Posts

Showing posts from 2015

নারীদের বিবাহের জন্যে ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক ও তার শর্তাবলী, অভিভাবকের বাঁধা ও করণীয়ঃ

নারীদের বিবাহের জন্যে ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক ও তার শর্তাবলী, অভিভাবকের বাঁধা ও করণীয়ঃ লিখেছেনঃ শায়খ আব্দুল্লাহিল আল-কাফী। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “(নারীদের জন্যে) ওয়ালী বা অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ নেই।” সুনানে তিরমিযীঃ ১১০১, সুনানে আবু দাউদঃ ২০৮৫; শায়খ আলবানী (রহঃ) হাদিসটিকে ‘সহীহ’ বলেছেন। তিনি আরো বলেন, “যে নারী নিজে নিজের বিবাহ সম্পন্ন করবে তার বিবাহ, বাতিল, বাতিল বাতিল। অভিভাবকরা যদি ঐ নারীর বিবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে, তবে যার ওয়ালী নেই সুলতান বা শাসক তার ওলী বা অভিভাবক হবে।” মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযীঃ ১১০২, আবু দাউদঃ ২০৮৩, ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৩১৩১। তাই কোন নারীর বিবাহের জন্য ‘ওয়ালী’ বা অভিভাবক আবশ্যক। অভিভাবক উপযুক্ত হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত রয়েছেঃ (১) ‘আকল’ বা বিবেক সম্পন্ন হওয়া (পাগল হলে হবে না) (২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া (৩) স্বাধীন হওয়া (৪) পুরুষ হওয়া (বিবাহের ক্ষেত্রে কোন নারী অন্য একজন নারীর অভিভাবক হতে পারবে না) (৫) অভিভাবক ও যার অভিভাবক হচ্ছে উভয়ে একই দ্বীনের অনুসারী হওয়া। (কোন কাফের ব্যক্তি মুসলিম নারীর অভিভাবক হতে পারবে না। কোন মুসলিম কোন কাফের...

অনন্যার অরণ্যপ্রেম [ভালোবাসার অণুগল্প]।

Image
অনন্যার অরণ্যপ্রেম [ভালোবাসার অণুগল্প]। অনন্যা হঠাৎ এতটা বদলে যাবে আশা করিনি। ও সবসময়েই আমাকে পছন্দ করত, আর সেইটা বাড়াবাড়ি টাইপের পছন্দ ছিল। সেই পছন্দের সাথে মুগ্ধতা ছিল বলে মনে হত আমার। অনন্যাকে নিয়ে আমার অধিকার অনুভব করার ব্যাপার ছিল সেই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। আমার স্কুল ছুটি হত আগে, সে বাসায় ফেরার সময় আমি মাঝে মাঝে দরজা খুলে দাঁড়িয়ে যেতাম। সিঁড়িতে দিয়ে উঠার সময় আমার দিকে হাসি দিতো অনন্যা। ও হাসলে গালে টোল পড়ত, আমার সেইটা খুব পছন্দের ছিল। ক্লাস ফোরে উঠতেই আমাদের বাসা বদলে গেল। ওরা তখনো আগের বাসায় থাকে। অনেকদূর হেঁটে ওদের বাসায় যেতে হত। আমি যেতাম মাঝে মাঝেই। খালাম্মা আগের মতন আদর করত না টের পেতাম। আগে বাসায় গেলেই খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে স্কুলের প্রশ্ন করতেন, আম্মা আর ভাইয়া আপুদের কথা জিজ্ঞেস করতেন, পরে কেমন না দেখার ভান করতেন যেন। বুঝতে পারতাম তাল কেটে গেছে। বড় হতে হতে সব কিছু বুঝে যাতায়াতও কমিয়ে দিয়েছিলাম। কথাবার্তা কম হতে হতে একদিন ভুলেও গিয়েছিলাম ওর কথা। মাঝে মাঝে মনে হত, যখন কবিতা পড়তাম। রবীন্দ্রনাথের কবিতা পড়েছিলাম ক্ষণমিলন — “মূহুর্ত আলোকে কেন হে অন্তরতম, ...

