শ্রেষ্ঠ দানশীলতায় রাসূলুল্লাহ সাঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে।
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(১১) যথাউপযুক্ত দানশীলতার আদর্শ
রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে।
*** আল্লাহ তায়ালা অধিক দানশীল। তাঁর
শ্রেষ্ঠতম
প্রতিনিধি প্রিয়নাবী মুহাম্মাদ
(সাঃ)সম্পর্কে বর্নিত আছে " ﻥﺎﻛ ﺩﻮﺟﺍ
ﺱﺎﻨﻟﺍ"অর্থাৎ তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল
ছিলেন। (সহীহ আল -বুখারী, ওহী অধ্যায়)
আরবীতে দানশীল বুঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহৃত
হয়। যথা(১)সাখাওয়াত (২)যূদ।
প্রয়োজনে ও অপ্রয়জনে সম্পদ দান
করাকে সাখাওয়াত (দানশীলতা) বলে।
পক্ষান্তরে যার যে পরিমান যে জিনিষ
দরকার, তাকে সে পরিমান সে জিনিষ
দেয়াকে আরবীতে"যূদ" বলে। শুধু সম্পদ নয়।
কারো একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান সম্পদ
দরকার, কারো নিদ্দিষ্ট পরিমান ইলম
বা জ্ঞান দরকার, কারো পোষাক দরকার,
কারো খাদ্য দরকার, যার যা দরকার তাই
দেয়া, যে পরিমান দরকার যার,
সে পরিমান দিতেন তার। এইজন্য
তাকে "আযওয়াদ " (অধিক
দানশীল)বলা হয়েছে।
*** ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻼﺟﺭ ﻥﺍ ﻝﺎﺳ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻨﻏ
ﻦﻴﺑ ﻩﺎﻄﻋﺎﻓ ﻦﻴﻠﺒﺟ ﻩﺎﻳﺍ ﻲﺗﺎﻓ ﻝﺎﻘﻓ ﻪﻣﻮﻗ ﻯﺍ
ﻡﻮﻗ ﻪﻠﻟﺍﻮﻓ ﺍﻮﻤﻠﺳﺍ ﻲﻄﻌﻴﻟ ﺍﺪﻤﺤﻣ ﻥﺍ ﺀﺎﻄﻋ
ﺮﻘﻔﻟﺍ ﻑﺎﺨﻳﺎﻣ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত!
নিশ্চয় একব্যক্তি প্রিয়নাবী (সাঃ) এর
কাছে দুই পাহাড়ের মধ্যস্থল পুর্ন ছাগল
প্রার্থনা করে, তখন তিনি তা তাকে দান
করের। সে নিজের জাতির নিকট এসে বলে,
হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা ইসলাম
গ্রহন কর। আমি আল্লেহর কসম
দিয়ে বলছি,নিশ্চয় মুহাম্মাদ (সাঃ) এমন
দান করেন, তিনি দারিদ্রের ভয় করেন
না। (সহীহ মুসলিম)
*** ﺮﺑﺎﺟ ﻦﻋ ﺽﺭ ﺎﻣ ﻝﺎﻗ ﻞﺌﺳ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ
ﻝﺎﻘﻓ ﻂﻗ ﺎﺌﻴﺷ ﻻ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣﻭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
হযরত যাবির (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট
এমন কোন কিছু কখনো চাওয়া হয়নি,
যে সম্পর্কে তিনি "না"বলেছেন। (সহীহ
আল -বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
