যৌবনকালের এই আগুন যেভাবে লাগে।

image

কম্পিউটার সামগ্রীর মূল্য এবং ইন্টারনেট সংযোগ সস্তা হওয়ার ফলে অধিক সংখ্যক যুবক ইন্টারনেট জগতের দিকে ঝুঁকে পড়ার সুযোগ পায়। ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ৪ লক্ষ ওয়েবসাইটের সাথে তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। অনেক রক্ষণশীল পরিবারের সন্তানদের শুধু ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে নৈতিকতা দূর্বল হয়ে পড়ে।(ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী)
ফেইসবুকে যে ভাবে এই আগুন লাগতে পারেঃ- কিছুদিন আগে এক বোন আমাকে বলেছিল - ' দাওয়াত ও তাবলীগ ' জামায়াতের সবাই কেন ফেইসবুকে এসে দাওয়াতের কাজ করেনা? তাকে আমি বলেছিলাম - আপু , ফেইসবুক হচ্ছে একটা 'ফেতনা , ফেতনা , ফেতনা ''! নারী , গান , উলঙ্গতা, মিথ্যা , নানান মানুষের নানা অশ্লিল মত এবং প্রেম - ভালবাসার আবেগময়ই পোস্ট গুলো দেখে ' দাওয়াত ' যারা দিবে তাদের নিজের আমল আর বেশী খারাপ হয়ে যায় ।জীবনে কোন মেয়ের উলঙ্গ শরীর দেখি নি । আল্লাহ্‌ মাফ করে' ফেসিবুকে খুব সহজে এ গুলো আমার সামনে এসে যাচ্ছে । গান , মুভি শুনি না টাও সামনে আসতেছে ।প্রেম আবি জাবি নিয়ে মাথা ঘামাইনা কিন্তু সামনে এসে যাচ্ছে ! ফেইসবুকে কত রকম সম্পর্ক গড়ে উঠে তা আপনারা ভাল করেই জানেন।
ইউরোপ অথবা বিদেশের গেলে যেভাবে লাগে আগুনঃ- অনেকে তার সন্তানকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয় কিন্তু সেই সকল 'মা -বাপ ' জানেনা তার সন্তান এই দেশে এসে চারিত্রিক কি অধপতনে পড়ে ছটফট করে ।
আমি যখন ক্লাস ৭ম শ্রেনিতে পড়ি তখন পাশের বাড়ির কোন অনুষ্ঠানে এক ভাবী আমার মুখে হুলুদ লাগানোর জন্য পিছন দিয়ে এসে শার্টে স্পর্শ করে। আমি এত লাজুক ছিলাম যে - আমার শার্ট ছিরে ফেলেছে কিন্তু উনার কাছ হতে ছুটার জন্য রীতিমত কান্না শুরু করে দিলাম। কিন্তু লজ্জার মত এত বড় নেয়ামত কিন্তু আমি পরিবেশের কারনে ধরে রাখতে পারিনি।
সেই আমি ,লন্ডনে এসে ৪ বছরে যত রঙের আর ডঙের নারীর আবেদনময়ী নানা আকর্ষণীয় আচরণ দেখেছি তা লন্ডনে আসার আগে কোনদিনও দেখিনি ।গ্রাহক সেবার জন্য যখন আমি কেশ এ দাঁড়িয়ে যাই, তখন আমি আমার ঈমানকে হারিয়ে ফেলি কারন এটা কে না জানে যে , গ্রাহকের চোখে চোখ রেখে ' হাসির সাথে সুন্দর নরম নরম কথা বলে সার্ভিস করতে হয়। আর না হলে একটুতে চাকরি চলে যাবে।আর এই ধোঁকাতে চোখের গোনাহ হতে বেঁচে থাকা কত কষ্টের তা এক আল্লাহ্‌ আর ভুক্তভোগী কোন অসহায় আল্লাহ্‌ প্রিয় সাধারণ যুবকই কিন্তু ভাল জানে। আর এখানে পুরুষের চেয়ে নারীদের উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। ইউরোপের মেয়েরা আবার আমাদের বাংলাদেশি মেয়েদের মত পিচ্ছি -মরা 'টাইপেরনা। ওদের লাবণ্যতা যেমন আকর্ষণীয়; ঠিক তেমনি আছে তাদের শারীরিক উচ্চতা এবং গঠন। তাই