Posts

Showing posts from June, 2015

আল্লাহ কেন এমন করলো? আল্লাহ থাকলে এসব কী করে হয়?

Image
“আল্লাহ আমাকে কেন বানিয়েছে? আমি কি আল্লাহকে বলেছিলাম আমাকে বানাতে? আল্লাহ আমাকে পৃথিবীতে পাঠাবার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করল না কেন আমি এরকম জীবন চাই কিনা?“ যারা এধরনের প্রশ্ন করে তাদেরকে আপনি যদি একটা যুক্তিযুক্ত উত্তর দেনও, সাথে সাথে তারা প্রশ্ন করবেঃ “আল্লাহ কেন আমাকে এতো কষ্টের জীবন দিল, যেখানে অন্যরা কত শান্তিতে আছে? আমি কি বলেছিলাম আমাকে এতো কষ্ট দিতে?” আপনি যদি ব্যাখ্যা করেন কিভাবে ক্যাপিটালিস্ট অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এমন ভাবে বানানো হয়েছে যে, কেউ ধনী হলে সে অন্য অনেক মানুষকে গরীব বানিয়ে ছাড়বেই, তখন তারা এই ধরণের প্রশ্ন করা শুরু করবেঃ “আল্লাহ আমাকে মেয়ে বানালো কেন, আমিতো মেয়ে হতে চাইনি? আল্লাহ আমাকে কালো কিন্তু অন্যদেরকে ফর্সা বানাল কেন, এটা তো ঠিক হল না? আমি খাট কেন, লম্বা না কেন? আমার কপালে এরকম শয়তান স্বামী পড়ল কেন? আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ি, রোযা রাখি, কোনদিন ঘুষ খাইনি, কিন্তু তারপরেও আমার ক্যান্সার হল কেন?” এই ধরনের “আমি, আমার, আমাকে” প্রশ্নগুলোর উত্তর পাবার পর তারা চলে যাবে আরও জটিল সব ঘটনায়ঃ “সত্যিই যদি আল্লাহ থাকে তাহলে পৃথিবীতে এতো দুঃখ, কষ্ট কেন? মুসলমানরা কেন আজকে সবচেয়ে দুর...

আমার জীবন টা এমন কেন??

Image
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধু? আচ্ছা, আমাকে সত্যি করে একটা কথা বলুন তো- আপনার জীবনে কখনও না কখনও কী মনে হয়নি; ধুত! আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না, আমি একটা অপদার্থ, সবাই আমার চেয়ে কত্ত বেশি ভালো, কত বেশি যোগ্য! আমাকে বোধহয় কেউই পছন্দ করে না, আল্লাহ্ও না, আমার জন্য বুঝি কারোরই একফোঁটা ভালোবাসা নেই, আমার এ জীবনটার কোনো মানে নেই! প্রতিটা মানুষের জীবনেই কিছু কঠিন সময় আসে, খুব কঠিন। ছোট-বড়, ধনী- দরিদ্র, রাজা-প্রজা কিচ্ছুটি মানে না সে। বাইরে থেকে দেখে মনে হতে পারে, ইস! এ মানুষটা না জানি কত সুখে আছে, কত আনন্দে আছে; কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে সে কষ্টের তীব্র দহনে ক্ষণে ক্ষণে জ্বলছে, আমরা ধারণাও করতে পারি না। সত্যি বলতে কি, দুঃসময়গুলো কিন্তু আমাদের আসল রূপটা বের করে নিয়ে আসতে পারে। কীভাবে জানতে চান? উদাহরণ দিতে পারি – খারাপ সময়ে একজন ‘চমৎকার’ মানুষও চরম অসহিষ্ণুতার-অধৈর্যশীলতার পরিচয় দিতে পারে, আল্লাহ্র হুকুমের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে ফেলতে পারে। অন্যদিকে একটু ‘খারাপ’ মানুষটা এসময়ে আল্লাহ্র হুকুম মেনে নিয়ে আল্লাহ্র দিকে ফিরে আসতে পারে, জীবনটাকে নতুন করে গড়ে নিতে পারে। পরিণত হতে পারে সে সোনার মানুষে।...

