কুরবানীর আনুষাঙ্গিক মাসয়ালা ১২
ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী।
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার.
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)
কুরবানীর আনুসঙ্গিক মাসায়েল :
(১)যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব,
সে তো কুরবানী করবে। আর যার উপর কুরবানী ওয়াজিব
নয়, তারও সাধ্যে কুলালে কুরবানী করা উচিৎ।
তবে ঋনদেনা করে কুরবানী করা উচিৎ না।
(২)নিজের কুরবানী করার পর নিজের পিতা মাতা,
দাদা দাদী, ইত্যাদি নিকটতম আত্মীয়দের পক্ষ
থেকে তাদের সাওয়াব পৌছানোর
লক্ষ্যে কুরবানী করা ভাল। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর
ভালবাসায় সাওয়াব পৌছানোর জন্য
কুরবানী করা না জায়েজ নয়।
(৩ )কোন ব্যাক্তি মৃত্যুর সময় কুরবানী করতে অসীয়াত
করলে, সমস্ত গোস্ত দান করা আবশ্যক। অসীয়াতকৃত
না হলে কুরবানীকারী নিজের গোস্তের মত তিন ভাগ
করে একভাগ নিজের পরিবারের জন্য নেওয়া, একভাগ
গরীবদের দেওয়া এবং একভাগ আত্মীয়
প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ান মুস্তাহাব।
(৪)গরুতে যে কয়জন অংশীদার, সকলে অংশ
হিসাবে আন্দাজে ভাগকরে নেওয়া সুদের গুনাহ হতে পারে।
ওজন করে অংশ হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। মাথা,
গুর্দা ও দিল অংশ হিসাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে।
যেমন ওজন করে সমান সাত ভাগ করতে হবে।
(৫)কুরবানীদাতার গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব।
একভাগ নিজের, একভাগ প্রতিবেশী আত্মীয়
বন্ধুবান্ধবদের এবং আর একভাগ গরীব মিসকীনদের।যেহেতু
আল্লাহ বলেছেন, ﻓﻜﻠﻮﺍ ﻣﻨﻬﺎ ﻭﺍﻃﻌﻤﻮﺍ ﺍﻟﻘﺎﻧﻊ
ﻭﺍﻟﻤﻌﺘﺮ অর্থ অতএব তোমরা করবানীর গোস্ত
থেকে খাও, প্রাপ্তসম্পদে সন্তুষ্ট
এবং প্রার্থীকে খাওয়াও। (সুরা আলহাজ্জ, আয়াত নং )
এই আয়াত থেকে তিনভাগ করার নির্দেশনা পাওয়া যায়।
তিনভাগের একভাগের কম অংশ নিজের পরিবারের জন্য
রাখতে পারে!প্রয়োজনে তিন ভাগের একভাগের কম অংশ
গরীবদের দান করতে পারে। সম্পুর্ন গোস্ত দান করতেও
পারে। তিনভাগ করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব।
(৬)কুরবানীর পশু গোস্তের কোন অংশ জবেহ,
কাটাবাছা ও ভুড়ি পরিস্কারের পারিশ্রমিক স্বরুপ
দেওয়া জায়েজ নয়। ভুল করে পারিশ্রমিক স্বরুপ যতটুকু
গোস্ত দিয়ে ফেলবে, ততটুকুর মুল্য দান করা ওয়াজিব।
(৭)চামড়া বিক্রি করলে দান করা ওয়াজিব। যাকাতের
খাতে দান করতে হবে। বিক্রি না করলে পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন করে নিজের ব্যাবহারের জন্য রাখতে পারবে।
কোন বন্ধুকে চামড়া হাদিয়া দেওয়া জায়েজ।
(৮) কুরবানীর নিয়াত ও দুয়া মুখে উচ্চারন করা জরুরী নয়।
মনে মনে নিয়াত ও ইচ্ছা করা কুরবানী সহীহ হওয়ার জন্য
যথেষ্ট।মুখে দুআ পড়া মুস্তাহাব।
(৯)নিজ হাতে জবেহ করা মুস্তাহাব।
তা না পারলে কুরবানীর সময় উপস্থিত থাকা উচিৎ। যেমন
হযরত ফাতিমা (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ
দিয়েছিলেন। (পুর্বে আলোচনা হয়েছে)
(১০)কুরবানীর গোস্ত অমুসলিমকে দেয়া যায়। কোন কিছুর
পারিশ্রমিক হিসাবে দেয়া কুরবানীর গোস্ত
বা চামড়া দেয়া যাবে না। (চলবে)
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার.