*** ﻦﻋ ﺲﻧﺍ ﻝﺎﻗ ﺽﺭ ﺖﻨﻛ ﻊﻣ ﻲﺸﻣﺍ ﻝﻮﺳﺭ
ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻪﻴﻠﻋﻭ ﺩﺮﺑ ﻲﻧﺍﺮﺠﻧ ﻆﻴﻠﻏ ﺔﻴﺷﺎﺤﻟﺍ
ﻪﻛﺭﺩﺎﻓ ﻩﺬﺒﺠﻓ ﻲﺑﺍﺮﻋﺍ ﻪﺋﺍﺩﺮﺑ ﺓﺬﺒﺟ ﺓﺪﻳﺪﺷ ﻊﺟﺭﻭ
ﻲﺒﻧ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻲﻓ ﺮﺤﻧ ﻲﺑﺍﺮﻋﻻﺍ ﻲﺘﺣ ﺕﺮﻈﻧ
ﻲﻟﺍ ﻖﺗﺎﻋ ﺔﺤﻔﺻ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻗ ﺕﺮﺛﺍ ﺎﻬﺑ
ﺔﻴﺷﺎﺣ ﻦﻣ ﺩﺮﺒﻟﺍ ﺓﺪﺷ ﻪﺘﺑﺬﺟ ﻝﺎﻗ ﻢﺛ ﺎﻳ ﺪﻤﺤﻣ
ﻦﻣ ﻲﻟ ﺮﻣ ﻝﺎﻣ ﻪﻠﻟﺍ ﻱﺬﻟﺍ ﺖﻔﺘﻟﺎﻓ ﻙﺪﻨﻋ ﻪﻴﻟﺍ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻢﺛ ﻚﺤﺿ ﻢﺛ ﻪﻟ ﺮﻣﺍ ﺀﺎﻄﻌﺑ
ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣﻭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
সাথে চলতে ছিলাম। তাঁর
গায়ে নাজরানের
তৈরী মোটা পাড়বিশিষ্ট চাদর পরিইিত
ছিল। তাঁর কাছে একগ্রাম্যলোক. এসে তাঁর
চাদর ধরে কঠিন জোরে টান দিল। আর
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেই গ্রাম্যব্যক্তির
বক্ষে এসে পড়লেন।
এমনকি আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাঁধের
সাদা স্থানের দিকে তাকিয়ে দেখি,
সেখানে তার জোরে টান দেওয়ার
কারনে চাদরের পাড়ের ছিলে যাওয়ার
চিহ্নের দাগ পড়ে গেছে। তারপর
সে বললো,আপনার কাছে আল্লাহর যে সম্পদ
আছে, সেই মালের একটা অংশ
আমাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে দেন। তখন
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তার
দিকে ফিরে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন। তারপর
তাকে সম্পদ দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
(সহীহ আল -বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
ﻦﻋ ﺮﻴﺒﺟ ﻦﺑ ﻢﻌﻄﻣ ﻮﻫ ﺎﻤﻨﻴﺑ ﺽﺭ ﺮﻴﺴﻳ ﻊﻣ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻦﻴﻨﺣ ﻦﻣ ﻪﻠﻔﻘﻣ ﺖﻘﻠﻌﻓ
ﻪﻧﻮﻠﺌﺴﻳ ﺏﺍﺮﻋﻻﺍ ﻲﻟﺍ ﻩﻭﺮﻄﺿﺍ ﻲﺘﺣ ﺓﺮﻤﺳ
ﺖﻔﻄﺨﻓ ﻒﻗﻮﻓ ﻪﺋﺍﺩﺭ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻝﺎﻘﻓ ﻢﻌﻠﺻ
ﻲﻧﻮﻄﻋﺍ ﻲﺋﺍﺩﺭ ﺩﺪﻋ ﻲﻟ ﻥﺎﻛﻮﻟ ﻩﺬﻫ ﻩﺎﻀﻌﻟﺍ
ﻢﻌﻧ ﻪﺘﻤﺴﻘﻟ ﻢﻜﻨﻴﺑ ﻲﻧﻭﺪﺠﺗﻻ ﻢﺛ ﻼﻴﺨﺑ
ﺎﺑﻭﺬﻛﻻﻭ ﺎﻧﺎﺒﺟﻻﻭ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
্
হযরত যুবাইর বিন মুতইম (রাঃ)
থেকে বর্নিত। হনাইন যুদ্ধ
থেকে প্রত্যাবর্তনের সময়
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ভ্রমন
করছিলেন। তখন গ্রাম্যব্যক্তিরা তাঁর
কাছে সম্পদ চাচ্ছিল,
এমনকি তাঁকে সামুরাই নামক
কাটা গাছে নিয়ে ফেললো। তখন কাটা গাছ
তাঁর চাদর জড়িয়ে কেড়ে নিল!