আল্লাহর রহমত

Image
আল্লাহর রহমত হযরত জিবরাঈল (আঃ) নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে এসে একটি ঘটনা বর্ণনা করেন। এক ব্যক্তি পাহাড়ের উচ্চ চূড়ায় পাঁচশ বছর ধরে আল্লাহ পাকের ইবাদতে মশগুল ছিল। ঐ পাহাড়ের চারদিক লবণাক্ত পানি দ্বারা বেষ্টিত ছিল। আল্লাহ তা’আলা তার জন্য পাহাড়ের অভ্যন্তরে সুপেয় পানির ঝর্ণা এবং একটি আনার গাছের সৃষ্টি করেন। প্রতিদিন সেই ব্যক্তি আনার ফল খেত এবং পানি পান করত। আর পানি দিয়ে অযূ করত। সে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলার কাছে এই দু’আ করল- হে আল্লাহ্! আমার দেহ থেকে রূহ যেন সেজদারত অবস্থায় কবয করার ব্যবস্থা করা হয়। আল্লাহ্ তা’আলা তার এই দু’আ কবুল করেন। হযরত জিবরাঈল (আঃ) বলেন- আমি আসমানে আসা যাওয়ার সময় তাকে সেজদারত দেখতাম। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা তার সম্পর্কে বলবেনঃ আমার এই বান্দাকে আমার রহমতে জান্নাতে প্রবেশ করাও। ঐ ব্যক্তি বলবে না, বরং আমার আমলের বরকতে। তখন নির্দেশ আসবে- আমার নিয়ামতের বিপরীতে তার কৃতামল পরিমাপ কর। পরিমাপ করে দেখা যাবে, পাঁচশ বছরের ইবাদাত খতম হয়ে গেছে একটি চোখের নিয়ামতের বিনিময়ে। তখন আল্লাহ্ পাক নির্দেশ দিবেনঃ আমার বান্দাকে জাহান্নামে নিয়ে যাও। ফেরেশতারা তখন তাকে নিয়ে রওয়ানা...

কুরআন থেকে বিজ্ঞান

Image
বিজ্ঞান —— কুরআন ১ – বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ২ – বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে… সূরা আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ৩ – সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত। ৪ – ‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ৫ – পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি… সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ৬ – বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্টি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে। ৭ – ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে। ৮ – বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ...

আপনি সুখের সন্ধানে আছেন? আসুন এদিকে

Image
সুখ হচ্ছে এমন একটি জিনিস যার সন্ধানে আজকে আমরা সবাই বেরিয়েছি। কে আছে এমন যে সুখী হতে চায় না কিংবা একটি সুন্দর জীবন কামনা করে না? কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সুন্দর জীবন বলতে আসলে কি বোঝায়? কিছু মানুষ আছে এমন, যারা তাদের জীবনকে ঘৃণা করে ! তারা সর্বদাই মনমরা ও হতাশায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। অপরদিকে, কিছু মানুষ এমনও আছে যারা তাদের জীবনকে উপভোগ করে, তারা সব সময় হাসি খুশি আর সুখে থাকে। কিন্তু এমন হয় কেন? আর সুখের কারণ কি? আমরা অনেকেই একথা জানি, পরকালের জীবনে সুন্দর জীবন পাওয়া যাবে জান্নাতে। কিন্তু এই দুনিয়ার জীবনের কি হবে? আসুন জেনে নিই, যিনি আমাদেরকে এই দুনিয়ার জীবন দান করেছেন তিনি, সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সুন্দর জীবন লাভের ব্যাপারে কি বলছেন – “যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমানদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন (হায়াতে তাইয়েবা) দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত”। [ সূরা নাহল ৯৭] এই জীবনে আমরা যা কিছুই করি না কেন সবকিছুই হয়তো আপনার পক্ষে একটি দলীল প্রমাণ হবে নয়তো আপনার বিপক্ষে একটি দলীল প্রমাণ হবে। প্রতিটি আলাদা মুহুর্ত,...