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)
কুরবানীর আনুসঙ্গিক মাসায়েল :
(১)যার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব,
সে তো কুরবানী করবে। আর যার উপর কুরবানী ওয়াজিব
নয়, তারও সাধ্যে কুলালে কুরবানী করা উচিৎ।
তবে ঋনদেনা করে কুরবানী করা উচিৎ না।
(২)নিজের কুরবানী করার পর নিজের পিতা মাতা,
দাদা দাদী, ইত্যাদি নিকটতম আত্মীয়দের পক্ষ
থেকে তাদের সাওয়াব পৌছানোর
লক্ষ্যে কুরবানী করা ভাল। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর
ভালবাসায় সাওয়াব পৌছানোর জন্য
কুরবানী করা না জায়েজ নয়।
(৩ )কোন ব্যাক্তি মৃত্যুর সময় কুরবানী করতে অসীয়াত
করলে, সমস্ত গোস্ত দান করা আবশ্যক। অসীয়াতকৃত
না হলে কুরবানীকারী নিজের গোস্তের মত তিন ভাগ
করে একভাগ নিজের পরিবারের জন্য নেওয়া, একভাগ
গরীবদের দেওয়া এবং একভাগ আত্মীয়
প্রতিবেশী বন্ধুবান্ধবদের খাওয়ান মুস্তাহাব।
(৪)গরুতে যে কয়জন অংশীদার, সকলে অংশ
হিসাবে আন্দাজে ভাগকরে নেওয়া সুদের গুনাহ হতে পারে।
ওজন করে অংশ হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে। মাথা,
গুর্দা ও দিল অংশ হিসাবে ওজন করে ভাগ করতে হবে।
যেমন ওজন করে সমান সাত ভাগ করতে হবে।
(৫)কুরবানীদাতার গোস্ত তিনভাগ করা মুস্তাহাব।
একভাগ নিজের, একভাগ প্রতিবেশী আত্মীয়
বন্ধুবান্ধবদের এবং আর একভাগ গরীব মিসকীনদের।যেহেতু
আল্লাহ বলেছেন, ﻓﻜﻠﻮﺍ ﻣﻨﻬﺎ ﻭﺍﻃﻌﻤﻮﺍ ﺍﻟﻘﺎﻧﻊ
ﻭﺍﻟﻤﻌﺘﺮ অর্থ অতএব তোমরা করবানীর গোস্ত
থেকে খাও, প্রাপ্তসম্পদে সন্তুষ্ট
এবং প্রার্থীকে খাওয়াও। (সুরা আলহাজ্জ, আয়াত নং )
এই আয়াত থেকে তিনভাগ করার নির্দেশনা পাওয়া যায়।
তিনভাগের একভাগের কম অংশ নিজের পরিবারের জন্য
রাখতে পারে!প্রয়োজনে তিন ভাগের একভাগের কম অংশ
গরীবদের দান করতে পারে। সম্পুর্ন গোস্ত দান করতেও
পারে। তিনভাগ করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব।
(৬)কুরবানীর পশু গোস্তের কোন অংশ জবেহ,
কাটাবাছা ও ভুড়ি পরিস্কারের পারিশ্রমিক স্বরুপ
দেওয়া জায়েজ নয়। ভুল করে পারিশ্রমিক স্বরুপ যতটুকু
গোস্ত দিয়ে ফেলবে, ততটুকুর মুল্য দান করা ওয়াজিব।
(৭)চামড়া বিক্রি করলে দান করা ওয়াজিব। যাকাতের
খাতে দান করতে হবে। বিক্রি না করলে পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন করে নিজের ব্যাবহারের জন্য রাখতে পারবে।
কোন বন্ধুকে চামড়া হাদিয়া দেওয়া জায়েজ।
(৮) কুরবানীর নিয়াত ও দুয়া মুখে উচ্চারন করা জরুরী নয়।
মনে মনে নিয়াত ও ইচ্ছা করা কুরবানী সহীহ হওয়ার জন্য
যথেষ্ট।মুখে দুআ পড়া মুস্তাহাব।
(৯)নিজ হাতে জবেহ করা মুস্তাহাব।
তা না পারলে কুরবানীর সময় উপস্থিত থাকা উচিৎ। যেমন
হযরত ফাতিমা (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নির্দেশ
দিয়েছিলেন। (পুর্বে আলোচনা হয়েছে)
(১০)কুরবানীর গোস্ত অমুসলিমকে দেয়া যায়। কোন কিছুর
পারিশ্রমিক হিসাবে দেয়া কুরবানীর গোস্ত
বা চামড়া দেয়া যাবে না। (চলবে)
Comments
Post a Comment