কতিপয় হলকায়ে জিকির আর আমাদের এফএম প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প।

Image
কতিপয় হলকায়ে জিকির আর আমাদের এফএম প্রজন্মের ভালোবাসার গল্প। আমার বাসার নীচতলায় পুরো স্পেসটাই ফাঁকা থাকে, বাড়ির মালিক একটি দরবার শরীফের পীরের মুরিদ। আজকে তাদের পাক্ষিক জিকির দিবস। ঘরভর্তি জনাত্রিশেক লোকের 'লা ইলাহা এল্লাল্লাহ' (ইল্লাল্লাহ হওয়া উচিত) চিৎকারে এলাকা প্রকম্পিত হবার অবস্থা। আল্লাহর একত্ববাদকে কেবলমাত্র চিৎকারের মাধ্যমে জনসাধারণের মনে বসিয়ে দেয়ার ভাবনায় এই আয়োজন কিনা তা কে জানে!! বিগত ঘন্টাখানেক ধরেই এই সশব্দ জিকির চলছে। চলবে অন্তত রাত দশটা অবধি... গমগম শব্দে তৈরি হয়েছে এক ভয়াল পরিবেশ, বুকে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। তাদের এই সশব্দ স্মরণশালায় নেই কোন সৌন্দর্য, মাধুর্য, শুনে আত্মায় কোন প্রশান্তি আসে না... পরিষ্কার মনে আছে, কয়েক সপ্তাহ আগে এমনই একদিন শুক্রবারে, এই জিকির পার্টি চলে যাবার পরে পাশের বিল্ডিং এর ছাদে কোন এক কিশোর/ কিশোরীর উপলক্ষে ব্যাণ্ড কনসার্টের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে শোনা গিয়েছিলো -- "মীরাবাঈ, হেইলা, দুইলা দরবার নাচায়। ঝাকানাকা ঝাকানাকা দেহ দোলানা " -- জাতীয় আরো কিছু গান। সেই রাতে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক -- সমগ্র এলাকাবাসী দুলছিলো, তা...

online offline it doesn't matter, the evil eye is real !!

Image
online offline it doesn't matter, the evil eye is real !! আমার এক বন্ধুর তার পরিচিত এক মেয়েকে বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহ ছিল। তার আগ্রহের কারণ ছিল মেয়ের মা মেয়েকে মাশাআল্লাহ বেশ ইসলামী অনুশাসনে বড় করেছেন। পরিবারটিকে আমিও চিনি। আলহামদুলিল্লাহ ছেলেদের সাথে মিশবে তাই অ্যান্টি মেয়েকে পড়িয়েছেন গার্লস স্কুলে, ওমেন কলেজে। কোচিং এ পড়লে ফিতনায় জড়িয়ে যাবে তাই বাড়িতে মহিলা টিচার রেখে মেয়েকে পড়ান। ইন্টারনেটের পাল্লায় পড়ে খারাপ হয়ে যাবে সেই ভয়ে মেয়েকে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে দিতেন না! (১) কয়দিন আগে সেই বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম, বিয়ের কি অবস্থা! সে জানালো, বাদ দিয়ে দিয়েছে। হঠাৎ একদিন মেয়ের ফেসবুক প্রোফাইল দেখে বন্ধু যারপরনাই হতাশ। মেয়ের ছবি আপলোড আর সেখানে ছেলেদের সাথে লুতুপুতু দেখে বন্ধুর আগ্রহ মরে গেছে। ওয়াল্লাহি এটা খুবই দুঃখজনক! নিজেদের মেয়েদেরকে মানুষের সামনে শো করে বেড়ানো জাহেল বাবা মায়েদের কথা বাদই দিলাম। আমাদের ইসলামপন্থী বাবামায়েদের কথা বলছি যারা তাদের মেয়েদেরকে ইসলামের অনুশাসনে বড় করছেন, মেয়েকে পর্দার মধ্যে লালন করছেন, মেয়েকে নন মাহরামের সাথে মিলামিশা থেকে বিরত র...