সামনে কোন সুন্দর তক তকে সাদা,হুলদে,লাল চামড়ার একটি অর্ধ উলঙ্গ তাজা ফুটন্ত শরীরের মোহনীয় নারী,যার টাইটস অথবা ফিটিং শর্ট স্কাপ কাপড় হাঁটুর অনেক উপড়ে থাকে এবং কোন পাতলা আবরনের কাপড় বুকের উপর অর্ধ বুক খোলা রেখে এবং পিছনে পিটের উপরে কাপড়ের পরিবর্তে শুধু যদি দু-একটি ফিতা নজরে আসে তাহলে কি যে আকর্ষণ সৃষ্টি হয় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । আবার যদি কোন মেয়ে এমন অর্ধ উলঙ্গ গেটআপের  সাথে ৩০-৪০ হাজার টাকার দামি অ্যালকোহল মিশ্রিত পারফিউম; যার প্রধান কাজ হচ্ছে নাকে যাবার সাথে সাথে যৌন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে দেওয়া ব্যাবহার করে লাল লাল গাল আর গোলাপি দু ঠোঁটে হেসে হেসে, উঁচু জুতা পড়ে টাক টাক আওয়াজে  খোলা চূলে কোন মুসলিম যুবকের সামনে এসে দাঁড়ায় তখন কি হয় তা বলার ভাষা জানা নেই ।এমন সময় আমি অনেক মুসলিম কলিকদের বলতে শোনেছি- ' হায়- ''সুবাহানাল্লাহ'' আল্লাহ্‌ হু আকবার''মাশাল্লাহ'' এত সুন্দর নারী যেন বেহেশ্তের হুর। ওপ ''জাহিদ'' একবার যদি এই মেয়েটাকে কাছে পেতাম ''ইস'' কি যে করতাম , জীবন সাকসেস হয়ে যেত; আরও কত কি? যখন বলি ভাই এটা ঠিক না । তখন তারা বলে -আল্লাহই বানিয়েছে ,দেখার জন্য। বলুন তো- যে সব তরুণ -তরুণী এই সব দেশে আসে, তারা কত বার নিজেকে এই অশ্লিলতা হতে বাঁচাবে? আবার এই সব দেশে এমন কোন ম্যাগাজিন ,পত্রিকা নেই যেখানে নারী উলঙ্গ শরীরের ফটো নেই।
''২২ ডিসেম্ভার ২০১২ ,আমি লন্ডন 'Oxford Circus' হতে হেটে 'Piccadilly' কোন একটি বাস স্টপে দাঁড়িয়ে ছিলাম।চারদিকে উলঙ্গ মেয়দের আনাগনা নতুন অনেক খেয়াল মনে জন্ম দিচ্ছিল।বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতে কি অজানা খেয়ালে আমিও এদিক -সেদিক দেখছিলাম।হটাত,একটা শক্তিশালী মেয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে দেখলাম কিন্তু কিছু বুঝার আগেই সে আমাকে বুকে নিয়ে শক্ত করে ঝাঁপটিয়ে ধরলও,আমার এক হাতে খাবার, আরেক হাতে কোর্ট , হায় আল্লাহ্‌-মেয়েটির সাথে আরও ৮-১০টা মেয়ে আমাকে ঘিরে রেখেছে আর ও খুব লম্বা এবং শক্তিশালী প্লাস মদ খেয়ে নেশা গ্রস্ত ছিল।হাজারো মানুষের সামনে সে আমাকে কিস শুরু করে বার বার বলছে ''BABY LET'S GO WITH ME''DO U LIKE ME?''আমিঃ এমন ভিড়ের মধ্যে আটকিয়ে গেলাম এবং চারদিকে মেয়ে - ছেলে কি যে অবস্থা ! আমার তো চোখ, কান , মুখ দিয়ে গরম হাওয়া বের হচ্ছিল। কারন ছুটার জন্য আমিও পুরো শক্তি লাগালাম প্রথমে ভাবছিলাম ওই মেয়ের কোথায় আমি হাত দিয়ে ধাক্কা দিব?পরে ঠিক মনে নেই কোথায় স্পর্শ করে পুরো শক্তি দিয়ে ধাক্কা মেরে ওকে ফেলে দিলাম।২ মিনিটে আমার যে অবস্থা হয়েছিল সাথে ২৯০০০ টাকা ও ছিল তারপর আমি সামনে চলে আসলাম আর সে পিছে হতে ইংরেজিতে গালি দিচ্ছিল।জীবনে এই প্রথম আমি এত বেজ্জতি হলাম,আসলে একটু দূরে এসে মনে হয়েছে বেজ্জতির সাথে এমন উদ্ভুত ভাল হট ফিল করছিলাম।কোন মেয়ে এ ভাবে বুকে ঝড়িয়ে ধরবে কখনো সপ্নেও ভাবি নি।আমার কান্না ও আসে আবার হাসিও আসে তাই সেয়ার করলাম। দোয়া করবেন আল্লাহ্‌ ঈমান আমল হেফাজত করে।
