Posts

Showing posts from October, 2014

শাহাদাতের মর্যাদা৩

"শাহাদাতের মর্যাদা" মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৩) (২১) জুলহাজ্জ মাসের প্রথম দশদিনের সৎআমলের মর্যাদা অন্যান্য দিনের সৎআমলের চেয়ে অনেক গুনে উত্তম। আল্লাহর পথে জিহাদের চেয়ে উত্তম। তবে জিহাদে বেরিয়ে জান ও মাল নিয়ে ফিরে না আসা সমস্ত আমলের চেয়ে উত্তম। ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﺎ ﻣﻦ ﺍﻳﺎﻡ ﺍﻟﻌﻤﻞ ﺍﻟﺼﺎﻟﺢ ﻓﻴﻬﻦ ﺍﺣﺐ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻌﺸﺮﺓ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻭﻻﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻭﻻﺍﻟﺠﻬﺎﺩ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻ ﺭﺟﻞ ﺧﺮﺝ ﺑﻨﻔﺴﻪ ﻭﻣﺎﻟﻪ ﻓﻠﻢ ﻳﺮﺟﻊ ﻣﻦ ﺫﺍﻟﻚ ﺑﺸﻴﺊ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ অনুবাদ :আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, এই দশ দিনের চেয়ে অন্যান্য দিন সৎআমল করা আল্লাহর কাছে অধিক প্রয় নয়। তারা প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ),আল্লাহর পথে জিহাদও নয়? তিনি বলেন, না, আল্লাহর পথে জিহাদ ও অধিক প্রিয় নয়। কিন্তু যে ব্যক্তি জান ও মাল নিয়ে বেরিয়ে কিছুই ফিরিয়ে আনতে পারেনি। (তার আমলের মর্যাদা সমস্ত আমলের চেয়ে উত্তম)। (সহীহ বুখারী) (২২) আল্লাহর পথে বের হওয়ার পর মৃত্যু বরন করুক, নিহত হোক, ঘোড়ার থেকে, উটের থেকে পড়ে গিয়ে মারা যাক, বিষাক্ত বিচ্ছুতে দংশন করে মারা যাক বা বিছানায় আল্লাহ যেভাবে ইচ্ছা স্বাভাবিক মৃত্যুবরন করুক, নিশ্চয় ...

শাহাদাতের মর্যাদা২

"শাহাদাতের মর্যাদা" মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৪) *** শাহীদে হাকীকীর সঙ্গা : ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﻦ ﻗﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻬﻮ ﺷﻬﻴﺪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ অর্থ :প্রিয় নাবী (সাঃ) বলেছেন, যে মুমিন আল্লাহর পথে নিহত হয়, সে শাহীদ। (আবু দাউদ) * আল্লাহর পথ * এর ব্যাখ্যা সহীহ বুখারীর একটি হাদীসে উল্লেখ আছে। ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻣﻮﺳﻲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺟﺎﺀ ﺭﺟﻞ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻌﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﻟﻠﻤﻐﻨﻢ ﻭﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﻟﻠﺬﻛﺮ ﻭﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻘﺎﺗﻞ ﻟﻴﺮﻱ ﻣﻜﺎﻧﻪ ﻓﻤﻦ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻗﺎﺗﻞ ﻟﺘﻜﻮﻥ ﻛﻠﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻫﻲ ﺍﻟﻌﻠﻴﺎ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ অর্থ : হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি প্রিয় নাবী (সাঃ) এর নিকট আগমন করে জিঙ্গাসা করে, একব্যক্তি গানীমাতের জন্য যুদ্ধ করে, আর এক ব্যক্তি স্মৃতি রক্ষার জন্য লড়াই করে, আর এক ব্যক্তি নিজের অবস্থান দেখানোর জন্য যুদ্ধ করে। অতএব কে আল্লাহর পথে আছে? তখন তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কালিমা বিজয়ী হওয়ার জন্য যুদ্ধ করে, সে আল্লাহর পথে আছে। (সহীহ বুখারী) এই হাদীস থেকে জানা যায় যে, আল্লাহর বানী বিজয়ী হওয়ার জন্য যুদ্ধ করলে আল্লাহর পথে হয়। অতএব আল্লাহর বানী বিজয় হওয়ার জন্য যুদ্ধ করতে যেয়ে নিহত হলে ...

হিজরতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

হিজরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার (৫)রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন : মাক্কায় সুদীর্ঘ ১৩ বৎসর ইসলামের দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব পালন করেন। হিজরাতের পূর্ব "পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ছিলেন একজন দায়ী ও মুবাল্লিগ। মাদীনায় হিজরাতের ফলে তিনি হলেন নুতন ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক, রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রপরিচালক। তিনি হলেন পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ আদর্শ রাষ্ট্রপতি। আল্লাহ তায়লা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে শুধু মাদীনার প্রশাসক নয় !বরং মানবজাতির প্রশাসক হিসাবে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ﺍﻧﺎ ﺍﻧﺰﻟﻨﺎ ﺍﻟﻴﻚ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﻟﺘﺤﻜﻢ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﻤﺎﺍﺭﺍﻙ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻﺗﻜﻦ ﻟﻠﺨﺎﺋﻨﻴﻦ ﺧﺼﻴﻤﺎ অর্থ :নিশ্চয় আমি তোমার নিকট সত্যসহ কিতাব অবতীর্ন করেছি যাতে করে তুমি আল্লাহর দেখানো নিয়ম অনুযায়ী মানুষের মাঝে শাসন করতে পার। আর তুমি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে বিতর্ককারী হয়ো না। (সুরা আন নিসা, আয়াত নং ১০৫) (৬)নুতন সংবিধান প্রনয়ন : হিজরাতের ফলে মাদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়। মুসলিম এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্য শান্তিশৃংখলা ও মানবিক ভ্রাতৃত্বের লক্ষ্যে বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) মাদীনার সকল নাগরিকদের জন্য একটি সংবিধান প্রনয়ন করেন...

শাহাদাতের মর্যাদা

"শাহাদাতের মর্যাদা " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (২) আল -হাদীসের দৃষ্টিতে শাহাদাতের মর্যাদা : (৮)বিশ্বনাবী, শ্রেষ্ঠ নাবী এবং শেষ নাবী শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন করতেন। পুনরায় দুনিয়ায় দেহ ও আত্মা মিলিতভাবে এসে আবার শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন করেছেন। এভাবে চারবার শাহীদ হওয়ার কামনা পোষন করেছেন।সমস্ত নাবীদের সরদার হওয়ার পরেও শাহীদ হওয়ার আকাংখা পোষন করায় শাহাদাতের মর্যাদা অনুভব করা যায়। ﻋﻦ ﺍﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮ ﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺴﻲ ﺑﻴﺪﻩ ﻟﻮﻻ ﺍﻥ ﻻﺭﺟﺎﻻ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻴﻦ ﻻﺗﻄﻴﺐ ﺍﻧﻔﺴﻬﻢ ﻋﻦ ﻳﺘﺨﻠﻔﻮﺍ ﻋﻨﻲ ﻭﻻ ﺍﺟﺪ ﻣﺎﺍﺣﻤﻠﻬﻢ ﻋﻠﻴﻪ ﻣﺎﺗﺨﻠﻔﺖ ﻋﻦ ﺳﺮﻳﺔ ﺗﻐﺰﻭ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺴﻲ ﺑﻴﺪﻩ ﻟﻮﺩﺩﺕ ﺍﻧﻲ ﺍﻗﺘﻞ ﻓﻲ ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ ﺛﻢ ﺍﺣﻴﻲ ﺛﻢ ﺍﻗﺘﻞ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ﻭﻣﺴﻠﻢ অনুবাদ :আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন। যার কুদরতী হাতে আমার প্রান, তার কসম দিয়ে বলছি, মুমিন ব্যক্তিদের মন আমাকে যুদ্ধে রেখে পিছনে থাকতে চায় না এবং আমি তাদের জন্য বাহনও পাই না, এ রকম যদি না হতো, তাহলে আমি কোন দল আল্লাহর পথে যুদ্ধে পাঠিয়ে পিছনে বসে থাকতাম না। যার কুদরতী হাতে আমার প্রান, তাঁর কসম করে বল...

কুরবানীর আনুষাঙ্গিক মাসয়ালা ১২

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর আনুসঙ্গিক মাসায়েল : (১)যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব, সে তো কুরবানী করবে। আর যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়, তারও সাধ্যে কুলালে কুরবানী করা উচিৎ। তবে ঋনদেনা করে কুরবানী করা উচিৎ না। (২)নিজের কুরবানী করার পর নিজের পিতা মাতা, দাদা দাদী, ইত্যাদি নিকটতম আত্মীয়দের পক্ষ থেকে তাদের সাওয়াব পৌছানোর লক্ষ্যে কুরবানী করা ভাল। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভালবাসায় সাওয়াব পৌছানোর জন্য কুরবানী করা না জায়েজ নয়। (৩ )কোন ব্যাক্তি মৃত্যুর সময় কুরবানী করতে অসীয়াত করলে, সমস্ত গোস্ত দান করা আবশ্যক। অসীয়াতকৃত না হলে কুরবানীকারী নিজের গোস্তের মত তিন ভাগ করে একভাগ নিজের পরিবারের জন্য নেওয়া, একভাগ গরীবদের দেওয়া এবং একভাগ আত্মীয় প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ান মুস্তাহাব। (৪)গরুতে যে কয়জন অংশীদার, সকলে অংশ হিসাবে আন্দাজে ভাগকরে নেওয়া সুদের গুনাহ হতে পারে। ওজন করে অংশ হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। মাথা, গুর্দা ও দিল অংশ হিসাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে। যেমন ওজন করে সমান সাত ভাগ করতে হবে। (৫)কুরবানীদাতার গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব। একভাগ নিজের, একভাগ প্...

