স্বাগত মাহে রমাদান - মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।
★★★★★%%%%% স্বাগত মাহে রমাদান।%%%%%★★★★★
------------------------------------------------------------লিখেছেনঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।

ভালোর আগমনে আনন্দ অনুভুত হয় এবং খারাপের আগমনে দুঃখিত হতে হয়। যত সময় আল্লাহ মানুষের জন্য নির্ধারন করেছেন, তার মধ্যে রমাদান মাস সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ও কল্যানকর সময়।
যে রমাদান মাসে আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর কিতাব সমুহ অবতীর্ন করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ) কিতাব বা সহীফা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানব জাতির দুনিয়ার শান্তির পথ দেখানো এবং আখিরাতে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য অবতীর্ন করা হয়। জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত লাভ করার পথ দেখানোর জন্য অবতীর্ন হয়।
(نزل عليك الكتاب بالحق مصدقا لما بين يديه وانزل التوراة والانجيل من قبل هدي للناس وانزل الفرقان(سورة ال عمران)
অর্থ তিনি তোমার উপর সত্যই কিতাব অবতীর্ন করেছেন, যা তার পুর্ববর্তী কিতাব সমুহের সত্যায়নকারী। ইতিপুর্বে মানুষের পথনির্দেশনার জন্য তাওরাত ও ইনজীলে অবতীর্ন করেছেন। এবং ফুরকান (সত্য -মাথ্যা প্রভেদকারী) অবতীর্ন করেছেন। (সুরা আলে ইমরান)
পবিত্র আল কুরআন এই রমাদান মাসেই অবতীর্ন হয়েছিল।
شهر رمضان الذي انزل فيه القران هدي للناس(سورة البقرة)
অর্থ রমাদান মাসে মানুষের হিদায়াতের জন্য কুরআন অঅবতীর্ন করা হয়েছিল। (সুরা আল বাকারাহ) কুরআন অবতীর্নের রাতকে প্রতি বৎসর কদরের মার্যাদা দেয়া হয়। যে কদরের রাতের মার্যাদা এক হাযার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম।
(انا انزلناه في ليلة القدر وما ادراك ما ليلة القدر ليلة القدر خير من الف شهر(سورة القدر)
অর্থ নিশ্চয় আমি কদরের রাত্রে উহা (কুরআন) অবতীর্ন করেছি। তুমি কি জানো, কদরের রাতের মার্যাদা কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (সুরা কদর)
যে রমাদান মাসে সিয়াম সাধনা করাকে পবিত্র কুরআনে ফারয করা হয়েছে।
(ياايها الذين امنوا كتب عليكم الصيام كماكتب علي الذين من قبلكم،سورة البقرة)
অর্থ হে মুমিনগন, তোমাদের উপর সিয়াম ফারয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পুর্ববর্তীদের উপর তা ফারয করা হয়েছিল।(সুরা আল বাকারাহ) হাদীসে ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ করা হয়েছে রমাদানে মাসের সিয়ামকে।
قال رسول الله صلعم بني الاسلام علي خمس شهادة الا اله الا الله وان محمدا رسول الله واقام الصلوة وايتاء الزكوة وصوم رمضان والحج رواه البخاري ومسلم)
অর্থ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাচটি খুটির উপর। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল সাক্ষ্য দেয়া। নামায কায়িম করা। যাকাত আদায় করা। রমাদানে মাসে সিয়াম রাখা ও হাজ্জ করা। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
যে মাসের রাত্রে কিয়াম করা সুন্নাহ করা হয়েছে। জামায়াতে কিয়াম করা সুন্নাহ করা হয়েছে।
যে রমাদান মাস রহমাতের মাস, মাগফিরাতের মাস এবং নাযাত ও মুক্তির মাস।প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক নাযাত ও মুক্তির, এটা সহীহ নয় ও সঠিক নয়। বরং সমস্ত মাস রহমাত, সমস্ত মাস মাগফিরাত এবং সমস্ত মাস ব্যাপি মুক্তির মাস।
১)সহীহ মুসলিমের হাদীসে আছে, রমাদানে মাস যখন আসে, তখন রহমাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ইহা দ্বারা বোঝা যায় সমস্ত মাসে রহমাতের দরজা খোলা থাকে। রহমাত থাকে।
২)আর এক সহীহ হাদীসে আছে,জিবরাইলকে (আঃ) বললেন, যে ব্যক্তি রমাদানে মাস পেল অথচ নিজের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারলো না, সে দুর্ভাগ্যর অধিকারী। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, আমীন! হে আল্লাহ, তুমি কবুল কর।
৩)তিরমিযীর সহীহ হাদীসে আছে, প্রতি রাত্রে বহু ব্যক্তিকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
যে রমাদান মাস সবরের মাস। সবর ও ধৈয্য ধারন প্রশিক্ষন লাভের মাস.।
شهر الصبر والصبر ثوابه الجنة
অর্থ এটা সবরের মাস। আর সবরের প্রতিদান জান্নাত।
যে রমাদান মাস হলো সহানুভুতির মাস।
هذا شهر المواساة
(অর্থ এটা সহানুভুতির মাস!)