আমি উপড়ের এই কয়েকটি ঘটনা এই জন্যই লিখেছি যাতে আপনাদের কাছে এই বার্তা যায়-টাকার জন্য বিদেশ যাওয়ার চেয়ে দেশে হাতুরির কাম করা অনেক ভাল কারন ঈমান তো বাঁচবে........ কিন্তু আমাদের বাবা - মা তো দেশে গর্ব করে -আমার ছেলে লন্ডন । কসম আল্লাহ্‌র ! নিজের সন্তান কোন দিন বিদেশ পাটিয়ে নষ্ট করবোনা ইনশাল্লাহ ।
যৌবনকালের এই আগুন নিভানোর সহজ 'রাস্তা' :- এই 'আগুন' যদি কোন ছেলে- মেয়ের লেগে যায় তাহলে সমাধান একটাই বিয়ে । আপনি ছাত্র / ছাত্রি হলেও আগুন নিভানোর জন্য বিয়ের জন্য হালাল এবং বরকতের বা সুখি সুন্দর স্থির জীবনের জন্য এখনি প্রস্তুত হন। প্রেম রাখেন বিয়ে করেন। বিয়ে করার জন্য যদি আপনি সুযোগ খুঁজেন ' আল্লাহ্‌র কসম' আপানকে আল্লাহ্‌ সাহায্য করবেই করবে। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধুকে- আমি বলেছিলাম -যদি তোর মধ্যে যৌবনকালের এই আগুন লেগেই থাকে তাহলে দু - রাকাত নামাজ পড়ে 'আল্লাহ্‌র ' কাছে দোয়া করে তারপর আম্মুর পায়ে গিয়া পড় । আম্মুকে সব বুঝিয়ে বল। আম্মুকে বল - ঈমানের দাম অনেক বেশি । প্রয়োজনে মসজিদের ইমাম সাহেব বা কোন হক্কানি আলেম দিয়ে আম্মুকে বুঝিয়ে বলেন। বাবা বুঝতে চাইবেনা কিন্তু আম্মু নারী তাই ঠিক আপনি কি সমস্যা ফিল করছেন তা বুঝবে ।আম্মুর সাথে কথা বলার জন্য আপনি আপ্নার কোন প্রিয় বড় ভাই- বোন অথবা খালাম্মা - মামীর সাহায্য নিতে পারেন। আমি বলছি - সাহস করেন এবং পরিবারকে এটা বুঝিয়ে দেন যে , আপনার বিয়ে করা দরকার আর যদি বিয়ে তারা করতে বাঁধা সৃষ্টি করে তাহলে আপনার যে কোন গুনাহ এবং ভুলের জন্য তারা দায়ি থাকবে।
বন্ধুরা, বিয়ে আপনার ঈমানের ব্যাপার। আপনার জান্নাতের রাস্তার ব্যাপার। আপনার মনের শান্তির ব্যাপার এটা পরিবারের সম্মান বা সমাজ কি বলবে তা দেখার বিষয় নয়। তাই আপানদেরকে বলি - চাকরি , বাড়ি , গাড়ি অথবা অন্য চেষ্টা পড়ে - আল্লাহ্‌কে সাথে নিতে হলে আগে বিয়ের চেষ্টা করতেই হবে। কিভাবে না বুঝলে কোন আলেম ভাল বুঝবে।এস্তেখারা করেন , মাসোয়ারা করেন ।
একটা কথা - চিঁড়া পানিতে ভিজবে যেমন ঠিক তেমনি যৌবনকালের এই আগুন একমাত্র বিয়েতে সমাধান হবে আর না হয় কত যে বিপদ নেমে আসবে তা আল্লাহ্‌ই একমাত্র ভাল জানে।
কুরআন ও হাদিসে বিবাহঃ-
বিবাহ ধর্ম কাজে সহায়ক, শয়তানের চক্রান্ত থেকে আত্মরক্ষার মুজবুত প্রাচীর এবং উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রধান উপায়। এই সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে নবী কারিম (সঃ ) অন্যান্যই নবীদের উপর গর্ব করবেন।
