'মেয়েবাজি' করা ছেলেদের জীবন কখনই সুখের হয় না।
'মেয়েবাজি' করা ছেলেদের জীবন কখনই
সুখের হয় না।

কত মানুষ দেখলাম, একসময় হয়ত আহামরি 'ভালা
ইশটুডেন' আছিলো না, অথবা তার 'ভালা চাক্রি'
আছিলো না, কিন্তু চরিত্র ভালোই ছিলো। কলেজ-
ভার্সিটিতে কিছু নারীদেহ নিয়া অশ্লীল শব্দ
শিখলো, এরপর শিখলো শ্লীল-অশ্লীল মুভি
দ্যাখা। রাস্তায় মেয়েদের কিছু শব্দ ছুঁড়ে দেয়,
ক্লাসমেট মেয়েদের যেচে পড়ে 'ফ্লার্টিং
করে' --যা তার অভ্যাস হয়ে গেলো। ফোনে
আর ফেসবুকে পিরিতি করে চরিত্রটা দুর্গন্ধময় হয়।
মোবাইলে অনেকগুলা মেয়েরে সময়ে
অসময়ে ফোন দিয়া আলাপ করতো, মজা-টজা
করতো, ওদের কয়েকটার সাথে পিরিতিও করলো।
একসময় সময় পেরিয়ে গেলো ৫-৬ বছর।
ছেলের ভালো চাকরি হলো, টাকা হলো। তবু
স্বভাবটা আগের মতই 'মেয়েবাজ'। বিয়েও হলো,
মেয়েটার ক্যারিয়ার বেশ ভালো, সরকারি
মেডিকেলের ছাত্রী। শুধু মাঝে মাঝে একটু
বেশি গল্প করে এখানে ওখানে। পারিবারিক অশান্তির
কারণে দু'জন দু'জনের কুৎসা ছড়িয়ে বেড়ালো
ফ্রেন্ড সার্কেলে। স্ত্রীর 'সমস্যার' কথা বলে
মেয়েটির বান্ধবীদের কারো কারো সাথে
সহানুভূতি নিতে গিয়ে ছেলেটি 'মেয়েবাজি' করতে
চেয়েছে এমন গল্পও ওদের 'সার্কেলে'
প্রচলিত হয়ে যায়। মেয়েটিও তার হাজব্যান্ড নিয়ে
অশান্তির কথা ছড়িয়েছে চারপাশে। ফ্রেন্ডরা
তাদের কোন্দল উপভোগ করতে করতে এই
যুগলকে মুখরোচক গল্পে পরিণত করেছিলো
বলেই মনে হচ্ছিলো। একসময় ভেঙ্গে
গেলো বিয়ে। আজো ওরা ফেসবুক স্ট্যাটাস
দেয় এলোমেলো। এই ধাক্কা সুস্থভাবে
সামলাতে পারে না কেউ আল্লাহর স্মরণ হৃদয়ে না
রেখে, ওরাও এমনই। ফেসবুকে ওদের
টাইমলাইনে ঘুরতে গেলে ঘাম দিয়ে অশান্তি লাগে।
কীসের-সাথে-কী, কী-না-কী বলতেই
থাকে...
একটা সুন্দর চরিত্রের মতন দামী কিছু নেই। সুন্দর
চরিত্রের পেছনে কাজ করে সবর বা ধৈর্য। যে
ছেলেটির আলাপ করছিলাম সে একজন ইঞ্জিনিয়ার।
স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়ার সময় জগতের আর
অর্ধেক পুরুষের মতই আবেগ সামলাতে
কষ্টবোধ করছিলো। কিন্তু তার সবই 'আউটপুট'
ছিলো নোঙরামি। সঠিক পথে না গিয়ে যতই বাজে
পথে গিয়েছে, তার জীবন ততই বেশি জটিল
হয়েছে। একপর্যায়ে তার ইজ্জত-সম্মান
জিল্লতিতে ভরে যায়, সংসার ভেঙ্গে যায়।
আগামীতে হয়ত সে এভাবেই এলোমেলো
আচরণেই বেঁচে থাকবে। নিজে যেমন খারাপ
কাজ করতো, নিজেকে যেমন প্রশ্রয় দিতো,
আল্লাহ তাকে তার জীবনসঙ্গীটাও তেমন
জুটিয়েছিলো। পারিবারিক অশান্তি তার ব্যক্তিত্ব ও
সম্মানকেও নষ্ট করে দিয়েছে। স্কুল-কলেজ-
ভার্সিটিতে ছেলেমেয়েরা তাদের আবেগকে
যদি একটু বাঁধ দিয়ে রাখে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়,
আল্লাহ তাদের কল্পনাতীত উপায়ে সুন্দর সঙ্গী
এনে দিবেন যারা উত্তম চরিত্রের অধিকারী।
সুন্দর চরিত্র অর্জন করার কষ্টকর, কিন্তু আল্লাহর
খুব পছন্দের জিনিস সেটা। প্রচলিত ছেলেদের
মেয়ে ফ্রেন্ডস আর মেয়েদের ছেলে
ফ্রেন্ডস থাকার এই নষ্ট সংস্কৃতিতে ডুবে যায় সবাই