সিয়াম পালন করে ক্ষুধার্থ অবস্থা অনুভব করে সহানুভুতি প্রকাশের মাস। অন্য মাসের তুলনায় রমাদানে মাসে সকল সৎ আমলের অধিক গুরুত্ব, মার্যাদা, সাওয়াবের মাস।
যে মাস আগমনের সাথে সাথে জান্নাতের সকল দরজা, রহমাতের সকল দরজা, আসমানের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। কট্টর বিদ্রোহী শয়তানদের শৃংখলিত করা হয়। সর্বসময় আল্লাহর পক্ষ থেকে এক আহবায়ক আহবান করে, হে কল্যানকামী, কল্যান মুলক কাজের জন্য এগিয়ে এসো। হে অকল্যানকামী, তুমি অকল্যানমুলক কাজ, বন্ধ কর। জাহান্নাম থেকে বহু সংখ্যক ব্যক্তিকে রমাদান মাসের প্রতি রাত্রে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়।
(قال رسول الله صلعم اذا جاء رمضان فتحت ابواب السماء او ابواب الجنة او ابواب الرحمة وغلقت ابواب جهنم وسلسلت مردة الشياطين وينادي مناد من السماء ياباغي الخير اقبل وياباغي الشر اقصر ولله عتقاء من النار وذالك كل ليلة رواه الترمذي)
অর্থ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন রমাদান মাস আগমন করে "তখন আসমানের দরজা, জান্নাতের দরজা বা রহমাতের দরজা সমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা সমুহ বন্ধ করে দেয়া হয়, কট্টর শয়তানদের বন্দী করা হয়, আসমান থেকে এক আহবায়ক আহবান করতে থাকে, হে কল্যানকামী, তু এগিয়ে এসো, হে অকল্যানকামী, থামো, আল্লাহর জন্য দোযখের আগুন থেকে অনেক মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। এটা প্রতি রাত্রে। (তিরমিযী)
হে রমাদান, তোমার আগমনে, আমরা ধন্য হবো, আমরা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কাজ করতে পারবো। জান্নাত লাভের কর্ম করতে পারবো, রহমাত ছাড়া জান্নাত পাওয়া যাবে না, সেই রহমাত এই মাসে বেশী পাবো। যে শয়তানের মাধ্যমে আমরা বিভ্রান্ত হই, সে শয়তানের কার্যক্রম ও ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবো। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কল্যানের মাসে এগিয়ে আসতে আহবান করা হয়। অকল্যান মুলক কাজ করতে নিষেধ করতে থাকা হয়। যারা তাওবা করে, ক্ষমা চেয়ে নিজকে পরিচ্ছন্ন করতে পারে, তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হবে এ মাসে। তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
হে রমাদান মাস, তোমাকে স্বগত জানাই। তুমি এসো। তোমার আগমনে আমরা আনন্দিত ও খুশী। তোমার মাধ্যমে আমরা চির জীবনের শান্তি লাভ করতে পারবো, দুঃখ ও কষ্ট থেকে বাচতে পারবো। আমাদের নাফসে আম্মারাহকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো। তোমার আগমনে আমরা ধন্য হবো। শয়তানের আক্রমন থেকে বাচার উপায় করতে পারবো। গুনাহ থেকে বাচতে পারবো। রহমাত লাভ করতে পারবো। হে রমাদান, এজন্য তোমার আগমনের কামনা করি, ভালবাসি এবং আকাংখা করি। হে রমাদান, তোমার মাসে কুরআন অবতীর্ন হয়, কুরআনের কারনে তোমার মার্যাদা এত বেশী। তুমি শ্রেষ্ঠ মাস বলে গন্য হয়েছো। যে কুরআন অবতীর্নের কারনে সময়টুকু কদরের মার্যাদা হয়েছে। সেই কুরআন প্রতিটি মুহুর্তে আমল ও প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, প্রতিটি মুহুর্তে কদরের চেয়েও বেশী মার্যাদা পাবো। তাই হে রমাদান, তোমার আগমন চাই, তোমার আগমন ঘটুক, আশা করি।
------------------------------------------------------------লিখেছেনঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার।

ভালোর আগমনে আনন্দ অনুভুত হয় এবং খারাপের আগমনে দুঃখিত হতে হয়। যত সময় আল্লাহ মানুষের জন্য নির্ধারন করেছেন, তার মধ্যে রমাদান মাস সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ও কল্যানকর সময়।
