘকে ছাড়া।
কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছো। (বুখারী, নাসাই,
আবুদাউদ ও আহমাদ)
আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষা করা মুমিনের
উচিৎ। নির্যাতনের মধ্যেও আল্লাহর সাহায্য
পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া না করা উচিৎ।
(আল্লাহর সাহায্যের
ব্যাখ্যা পরবর্তীতে (ইনশা -আল্লাহ) করবো)
(চলবে)
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার
পর) (9-)
(7)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সপ্তম শর্ত
হলো আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা।
আল্লাহ তায়ালা সাহায্যের ওয়াদা করেছেন,
সেই সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মুমিনের
কাজ। সমাজে প্রচলিত একটা কথা আছে, ﺍﻻﻧﺘﻈﺎﺭ
ﺍﺷﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻮﺕ অর্থ অপেক্ষা করা মৃত্যু যন্ত্রনার
চেয়েও কঠিন। পুর্ববর্তী রাসুল ও মুমিনগন কঠিন
দৈহিক ও আর্থিকভাবে নির্যাতিত হয়েও আল্লাহর
সাহায্য কখন আসবে? আর কত অপেক্ষা করতে হবে?
প্রশ্ন তুলে তাঁদের আকুতি ও মিনতি পেশ করেছেন।
আল্লাহ তায়ালা জবাবে বলেছেন, নিশ্চয়
আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী সময়ে আসবে।
এখনো অপেক্ষা করতে হবে। একথা উল্লেখ
করে আল্লাহ বলেন,
ﺍﻡ ﺣﺴﺒﺘﻢ ﺍﻥ ﺗﺪﺧﻠﻮﺍ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻟﻤﺎ ﻳﺎﺗﻜﻢ ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺬﻳﻦ
ﺧﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﻗﺒﻠﻜﻢ ﻣﺴﺘﻬﻢ ﺍﻟﺒﺎﺳﺎﺀ ﻭﺍﻟﻀﺮﺍﺀ ﻭﺯﻟﺰﻟﻮﺍ
ﺣﺘﻲ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻣﻌﻪ ﻣﺘﻲ ﻧﺼﺮ
ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻ ﺍﻥ ﻧﺼﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺮﻳﺐ
অর্থ( 214)তোমাদের কি এই ধারনা যে,
তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ সে লোকদের
অবস্থা এখনো তোমাদের কাছে আসেনি,
যারা তোমাদের পুর্বে অতীত হয়েছে। তাদের
নিকট এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর
তাদেরকে শিহরিত হতে হয়েছে। এমনকি রাসুল
(সাঃ) এবং তাঁর সাথী মুমিনগন বলেছে, আল্লাহর
সাহায্য কখন আসবে? তোমরা শুনে নাও, আল্লাহর
সাহায্য অতিনিকটে। (সুরা আলবাকারা)
রাসুল ও সাথী মুমিনগন যখন আল্লাহর সাহায্য
কখন আসবে বলে প্রশ্ন করেছেন।তারপরেও
আল্লাহর সাহায্য অতিনিকটে বলে আল্লাহর
সাহায্যের অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
পুর্ববর্তী মুমিনদের ইতিহাস রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বর্ননা করেছেন।
ﻋﻦ ﺧﺒﺎﺏ ﺑﻦ ﺍﻻﺭﺕ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺷﻜﻮﻧﺎ ﺍﻟﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻌﻢ ﻗﻠﻨﺎ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﻻ ﺗﺴﺘﻨﺼﺮﻟﻨﺎ ﺍﻻﺗﺪﻋﻮ
ﻟﻨﺎﻓﻘﺎﻝ ﺍﻥ ﻣﻦ ﻛﺎﻥ ﻗﺒﻠﻜﻢ ﻛﺎﻥ ﺍﺣﺪﻫﻢ ﻳﻮﺿﻊ ﻋﻠﻲ
ﻣﻔﺮﻕ ﺭﺍﺳﻪ ﻓﻴﺨﻠﺺ ﺍﻟﻲ ﻗﺪﻣﻴﻪ ﻭﻻﻳﺼﺮﻓﻪ ﺫﺍﻟﻚ ﻋﻦ
ﺩﻳﻨﻪ ﻭﻳﻤﺸﻂ ﺑﺎﻣﺸﺎﻁ ﺍﻟﺤﺪﻳﺪ ﻣﺎ ﺑﻴﻦ ﻟﺤﻤﻪ ﻭﻋﻈﻤﻪ
ﻭﻻ ﻳﺼﺮﻓﻪ ﺫﺍﻟﻚ ﻋﻦ ﺩﻳﻨﻪ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﻭﺍﻟﻠﻪ ﻟﻴﺘﻤﻦ ﻫﺬﺍ
ﺍﻻﻣﺮ ﺣﺘﻲ ﻳﺴﻴﺮ ﺍﻟﺮﺍﻛﺐ ﻣﻦ ﺻﻨﻌﺎﺀ ﺍﻟﻲ ﺣﻀﺮﻣﻮﺕ
ﻻﻳﺨﺎﻑ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺬﺋﺐ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻐﻨﻢ ﻭﻟﻜﻨﻜﻢ
ﺗﺴﺘﻌﺠﻠﻮﻥ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ ﻭﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﺣﻤﺪ
অর্থ হযরত খাব্বাব বিন আলআরিত (রাঃ)
থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) এর কাছে অভিযোগ করলাম।
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ),আপনি আমাদের জন্য সাহায্য
প্রার্থনা করছেননা কেন? আপনি আমাদের জন্য
দুআা করছেন না কেন? তিনি জবাব দিলেন,
তোমাদের পুর্ববর্তী যেসব মুমিন ছিলেন, তাদের
কারো মাথায় করাত রেখে পা পর্যন্ত দ্বিখন্ডিত
করা হয়। অথচ এ নির্যাতন তাকে দ্বীন
থেকে ফিরাতে পারেনি। লোহার
চিরুনী দিয়ে কারো হাড় ও গোস্ত পৃথক
করা হয়েছে। অথচ এ নির্যাতন তাকে দ্বীন
থেকে ফিরাতে পারেনি। তারপর তিনি বলেন,
আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, এ দ্বীন, এ আন্দোলন
অবশ্যই পুর্নতা লাভ করবে।
এমনকি আরোহী ব্যাক্তি সানআ
থেকে হাজারামাওত পর্যন্ত ভ্রমন করবে,
কারো ভয় করতে হবে না,
আল্লাহকে এবং ছাগোলের উপর বাঘকে ছাড়া।
কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করছো। (বুখারী, নাসাই,
আবুদাউদ ও আহমাদ)
আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষা করা মুমিনের
উচিৎ। নির্যাতনের মধ্যেও আল্লাহর সাহায্য
পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া না করা উচিৎ।
(আল্লাহর সাহায্যের
ব্যাখ্যা পরবর্তীতে (ইনশা -আল্লাহ) করবো)
(চলবে)
Comments
Post a Comment