Posts

Showing posts from January, 2015

আল কুরআনের বিধি নিষেধ ৬

"আল -কুরআনে বর্নিত মুমিনদের আদেশ - নিষেধ " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার. ১০৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে যে, মুশরিক ,ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা মুসলিম জাতির উপর কল্যান অবতীর্ন হওয়াকে চায়না। এই কারনে খুটিনাটি সুতা ধরে অপপ্রচার চালিয়ে মুসলিমদের আকীদা -বিশ্বাস ও জীবন -যাপন পদ্ধতির উৎস সম্পর্কে সন্দেহ সৃষ্টির কাজে লেগে থাকে। কিবলা পরিবর্তনের আয়াত, মুসলিদের সংস্কার ও উন্নতির জন্য কোন বিধান রহিত কারী আয়াত বা তাওরাত কিতাবকে সামগ্রিকভাবে সমর্থন দেয়া সত্বেও প্রয়োজনীয় কোন বিধান রহিত করে আয়াত অবতীর্ন হলে ইয়াহুদী ও মুশরিকরা মুসলমানদের ভৎসনাও করতে শুরু করে, এই কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ন নয়। তিনি একটা নির্দেশ দিয়ে আবার তা নিষেধ করে বিপরীত নির্দেশ দিবেন। এটা হতে পারেনা। তাদের জবাবে আল্লাহ মুমিনদের আস্থা সৃষ্টির জন্য বলেন, আল্লাহ সর্বশক্তিমান হওয়ার কথা তো তোমাদের জানা আছে। তোমাদের জানা আছে যে, আসমান জমীনের রাজত্ব তাঁরই কত্তৃত্বে। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা ও মালিক। তিনি বিশ্ব পরিচালক। মানব কল্যানের জন্য নাবী পাঠিয়েছেন, কুরআন অবতীর্ন করেছেন। কোনটি আদেশ করবেন এবং কোনটি নিষেধ করবেন, এটা তাঁরই কত্তৃত্ব। তিনি কোন বিধান ...

আল কুরআনে বর্ণিত মুমিনদের আদেশ নিষেধ ৫

আল -কুরআনে বর্নিত মুমিনদের আদেশ - নিষেধ " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার . ١٠٦،ﻣﺎﻧﻨﺴﺦ ﻣﻦ ﺍﻳﺔ ﺍﻭ ﻧﻨﺴﻬﺎ ﻧﺎﺕ ﺑﺨﻴﺮ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻭ ﻣﺜﻠﻬﺎ ﺍﻟﻢ ﺗﻌﻠﻢ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻲ ﻛﻞ ﺷﻴﺊ ﻗﺪﻳﺮ ١٠٧،ﺍﻟﻢ ﺗﻌﻠﻢ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﻣﻠﻚ ﺍﻟﺴﻤﻮﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻭﻣﺎﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﺩﻭﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻭﻟﻲ ﻭﻻﻧﺼﻴﺮ অনুবাদ : (১০৬)আমি যে আয়াত রহিত করি অথবা যা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম অথবা তার সমতুল্য আয়াত অবতীর্ন করি। তুমি কি জাননা যে, আল্লাহ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান? (১০৭) তুমি কি জাননা যে,আল্লাহ -রই জন্য আসমান ও জমীনের রাজত্ব? আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের জন্য না কোন অবিভাবক আছে এবং না কোন সাহায্যকারী আছে। (সূরা আল - বাকারাহ) ★অবতীর্ন হওয়ার কারন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) পবিত্র মাক্কাহ ভুমি হিজরাত করে পবিত্র মাদীনাহ ভুমিতে আগমন করে আল্লাহর নির্দেশক্রমে বাইতুল মুকাদ্দাসকে কিবলা করে ১৬/১৭ মাস নামাজ আদায় করেন। এই কিবলার হুকুম রহিত করে আল্লাহ পবিত্র কাবাকে কিবলা নির্ধারন করলে ইয়াহুদী ও মুশরিকরা তীব্র সমালোচনা শুরু করে দেয়। তারা বলে ,তোমরা কি দেখনা যে ,মুহাম্মাদ তার সাথীদের একবার এক নির্দেশ দেয়। আবার তার থেকে নিষেধ করে তার বিপরিত নির্দেশ দেয়। আজ এক কথা বলে। আবার. তার থেকে তার পরের দিন প্রত...

