Posts

Showing posts from December, 2014

যৌবন কাল আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

যৌবন কাল আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত মোঃ জুলফিকার রহমান যৌবনকাল মানুষের শ্রেষ্ঠ সময়, যা দুরন্তপনা ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য পরিচালিত করে। যেকোনো মহৎ উদ্দেশ্যে সহজে জীবন বিলিয়ে দিতে প্ররোচিত করে। যুবমানসের স্বভাব বা প্রকৃতি এবং সাহসিকতা সম্পর্কে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ডা: লুতফর রহমান বলেছেন, ‘যুবকদের গায়ের জোরে আস্থা বেশি।…যুবকেরাই যুদ্ধের যোগ্য। লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব। নিজে ছোট বা দুর্বল, পরাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যে ঘটতে পারে এ কথা সে মোটেই বিশ্বাস করতে পারে না।’ যৌবনকাল দায়িত্বপূর্ণ কাজের জন্য উপযুক্ত সময়। আল্লাহ নবী নির্বাচন করেছেন যুবকদের মধ্য থেকেই। হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বলেছেন, ‘আল্লাহ যুবক ছাড়া কোনো নবী পাঠাননি এবং যুবক ছাড়া কাউকে ইলম দান করেননি।’ তারপর এ আয়াতটি পাঠ করেন : ‘তারা বলে আমরা এক যুবককে মূর্তিগুলোর কথা স্মরণ করতে শুনেছি, যার নাম ইব্রাহিম।’ হজরত ইউসুফ আ: সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছলেন, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি দান করলাম।’ (সূরা ইউসুফ-২২)। হজরত মুসা আ: সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘যখন মুসা আ: ভরা যৌবনে পদার্পণ করেন ...

চোখ ও কানের হেফাজত জরুরি

চোখ ও কানের হেফাজত জরুরি মোঃজুলফিকার রহমান সুন্দর অবয়ব দিয়ে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যেই কুশলী স্রষ্টার অসাধারণ নৈপুণ্য পরিলক্ষিত হয়। চোখ-কান এ দু টি অঙ্গেও আল্লাহর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের প্রতিটি অঙ্গই অতীব প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে মানুষের দুটি অঙ্গ চোখ ও কানের গুরুত্ব একটু বেশিই। মানুষের বোধ ও উপলব্ধির মাপকাঠি এ দুটি অঙ্গ। দেখা এবং শোনার মাধ্যমেই মানুষ তাদের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মনুষ্যত্ববোধের বিকাশ ঘটেছে চোখ ও কানের মাধ্যমে। সুরা নাহালে আছে, ‘আল্লাহ তোমাদের তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের চোখ, কান ও আত্মা দিয়েছেন যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।’ এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তারা মূলত কিছুই ছিল না। নিজের ভালো-মন্দের খবর পর্যন্ত রাখতে পারত না। তাই তাকে দিয়েছেন চোখ, কান ও আত্মা, যেন এগুলো দ্বারা বুঝতে ও জানতে পারে, উপলব্ধি করতে পারে। আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অলঙ্কারসমৃদ্ধ ভাষায় বারবার চোখ ও কানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ...

আদর্শ পিতা হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১৩) আদর্শ পিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। পৃথিবীর মূখ দেখার প্রধান মাধ্যম হলো পিতা -মাতা। মায়ের জরায়ুতে স্থিতি লাভের থেকেই পিতা-মাতার দায়িত্ব শুরু হয়। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ﻞﻛ ﺪﻟﻮﻳ ﺩﻮﻟﻮﻣ ﻲﻠﻋ ﺓﺮﻄﻔﻟﺍ ﻩﺍﻮﺑﺎﻓ ﻪﻧﺍﺩﻮﻬﻳ ﻪﻧﺍﺮﺼﻨﻳﻭ ﻪﻧﺎﺴﺠﻤﻳﻭ ﺦﻟﺍ অর্থ প্রত্যক সন্তান প্রকৃতির উপর জন্মগ্রহন করে। তারপর পিতা -মাতা সন্তানকে ইয়াহুদী, খৃষ্টান বা অগ্নি উপাসক বানায়, (মিশকাত) সন্তান গড়ে ওঠার জন্য পিতা -মাতার বিরাট প্রভাব আছে। পিতার -মাতা আদর্শস্থানীয় নাহলে সন্তান পরিবার ও সন্তান ভালভাবে গড়ে ওঠে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আদর্শ পিতা ছিলেন। তাঁর ৪ কন্যা ও ৩ পুত্র ছিল। কন্যাদের নাম যথাক্রমে (১)জয়নাব,(রাঃ)(২)রুকাইয়া, (রাঃ) (৩)উম্মে কুলসুম (রাঃ)ও (৪)ফাতিমা (রাঃ)। বদর যুদ্ধের পরপরই রুকাইয়া (রাঃ) ইন্তিকাল করেন। উম্মে কুলসুম (রাঃ) ও যায়নাব (রাঃ) ৭ম ও ৮ম হিজরীতে ইন্তিকাল করেন। ফাতিমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তিকালের ছয় মাস পর ইন্তিকাল করেন। পুত্র সন্তান ৩জন ছিলেন।(১) কাসিম (রাঃ) (২)আবদুল্লাহ, (ত্বইয়েব, তাহির) (৩)ইবরাহীম। এই তিনজনই রাসুলুল্ল...