প্রিয়নাবী(সাঃ) দাড়িয়ে গেলেন।
তিনি বলতে লাগলেন, তোমরা আমার
চাদরটি আমার কাছে দাও। যদি এই
কাটাসমুহের সংখ্যা পরিমান গৃহপালিত পশু
থাকতো, তাহলে আমি তা তোমাদের
মধ্যে বন্টন করে দিতাম। তারপর
তোমরা আমাকে কৃপনতা হিসাবে, মিথ্যুক
হিসাবে এবং কাপুরুষ হিসাবে পেতে না।
(সহীহ আল -বুখারী)
মাক্কা বিজয়ের পর হুনাইন যুদ্ধ হয়। এ
যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয়ী হয়।
মুসলমানরা অনেক গনীমাতের লাভ করে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) গনীমাতের সম্পদ বন্টন
করতে বিলম্ব করেন,
মুশরিকরা তাওবা করে ফিরে আসলে তাদের
সম্পদ তাদের ফেরৎ দেয়ার চিন্তা কিন্তু
তারা ফিরে না আসায়, সম্পদ বন্টন
করলেন। বিভিন্ন গোত্রের সরদার
এবং মাক্কার নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিগন
গানীমাতের সম্পদ পাওয়ার আশায় ছিল।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এসব নবদীক্ষিত
মুসলিমকে প্রচুর পরিমান গানীমাতের
সম্পদ দান করেন।
**নবমুসলিম আবু সুফিয়ান
(রাঃ)কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ৪০
উকিয়া রুপা (যা প্রায় ৬
কিলো রুপা)এবং একশত উট দান করেন।
** আবু সুফিয়ান (রাঃ) দাবী করেন, আমার
পুত্র ইয়াযিদ?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইয়যীদকে ৪০
উকিয়া রুপা ও এক শত উট দিলেন!
**আবু সুফিয়ান (রাঃ) আবার দাবী করেন,
আমার পুত্র মুয়াবিয়া?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকেও ৪০
উকিয়া রুপা এবং একশত উট দিলেন।
(৪)হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) কে একশত উট
দিলেন। আবার চাইলে আরো ১০০ শত উট
প্রদান করলেন। মোট ২০০ শত উট।
(৫)সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রাঃ)
কে তিনবারে ১০০ করে মোট ৩০০ শত উট
দেয়া হয়।
(৬)হারিসুল বিন কালদাকে ১০০ শত উট
দেয়া হয়।
(৭)কুরাইশ ও কুরাইশ নয়, সকল গোত্রীয়
নেতাদের কাউকে ১০০ শত উট,
(৯)কাউকে ৫০ পঞ্চাশটি উট,
(১০) কাউকে ৪০ চল্লিশটি করে উট
দেয়া হয়।
সাধারন মানুষের
মাঝে ছড়িয়ে পড়লো যে মুহাম্মাদ (সাঃ)
এত বেশী দান করেন যে, তিনি গরীব
হওয়ার ভয় করেন না। সে সময় গ্রামীন
বা বেদুইন লোকেরা এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
কে ঘিরে একটি কাঁটাযুক্ত গাছের নিকট
নিয়ে গেল। তাদের চোটে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) চাদর গাছের কাটায়
বেধে থেকে গেল। তিনি বললেন,
হে লোকসকল, তোমরা আমার চাদর
দিয়ে দাও। সেই সত্তার কসম, যার
হাতে আমার প্রান, যদি (তেহামার
সামুরা কাঁটাযুক্ত বৃক্ষরাজির)এই
কাটা সমূহের সংখ্যা পরিমান চতুস্পদ
জন্তুও আমার কাছে থাকে, তবুও আমি সব
তোমাদের মধ্যে ভাগ করে দেব। তারপর
তোমরা দেখবে, আমি কৃপনতা নই,
আমি মিথ্যাবাদী নই এবং আমি কাপুরুষ নই।
(সহীহ বুখারী)
তারপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজের উটের
নিকট গিয়ে দাড়িয়ে তার কয়েকটি লোম
তুলে নিয়ে দেখিয়ে বললেন, হে মানুষেরা,
তোমাদের ফাই মালামালের মধ্য
থেকে আমার জন্য কিছুই নেই। এই যে উটের
পশম দেখছো, এই পরিমানও নেই!