কুরবানীর আনুষাঙ্গিক মাসয়ালা ১২

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর আনুসঙ্গিক মাসায়েল : (১)যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব, সে তো কুরবানী করবে। আর যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়, তারও সাধ্যে কুলালে কুরবানী করা উচিৎ। তবে ঋনদেনা করে কুরবানী করা উচিৎ না। (২)নিজের কুরবানী করার পর নিজের পিতা মাতা, দাদা দাদী, ইত্যাদি নিকটতম আত্মীয়দের পক্ষ থেকে তাদের সাওয়াব পৌছানোর লক্ষ্যে কুরবানী করা ভাল। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ভালবাসায় সাওয়াব পৌছানোর জন্য কুরবানী করা না জায়েজ নয়। (৩ )কোন ব্যাক্তি মৃত্যুর সময় কুরবানী করতে অসীয়াত করলে, সমস্ত গোস্ত দান করা আবশ্যক। অসীয়াতকৃত না হলে কুরবানীকারী নিজের গোস্তের মত তিন ভাগ করে একভাগ নিজের পরিবারের জন্য নেওয়া, একভাগ গরীবদের দেওয়া এবং একভাগ আত্মীয় প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ান মুস্তাহাব। (৪)গরুতে যে কয়জন অংশীদার, সকলে অংশ হিসাবে আন্দাজে ভাগকরে নেওয়া সুদের গুনাহ হতে পারে। ওজন করে অংশ হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। মাথা, গুর্দা ও দিল অংশ হিসাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে। যেমন ওজন করে সমান সাত ভাগ করতে হবে। (৫)কুরবানীদাতার গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব। একভাগ নিজের, একভাগ প্র...

কুরবানি ও আকিকা ১১

ঈদলু আদ্বহা ও কুরবানী! মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর সময় আকীকা করার হিড়িক পড়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী কেমন হওয়া উচিত, সংক্ষিপ্ত ভাবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হল। *** আকীকা : ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﺍﻟﻀﺒﻲ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻣﻊ ﺍﻟﻐﻼﻡ ﻋﻘﻴﻘﺔ ﻓﺎﻫﺮﻳﻘﻮﺍ ﻋﻨﻪ ﺩﻣﺎ ﻭﺍﻣﻴﻄﻮﺍ ﻋﻨﻪ ﺍﻻﺫﻱ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ অর্থ সালমান বিন আমির আদদব্বী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করলে আকীকা করতে হয়। অতএব তোমরা পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর এবং পুত্রের থেকে ময়লা দুর করে দাও। (সইীহ বুখারী) এ হাদীসে পুত্র সন্তান জন্ম নিলে আকীকার কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু কোন দিন আকীকা করতে হবে উল্লেখ নেই। কন্যা সন্তান জন্ম নিলে আকীকা করতে হবে কিনা এ হাদীসে উল্লেখ নেই। ﻋﻦ ﺍﻡ ﻛﺮﺯ ﻗﺎﻟﺖ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻋﻦ ﺍﻟﻐﻼﻡ ﺷﺎﺗﺎﻥ ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺠﺎﺭﻳﺔ ﺷﺎﺓ ﻭﻻﻳﻀﺮﻛﻢ ﺫﻛﺮﺍﻧﺎ ﻛﻦ ﺍﻭ ﺍﻧﺎﺛﺎ ﺭﻭﺍﻩ থ্রঅ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ উম্মে কুরজ (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলতে শুনেছি, পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল এবং কন্যা সন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল। ...

কুরবানীর পশুর মাসয়ালা ১০

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর পশুর মাসায়েল : (১)কুরবানীর পশু ছয় প্রকার। যথা (ক) উট (খ) মহিষ (গ) গরু (ঘ) দুম্বা (ঙ) ছাগল (চ) ভেড়া। এই ছয় প্রকার পশু ছাড়া অন্যপশু দিয়ে কুরবানী করা জায়েজ হবে না। (২)উট, মহিষ ও গরু কুরবানীতে সাতজন শারীক হওয়া যাবে। ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ ﻋﻦ ﺳﺒﻌﺔ ﻭﺍﻟﺠﺰﻭﺭ ﻋﻦ ﺳﺒﻌﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ﻭ ﺍﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ অর্থ হযরত যাবির (রা:)থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, গরু সাতজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে এবং উটও সাতজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে। (সহীহ মুসলিম ও সুনানে আবুদাউদ) উট, মহিষ ও গরুতে সাতজনের বেশী শারীক হতে পারবে না। সাতজন কুরবানীতে শারীক হওয়ার জন্য দুটি শর্ত। যথা (ক) শারীকদের প্রত্যেকের কুরবানীর বা আকীকার নিয়াত থাকতে হবে। একজনের কুরবানীর নিয়াত না হয়ে গোস্তের নিয়াত হলে কারো কুরবানী শুদ্ধ হবে না। (খ) শারীকদের কারো অংশ ঠিক সাত ভাগের এক ভাগের চেয়ে কম হলে কুরবানী শুদ্ধ হবে না। (৩)উট, মহিষ ও গরুতে সর্বোচ্চ সমান সাতজন শারীক হতে পারবে, অনুরুপ তার নীচে ছয়জন,পাঁচজন, চারজন, তিনজন, দুইজন ঐ কুরবানীতে শারীক হ...