অল্প-কয়েকটা বছর। অথচ এটাই তাদের কাল হয়,
তাদের অশান্তি আর ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ফ্রেন্ডস থেকে ক্রাশ, রিলেশন, ব্রেকাপ, এনিমি
সাইকেলে ঘুরতে থাকে সবকিছু।
আমাদের চারপাশে বিষয়গুলো আমাদের জন্য শিক্ষা
বহন করে। চোখে ভয়াবহ উদাহরণ দেখলে
বুঝবেন এটাকে এড়িয়ে যেতে আল্লাহ
আপনাকে শেখাচ্ছেন। মানব জীবনের এক
অসীম নিয়ামত হচ্ছে সবর বা ধৈর্য। আল্লাহ যেন
আমাদেরকে সবর করার তাওফিক দান করেন। দেরি
হলেও একসময় প্রতীক্ষিত জিনিসটা অর্জন হয়,
ছেলেদের ক্ষেত্রে উত্তম রিযিকও তেমনি।
কিন্তু যখন অর্জন হলো তখন ভুলের খেসারত
দিতে গিয়ে জীবনের সৌন্দর্য নষ্ট হয় অনেক
বোকা ছেলেদের। বোকা হওয়া এইসব
হতভাগাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ
আমাদের ভাইবোনদের হেফাজত করুন।
লজ্জাস্থানের ও দৃষ্টির-মুখের-কানের হেফাজত
করে যেন মুসলিম সমাজের সবাই জান্নাতের পথে
এগিয়ে যেতে পারে, আল্লাহর কাছে এই দু'আ
করি। আল্লাহকে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ
আমাদের নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ লজ্জাশীলতাকে
পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবই জানেন,
দেখেন, শোনেন।আল্লাহর কাছে করা দোয়া
বিফল হয় না, কখনই না।
courtesy : আগন্তুক
এসো আলোর পথে
সুখের হয় না।

কত মানুষ দেখলাম, একসময় হয়ত আহামরি 'ভালা
ইশটুডেন' আছিলো না, অথবা তার 'ভালা চাক্রি'
আছিলো না, কিন্তু চরিত্র ভালোই ছিলো। কলেজ-
ভার্সিটিতে কিছু নারীদেহ নিয়া অশ্লীল শব্দ
শিখলো, এরপর শিখলো শ্লীল-অশ্লীল মুভি
দ্যাখা। রাস্তায় মেয়েদের কিছু শব্দ ছুঁড়ে দেয়,
ক্লাসমেট মেয়েদের যেচে পড়ে 'ফ্লার্টিং
করে' --যা তার অভ্যাস হয়ে গেলো। ফোনে
আর ফেসবুকে পিরিতি করে চরিত্রটা দুর্গন্ধময় হয়।
মোবাইলে অনেকগুলা মেয়েরে সময়ে
অসময়ে ফোন দিয়া আলাপ করতো, মজা-টজা
করতো, ওদের কয়েকটার সাথে পিরিতিও করলো।
একসময় সময় পেরিয়ে গেলো ৫-৬ বছর।
ছেলের ভালো চাকরি হলো, টাকা হলো। তবু
স্বভাবটা আগের মতই 'মেয়েবাজ'। বিয়েও হলো,
মেয়েটার ক্যারিয়ার বেশ ভালো, সরকারি
মেডিকেলের ছাত্রী। শুধু মাঝে মাঝে একটু
বেশি গল্প করে এখানে ওখানে। পারিবারিক অশান্তির
কারণে দু'জন দু'জনের কুৎসা ছড়িয়ে বেড়ালো
ফ্রেন্ড সার্কেলে। স্ত্রীর 'সমস্যার' কথা বলে
মেয়েটির বান্ধবীদের কারো কারো সাথে
সহানুভূতি নিতে গিয়ে ছেলেটি 'মেয়েবাজি' করতে
চেয়েছে এমন গল্পও ওদের 'সার্কেলে'
প্রচলিত হয়ে যায়। মেয়েটিও তার হাজব্যান্ড নিয়ে
অশান্তির কথা ছড়িয়েছে চারপাশে। ফ্রেন্ডরা
তাদের কোন্দল উপভোগ করতে করতে এই
যুগলকে মুখরোচক গল্পে পরিণত করেছিলো
বলেই মনে হচ্ছিলো। একসময় ভেঙ্গে
গেলো বিয়ে। আজো ওরা ফেসবুক স্ট্যাটাস
দেয় এলোমেলো। এই ধাক্কা সুস্থভাবে
সামলাতে পারে না কেউ আল্লাহর স্মরণ হৃদয়ে না
রেখে, ওরাও এমনই। ফেসবুকে ওদের
টাইমলাইনে ঘুরতে গেলে ঘাম দিয়ে অশান্তি লাগে।
কীসের-সাথে-কী, কী-না-কী বলতেই
থাকে...