পরিবার সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপনে স্ত্রীর ভূমিকা।

Image
পরিবার সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর জীবন যাপনে স্ত্রীর ভূমিকা। মুসলিম নারীর জেনে রাখা উচিত যে, সৌভাগ্য, ভালোবাসা ও অনুকম্পা তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করবে, যখন সে সচ্চরিত্রবান ও দ্বীনদার হবে; সে তার নিজের জন্য উপকারী ইতিবাচক দিকগুলো জেনে নিবে; যাতে সে তার সীমা অতিক্রম ও লঙ্ঘন না করে; সে তার স্বামীর আহ্বানে সাড়া দিবে; কারণ, তাকে পরিচালনার ব্যাপারে স্বামীর উপর দায়িত্ব রয়েছে, স্বামী তাকে হেফাযত করবে, সংরক্ষণ করবে এবং তার জন্য ব্যয় করবে; সুতরাং স্ত্রীর উপর আবশ্যক হলো, স্বামীর আনুগত্য করা, স্বামীর জন্য সে তার নিজকে সংরক্ষণের নিশ্চয়তা বিধান করা এবং স্বামীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা; আর স্ত্রী তার নিজের কাজ-কর্ম সুন্দরভাবে আঞ্জাম দিবে ও তা যথাযথভাবে পালন করবে এবং সে তার নিজের ও সংসারের প্রতি যত্নবান হবে; সে হবে পবিত্রা স্ত্রী, মমতাময়ী মাতা, তার স্বামীর সংসারের রক্ষণাবেক্ষণকারিনী দায়িত্বশীলা, যে দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহী করতে হবে। সে তার স্বামীর ভালো ও সৌন্দর্যপূর্ণ কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি দিবে, তার অবদান ও উত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জীবন-যাপনের বিষয়টিকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করবে না;...

স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীলতা।

Image
স্ত্রীর প্রতি দায়িত্বশীলতা। "আজ সারাদিন কাজের বেশ চাপ ছিল, এখন কথা বলতে পারব না।" - দিনশেষে ঘরে ফিরে এটাই হয় আপনার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপনার প্রথম কথা। আপনি আসলে কি করছেন আপনি জানেন? আপনি আপনার দাম্পত্য জীবনকে নিজ হাতে ধ্বংস করছেন। এখন আমি কিছু প্রশ্ন করবো আমার ভাইদের উদ্দেশ্যে। আমার প্রশ্নগুলো বোনদের পক্ষ থেকে নয় বরং একজন সাংসারিক পুরুষ হিসেবে অপর পুরুষদের উদ্দেশ্যে। -- আপনি শেষ কবে আপনার স্ত্রীর জন্য উপহার হাতে ঘরে ঢুকেছিলেন তাকে চমকে দেবার জন্য? -- শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য অন্তত কিছু একটা নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন, একদম নিজ থেকেই, তার কোন আবদার ছাড়াই? -- শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরের পাশের বাজারটিতে নিয়ে গিয়েছিলেন যেখানে আপনার স্ত্রী কেনাকাটার জিনিস বাছাই করতে করতে আপনার মতামত চাইছিল আর আপনি বলছিলেন, "এটা না, হুম ওটা নাও..."? -- শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে বিনা আবদারে বাহিরে কোথাও ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন? -- শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার পাশের দোকান থেকে কিছু একটা কিনে দিয়েছিলেন - অন্তত একটা আইসক্রিম? একটু মনে করুন.....। আসলে সত্য কথাট...