অন্যের সাথে কথা বলার ১৬ টি শিষ্টাচার

Image
কিছু বিধিমালা প্রণয়ন করেছে যেগুলো একজন মুসলিমের মেনে চলা উচিত, সর্বদা এই দৃঢ়চিত্ত বিশ্বাস রাখা উচিত যে সে যা কিছু বলে তার জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে এবং ভালো কথার জন্য সে পুরস্কৃত হবে ও মন্দ কথার জন্য শাস্তি পাবে। সূরা ক্বাফের ১৮ নং আয়াতে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন যার অর্থটা এরকম, “(ক্ষুদ্র) একটি শব্দও সে উচ্চারণ করেনা, যা সংরক্ষণ করার …জন্য একজন সদা সতর্ক প্রহরী তার পাশে নিয়োজিত থাকে না।” রাসূল (সাঃ) আমাদেরকে সতর্ক করেছেন এই বলে যে কথা খুবই বিপজ্জনক। তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহর রেওয়াতে বর্ণিত একটি সহীহ্ হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ “একজন ব্যক্তি এমন কোন কথা বলতে পারে যা আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়, এবং সে এই বিষয়ে খুব একটা চিন্তা করে না কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাওয়া তা’আলা সেটার গুরুত্ব দেন আর সেই কথার জন্য শেষ বিচারের দিনে তার ওপর সন্তুষ্ট হন। এবং একজন ব্যক্তি এমন কোন কথা বলে যে সেটা আল্লাহর নিকট অপছন্দনীয় কিন্তু সে এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয় না কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাওয়া তা’আলা শেষ বিচারের দিবসে তার প্রতি ক্রোধান্বিত হবেন।” কথাবার্তা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই আমরা সেটা ইসলামিক বিধিমালা, আল্লাহ্ ও ...

মিথ্যা কথা বলে আনন্দ করা, কৌতুক করা, কাউকে হাসানো??

Image
মিথ্যা কথা বলা ইসলামে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হারাম গোনাহগুলির অন্যতম । মিথ্যা বলা মুনাফিকের অন্যতম চিহ্ন। মিথ্যা সর্বাবস্থায় হারাম। সবচেয়ে জঘন্যতম মিথ্যা হলো আল্লাহ বা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে, হাদীসের নামে বা ধর্মের নামে মিথ্যা বলা। এরপর জঘন্য মিথ্যা হলো মিথ্যার মাধ্যমে কোনো মানুষের অধিকার নষ্ট করা, সম্পদ দখল করা বা মিথ্যা কথা বলে কিছু বিক্রয় করা। বিভিন্ন হাদীসে এরূপ কর্মের জন্য কঠিন অভিশাপ ও কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ইসলামে হাসি-মস্করা, আনন্দ ও বিনোদনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত সে জন্য মিথ্যা বলা বৈধ করা হয় নি। রাসূলুল্লাহ  নিজে হাঁসি-মস্করা করতেন, কিন্তু মিথ্যা পরিহার করতেন। এক বৃদ্ধাকে বলেন, কোনো বুড়ো মানুষ তো জান্নাতে যাবে না। এতে বেচারী কান্নাকাটি শুরু করে। তখন তিনি বলেন, বুড়োবুড়িকে আল্লাহ জোয়ান বানিয়ে জান্নাতে দিবেন। অপর একব্যক্তি তাঁর কাছে এসে সফরের জন্য একটি উট চান। তিনি বলেন, তোমাকে আমি একটি উটনীর বাচ্চা দিব। লোকটি হতাশ হয়ে বলে, বাচ্চাতে আমার কি হবে? তিনি বলেন, সকল উটই তো উটনীর বাচ্চা। এরূপ অনেক ঘটনা হাদীসে রয়েছে। সাহাবীগণও হাসি- মস্করা করতেন, তবে মিথ্যা ব...

