Posts

Showing posts from September, 2014

কুরবানীর পদ্ধতি ও দোয়া ৮

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার . (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানী করার পদ্ধতি ও দুআ : কুরবানী করার পুর্বে উট ছাড়া অন্যান্য জীবকে নিম্মলিখিতভাবে কুরবানী করতে হবে। (ক) ক্বেবলামুখী করে শোয়াতে হবে। (খ) ছুরী খুব ভালকরে ধার দিতে হবে, যেন জবেহ করতে সলাস্যা না হয়। পশু কষ্ট পায়! (গ) যথাসম্ভব নিজে জবেহ করতে হবে। নিজে জবেহ করা সম্ভব নাহলে কুরবানীর সময় নিকট থাকতে হবে। (ঘ) জবেহ করার সময় নির্মোক্ত দুআ পড়তে হবে। ﻭﺟﻬﺖ ﻭﺟﻬﻲ ﻟﻠﺬﻱ ﻓﻄﺮ ﺍﻟﺴﻤﻮﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﺣﻨﻴﻔﺎﻭﻣﺎﺍﻧﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﺍﻥ ﺻﻠﻮﺗﻲ ﻭﻧﺴﻜﻲ ﻭﻣﺤﻴﺎﻱ ﻭﻣﻤﺎﺗﻲ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ ﻻﺷﺮﻳﻚ ﻟﻪ ﻭﺑﺬﺍﻟﻚ ﺍﻣﺮﺕ ﻭﺍﻧﺎﺍﻭﻝ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ (ঙ) "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার "বলে জবেহ করতে হবে! (চ) জবেহ করার পর নির্মোক্ত দুআ পড়তে হবে। ﺍﻟﻬﻢ ﺗﻘﺒﻠﻪ ﻣﻨﻲ ﻛﻤﺎ ﺗﻘﺒﻠﺖ ﻣﻦ ﺣﺒﻴﺒﻚ ﻣﺤﻤﺪ ﻭﺧﻠﻴﻠﻚ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻋﻠﻴﻬﻤﺎ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ (চলবে)

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৭

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর ফাজীলাত : (ক) ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﻋﻤﻞ ﺍﺩﻣﻲ ﻣﻦ ﻋﻤﻞ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻨﺤﺮ ﺍﺣﺐ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻫﺮﺍﻕ ﺍﻟﺪﻡ ﻭﺍﻧﻪ ﻟﺘﺎﺗﻲ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﺑﻘﺮﻭﻧﻬﺎ ﻭﺍﺷﻌﺎﺭﻫﺎﻭﺍﻇﻼﻓﻪﺍﻭﺍﻥ ﺍﻟﺪﻡ ﻟﻴﻘﻊ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻤﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﻘﻊ ﻣﻦ ﺍﻻﺭﺽ ﻓﻄﻴﺒﻮﺍ ﺑﻬﺎ ﻧﻔﺴﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﺍﺑﻦ থ্রঅﻣﺎﺟﺔ আইশা সিদ্দীকা (রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, * করবানীর দিন (১০ই জিলহাজ্জ) করবানীর রক্ত প্রবাহিত করার চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রিয় কোন আমল আদম সন্তান করেনা। *আর করবানীর পশু কিয়ামতের দিন তার শিং, চুল ও খুর সহ উপস্থিত হবে। * আর কুরবানীর রক্ত মাটিতে পড়ার পুর্বে আল্লাহর কাছে কবুল হয়। অতএব তোমরা আনন্দ ও আন্তরিকতা নিয়ে কুরবানী কর। (জামি তিরমিজী ও সুনানে ইবনে মাজাহ) ﻋﻦ ﺯﻳﺪ ﺑﻦ ﺍﺭﻗﻢ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺍﺻﺤﺎﺏ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎﻫﺬﻩ ﺍﻻﺿﺎﺣﻲ؟ ﻗﺎﻝ ﺳﻨﺔﺍﺑﻴﻜﻢ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻗﺎﻟﻮﺍﻓﻤﺎﻟﻨﺎﻓﻴﻬﺎ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﺑﻜﻞ ﺷﻌﺮﺓ ﺣﺴﻨﺔﻗﺎﻟﻮﺍ ﻓﺎﻟﺼﻮﻑ؟ ﻗﺎﻝ ﺑﻜﻞ ﺷﻌﺮﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻮﻑ ﺣﺴﻨﺔﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ﻭﺍﺣﻤﺪ যাইদ বিন আরকাম (রাঃ) থেকে বর্নিত! তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীগন (রাঃ) জিঙ্গাসা করেন, হে আল্লাহর রাসু...