জীবন সঙ্গিনী নিয়ে দুশ্চিন্তা

জানি ভাই- বোনেরা তাদের জুটি খুঁজে পেতে দুঃখভারাক্রান্ত ও চিন্তিত ​​​​জানি আমার মুসলিম ভাইয়েরা, আমার বোনেরা তাদের জুটি খুঁজে পেতে দুঃখভারাক্রান্ত ও চিন্তিত। চারপাশে এত বেশি নোংরামি, মাস্তি, নগ্নতার মাঝে একটা সত্যিকারের অন্তরের সাথী হয়ত দুর্গের মতন কাজ করতে পারতো, কিন্তু আমি জানি আমার ভাই- বোনেরা আল্লাহর উপরেই ভরসা করেন। প্রতিটি জীবনই পরীক্ষার, কষ্ট থাকবেই। যারা মাস্তি করে বেড়ায়, তারাও দৌড়ের উপরে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর জন্য কষ্ট করে, তাদের আল্লাহ অবশ্যই উত্তম প্রতিদান দেবেন। এই খারাপ সমাজে ভালো চরিত্র একটি বড় উপহার আল্লাহর পক্ষ থেকে। আখিরাতে যেদিন সবাই কাঁদবে তাদের কৃতকর্মের জন্য, সেদিন এইসব আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় করা এসব স্যাক্রিফাইস মুসলিম বান্দাদের পাশে দাঁড়াবে। আমরা আল্লাহর উপরেই ভরসা করি, তার জন্যই কষ্ট করি। নিশ্চয়ই আমাদের রিযিক যেমন আল্লাহ দান করেন, জীবনসঙ্গীকেও তেমনিভাবে সময়মতন হাজির করবেন। তাই সবর করুন। এবং সম্ভাব্য সৎ উপায়ে খোঁজ করুন, লাইফ পার্টনার খুঁজতে পাপের দিকে আগাবেন না। সৎ থাকলে আল্লাহ আপনাকে অকল্পনীয় উপায়ে পথ বাতলে দিবেন। এবং, যদি খুব বেশি ডেসপারেট হয়ে থাকেন, তাহলে দ...

নির্জনে আপনি কেমন মুসলিম?

নির্জনে আপনি কেমন মুসলিম? একজন বললেন: আমি প্র্যাকটিসিং মুসলিম। কিন্তু নির্জনে প্রাকটিসিং হওয়াটা খুব কঠিন। অধিকাংশ মুসলিমই ভুগছে এই অভিন্ন সমস্যায়। বলা হয়: সাধু হয়ো না মানুষের সামনে। আর শয়তান হয়ো না আড়ালে যেয়ে। ইব্ন আল- ক়ায়্যিম বলেছেন, “যাঁরা আল্লাহকে চেনেন তাঁদের সবার মত হচ্ছে: মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে একাকী যে পাপ করা হয়। আর লক্ষ্যে অবিচল থাকার মূল কারণ হচ্ছে নিভৃতে আল্লাহর ‘ইবাদাহ করা।” আমাদের অনেকেই শয়তানকে খারাপ বলেন সবার সামনে; কিন্তু আড়ালে তাকেই বানান সবচেয়ে ভালো বন্ধু। কী সাংঘাতিক! রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, “আমি নিশ্চিতভাবেই জানি, পুনরুত্থানের দিনে আমার উম্মাহর এক দল লোক হাজির হবে তিহামাহ পাহাড় পরিমাণ ভালো কাজ সাথে নিয়ে। কিন্তু আল্লাহ সেগুলোকে করে দেবেন বিক্ষিপ্ত ধূলিকণা।” হ়াদীস়টির বর্ণনাকারী স়াওবান বললেন, “এদের সম্পর্কে আমাদের আরও জানান, রাসূলুল্লাহ ﷺ , আরও বলুন। যাতে অজান্তে আমরা তাদের মতো না হই।” তিনি বললেন, “ওরা তোমাদেরই ভাই, তোমাদেরই জ্ঞাতিগোষ্ঠী। রাতে ওরা ‘ইবাদাত করে তোমাদের মতোই। কিন্তু ওরা যখন একাকী থাকে তখন ওরা আল্লাহর বেধে দেওয়া সীমারেখা লঙ্ঘন করে...

মু’মিনের সাথে মেলামেশা করা ও কাজগুলো খেয়াল করা কল্যাণকর

মু’মিনের সাথে মেলামেশা করা ও কাজগুলো খেয়াল করা কল্যাণকর “কোন মুসলিমের অন্তরের জন্য একজন মু’মিনের সাথে মেলামেশা করা এবং তার কাজগুলো খেয়াল করে দেখার মত বেশি কল্যাণকর আর কিছু নেই। অন্যদিকে সে অন্তরের জন্য পাপাচারীদের সাথে মেলামেশা করা এবং তাদের কাজগুলোকে খেয়াল করে দেখার মতন ক্ষতিকর আর কিছু নেই।” – আহমাদ ইবনে হারব (রাহিমাহুল্লাহ) [আল-বায়হাকী, আল-যুহদ আল-কাবির, পৃ ১০০]