IF CHARACTER IS LOST, EVERYTHING IS LOST... চরিত্র নষ্ট তো সবই নষ্ট

Image
IF CHARACTER IS LOST, EVERYTHING IS LOST... ১) পাশের রিকসাটা যাওয়ার সময় শব্দ শুনে তাকালাম, ছেলেটা বাম হাতে মেয়েটার পিছনে কোমর জড়িয়ে বসা। মেয়েটা সহসা আবেগে-আহলাদে উথলে উঠে সামনের চুলগুলো পাশে সরিয়ে দিলো। ওরা পিচ্চি পিচ্চি ছেলেমেয়ে, কলেজ পাশ করেনি নিশ্চিত। রিকসা জ্যামে বসে আছি। কৌনিক দুরত্বে রিকসায় এক ছেলে দুই মেয়ে বসে। ছেলেটা উপরে বসে দু'পায়ে প্রসারিত করে মাঝখানে একটা মেয়েকে বসিয়েছে। ওদের রিকসায় বসা ও আলাপের ধরণের গোটা বিষয়টাতে নোংরামি ঠিকরে বের হচ্ছিলো। পাশের মানুষেরা তাদের দিকে তাকালেও কারো ভ্রূক্ষেপ নাই। সহ্য করা কঠিনই। পকেট থেকে মোবাইল বের করে এটা-ওটা পড়তে লাগলাম। কী আর করা... "ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কুলুবানা 'আলা দ্বীনিক" (২) একটু ভ্যাতলা ভ্যাতলা মিষ্টি কথা, জন্মতারিখ জানা, আকাইম্মা বিষয় নিয়া আজাইরা প্যাচাল পাড়তে পারা আর ফাস্টফুডের দোকানের বিলটা দিতে পারলেই প্রেমিক হওয়া যায়। পটায়া পটায়া বহুত আকাম করা যায়। চুলগুলা না আঁচড়ালে, একটু 'ক্যাজুয়াল লুক' নিতে পারলে তো পোয়াবারো। আধযুগ ধরে প্রেম করা পোলারে তাদের বিয়া কবে হবে তা জি...

'মেয়েবাজি' করা ছেলেদের জীবন কখনই সুখের হয় না।

Image
'মেয়েবাজি' করা ছেলেদের জীবন কখনই সুখের হয় না। কত মানুষ দেখলাম, একসময় হয়ত আহামরি 'ভালা ইশটুডেন' আছিলো না, অথবা তার 'ভালা চাক্রি' আছিলো না, কিন্তু চরিত্র ভালোই ছিলো। কলেজ- ভার্সিটিতে কিছু নারীদেহ নিয়া অশ্লীল শব্দ শিখলো, এরপর শিখলো শ্লীল-অশ্লীল মুভি দ্যাখা। রাস্তায় মেয়েদের কিছু শব্দ ছুঁড়ে দেয়, ক্লাসমেট মেয়েদের যেচে পড়ে 'ফ্লার্টিং করে' --যা তার অভ্যাস হয়ে গেলো। ফোনে আর ফেসবুকে পিরিতি করে চরিত্রটা দুর্গন্ধময় হয়। মোবাইলে অনেকগুলা মেয়েরে সময়ে অসময়ে ফোন দিয়া আলাপ করতো, মজা-টজা করতো, ওদের কয়েকটার সাথে পিরিতিও করলো। একসময় সময় পেরিয়ে গেলো ৫-৬ বছর। ছেলের ভালো চাকরি হলো, টাকা হলো। তবু স্বভাবটা আগের মতই 'মেয়েবাজ'। বিয়েও হলো, মেয়েটার ক্যারিয়ার বেশ ভালো, সরকারি মেডিকেলের ছাত্রী। শুধু মাঝে মাঝে একটু বেশি গল্প করে এখানে ওখানে। পারিবারিক অশান্তির কারণে দু'জন দু'জনের কুৎসা ছড়িয়ে বেড়ালো ফ্রেন্ড সার্কেলে। স্ত্রীর 'সমস্যার' কথা বলে মেয়েটির বান্ধবীদের কারো কারো সাথে সহানুভূতি নিতে গিয়ে ছেলেটি 'মেয়েবাজি' করতে চেয়েছে এমন গল্পও ওদের 'সার্কেলে...