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ব্যপক দানশীল ছিলেন।
তাঁর দানের সাথে কারোর তুলনা চলেনা।
সকল মানুসের মধ্যে তিনি হলেন সর্বোত্তম
দানবীর। দানশীলতা তাঁর অন্যতম আদর্শ।
(চলবে)
মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে।
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(১১) যথাউপযুক্ত দানশীলতার আদর্শ
রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে।
*** আল্লাহ তায়ালা অধিক দানশীল। তাঁর
শ্রেষ্ঠতম
প্রতিনিধি প্রিয়নাবী মুহাম্মাদ
(সাঃ)সম্পর্কে বর্নিত আছে " ﻥﺎﻛ ﺩﻮﺟﺍ
ﺱﺎﻨﻟﺍ"অর্থাৎ তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল
ছিলেন। (সহীহ আল -বুখারী, ওহী অধ্যায়)
আরবীতে দানশীল বুঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহৃত
হয়। যথা(১)সাখাওয়াত (২)যূদ।
প্রয়োজনে ও অপ্রয়জনে সম্পদ দান
করাকে সাখাওয়াত (দানশীলতা) বলে।
পক্ষান্তরে যার যে পরিমান যে জিনিষ
দরকার, তাকে সে পরিমান সে জিনিষ
দেয়াকে আরবীতে"যূদ" বলে। শুধু সম্পদ নয়।
কারো একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান সম্পদ
দরকার, কারো নিদ্দিষ্ট পরিমান ইলম
বা জ্ঞান দরকার, কারো পোষাক দরকার,
কারো খাদ্য দরকার, যার যা দরকার তাই
দেয়া, যে পরিমান দরকার যার,
সে পরিমান দিতেন তার। এইজন্য
তাকে "আযওয়াদ " (অধিক
দানশীল)বলা হয়েছে।
*** ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻼﺟﺭ ﻥﺍ ﻝﺎﺳ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻨﻏ
ﻦﻴﺑ ﻩﺎﻄﻋﺎﻓ ﻦﻴﻠﺒﺟ ﻩﺎﻳﺍ ﻲﺗﺎﻓ ﻝﺎﻘﻓ ﻪﻣﻮﻗ ﻯﺍ
ﻡﻮﻗ ﻪﻠﻟﺍﻮﻓ ﺍﻮﻤﻠﺳﺍ ﻲﻄﻌﻴﻟ ﺍﺪﻤﺤﻣ ﻥﺍ ﺀﺎﻄﻋ
ﺮﻘﻔﻟﺍ ﻑﺎﺨﻳﺎﻣ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত!
নিশ্চয় একব্যক্তি প্রিয়নাবী (সাঃ) এর
কাছে দুই পাহাড়ের মধ্যস্থল পুর্ন ছাগল
প্রার্থনা করে, তখন তিনি তা তাকে দান
করের। সে নিজের জাতির নিকট এসে বলে,
হে আমার জাতির লোকেরা! তোমরা ইসলাম
গ্রহন কর। আমি আল্লেহর কসম
দিয়ে বলছি,নিশ্চয় মুহাম্মাদ (সাঃ) এমন
দান করেন, তিনি দারিদ্রের ভয় করেন
না। (সহীহ মুসলিম)
*** ﺮﺑﺎﺟ ﻦﻋ ﺽﺭ ﺎﻣ ﻝﺎﻗ ﻞﺌﺳ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ
ﻝﺎﻘﻓ ﻂﻗ ﺎﺌﻴﺷ ﻻ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣﻭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
হযরত যাবির (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট
এমন কোন কিছু কখনো চাওয়া হয়নি,
যে সম্পর্কে তিনি "না"বলেছেন। (সহীহ