দেখুননা কুরআন ও একি সাক্ষী দেয়-''তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।(সূরা আর-রুমঃ২১)অংশ।
হাদীসে আছে,“যে ব্যক্তি চরিত্র রক্ষার উদ্দেশ্যে বিবাহ করে, আল্লাহ তাআলা তার সাহায্য করাকে নিজের প্রতি অবধারিত করে নিয়েছেন।”(তিরমিযী, হাদীস : ১৬৫৫; নাসায়ী, হাদীস : ৩২১৮)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,“যে ব্যক্তি কোন নারীকে বিবাহ করবে (কেবল) তার ক্ষমতার কারণে আল্লাহ তাআলা তার অসহায়ত্বই বৃদ্ধি করবেন। যে ব্যক্তি কোন নারীকে বিবাহ করবে তার সম্পদের লোভে, আল্লাহ তাআলা তার দারিদ্র্যই বৃদ্ধি করবেন, যে ব্যক্তি কোন নারীকে বিবাহ করবে তার বংশমর্যাদার কারণে আল্লাহ তাআলা তার হীনতাই বৃদ্ধি করবেন আর যে ব্যক্তি কোন নারীকে বিবাহ করবে নিজ দৃষ্টি সংযতকরণ, চরিত্রের হেফাযত ও আত্মীয়তা রক্ষার উদ্দেশ্যে, আল্লাহ তাআলা তার জন্য তার স্ত্রীকে এবং স্ত্রীর জন্য তাকে কল্যাণময় করবেন।”(তবারানী, আলআওসাত, হাদীস : ২৩৪২)

আজ দুনিয়াতে আল্লাহ্‌ যত কিছুতে পুরুষের জন্য সুখ রেখেছেন বা সুখ সে পেয়ে থাকে কিন্তু একজন নারীর সাথে হালাল ভালবাসার মাঝে মহান আল্লাহ্‌ তার চেয়ে কোটি গুন বেশি শান্তি রেখেছে।বাস্তব সত্য কথায় এটা দুনিয়ার যত কিছু পাওয়াকে মানুষ খুশি মনে করে কিন্তু নিজের স্ত্রীর সাথে ভালবাসার সময় মনের মত কিছু ফেলে সে সেটার চেয়ে বড় পাওয়া মনে করে যা সে অন্য কোন কিছুকে মনে করে না,যদিও ব্যাপারটা কেও প্রকাশ করে ,কেও হয়তো লজ্জার কারন প্রকাশ করে না ।আমি বিয়ে করি নি তবে এটা অজানা কোন জটিল বিষয় নয়।
বিয়ে নিয়ে সাহাবী এবং তাবীঈদের কিছু সুন্দর উক্তিঃ-
___হযরত ওমর (রাজি) আনহু বিবাহ সম্পর্কে বলেনঃ ধর্ম প্ররায়নতা বিবাহে কোন বাধা নয়। কেবল দুটি বিষয় বিবাহে বাধা সৃষ্টি করে - অক্ষমতা এবং দুশ্চরিত্রতা।
___হজরত আব্বাস (রাজি) আনহু বিবাহ সম্পর্কে বলেনঃ- বিবাহ না করা পর্যন্ত আবেদের এবাদত পূর্ণ হয় না । মানি কাম ভাব প্রবল হওয়ার কারনে অন্তরের নিরাপওা বিবাহ ব্যাতিত কল্পনীয় নয় । কেননা অন্তরের নিরাপওা ছাড়া এবাদত হতে পারেনা। এ জন্য আব্বাস রাজি আনহু তার কিছু গোলাম বালেগ হওয়ার পর তাদের এক সাথে করে তাদের বলেন- ' তোমরা বিবাহ করতে চাইলে, আমি তোমাদের বিবাহ করে দিতে পারি ''।-কারন মানুষ যখন বিবাহ না করে জিনাহ করে ,তখন তার অন্তর হতে ঈমান বের করে নেওয়া হয়।
____হজরত ইবনে মাসউদ (রাজি) আনহু বিবাহ সম্পর্কে বলেনঃ ধরে নেওয়া হোক যে, আমার বয়সের মাত্র ১০ দিন বাকী আছে , তবুও বিবাহ করে নেওয়া আমার কাছে ভাল মনে হয়, যাতে আল্লাহ্‌ তালাহর সামনে বিবাহিত গণ্য হয়ে যাই।
___ মুয়াজ ইবনে জাবাল (রাজি) আনহু বিবাহ সম্পর্কে কথিত আছেঃ- মুয়াজ ইবনে জাবালের ২ জন স্ত্রী মহামারীতে মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং নিজেও মহামারীতে আক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু এই অবস্থায় তিনি বিবাহের ইচ্ছা প্রকাশ করে বলেছেন- '' আল্লাহ্‌র সাথে অবিবাহিত হয়ে সাক্ষাৎ করতে আমার লজ্জা বোধ হয়।