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৬

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) পুর্বোক্ত সুরা আসসাফফাতের ১০২ থেকে ১০৭ আয়াত পর্যন্ত কয়েকটি শিক্ষা পাওয়া যায়, যা সংক্ষিপ্তভাবে পেশ করা হল। (ক) নাবীরাসুলগনের (আঃ) স্বপ্ন ওহী এবং সত্য। হযরত ইবরাহীম (আঃ)সন্তানকে যবেহ করতে দেখার স্বপ্ন আল্লাহর ওহী বলে ইবরাহীম (আঃ) এবং হযরত ইসমাইল (আঃ) উভয়ই মনে করেন। (খ) আল্লাহর নির্দেশ পালনকে সহজ করার জন্য কিশোর বয়সের পুত্রের সাথে পরামর্শ করেন। এবং বলেন, আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ব্যাপারে তোমার অভিমত কি? (গ) হযরত ইসমাইল (আঃ) নিজের অভিমত ব্যাক্ত করেন, এ স্বপ্ন মুলত আল্লাহর নির্দেশ, অতএব, হে পিতা, আপনি আল্লাহর নির্দেশ পালন করুন। (ঘ) ভবিষ্যতে ঘটবে এমন কাজের ক্ষেত্রে "আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন "মুমিনের বলা উচিৎ। তাই ইসমাইল (আঃ) বলেন, আল্লাহ ইচ্ছা করলে, অচিরেই আপনি আমাকে ধৈয্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। (ঙ) তিনি একথা বলেন নি যে, আপনি আমাকে ধৈয্যশীল পাবেন। বরং বলেন, আপনি আমাকে ধৈয্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। একথা অহংকারমুক্ত বিনয়ী কথা। ধৈয্যশীল একা তিনি নন। অনেক ধৈয্যশীল আছেন, তিনি তাদের একজন। (চ) তিনি পুত্রকে কাত করে শোয়া...

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৫

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) হাদীসে বর্নিত হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাহ কি? সমস্ত ভালবাসার উপর আল্লাহর ভালবাসার প্রাধান্য দেওয়াই হলো ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাহ। আল্লাহর জন্য সবচেয়ে প্রিয় ও অধিক ভালবাসার ব্যাক্তি ও বস্তু উৎসর্গ করাই হলো হযরত ইবরাহীম (আঃ) এর সুন্নাহ। এটাই ইসলামের মুলনিয়ম। এজন্যই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ﺛﻼﺙ ﻣﻦ ﻛﻦ ﻓﻴﻪ ﻭﺟﺪ ﺣﻼﻭﺓ ﺍﻻﻳﻤﺎﻥ ﺍﻥ ﻳﻜﻮﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ﺍﺣﺐ ﺍﻟﻴﻪ ﻣﻤﺎ ﺳﻮﺍﻫﻤﺎ ﻭﺍﻥ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻤﺮﺃ ﻻﻳﺤﺒﻪ ﺍﻻ ﻟﻠﻪ ﻭﺍﻥ ﻳﻜﺮﻩ ﺍﻥ ﻳﻌﻮﺩ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻔﺮ ﺑﻌﺪ ﺍﻥ ﺍﻧﻘﺬﻩ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﻤﺎ ﻳﻜﺮﻩ ﺍﻥ ﺑﻘﺬﻑ ﻓﻲ ﺍﻟﻨﺎﺭ অর্থ তিনটি গুন যার মধ্যে থাকবে, সে ঈমানের স্বাদ অনুভব করবে। (১) আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অন্যান্যদের চেয়ে তার কাছে অধিক প্রিয় হওয়া। (২)কাউকে ভালবাসবে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ছাড়া অন্য উদ্দেশ্যে ভালবাসবে না। এবং (৩)আল্লাহ কুফরী থেকে বাচানোর পর কুফরীত ফিরে যাওয়াকে এমনভাবে অপছন্দ করা যেমন আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপছন্দ করা হয়। (সহীহ আল বুখারী) হাদীস থেকে জানা যায়, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে সর্বাধিক ভালবাসা ঈমানের স্বাদ অনুভব করার কারন। আল্লাহ, তাঁর রাসুল ও আল্লাহর পথে জিহাদের চেয়ে অন্য ...

