দুগ্ধদানকারী মহিলার রোযা রাখার হুকুম কী?

সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী কি
রোযা ভঙ্গ করতে পারবে? আদর্শ স্ত্রীভঙ্গ করলে
কিভাবে কাযা আদায় করবে? নাকি রোযার
বিনিময়ে খাদ্য দান করবে?
উত্তরঃ দুগ্ধদানকারীনী রোযা রাখার
কারণে যদি সন্তানের জীবনের আশংকা
করে অর্থাৎ রোযা রাখলে স্তনে দুধ কমে
যাবে ফলে শিশু ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তবে
মায়ের রোযা ভঙ্গ করা জায়েয। কিন্তু
পরবর্তীতে তার কাযা আদায় করে নিবে।
কেননা এ অবস্থায় সে অসুস্থ ব্যক্তির অনুরূপ।
যার সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন,
] ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺮِﻳﻀًﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ [
আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায়
থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে
নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫)
অতএব রোযা রাখার ব্যাপারে যখনই বাধা
দূর হবে তখনই কাযা আদায় করবে। চাই তা
শীতকালে অপেক্ষাকৃত ছোট দিনে হোক
অথবা সম্ভব না হলে পরবর্তী বছর হোক।
কিন্তু ফিদ্ইয়া স্বরপ মিসকীন খাওয়ানো
জায়েয হবে না। তবে ওযর যদি চলমান থাকে
অর্থাৎ সার্বক্ষণিক রোযা রাখায় বাধা
দেখা যায় যা বাধা দূর হওয়ার সম্ভবনা না
থাকে, তখন প্রতিটি রোযার বদলে একজন
করে মিসকীনকে খাওয়াবে।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়