চারপাশে সংসার ভাঙ্গনের জোয়ার !
চারপাশে সংসার ভাঙ্গনের জোয়ার !

খুব কষ্ট ও ভয় হয় আজ চারপাশে সংসার
ভাঙ্গনের জোয়ার দেখে...
ইসলামকে মেনে চলেন না এমন এক পরিচিত
ভাই প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রায় দশ
বছর আগে। সে আমলের চারপাশ কাঁপানো
প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি। আন্ডারগ্র্যাড শেষ
করার আগেই তারা বিয়ে করেন, সংসারের
প্যাঁচে পড়েই হয়ত, দু'জনার কেউ সেই ডিগ্রির
বৈতরনী পার হতে পারেননি। স্বামী ও স্ত্রী
যথাক্রমে ব্যবসায় এবং চাকুরিতে নেমে
পড়েছিলেন সেই যোগ্যতা থেকেই।
পরবর্তীতে দশ বছর বয়সী সন্তানটিকে বাপের
কাছে রেখে মা এখন আলাদা থাকেন। মা
এখন চাকুরিজীবী। ঐ ডিগ্রি নিয়ে কী
চাকুরি করেন তা ঠিক জানা সম্ভব হয়নি।
বাপ ছেলেকে নিয়ে নিকটাত্মীয়দেরকে
যথেষ্টই যন্ত্রণায় রেখেছেন। একটি পুরুষ ও
নারীর যন্ত্রণায় এখন সমগ্র দু'টি পরিবার।
বিয়ে ও সম্পর্কের বিষয়গুলো কখনই সিনেমার
মতন নয়। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা
কল্পনাতেও বাস্তবতাকে মুভির মতন করে
যেন না ভাবেন। জীবনের বাস্তবতায় গোলাপ
ফুলের সুঘ্রাণ নিয়ে সাহিত্যিক ও রোমান্টিক
আলাপের সুযোগ না হলেও আদা ও রসুন-বাটার
ঘ্রাণে ডুবে থাকতেই হয় একজন নারীকে।
স্ত্রীকে সাথে নিয়ে পাহাড়ে-নদীতে ঘুরতে
না পারলেও বাজারের ব্যাগের সাথে, চাল-
ডাল-তেলের সাথে ঘুরতে হয় পুরুষকে।
এই দায়িত্বশীলতায়, এই দায়বদ্ধতার মাঝে
এবং ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেই আল্লাহ
অসাধারণ শান্তি দিয়ে দেন তাদেরকে,
যারা আল্লাহর জন্য এই সম্পর্কটিতে
নিজেদেরকে জড়িয়ে নেয়। দুনিয়ার জীবন
জান্নাত নয়, "অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে
বসবার করিতে লাগিলো" -- এমন কোন আলাপ
আপনি কারো ব্যাপারে করতে পারবেন না
কখনই। ক্রমাগত মুজাহাদা ও পরিশ্রম করাই
দুনিয়ার জীবনের রূপ।
বিয়ের আগে মনে রাখবেন ভিন্ন
ব্যক্তিত্বের, ভিন্ন পছন্দের, ভিন্ন
পরিবারের ভিন্ন রুচির একজনকে আপনি
জীবনের সঙ্গী করে সম্ভাব্য অনেক যুদ্ধে
তাকে সহযোদ্ধা করতে যাচ্ছেন। যারা
সংসার জীবনে বেশি করে মানিয়ে নিতে
পারে, তারাই বেশি সুখী হয়। কিন্তু অবশ্যই
আল্লাহর সন্তুষ্টি হতে হবে স্বামী-স্ত্রীর
বিয়ের মূল উদ্দেশ্য।
নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করুন যেন আপনি
সহজে মানিয়ে নিতে পারেন। চেষ্টা করুন
নিজের ইগোকে কমিয়ে আনতে। আজকাল
পরিবারগুলোর ভাঙ্গনের পেছনে ইগো অন্যতম
প্রধান কারণ। বলছিলাম বিয়ের প্রস্তুতি
হিসেবে নিজের ইগোকে অবশ্যই কমিয়ে
আনুন। ইগো কাকে বলে জানেন তো?কেউ যখন
আপনাকে সংশোধন করে দেয় এবং আপনি
তার উপরে ক্ষিপ্ত/বিরক্ত হয়ে যান; তখনই
বুঝবেন আপনার ইগো আছে। এই সমস্যাকে
কাটিয়ে উঠুন খুব শীঘ্রই। স্বামী-স্ত্রীর
মাঝে জয়-পরাজয়ের হিসেব সবাইকে
কুরেকুরে খাচ্ছে। সম্মান করলে সম্মানিত
হবেন, তাই মানুষকে সম্মান করতে শিখুন।
আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে শান্তির
আবাসভূমি বানিয়ে দিন।
courtesy : আগন্তুক

খুব কষ্ট ও ভয় হয় আজ চারপাশে সংসার
ভাঙ্গনের জোয়ার দেখে...