একটা সুন্দর চরিত্রের মতন দামী কিছু নেই। সুন্দর
চরিত্রের পেছনে কাজ করে সবর বা ধৈর্য। যে
ছেলেটির আলাপ করছিলাম সে একজন ইঞ্জিনিয়ার।
স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে পড়ার সময় জগতের আর
অর্ধেক পুরুষের মতই আবেগ সামলাতে
কষ্টবোধ করছিলো। কিন্তু তার সবই 'আউটপুট'
ছিলো নোঙরামি। সঠিক পথে না গিয়ে যতই বাজে
পথে গিয়েছে, তার জীবন ততই বেশি জটিল
হয়েছে। একপর্যায়ে তার ইজ্জত-সম্মান
জিল্লতিতে ভরে যায়, সংসার ভেঙ্গে যায়।
আগামীতে হয়ত সে এভাবেই এলোমেলো
আচরণেই বেঁচে থাকবে। নিজে যেমন খারাপ
কাজ করতো, নিজেকে যেমন প্রশ্রয় দিতো,
আল্লাহ তাকে তার জীবনসঙ্গীটাও তেমন
জুটিয়েছিলো। পারিবারিক অশান্তি তার ব্যক্তিত্ব ও
সম্মানকেও নষ্ট করে দিয়েছে। স্কুল-কলেজ-
ভার্সিটিতে ছেলেমেয়েরা তাদের আবেগকে
যদি একটু বাঁধ দিয়ে রাখে আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায়,
আল্লাহ তাদের কল্পনাতীত উপায়ে সুন্দর সঙ্গী
এনে দিবেন যারা উত্তম চরিত্রের অধিকারী।
সুন্দর চরিত্র অর্জন করার কষ্টকর, কিন্তু আল্লাহর
খুব পছন্দের জিনিস সেটা। প্রচলিত ছেলেদের
মেয়ে ফ্রেন্ডস আর মেয়েদের ছেলে
ফ্রেন্ডস থাকার এই নষ্ট সংস্কৃতিতে ডুবে যায় সবাই
অল্প-কয়েকটা বছর। অথচ এটাই তাদের কাল হয়,
তাদের অশান্তি আর ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ফ্রেন্ডস থেকে ক্রাশ, রিলেশন, ব্রেকাপ, এনিমি
সাইকেলে ঘুরতে থাকে সবকিছু।
আমাদের চারপাশে বিষয়গুলো আমাদের জন্য শিক্ষা
বহন করে। চোখে ভয়াবহ উদাহরণ দেখলে
বুঝবেন এটাকে এড়িয়ে যেতে আল্লাহ
আপনাকে শেখাচ্ছেন। মানব জীবনের এক
অসীম নিয়ামত হচ্ছে সবর বা ধৈর্য। আল্লাহ যেন
আমাদেরকে সবর করার তাওফিক দান করেন। দেরি
হলেও একসময় প্রতীক্ষিত জিনিসটা অর্জন হয়,
ছেলেদের ক্ষেত্রে উত্তম রিযিকও তেমনি।
কিন্তু যখন অর্জন হলো তখন ভুলের খেসারত
দিতে গিয়ে জীবনের সৌন্দর্য নষ্ট হয় অনেক
বোকা ছেলেদের। বোকা হওয়া এইসব
হতভাগাদের দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহ
আমাদের ভাইবোনদের হেফাজত করুন।
লজ্জাস্থানের ও দৃষ্টির-মুখের-কানের হেফাজত
করে যেন মুসলিম সমাজের সবাই জান্নাতের পথে
এগিয়ে যেতে পারে, আল্লাহর কাছে এই দু'আ
করি। আল্লাহকে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ
আমাদের নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ লজ্জাশীলতাকে
পছন্দ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ সবই জানেন,
দেখেন, শোনেন।আল্লাহর কাছে করা দোয়া
বিফল হয় না, কখনই না।
courtesy : আগন্তুক
এসো আলোর পথে
Comments
Post a Comment