আমার ভাগ্য কী আমার হাতে !?

Image
আমার ভাগ্য কী আমার হাতে। বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম The lamb thy riot dooms to bleed today, Had he thy reason, would he skip and play? Pleas'd to the last, he crops the flow'ry food, And licks the hand just rais'd to shed his blood. Oh blindness to the future! kindly giv'n, That each may fill the circle mark'd by Heav'n: কবি আলেকজান্ডার পোপের এই চিত্রকল্পটি যখন প্রথম পড়েছিলাম তখনও আমি ইসলাম বোঝা শুরু করিনি। কিন্তু ব্যাপারটা আসলেই খুব মনে ধরেছিল। একটা ভেড়া যদি জানত আজ তার জীবনের শেষ দিন, সে কি লাফিয়ে লাফিয়ে খেলা করতে পারত? সেকি তার এতদিনের পালক কিন্তু ভবিষ্যত হন্তারকের হাত থেকে খাবার খেতে পারত? আসলে আল্লাহ অনেক দয়া করে ভাগ্যকে আমাদের সামনে অজানা রেখেছেন নয়ত আমরা একটি দিনও চলতে পারতামনা। জ্ঞান প্রকাশ্যের আকাঙ্খা যাদের মধ্যে প্রবল তাদের বিতর্কের একটা প্রিয় বিষয় হচ্ছে ভাগ্য। অবশ্য শুধু পন্ডিত নয়, ভাগ্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করে সাধারণ মুসলিমরাও বিপদে পড়ে যায় প্রায়ই। ভাগ্য অদৃশ্য জগতের ব্যাপার। অতীতকে আমরা দেখি কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না। হস্ত-বিশার...

শুষ্ক নিয়মের বেড়াজালে : কিছু অর্থহীন সামাজিক রীতি

Image
শুষ্ক নিয়মের বেড়াজালে : কিছু অর্থহীন সামাজিক রীতি মানুষ সামাজিক জীব। সমাজ বইয়ে অনেক পড়েছি সেকথা। আর জীবন থেকেও দেখেছি আমরা সবাই। সমাজটা মানুষ দিয়েই তৈরি। তবু এই সমাজের "হয়" আর "নয়"গুলো কেমন যেন মানুষেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানুষের সমাজে মানুষের দ্বারা তৈরি নিয়ম কানুনগুলো অনেকসময় মানুষেরই গলায় ফাঁস হয়ে চেপে বসে। যেমন কিনা মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময়ের "হয়-নয়" গুলো। আবার ঈদ- অনুষ্ঠান ইত্যাদির "না করলে তো চলে না"গুলো! আর কিছু কিছু সৌজন্য আছে যা এককালে অনেক মমতার থেকে সৃষ্টি হলেও এখন অনেক ক্ষেত্রেই শুষ্ক নিয়মে পরিণত হয়েছে। এগুলো নিয়ে কেউ তেমন একটা ভাবে না কারণ মেয়ের বিয়ে দেয়ার মত শিরদাঁড়া ভাঙ্গা চাপ এগুলো সৃষ্টি করে না! আবার, অনেকের ক্ষেত্রে, করেও! ১। মানুষের বাসায় গেলেই কিছু একটা নিয়ে যেতেই হবে- সারাজীবন দেখেছি মানুষের বাসায় দাওয়াতে যাওয়ার সময় কিছু না কিছু নিয়ে যেতে হয়। কোনদিন সেটাকে বোঝা মনে হয়নি। তারপরও একবার হঠাতই টের পেলাম, অনেকেই আগে আমাদের বাসায় আসতেন, এখন আর আসেন না! আর তার কিছুদিন পর আমার বাবা মা কে আলোচনা করতে শুনলাম যে "এসব আসলেই বন্ধ করা উচি...