আল -বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
*** ﻦﻋ ﺲﻧﺍ ﻝﺎﻗ ﺽﺭ ﺖﻨﻛ ﻊﻣ ﻲﺸﻣﺍ ﻝﻮﺳﺭ
ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻪﻴﻠﻋﻭ ﺩﺮﺑ ﻲﻧﺍﺮﺠﻧ ﻆﻴﻠﻏ ﺔﻴﺷﺎﺤﻟﺍ
ﻪﻛﺭﺩﺎﻓ ﻩﺬﺒﺠﻓ ﻲﺑﺍﺮﻋﺍ ﻪﺋﺍﺩﺮﺑ ﺓﺬﺒﺟ ﺓﺪﻳﺪﺷ ﻊﺟﺭﻭ
ﻲﺒﻧ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻲﻓ ﺮﺤﻧ ﻲﺑﺍﺮﻋﻻﺍ ﻲﺘﺣ ﺕﺮﻈﻧ
ﻲﻟﺍ ﻖﺗﺎﻋ ﺔﺤﻔﺻ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻗ ﺕﺮﺛﺍ ﺎﻬﺑ
ﺔﻴﺷﺎﺣ ﻦﻣ ﺩﺮﺒﻟﺍ ﺓﺪﺷ ﻪﺘﺑﺬﺟ ﻝﺎﻗ ﻢﺛ ﺎﻳ ﺪﻤﺤﻣ
ﻦﻣ ﻲﻟ ﺮﻣ ﻝﺎﻣ ﻪﻠﻟﺍ ﻱﺬﻟﺍ ﺖﻔﺘﻟﺎﻓ ﻙﺪﻨﻋ ﻪﻴﻟﺍ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻢﺛ ﻚﺤﺿ ﻢﺛ ﻪﻟ ﺮﻣﺍ ﺀﺎﻄﻌﺑ
ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣﻭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
সাথে চলতে ছিলাম। তাঁর
গায়ে নাজরানের
তৈরী মোটা পাড়বিশিষ্ট চাদর পরিইিত
ছিল। তাঁর কাছে একগ্রাম্যলোক. এসে তাঁর
চাদর ধরে কঠিন জোরে টান দিল। আর
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেই গ্রাম্যব্যক্তির
বক্ষে এসে পড়লেন।
এমনকি আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাঁধের
সাদা স্থানের দিকে তাকিয়ে দেখি,
সেখানে তার জোরে টান দেওয়ার
কারনে চাদরের পাড়ের ছিলে যাওয়ার
চিহ্নের দাগ পড়ে গেছে। তারপর
সে বললো,আপনার কাছে আল্লাহর যে সম্পদ
আছে, সেই মালের একটা অংশ
আমাকে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে দেন। তখন
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তার
দিকে ফিরে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন। তারপর
তাকে সম্পদ দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
(সহীহ আল -বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
ﻦﻋ ﺮﻴﺒﺟ ﻦﺑ ﻢﻌﻄﻣ ﻮﻫ ﺎﻤﻨﻴﺑ ﺽﺭ ﺮﻴﺴﻳ ﻊﻣ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻦﻴﻨﺣ ﻦﻣ ﻪﻠﻔﻘﻣ ﺖﻘﻠﻌﻓ
ﻪﻧﻮﻠﺌﺴﻳ ﺏﺍﺮﻋﻻﺍ ﻲﻟﺍ ﻩﻭﺮﻄﺿﺍ ﻲﺘﺣ ﺓﺮﻤﺳ
ﺖﻔﻄﺨﻓ ﻒﻗﻮﻓ ﻪﺋﺍﺩﺭ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻝﺎﻘﻓ ﻢﻌﻠﺻ
ﻲﻧﻮﻄﻋﺍ ﻲﺋﺍﺩﺭ ﺩﺪﻋ ﻲﻟ ﻥﺎﻛﻮﻟ ﻩﺬﻫ ﻩﺎﻀﻌﻟﺍ
ﻢﻌﻧ ﻪﺘﻤﺴﻘﻟ ﻢﻜﻨﻴﺑ ﻲﻧﻭﺪﺠﺗﻻ ﻢﺛ ﻼﻴﺨﺑ
ﺎﺑﻭﺬﻛﻻﻭ ﺎﻧﺎﺒﺟﻻﻭ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
্
হযরত যুবাইর বিন মুতইম (রাঃ)
থেকে বর্নিত। হনাইন যুদ্ধ
থেকে প্রত্যাবর্তনের সময়
তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ভ্রমন
করছিলেন। তখন গ্রাম্যব্যক্তিরা তাঁর
কাছে সম্পদ চাচ্ছিল,
এমনকি তাঁকে সামুরাই নামক
কাটা গাছে নিয়ে ফেললো। তখন কাটা গাছ
তাঁর চাদর জড়িয়ে কেড়ে নিল!