আদর্শ স্বামী হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার ১২) আদর্শ স্বামী হিসাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। পরিবারের প্রধান সাধারনতঃ স্বামী হয়ে থাকে।মানব ইতিহাসের প্রথম পরিবার. (আদি পিতা ও আদি মাতা)হযরত আদম(আঃ)ও হযরত হাওয়া (আঃ)প্রথম স্বামী -স্ত্রী। স্বামী - স্ত্রী নিয়ে পরিবার গঠিত হয়। যেভাবে পারিবারিক জীবন-যাপন করলে দুনিয়ার জীবন সুখী ও শান্তিপুর্ন জীবন হয়, আখিরাতের জীবনের জন্য সহায়ক হয়, সে জীবন হলো আদর্শ জীবন। পারিবারিক জীবন সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হলে, সমাজ সুন্দর হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) স্বামী হিসেবে যে আদর্শ রেখেছেন, সে আদর্শ সকল পুরুষ গ্রহন করে স্বামী হিসাবে দায়িত্ব পালন করলে দুনিয়ার পারিবারিক জীবন সুখী হবে, পরকালের জন্য সহায়ক হবে এবং পরিবার সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) প্রথম থাকতে দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। রাসুলের ৫০ বৎসর বয়সে মাক্কী জীবনের ১০ম নববীতে সনে খাদীজা (রাঃ) ইন্তিকাল করেন। যয়নাব বিনতে খুযাইমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় ইন্তিকাল করেন। ৯জন একসাথে থাকা অঅবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তিকাল করেন। ১১জন স্ত্...

শ্রেষ্ঠ দানশীলতায় রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১১) যথাউপযুক্ত দানশীলতার আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। *** আল্লাহ তায়ালা অধিক দানশীল। তাঁর শ্রেষ্ঠতম প্রতিনিধি প্রিয়নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)সম্পর্কে বর্নিত আছে " ﻥﺎﻛ ﺩﻮﺟﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ"অর্থাৎ তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন। (সহীহ আল -বুখারী, ওহী অধ্যায়) আরবীতে দানশীল বুঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা(১)সাখাওয়াত (২)যূদ। প্রয়োজনে ও অপ্রয়জনে সম্পদ দান করাকে সাখাওয়াত (দানশীলতা) বলে। পক্ষান্তরে যার যে পরিমান যে জিনিষ দরকার, তাকে সে পরিমান সে জিনিষ দেয়াকে আরবীতে"যূদ" বলে। শুধু সম্পদ নয়। কারো একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান সম্পদ দরকার, কারো নিদ্দিষ্ট পরিমান ইলম বা জ্ঞান দরকার, কারো পোষাক দরকার, কারো খাদ্য দরকার, যার যা দরকার তাই দেয়া, যে পরিমান দরকার যার, সে পরিমান দিতেন তার। এইজন্য তাকে "আযওয়াদ " (অধিক দানশীল)বলা হয়েছে। *** ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻼﺟﺭ ﻥﺍ ﻝﺎﺳ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻨﻏ ﻦﻴﺑ ﻩﺎﻄﻋﺎﻓ ﻦﻴﻠﺒﺟ ﻩﺎﻳﺍ ﻲﺗﺎﻓ ﻝﺎﻘﻓ ﻪﻣﻮﻗ ﻯﺍ ﻡﻮﻗ ﻪﻠﻟﺍﻮﻓ ﺍﻮﻤﻠﺳﺍ ﻲﻄﻌﻴﻟ ﺍﺪﻤﺤﻣ ﻥﺍ ﺀﺎﻄﻋ ﺮﻘﻔﻟﺍ ﻑﺎﺨﻳﺎﻣ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ অর...

মানবতার কান্ডারী রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১০) বিশ্বমানবতাকে প্রেম,দয়া ও ভালবাসার আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। আল্লাহ তায়ালা হলেন বিশ্বের স্রষ্টা ও মালিক। তিনি তাঁর সৃষ্টি ও মালিকানাধীন ব্যক্তি ও বস্তুর প্রতি অতীব দয়ালু। তাঁর দয়ার কোন সীমা নির্ধারন করা সম্ভব নয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সংকীর্ন চিন্তার অধিকারী মানুষকে আল্লাহর দয়ার ধারনা দেয়ার জন্য একটি উদাহরন দিয়েছেন। আল্লাহর দয়া, প্রেম ও ভালবাসাকে একশত ভাগের একভাগ সারা পৃথিবীর সকল মানুষ-জিন, জীব- জানোয়ার, পশু -পাখী, কীট -পতঙ্গ সকল জীবের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। এই দয়ার কারনে মানুষের মধ্যে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, পিতা সন্তানকে, সন্তান পিতাকে, মাতা সন্তানকে, সন্তান মাতাকে, ভাই বোনকে ,বোন ভাইকে, বন্ধু বান্ধবীকে, বান্ধবী বন্ধুকে, আত্মীয় আত্মীয়কে, একজন আর একজনকে, সকল জীব একে অপরকে ভালবাসে। সমস্ত সৃষ্টজীবের একে অপরের প্রতি ভালবাসা আল্লাহর দয়া ও ভালবাসার ১০০ ভাগের একভাগ মাত্র। আর আল্লাহর একশত ভাগ ভালবাসা ও দয়া তাহলে কেমন? আল্লাহর শ্রেষ্ঠপ্রতিনিধি হলেন বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। মালিক ...