আপনার অস্থিরতা এবং অশান্তিগুলোর একটি সহজ সমাধান।

Image
আপনার অস্থিরতা এবং অশান্তিগুলোর একটি সহজ সমাধান। আমরা কে না অশান্তিতে থাকি? কার হৃদয়টা অস্থির নয়? আমার এটুকু জীবনে আমি স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি- অফিসের সর্বত্রই অস্থির মানুষের প্রবল বিচরণ দেখেছি, নিজের কথা তো জানিই। বিষয়টা হলো, এই অস্থিরতা কেন? অশান্তিটা কেন? কীভাবে তার সমাধান করা যেতে পারে তা ভেবে কে কী করলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝেই জীবনে পেছন দিকে তাকিয়ে অনুভব করি, এই গোটা জীবনের কত পরিশ্রম - স্কুল, কলেজে কতই না কষ্ট করে সবাই পড়ে। জীবনের ছোট ছোট আচরণগুলো আব্বা- আম্মা শিক্ষা দেন, শিক্ষকরা শেখান। আমরা নিজেদের গড়ি। শার্টের বুকের বোতামটা খোলা না রাখাও শিক্ষা, বড়রা সামনে থাকলে পায়ের উপরে পা তুলে না-বসাও একটা শিক্ষা। কাউকে পানি খেতে এগিয়ে দিলে উপরে ধরতে হয় না, কারণ তিনি যেখানে মুখ দিবেন সেখানে আমার হাত না-লাগা উচিত -- এটাও একটা শিক্ষা। এমন হাজারো শিক্ষা গলাধঃকরণ করে তবু সবাই একসময় কেমন যেন উলটে যায়, জীবনের লক্ষ্য কী জিজ্ঞাসা করলে অন্তঃসারশূণ্য কথা বলে। অনেক পিএইচডি ডিগ্রিধারী মানুষও সম্পূর্ণ মূর্খদের মতন কথা বলে একসময়, কারণ তাদের জীবনটা কোন একটা সময় এমন কিছু লক্ষ্যে গড়তে শুরু করেছিলেন তার...

ছেড়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবলি না! ঝুলে পড়ার আগে বুঝলিনা জীবন কারে কয়

Image
ছেড়ে দেওয়ার আগে একবার ভাবলি না! ঝুলে পড়ার আগে বুঝলিনা জীবন কারে কয় ... বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম রুবেল বড়ুয়া! চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে আমরা একই সেকশনে পড়তাম। কলেজে ভর্তি হয়েই প্রথমে যে কয়জন ছেলের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয় রুবেল বড়ুয়া তার একজন। প্রায়ই আমরা একসাথে বসতাম। খুব সুন্দর গানের গলা ছিল তার। কলেজ জীবনের শুরুতেই মিনারের ডানপিঠে এ্যালবামটা খুব জনপ্রিয় হয়। মিনার আমাদের ব্যাচেরই, বি এ এফ শাহিন কলেজে পড়ত। রুবেল বলত ওর মত গলায় সফটওয়ার বসালে এরকম গান আমি গণ্ডায় গণ্ডায় গাইতে পারি। আমার এখনো মনে আছে সে টেবিলে আঙ্গুলের ঠোকা দিয়ে ‘জানি তুই আমার সাথে একলা পথের পথিক হয়ে গাইবি না গান’গানটা খুব সুন্দর গাইত। কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের মিড টার্মে আমি ফিজিক্সে ফেল করলাম। কেমিস্ট্রি পরিক্ষার দিন ম্যাথের সঞ্জয় স্যার পাশের জনের সাথে কথা বলেছিল বলে রুবেলের খাতার কিছু উত্তর কেটে দিল। বেচারা কেমিস্ট্রিতে ফেল করল। এরপর একদিন শুনলাম প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রুবেল আর বাসায় ফেরেনি, নিখোঁজ! দুই তিন দিন পর তার খোঁজ মিলল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল রুবেলের লাশ! জানি না কি এক অভিমানে, কি এক...