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৪

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর ইতিহাস মানব ইতিহাসের মত প্রাচীন। অবশ্য কুরবানীর ধরন ছিল বিভিন্ন। কুরবানীর প্রথম ইতিহাস হযরত আদম(আঃ)ও হাওয়া (আঃ)এর পুত্রদ্বয় হাবীল ও কাবীলের কুরবানী। হাবীলের কুরবানী খোদাভীতির ভিত্তিতে হওয়ায় আল্লাহ কবুল করেন। পক্ষান্তরে কাবীলের কুরবানী ইখলাস ও খোদাভীতি মুলক না হওয়ায় আল্লাহ কবুল করেননি। কুরবানী কবুল হওয়ার চিহ্ন ছিল আসমান থেকে আগুন এসে যার কুরবানী ভষ্যিভুত করত, বিশ্বাস করা হতো, তার কুরবানী কবুল হয়েছে, যার কুরবানী ভশ্মীভুত করত না, বিশ্বাস করা হতো তার কুরবানী কবুল হয়নি। এ ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ﻭﺍﺗﻞ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻧﺒﺄ ﺍﺑﻨﻲ ﺍﺩﻡ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﺍﺫ ﻗﺮﺑﺎ ﻗﺮﺑﺎﻧﺎ ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﻻﺧﺮ ﻗﺎﻝ ﻻﻗﺘﻠﻨﻚ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﻘﻴﻦ অর্থ আর তুমি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনাও।যখন তারা উভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহিত হয়েছিল এবং অপর জনের গৃহিত হয়নি! সে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বলল, নিশ্চয় আল্লাহ আল্লাহভীরুদের নিকট থেকে কবুল করেন। (সুরা আল মাইদাহ, আয়াত নং ২৭) কুরবা...

হস্তমৈথুন করলে কী কী ক্ষতি হয়? ও সামাধানের উপায় কী?

Image
হস্তমৈথুন করলে কী কী ক্ষতি হয়? ও সামাধানের উপায় কী? নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন করলে কি সমস্যা হয়? ১) পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায়এবং শরীর রোগ-বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায়। ২)চোখের ক্ষতি হয়. ৩) স্মরণশক্তি কমে যায়। ৪) মাথা ব্যথা হয়। ৫) আর উভয়েরই সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয়. ফলে অনেক মুসলিম ভাই- বোনেরা নামাজ পড়তে পারেন না । ইত্যাদি আরো অনেক অজানা সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে । → বাঁচার উপায়ঃ (ছেলে,মেয়ে উভয়ের জন্য) ১। নামাযের পর সুরা তওবার শেষ দুই আয়াত পড়ে গায়ে ফুঁক দিবে প্রতিদিন।এটা পরীক্ষীত... ২. কোন কারণে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত দ্বারা স্পর্শ করবেন না । ৩.অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাবেন না এবং খারাপ কিংবা অশ্লীল ছবি দেখবেন না । ৪. ফেচবুকে বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু দেখলে নিজেকে বিরত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন । ৫। সর্বদা আল্লার প্রতি ভয় রাখবেন । ৬. যেহেতু এটি হারাম তাই আপনার ইচ্ছা শক্তি দৃঢ় রাখবেন,তাহলেই হারাম থেকে বাচতে আল্লাহও সাহায্য করবেন । এই প্রশ্নটি হয়তো অনেকে মনে ছিলো কিন্তু লজ্জায় কারো কাছ থেকে জানতে পারতেন না । [ধন্যবাদ ] বিশেষ করে এটা...

পাশ্চাত্য গনতন্ত্র এবং ইসলামী গনতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য.

পাশ্চাত্য গনতন্ত্র এবং ইসলামী গনতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য. মুহাদ্দিস রবিউল বাশার পাশ্চাত্য গনতন্ত্রের সংগা : (১)জনগনের সরকার, জনগনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন রচনার ক্ষমতা জনগনের, ইসলাম বিরুধী আইন রচনার ক্ষমতা জনগনের, (২)সরকার জনগন দ্বারা নির্বাচিত। অধিকাংশ জনগন দ্বারা নির্বাচিত সরকার। (৩)জনগনের জন্য সরকার, যে সরকার জনগনের কল্যানের জন্য কাজ করবে, তারা গনতন্ত্রিক সরকার। ইসলমী গনতন্ত্রের সাথে সংঘর্ষ কোথায়? *** ১ম অংশের সাথে সংঘর্ষ। ইসলামে জনগনের সার্বভৌমত্ব নয়। আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, জনগনের প্রতিনিধিত্ব। আল্লাহর আইনের অধীন ইজতিহাদী বা কিয়াসী আইন রচনা করতে পারবে। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) আইন বিরুধী কোন আইন রচনার অধিকার ইসলামে নেই। *** ২য় বিষয়ের সাথে আংশিক সংঘর্ষ আছে। মুসলিম এবং অমুসলিম পৃথক নির্বাচনী ব্যাবস্থা থাকতে হবে। মুসলিম মুসলিমকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করবে এবং অমুসলিম অমুসলিমকে সংসদ সদস্য নির্বাচন করবে। ১০ শতাংশ অমুসলিম এলাকায় ৩০০ আসনে অমুসলিমদের ৩০ টি আসন সুনিদ্দিষ্ট থাকবে। *** ৩য় বিষয়টির সাথে ইসলামের সংঘর্ষ নেই। সরকার জনগনের কল্যানে কাজ করবে।