হস্তমৈথুন করা থেকে দুরে থাকুন, ইসলামী শরীয়তে হারাম

Image
ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবং কবীরা গুনাহ।শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালঙ্ঘনকারী। হস্তমৈথুনের কারণে দুই ধরনের সমস্যা হয় (১)মানসিক সমস্যা। (২) শারীরিক সমস্যা। পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে সব সমস্যায় ভুগতে পারে তারমধ্যে একটি হল নপুংসকতা (Impotence) । অর্থাৎ ব্যক্তি যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায়। আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত (Premat ure Ejaculation)। অর্থাৎ খুব অল্প সময়ে বীর্যপাত ঘটে।ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না। আরো একটি সমস্যা হল, বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যাহয় ২০মিলিয়নের কম। [২ কোটি]। যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয়। একজন পুরুষ যখন স্ত্রী গমন করেন তখন তার থেকে যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয় না। অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। আর শরীরের অন্যান্যযেসব ক্ষতি হয়। পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রো...

আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা মুসাফিরের রোযা রাখার বিধান

Image
আধুনিক যুগের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত ও আরাম দায়ক হওয়ার কারণে সফর অবস্থায় রোযা রাখা মুসাফিরের জন্য কষ্টকর নয়। এ অবস্থায় রোযা রাখার বিধান কি? উত্তরঃ মুসাফির রোযা রাখা ও ভঙ্গ করার ব্যাপারে ইচ্ছাধীন। আল্লাহ্ বলেন, ] ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺮِﻳﻀًﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻢْ ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢْ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮَ [ আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) ছাহাবায়ে কেরাম নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে থাকলে কেউ রোযা রাখতেন কেউ রোযা ভঙ্গ করতেন। কোন রোযা ভঙ্গকারী অপর রোযাদারকে দোষারোপ করতেন না, রোযাদারও রোযা ভঙ্গকারীকে দোষারোপ করতেন না। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও সফর অবস্থায় রোযা রেখেছেন। আবু দারদা (রাঃ) বলেন, একদা রামাযান মাসে কঠিন গরমের সময় আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে ছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবদুল্লাহ্ বিন রাওয়াহা ছাড়া আর কেউ রোযা রাখে নি।[12] মুসাফিরের জন্য মূলনীতি হচ্ছে, সে রোয...

দুগ্ধদানকারী মহিলার রোযা রাখার হুকুম কী?

Image
সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী কি রোযা ভঙ্গ করতে পারবে? ভঙ্গ করলে কিভাবে কাযা আদায় করবে? নাকি রোযার বিনিময়ে খাদ্য দান করবে? উত্তরঃ দুগ্ধদানকারীনী রোযা রাখার কারণে যদি সন্তানের জীবনের আশংকা করে অর্থাৎ রোযা রাখলে স্তনে দুধ কমে যাবে ফলে শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে মায়ের রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। কিন্তু পরবর্তীতে তার কাযা আদায় করে নিবে। কেননা এ অবস্থায় সে অসুস্থ ব্যক্তির অনুরূপ। যার সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, ] ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺮِﻳﻀًﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ [ আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) অতএব রোযা রাখার ব্যাপারে যখনই বাধা দূর হবে তখনই কাযা আদায় করবে। চাই তা শীতকালে অপেক্ষাকৃত ছোট দিনে হোক অথবা সম্ভব না হলে পরবর্তী বছর হোক। কিন্তু ফিদ্ইয়া স্বরপ মিসকীন খাওয়ানো জায়েয হবে না। তবে ওযর যদি চলমান থাকে অর্থাৎ সার্বক্ষণিক রোযা রাখায় বাধা দেখা যায় যা বাধা দূর হওয়ার সম্ভবনা না থাকে, তখন প্রতিটি রোযার বদলে একজন করে মিসকীনকে খাওয়াবে।