"প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে করো, নাহলে আমার বিষ খাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।"

Image
"প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে করো, নাহলে আমার বিষ খাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।" সুন্দরী মেয়েটা ছেলেটার পায়ে ধরে বসে পড়লো মাটিতে- প্লিজ তুমি আমাকে বিয়ে করো, নাহলে আমার বিষ খাওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। সোহরাওয়ারদি উদ্যানের আপামর জনতা বসে বসে মজা লুটছিল। আর মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে মূর্ছা যাওয়ার দশা। ছেলেটাও দেখতে সিগারেট খোর ঠেকছে। পাবলিক ভাবছে- কোন কপালে এই সুন্দরী এই ছেলেকে ভালো বেসেছিল। যুগটাই আসলে এমন। ভালোবাসা নামক সম্পর্কগুলো এখন খুব সস্তা, যত্রতত্র প্রথম দেখা, মিষ্টি হাসি দেখেই ভালোবাসা তৈরি হয়। যদিও পরে মানসিকতার দ্বন্দ্ব, সামাজিক , পারিবারিক প্রেক্ষাপটের অশান্তি, অর্থনৈতিক সমস্যায় ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়। আর বিয়ের আগে সব উজাড় করে দেওয়া নারী সম্প্রদায় ও জানে না আদৌ সে ছেলেটির সাথেই সংসার পাততে পারবে কিনা, কিংবা এই ছেলেটাই পরে তাকে গ্রহন করবে কিনা। শুধু পার্কেই নয়, সুফিয়া কামাল হলের সামনেও উচ্চ শিক্ষিত মেয়েদেরও এই ধরনের অকাল কুষ্মাণ্ডদের সামনে দাড়িয়ে অরণ্যে রোদন করতে দেখেছি। অবাক লেগেছে। কিন্তু , বাস্তবতা এটাই যে, শিক্ষিত অশিক্ষিত সব নির্বিশেষে মেয়েরা এখনো এক যায়গায়ই দাড়িয়ে আছে।...

এতো কষ্ট কেন বেঁচে থাকায়?

Image
এতো কষ্ট কেন বেঁচে থাকায়? জীবন নিয়ে আমাদের কমবেশি কমপ্লেইন আছে প্রায় সবারই। আমাদের দুঃখের তালিকা যেন আর শেষ হয় না! স্বামী-স্ত্রীর মাঝে না-পাবার গল্প, মায়ের মুখে সন্তান শোনে কতো আক্ষেপ আর বেদনার হাহাকার, দু’ বন্ধুর কথা শুনুন, সেখানেও দুঃখেরই প্রলাপ! আমরা সবাই (অন্তত যারা এই নোটটা পড়ছেন), খাচ্ছি- দাচ্ছি, আমাদের মাথার উপর ছাদ আছে, গায়ে কাপড় আছে, সামনে একটা পিসি/ হাতে মোবাইল সেট! এই হয়তো এক্ষণ আপনার কথায় এক কাপ চা এনে সামনে রাখা হলো, বা আপনি পড়াশুনার (বা আড্ডার উদ্দেশ্যে) কলেজ/ ভার্সিটির দিকে যাচ্ছেন... এতোকিছু পেয়ে তবুও আমাদের মনে না পাবার দুঃখ। আমাদের সবসময় মনে হয় এটা পেলাম না, ওটা পেলাম না... বাড়ি নাই, গাড়ি নাই, ডিজাইনার কামিজ নাই, ডি.এস.এল.আর ক্যামেরা নাই, দামী মোবাইল সেট নাই, সুন্দর একটা ব্যাগ নাই, ভালোবাসার মানুষ নাই, বন্ধু নাই!! আরো কতো কী...! কার সাথে তুলনা করছি আমরা? আমাদের সামনে দু’ ধরনের এক্সাম্পল রয়েছে। এক, দেখি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন, যেখানে তিনি মদীনায় যাবার পর পরপর তিন দিন কোনদিন পেট পুরে খেতে পারেন নি। ক্ষুধার কষ্ট জানেন তো? কখ...