ভালোবাসার মোড়কে কামতাড়নার ও পর্ণোগ্রাফির এই শহর

ভালোবাসার মোড়কে কামতাড়নার ও পর্ণোগ্রাফির এই শহর আজকাল বাজারে ভালোবাসার ব্যাপক সংকট মনে হয়, নাকি পণ্য হিসেবে এর কাটতি বেশি কে জানে। ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা স্পন্সর করা অ্যাড একটা পেইজের -- ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই। নিম্নমানের গ্রাফিকসের একটা ছবি, তাতে LOVE লেখা। পেইজে ইংরেজি বাংলা নামকরণ এবং বন্ধনির ব্যবহারে ভুল দেখেও জ্ঞানের দৈন্যতা বোঝা যায় সুষ্পষ্ট। এই নিম্নরুচির বিজ্ঞাপণওয়ালাদের কথা বাদ দিলেও দীর্ঘদিন যাবত 'উচ্চমানের রুচিওয়ালাদের' টাকা দিয়ে চালানো AIRTEL কর্তৃক বিজ্ঞাপন 'আপনি কি মনে করে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল? তাহলে চলে আসুন আমাদের সাথে' টাইপের বিশ্রি বিজ্ঞাপণেও ভালোবাসা/বন্ধুত্ব সংকট প্রকৃষ্ট। শহরের সবখানেই ভালোবাসা। এই পণ্য বিক্রির চেষ্টা যাদের জন্য হয় তাতে বাচ্চারা থাকে, বৃদ্ধ- বৃদ্ধারাও। এসব ভালোবাসার নামের রং-ঢং ক্ষণিকেই কামাসক্তিতে পরিণণত হয়। একসময় সবখানে কেবল কামাসক্তি থাকে, ভালোবাসা পড়ে থাকে শব্দের খোলসে। নগ্ন বিলবোর্ডগুলো বেশ চটকদার। আগে দু'একটা ছিলো। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড , আড়ং ইত্যাদি আগে চোখে পড়তো। নির্লজ্জ কি আর সবাই হয়। এখন ক্রেডিট কার্ডের বিজ্ঞাপনেও ...

ইমাম আহমাদ ও তার স্ত্রীর সুসম্পর্কের গোপন রহস্য

ইমাম আহমাদ ও তার স্ত্রীর সুসম্পর্কের গোপন রহস্য ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ) তার স্ত্রী উম্মু সালিহ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার পর তার প্রশংসা করে বলেছিলেন, “ওয়াল্লাহি, আমরা ৩০ বছর একইসাথে ছিলাম কিন্তু একটি বারের জন্যও আমাদের মাঝে কোন তর্ক হয়নি।” তাকে প্রশ্ন করা হলো, “এটা কীভাবে সম্ভব? মানে আমরা বলতে চাচ্ছি, আপনাদের দু’জনের এই শক্তিশালী বন্ধন ও পারস্পরিক সুসম্পর্কের গোপন রহস্য কী ছিলো?” তিনি খুব সুন্দর করে উত্তরটি দিলেন, “যখন আমার স্ত্রী আমার উপরে অসন্তুষ্ট হতো এবং আমার সাথে তর্ক করতে চাইত, আমি নিশ্চুপ থাকতাম। আবার যখন আমি তার উপরে অসন্তুষ্ট হতাম এবং তর্ক করতে যেতাম, সে নিশ্চুপ থাকত।” [আল-খাতিব আল বাগদাদী, তারিখ বাগদাদ, ১৬/৬২৬]

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সেরা ১০ টি উপায়

স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সেরা ১০ টি উপায় লিখেছেনঃ মুসাফির শহীদ আমরা যারা ইসলামকে সামান্য হলেও মেনে চলার চেষ্টা করি তাদের অনেকেরই ইচ্ছা থাকে নতুন নতুন দু’আ, কুর’আনের আয়াত ও সূরা মুখস্থ করার। হয়তো আমরা অনেকেই সে চেষ্টা করেছি। কেউ কেউ সফল হয়েছি এবং হচ্ছি। কেউবা আবার ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়েও দিয়েছি। মুখস্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনের একটি অন্যতম কারণ হলো এটা মনে করা যে, আমাদের স্মৃতিশক্তি কমে গিয়েছে। তাহলে এই স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর উপায় কী? আসুন এ ব্যাপারে জেনে নেই কিছু কৌশল। স্মৃতি বলতে মূলত তথ্য ধারণ করে পুনরায় তা ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বিজ্ঞানীরা আমাদের স্মৃতিকে প্রধানত দুভাগে ভাগ করেছেনঃ ১. স্বল্পস্থায়ী বা স্বল্প মেয়াদী স্মৃতি, ২. দীর্ঘস্থায়ী বা দীর্ঘ মেয়াদী স্মৃতি। খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্ক যে সব স্মৃতি স্থায়ী থাকে সেগুলো হচ্ছে স্বল্পস্থায়ী স্মৃতি। আর দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের মস্তিষ্ক যেসব স্মৃতি সংরক্ষিত থাকে সেগুলো হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি। এই লেখায় আমরা মূলত দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো। ১. ইখলাস বা আন্তরিকতাঃ যে কোনো কাজে সফলতা অর্জনের ভিত্তি হচ্ছে ...