ইসলামকে মেনে চলেন না এমন এক পরিচিত
ভাই প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন প্রায় দশ
বছর আগে। সে আমলের চারপাশ কাঁপানো
প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি। আন্ডারগ্র্যাড শেষ
করার আগেই তারা বিয়ে করেন, সংসারের
প্যাঁচে পড়েই হয়ত, দু'জনার কেউ সেই ডিগ্রির
বৈতরনী পার হতে পারেননি। স্বামী ও স্ত্রী
যথাক্রমে ব্যবসায় এবং চাকুরিতে নেমে
পড়েছিলেন সেই যোগ্যতা থেকেই।
পরবর্তীতে দশ বছর বয়সী সন্তানটিকে বাপের
কাছে রেখে মা এখন আলাদা থাকেন। মা
এখন চাকুরিজীবী। ঐ ডিগ্রি নিয়ে কী
চাকুরি করেন তা ঠিক জানা সম্ভব হয়নি।
বাপ ছেলেকে নিয়ে নিকটাত্মীয়দেরকে
যথেষ্টই যন্ত্রণায় রেখেছেন। একটি পুরুষ ও
নারীর যন্ত্রণায় এখন সমগ্র দু'টি পরিবার।
বিয়ে ও সম্পর্কের বিষয়গুলো কখনই সিনেমার
মতন নয়। প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা
কল্পনাতেও বাস্তবতাকে মুভির মতন করে
যেন না ভাবেন। জীবনের বাস্তবতায় গোলাপ
ফুলের সুঘ্রাণ নিয়ে সাহিত্যিক ও রোমান্টিক
আলাপের সুযোগ না হলেও আদা ও রসুন-বাটার
ঘ্রাণে ডুবে থাকতেই হয় একজন নারীকে।
স্ত্রীকে সাথে নিয়ে পাহাড়ে-নদীতে ঘুরতে
না পারলেও বাজারের ব্যাগের সাথে, চাল-
ডাল-তেলের সাথে ঘুরতে হয় পুরুষকে।
এই দায়িত্বশীলতায়, এই দায়বদ্ধতার মাঝে
এবং ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেই আল্লাহ
অসাধারণ শান্তি দিয়ে দেন তাদেরকে,
যারা আল্লাহর জন্য এই সম্পর্কটিতে
নিজেদেরকে জড়িয়ে নেয়। দুনিয়ার জীবন
জান্নাত নয়, "অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে
বসবার করিতে লাগিলো" -- এমন কোন আলাপ
আপনি কারো ব্যাপারে করতে পারবেন না
কখনই। ক্রমাগত মুজাহাদা ও পরিশ্রম করাই
দুনিয়ার জীবনের রূপ।
বিয়ের আগে মনে রাখবেন ভিন্ন
ব্যক্তিত্বের, ভিন্ন পছন্দের, ভিন্ন
পরিবারের ভিন্ন রুচির একজনকে আপনি
জীবনের সঙ্গী করে সম্ভাব্য অনেক যুদ্ধে
তাকে সহযোদ্ধা করতে যাচ্ছেন। যারা
সংসার জীবনে বেশি করে মানিয়ে নিতে
পারে, তারাই বেশি সুখী হয়। কিন্তু অবশ্যই
আল্লাহর সন্তুষ্টি হতে হবে স্বামী-স্ত্রীর
বিয়ের মূল উদ্দেশ্য।
নিজেকে এমনভাবে প্রস্তুত করুন যেন আপনি
সহজে মানিয়ে নিতে পারেন। চেষ্টা করুন
নিজের ইগোকে কমিয়ে আনতে। আজকাল
পরিবারগুলোর ভাঙ্গনের পেছনে ইগো অন্যতম
প্রধান কারণ। বলছিলাম বিয়ের প্রস্তুতি
হিসেবে নিজের ইগোকে অবশ্যই কমিয়ে
আনুন। ইগো কাকে বলে জানেন তো?কেউ যখন
আপনাকে সংশোধন করে দেয় এবং আপনি
তার উপরে ক্ষিপ্ত/বিরক্ত হয়ে যান; তখনই
বুঝবেন আপনার ইগো আছে। এই সমস্যাকে
কাটিয়ে উঠুন খুব শীঘ্রই। স্বামী-স্ত্রীর
মাঝে জয়-পরাজয়ের হিসেব সবাইকে
কুরেকুরে খাচ্ছে। সম্মান করলে সম্মানিত
হবেন, তাই মানুষকে সম্মান করতে শিখুন।
আল্লাহ আমাদের পরিবারগুলোকে শান্তির
আবাসভূমি বানিয়ে দিন।
courtesy : আগন্তুক
Comments
Post a Comment