যে রমাদান মাসে আল্লাহ যুগে যুগে তাঁর কিতাব সমুহ অবতীর্ন করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ) কিতাব বা সহীফা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানব জাতির দুনিয়ার শান্তির পথ দেখানো এবং আখিরাতে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য অবতীর্ন করা হয়। জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাত লাভ করার পথ দেখানোর জন্য অবতীর্ন হয়।
(نزل عليك الكتاب بالحق مصدقا لما بين يديه وانزل التوراة والانجيل من قبل هدي للناس وانزل الفرقان(سورة ال عمران)
অর্থ তিনি তোমার উপর সত্যই কিতাব অবতীর্ন করেছেন, যা তার পুর্ববর্তী কিতাব সমুহের সত্যায়নকারী। ইতিপুর্বে মানুষের পথনির্দেশনার জন্য তাওরাত ও ইনজীলে অবতীর্ন করেছেন। এবং ফুরকান (সত্য -মাথ্যা প্রভেদকারী) অবতীর্ন করেছেন। (সুরা আলে ইমরান)
পবিত্র আল কুরআন এই রমাদান মাসেই অবতীর্ন হয়েছিল।
شهر رمضان الذي انزل فيه القران هدي للناس(سورة البقرة)
অর্থ রমাদান মাসে মানুষের হিদায়াতের জন্য কুরআন অঅবতীর্ন করা হয়েছিল। (সুরা আল বাকারাহ) কুরআন অবতীর্নের রাতকে প্রতি বৎসর কদরের মার্যাদা দেয়া হয়। যে কদরের রাতের মার্যাদা এক হাযার মাসের চেয়েও অনেক উত্তম।
(انا انزلناه في ليلة القدر وما ادراك ما ليلة القدر ليلة القدر خير من الف شهر(سورة القدر)
অর্থ নিশ্চয় আমি কদরের রাত্রে উহা (কুরআন) অবতীর্ন করেছি। তুমি কি জানো, কদরের রাতের মার্যাদা কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (সুরা কদর)
যে রমাদান মাসে সিয়াম সাধনা করাকে পবিত্র কুরআনে ফারয করা হয়েছে।
(ياايها الذين امنوا كتب عليكم الصيام كماكتب علي الذين من قبلكم،سورة البقرة)
অর্থ হে মুমিনগন, তোমাদের উপর সিয়াম ফারয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পুর্ববর্তীদের উপর তা ফারয করা হয়েছিল।(সুরা আল বাকারাহ) হাদীসে ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের চতুর্থ স্তম্ভ করা হয়েছে রমাদানে মাসের সিয়ামকে।
قال رسول الله صلعم بني الاسلام علي خمس شهادة الا اله الا الله وان محمدا رسول الله واقام الصلوة وايتاء الزكوة وصوم رمضان والحج رواه البخاري ومسلم)
অর্থ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাচটি খুটির উপর। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল সাক্ষ্য দেয়া। নামায কায়িম করা। যাকাত আদায় করা। রমাদানে মাসে সিয়াম রাখা ও হাজ্জ করা। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
যে মাসের রাত্রে কিয়াম করা সুন্নাহ করা হয়েছে। জামায়াতে কিয়াম করা সুন্নাহ করা হয়েছে।
যে রমাদান মাস রহমাতের মাস, মাগফিরাতের মাস এবং নাযাত ও মুক্তির মাস।প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক নাযাত ও মুক্তির, এটা সহীহ নয় ও সঠিক নয়। বরং সমস্ত মাস রহমাত, সমস্ত মাস মাগফিরাত এবং সমস্ত মাস ব্যাপি মুক্তির মাস।
১)সহীহ মুসলিমের হাদীসে আছে, রমাদানে মাস যখন আসে, তখন রহমাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয়। ইহা দ্বারা বোঝা যায় সমস্ত মাসে রহমাতের দরজা খোলা থাকে। রহমাত থাকে।
২)আর এক সহীহ হাদীসে আছে,জিবরাইলকে (আঃ) বললেন, যে ব্যক্তি রমাদানে মাস পেল অথচ নিজের গুনাহ ক্ষমা করাতে পারলো না, সে দুর্ভাগ্যর অধিকারী। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, আমীন! হে আল্লাহ, তুমি কবুল কর।
৩)তিরমিযীর সহীহ হাদীসে আছে, প্রতি রাত্রে বহু ব্যক্তিকে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।
যে রমাদান মাস সবরের মাস। সবর ও ধৈয্য ধারন প্রশিক্ষন লাভের মাস.।
شهر الصبر والصبر ثوابه الجنة
অর্থ এটা সবরের মাস। আর সবরের প্রতিদান জান্নাত।
যে রমাদান মাস হলো সহানুভুতির মাস।
هذا شهر المواساة
(অর্থ এটা সহানুভুতির মাস!)