____বিশর ইবনে হারেস রহঃ বলেনঃ- ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ৩ টি বিষয়ে আমার উপর ফজিলত রাখেন ,এক - তিনি নিজের জন্য ও অন্যের জন্য হালাল রুজি তালাশ করেন আর আমি কেবল আমার নিজের জন্য রুজি তালাশ করি । ২য় - তিনি বিবাহ করার অবকাশ রাখেন;কিন্তু আমি এই ব্যাপারে সংকীর্ণ। ৩য় - তিনি জনগণের ইমাম।
ইমাম হাম্বল (রহঃ) তার ২য় স্ত্রী মারা যাবার পরের দিন ২য় বিবাহ করেন এবং বলেন যে , রাতে মনে হয়েছে যেন আমি অবিবাহিত! সুফিয়ানা ইবনে ওরায়না বলেনঃ- অধিক বিবি দুনিয়াদারি নয় ।কেননা , হজরত আলি রাজি আনহু সাহাবিদের মধ্যে দুনিয়া ত্যাগী ছিল তবুও তার ৪ জন বিবি ছিল । এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে বিবাহ করলে কি উপকারিতা আছে ? হাঁ ভাই বিবাহের মধ্যে ৫ টি উপকার আছে । ১ম উপকারিতা - সন্তান হওয়া ২য় উপকারিতা - কামভাব নিবারণ করা ৩য় উপকারিতা - চিওবিনোদন এবং এর দ্বারা এবাদতে শক্তি সঞ্চয় ।কেননা মন সব সময় এবাদত হতে পলায়ন করে । মনকে জোর করে সব সময় তার ইচ্ছার খেলাফ এবাদতে রেখে রাখলে সে অবাধ্য হয়ে যাবে ।তাই পক্ষান্তরে হালাল বিনোদনের মাধ্যমে মনকে সুখ দিলে সে খুব খুশি হয়। তাই নারীর সাথে এত তৃপ্তি , এত আনন্দ -বিনোদন পাওয়া যায়; যা সকল ক্লেশ দূর করে দেয় ।
__আলি (রাজি) আনহু এ সম্পর্কে বলেনঃ একটু সময় হলেও মনকে সুখ দাও। কারন ,যখন মনকে জোর করে কাজে লাগিয়ে লাগলে মন অন্ধ হয়ে যায়। ৪র্থ উপকারিতাঃ- ঘরকন্নার ব্যাবস্থা করা তথা রান্নাবান্না করা , বাসা সাজিয়ে -গুছিয়ে রাখা মানি সংসারে একটি মেয়ে যা কিছু করে থাকে । কারন , কোন পুরুষ যদি সংসারের একা থাকে তাহলে সে সব কিছু করে বাসার বাহিরে কাজ করতে পারবেনা , এলেম - আমলে তেমন সময় পাবেনা।
____ আবু সোলায়মান দারানী বলেনঃ- পবিত্র ,নেককার স্ত্রী নিয়ে সংসার করা দুনিয়াদারির মধ্যে গণ্য করা হয়না। '' হে পরওয়াদেগার , আমাদের দুনিয়াতে পুণ্য দান কর ।
___ এই আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে মুহাম্মদ ইবনে কা'ব বলেন ঃ- এই আয়াতে দুনিয়ার পবিত্র নেককার স্ত্রী বুঝানো হয়েছে। হজরত ওমর রাজি বলেন- ঈমানের পর স্ত্রীর চেয়ে উওম কোন কিছু দেওয়া হয়নাই।
আর কি লিখবো ? প্রেম করবেন না বিবাহ করবেন এখন আপনি ভেবে দেখুন। আপনার অবহেলা আপনার বিয়ে করাকে অনেক বছর দূরে নিয়ে যেতে পারে আর এতে আপনি জ্বলতেই থাকবেন যৌবনকালের আগুনে।আর যদি কোন জটিল ভুল করে ফেলেন তাহলে জীবনের সকল আশা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে তথা ভবিষ্যৎ দাম্পত্য জীবনে নেমে আসতে পারে অন্ধকার।

লিখেছেনঃ জাহিদ সোহাগ

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়