আধুনিক যাতায়াত ব্যবস্থা মুসাফিরের রোযা রাখার বিধান

ব্যবস্থা উন্নত ও আরাম দায়ক হওয়ার কারণে
সফর অবস্থায় রোযা রাখা মুসাফিরের জন্য
কষ্টকর নয়। এ অবস্থায় রোযা রাখার বিধান
কি?
উত্তরঃ মুসাফির রোযা রাখা ও ভঙ্গ করার
ব্যাপারে ইচ্ছাধীন। আল্লাহ্ বলেন,
] ﻭَﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺮِﻳﻀًﺎ ﺃَﻭْ ﻋَﻠَﻰ ﺳَﻔَﺮٍ ﻓَﻌِﺪَّﺓٌ ﻣِﻦْ ﺃَﻳَّﺎﻡٍ ﺃُﺧَﺮَ ﻳُﺮِﻳﺪُ
ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺑِﻜُﻢْ ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺑِﻜُﻢْ ﺍﻟْﻌُﺴْﺮَ [
আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায়
থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে
নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) ছাহাবায়ে
কেরাম নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম)এর সাথে সফরে থাকলে কেউ
রোযা রাখতেন কেউ রোযা ভঙ্গ করতেন।
কোন রোযা ভঙ্গকারী অপর রোযাদারকে
দোষারোপ করতেন না, রোযাদারও রোযা
ভঙ্গকারীকে দোষারোপ করতেন না। নবী
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও সফর
অবস্থায় রোযা রেখেছেন। আবু দারদা
(রাঃ) বলেন, একদা রামাযান মাসে কঠিন
গরমের সময় আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে
ছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্
(ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও
আবদুল্লাহ্ বিন রাওয়াহা ছাড়া আর কেউ
রোযা রাখে নি।[12]
মুসাফিরের জন্য মূলনীতি হচ্ছে, সে রোযা
রাখা ও ভঙ্গ করার ব্যাপারে ইচ্ছাধীন।
কিন্তু কষ্ট না হলে রোযা রাখাই উত্তম।
কেননা এতে তিনটি উপকারীতা রয়েছেঃ
প্রথমতঃ রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম)এর অনুসরণ।
দ্বিতীয়তঃ রোযা রাখতে সহজতা। কেননা
সমস্ত মানুষ যখন রোযা রাখে তখন সবার
সাথে রোযা রাখা অনেক সহজ।
তৃতীয়তঃ দ্রুত নিজেকে যিম্মামুক্ত করা।
কিন্তু কষ্টকর হলে রোযা রাখবে না। এ
অবস্থায় রোযা রাখা পূণ্যেরও কাজ নয়।
কেননা এক সফরে নবী (ছাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন জনৈক
ব্যক্তির পাশে লোকজন ভীড় করছে এবং
তাকে ছাঁয়া দিচ্ছে। তিনি বললেন, এর কি
হয়েছে? তারা বলল, লোকটি রোযাদার। তখন
তিনি বললেন, ﻟَﻴْﺲَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒِﺮِّ ﺍﻟﺼَّﻮْﻡُ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻔَﺮِ সফর
অবস্থায় ছিয়াম পালন করা কোন পূণ্যের
কাজ নয়।[13]
এভিত্তিতে আমরা বলব, বর্তমান যুগে
সাধারণতঃ সফরে তেমন কোন কষ্ট হয় না।
তাই ছিয়াম পালন করাই উত্তম।
মুসাফির মক্কায় পৌঁছে রোযা ছেড়ে দিয়ে
প্রশান্তির সাথে ওমরা করতে পারে।
Comments
Post a Comment