প্রিয়নাবী(সাঃ) দাড়িয়ে গেলেন।
তিনি বলতে লাগলেন, তোমরা আমার
চাদরটি আমার কাছে দাও। যদি এই
কাটাসমুহের সংখ্যা পরিমান গৃহপালিত পশু
থাকতো, তাহলে আমি তা তোমাদের
মধ্যে বন্টন করে দিতাম। তারপর
তোমরা আমাকে কৃপনতা হিসাবে, মিথ্যুক
হিসাবে এবং কাপুরুষ হিসাবে পেতে না।
(সহীহ আল -বুখারী)
মাক্কা বিজয়ের পর হুনাইন যুদ্ধ হয়। এ
যুদ্ধে মুসলিমরা বিজয়ী হয়।
মুসলমানরা অনেক গনীমাতের লাভ করে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) গনীমাতের সম্পদ বন্টন
করতে বিলম্ব করেন,
মুশরিকরা তাওবা করে ফিরে আসলে তাদের
সম্পদ তাদের ফেরৎ দেয়ার চিন্তা কিন্তু
তারা ফিরে না আসায়, সম্পদ বন্টন
করলেন। বিভিন্ন গোত্রের সরদার
এবং মাক্কার নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিগন
গানীমাতের সম্পদ পাওয়ার আশায় ছিল।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এসব নবদীক্ষিত
মুসলিমকে প্রচুর পরিমান গানীমাতের
সম্পদ দান করেন।
**নবমুসলিম আবু সুফিয়ান
(রাঃ)কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ৪০
উকিয়া রুপা (যা প্রায় ৬
কিলো রুপা)এবং একশত উট দান করেন।
** আবু সুফিয়ান (রাঃ) দাবী করেন, আমার
পুত্র ইয়াযিদ?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইয়যীদকে ৪০
উকিয়া রুপা ও এক শত উট দিলেন!
**আবু সুফিয়ান (রাঃ) আবার দাবী করেন,
আমার পুত্র মুয়াবিয়া?
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকেও ৪০
উকিয়া রুপা এবং একশত উট দিলেন।
(৪)হাকীম বিন হিযাম (রাঃ) কে একশত উট
দিলেন। আবার চাইলে আরো ১০০ শত উট
প্রদান করলেন। মোট ২০০ শত উট।
(৫)সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রাঃ)
কে তিনবারে ১০০ করে মোট ৩০০ শত উট
দেয়া হয়।
(৬)হারিসুল বিন কালদাকে ১০০ শত উট
দেয়া হয়।
(৭)কুরাইশ ও কুরাইশ নয়, সকল গোত্রীয়
নেতাদের কাউকে ১০০ শত উট,
(৯)কাউকে ৫০ পঞ্চাশটি উট,
(১০) কাউকে ৪০ চল্লিশটি করে উট
দেয়া হয়।
সাধারন মানুষের
মাঝে ছড়িয়ে পড়লো যে মুহাম্মাদ (সাঃ)
এত বেশী দান করেন যে, তিনি গরীব
হওয়ার ভয় করেন না। সে সময় গ্রামীন
বা বেদুইন লোকেরা এসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
কে ঘিরে একটি কাঁটাযুক্ত গাছের নিকট
নিয়ে গেল। তাদের চোটে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) চাদর গাছের কাটায়
বেধে থেকে গেল। তিনি বললেন,
হে লোকসকল, তোমরা আমার চাদর
দিয়ে দাও। সেই সত্তার কসম, যার
হাতে আমার প্রান, যদি (তেহামার
সামুরা কাঁটাযুক্ত বৃক্ষরাজির)এই
কাটা সমূহের সংখ্যা পরিমান চতুস্পদ
জন্তুও আমার কাছে থাকে, তবুও আমি সব
তোমাদের মধ্যে ভাগ করে দেব। তারপর
তোমরা দেখবে, আমি কৃপনতা নই,
আমি মিথ্যাবাদী নই এবং আমি কাপুরুষ নই।
(সহীহ বুখারী)
তারপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজের উটের
নিকট গিয়ে দাড়িয়ে তার কয়েকটি লোম
তুলে নিয়ে দেখিয়ে বললেন, হে মানুষেরা,
তোমাদের ফাই মালামালের মধ্য
থেকে আমার জন্য কিছুই নেই। এই যে উটের
পশম দেখছো, এই পরিমানও নেই!
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ব্যপক দানশীল ছিলেন।
তাঁর দানের সাথে কারোর তুলনা চলেনা।
সকল মানুসের মধ্যে তিনি হলেন সর্বোত্তম
দানবীর। দানশীলতা তাঁর অন্যতম আদর্শ।
(চলবে)
Comments
Post a Comment