সিয়াম পালন করে ক্ষুধার্থ অবস্থা অনুভব করে সহানুভুতি প্রকাশের মাস। অন্য মাসের তুলনায় রমাদানে মাসে সকল সৎ আমলের অধিক গুরুত্ব, মার্যাদা, সাওয়াবের মাস।
যে মাস আগমনের সাথে সাথে জান্নাতের সকল দরজা, রহমাতের সকল দরজা, আসমানের সকল দরজা খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের সকল দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। কট্টর বিদ্রোহী শয়তানদের শৃংখলিত করা হয়। সর্বসময় আল্লাহর পক্ষ থেকে এক আহবায়ক আহবান করে, হে কল্যানকামী, কল্যান মুলক কাজের জন্য এগিয়ে এসো। হে অকল্যানকামী, তুমি অকল্যানমুলক কাজ, বন্ধ কর। জাহান্নাম থেকে বহু সংখ্যক ব্যক্তিকে রমাদান মাসের প্রতি রাত্রে মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়।
(قال رسول الله صلعم اذا جاء رمضان فتحت ابواب السماء او ابواب الجنة او ابواب الرحمة وغلقت ابواب جهنم وسلسلت مردة الشياطين وينادي مناد من السماء ياباغي الخير اقبل وياباغي الشر اقصر ولله عتقاء من النار وذالك كل ليلة رواه الترمذي)
অর্থ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, যখন রমাদান মাস আগমন করে "তখন আসমানের দরজা, জান্নাতের দরজা বা রহমাতের দরজা সমুহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা সমুহ বন্ধ করে দেয়া হয়, কট্টর শয়তানদের বন্দী করা হয়, আসমান থেকে এক আহবায়ক আহবান করতে থাকে, হে কল্যানকামী, তু এগিয়ে এসো, হে অকল্যানকামী, থামো, আল্লাহর জন্য দোযখের আগুন থেকে অনেক মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। এটা প্রতি রাত্রে। (তিরমিযী)
হে রমাদান, তোমার আগমনে, আমরা ধন্য হবো, আমরা জাহান্নাম থেকে মুক্তির কাজ করতে পারবো। জান্নাত লাভের কর্ম করতে পারবো, রহমাত ছাড়া জান্নাত পাওয়া যাবে না, সেই রহমাত এই মাসে বেশী পাবো। যে শয়তানের মাধ্যমে আমরা বিভ্রান্ত হই, সে শয়তানের কার্যক্রম ও ষড়যন্ত্র থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবো। আল্লাহর পক্ষ থেকে এই কল্যানের মাসে এগিয়ে আসতে আহবান করা হয়। অকল্যান মুলক কাজ করতে নিষেধ করতে থাকা হয়। যারা তাওবা করে, ক্ষমা চেয়ে নিজকে পরিচ্ছন্ন করতে পারে, তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হবে এ মাসে। তাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
হে রমাদান মাস, তোমাকে স্বগত জানাই। তুমি এসো। তোমার আগমনে আমরা আনন্দিত ও খুশী। তোমার মাধ্যমে আমরা চির জীবনের শান্তি লাভ করতে পারবো, দুঃখ ও কষ্ট থেকে বাচতে পারবো। আমাদের নাফসে আম্মারাহকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবো। তোমার আগমনে আমরা ধন্য হবো। শয়তানের আক্রমন থেকে বাচার উপায় করতে পারবো। গুনাহ থেকে বাচতে পারবো। রহমাত লাভ করতে পারবো। হে রমাদান, এজন্য তোমার আগমনের কামনা করি, ভালবাসি এবং আকাংখা করি। হে রমাদান, তোমার মাসে কুরআন অবতীর্ন হয়, কুরআনের কারনে তোমার মার্যাদা এত বেশী। তুমি শ্রেষ্ঠ মাস বলে গন্য হয়েছো। যে কুরআন অবতীর্নের কারনে সময়টুকু কদরের মার্যাদা হয়েছে। সেই কুরআন প্রতিটি মুহুর্তে আমল ও প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, প্রতিটি মুহুর্তে কদরের চেয়েও বেশী মার্যাদা পাবো। তাই হে রমাদান, তোমার আগমন চাই, তোমার আগমন ঘটুক, আশা করি।
Comments
Post a Comment