রোযা ভঙ্গের কারণ সমুহ, জানা জরুরি

Image
ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয় কি কি? উত্তরঃ ছিয়াম ভঙ্গকারী বিষয়গুলো হচ্ছে নিম্নরূপঃ ক) স্ত্রী সহবাস। খ) খাদ্য গ্রহণ। গ) পানীয় গ্রহণ। ঘ) উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত করা। ঙ) খানা-পিনার অন্তর্ভূক্ত এমন কিছু গ্রহণ করা। যেমন সেলাইন ইত্যাদি। চ) ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা। ছ) শিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত বের করা। জ) হায়েয বা নেফাসের রক্ত প্রবাহিত হওয়া। উল্লেখিত বিষয়গুলোর দলীল নিম্নরূপঃ সহবাস ও খান-পিনা সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, ] ﻓَﺎﻵﻥَ ﺑَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﻭَﺍﺑْﺘَﻐُﻮﺍ ﻣَﺎ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻜُﻢْ ﻭَﻛُﻠُﻮﺍ ﻭَﺍﺷْﺮَﺑُﻮﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﺒَﻴَّﻦَ ﻟَﻜُﻢْ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺨَﻴْﻂِ ﺍﻟْﺄَﺳْﻮَﺩِ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ﺛُﻢَّ ﺃَﺗِﻤُّﻮﺍ ﺍﻟﺼِّﻴَﺎﻡَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ [ অতএব এক্ষণে তোমরা (রোযার রাত্রেও) তাদের সাথে সহবাস করতে পার এবং আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যা লিপিবদ্ধ করেছেন তা অনুসন্ধান কর। এবং প্রত্যুষে (রাতের) কাল রেখা হতে (ফজরের) সাদা রেখা প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত তোমরা খাও ও পান কর; অতঃপর রাত্রি সমাগম পর্যন্ত তোমরা রোযা পূর্ণ কর।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৭) উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত রোযা ভঙ্গের কারণ। দলীল, হাদীছে কুদসীতে আল্লাহ্ তা’আলা রোযাদারের উদ্দেশ্যে...

রোযার গুরুত্ব পুর্ণ কয়েকটি মাসআলা , অবশ্যই জানা দরকার

Image
প্রশ্নঃ (৪২০) রোযাদার হস্ত মৈথুন করলে কি রোযা ভঙ্গ হবে? তাকে কি কোন কাফ্ফারা দিতে হবে? উত্তরঃ রোযাদার হস্ত মৈথুন করে যদি বীর্যপাত করে তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। দিনের বাকী অংশ তাকে ছিয়াম অবস্থায় কাটাতে হবে। এ অপরাধের জন্য আল্লাহ্র কাছে তওবা করতে হবে এবং উক্ত দিনের রোযা কাযা আদায় করতে হবে। কিন্তু কাফ্ফারা আবশ্যক হবে না। কেননা কাফ্ফারা শুধুমাত্র সহবাসের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করলে আবশ্যক হবে। প্রশ্নঃ (৪২১) রোযাদারের জন্য আতর- সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়ার বিধান কি? উত্তরঃ রোযাদারের আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়াতে কোন অসুবিধা নেই। চাই তৈল জাতীয় হোক বা ধোঁয়া জাতীয়। তবে ধোঁয়ার সুঘ্রাণ নাকের কাছে নিয়ে শুঁকবে না। কেননা এতে একজাতীয় পদার্থ আছে যা পেট পর্যন্ত পৌঁছায়, তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন পানি বা তদানুরূপ বস্তু। কিন্তু সাধারণ ভাবে তার সুঘ্রাণ নাকে ঢুকলে কোন অসুবিধা নেই। প্রশ্নঃ (৪২২) নাকে ধোঁয়া টানা এবং চোখে বা নাকে ড্রপ দেয়ার মধ্যে পার্থক্য কি? উত্তরঃ উভয়ের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, নাকে ভাপের ধোঁয়া টানা নিজ ইচ্ছায় হয়ে থাকে। যাতে করে ধোঁয়ার কিছু অংশ পেটে প্রবেশ করে, তাই এতে রোযা ভঙ্গ হয়ে ...