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৪

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার. (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) কুরবানীর ইতিহাস মানব ইতিহাসের মত প্রাচীন। অবশ্য কুরবানীর ধরন ছিল বিভিন্ন। কুরবানীর প্রথম ইতিহাস হযরত আদম(আঃ)ও হাওয়া (আঃ)এর পুত্রদ্বয় হাবীল ও কাবীলের কুরবানী। হাবীলের কুরবানী খোদাভীতির ভিত্তিতে হওয়ায় আল্লাহ কবুল করেন। পক্ষান্তরে কাবীলের কুরবানী ইখলাস ও খোদাভীতি মুলক না হওয়ায় আল্লাহ কবুল করেননি। কুরবানী কবুল হওয়ার চিহ্ন ছিল আসমান থেকে আগুন এসে যার কুরবানী ভষ্যিভুত করত, বিশ্বাস করা হতো, তার কুরবানী কবুল হয়েছে, যার কুরবানী ভশ্মীভুত করত না, বিশ্বাস করা হতো তার কুরবানী কবুল হয়নি। এ ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ﻭﺍﺗﻞ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﻧﺒﺄ ﺍﺑﻨﻲ ﺍﺩﻡ ﺑﺎﻟﺤﻖ ﺍﺫ ﻗﺮﺑﺎ ﻗﺮﺑﺎﻧﺎ ﻓﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﺣﺪﻫﻤﺎ ﻭﻟﻢ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﻣﻦ ﺍﻻﺧﺮ ﻗﺎﻝ ﻻﻗﺘﻠﻨﻚ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎ ﻳﺘﻘﺒﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺘﻘﻴﻦ অর্থ আর তুমি তাদেরকে আদমের দুই পুত্রের বাস্তব অবস্থা পাঠ করে শুনাও।যখন তারা উভয়েই কিছু উৎসর্গ নিবেদন করেছিল, তখন তাদের একজনের উৎসর্গ গৃহিত হয়েছিল এবং অপর জনের গৃহিত হয়নি! সে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বলল, নিশ্চয় আল্লাহ আল্লাহভীরুদের নিকট থেকে কবুল করেন। (সুরা আল মাইদাহ, আয়াত নং ২৭) কুরবা...

মানুষ সৃষ্টির রহস্য ১

মানুষ সৃষ্টির রহস্য মোঃ জুলফিকার রহমান আল্লাহ পাক সূরা রহমানের ভিতরে উল্লেখ করেনঃ আমি মানুষ কে কাদামাটি থেকে সৃষ্টি করেছি! আবার ফের আমরা মাটিতে মিশে যাবl আধুনিক বিজ্ঞানিদের মতে মানুষ প্রকৃতির সৃষ্টি! মানুষ যদি প্রকৃতির সৃষ্টি হয় তাহলে প্রকৃতি কিসের সৃষ্টি? কি আপনি থেকে? না ইহার পিছনে অন্য কোন শক্তি আছে! আপনি পুরুষ আপনি একটা সন্তান জন্ম দিন. কি সম্ভব না? ঠিক প্রকৃতি ও মানুষ নিজ হতে কিছুই করতে পারে না. এই বিরাট রহস্যের পিছনে লুকিয়ে আছে একজন রবের শক্তি. কর তিনি হলেন আল্লাহ তায়ালা. আপনি চিন্তা করুন আপনার পিতা,পিতার পিতা, তার পিতা এভাবে আপনি বুঝতে পারবেন আমরা সকালে একজন পিতা মাতা হতে সৃষ্টি হয়েছি আর তানারা হলেন হযরত আদম আঃ ও মাতা হাওয়া আঃ.(চলবে)

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৩

Image
ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) সুরা আল কাওসারে বিপুল নেয়ামাত দেওয়ার উল্লেখ করেছেন। নাহরে কাওসার ও হাওদ্বে কাওসার সহ অগনিত নেয়ামাত আল্লাহ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ﻭﺍﻥ ﺗﻌﺪﻭﺍ ﻧﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻻﺗﺤﺼﻮﻫﺎ অর্থ আর যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামাত গননা করো, তাহলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না। (সুরা ইবরাহীম) এই নেয়ামাতের শুকরিয়া স্বরুপ নামাজ ও নাহর করার নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক তাফসীরকার নামাজ অর্থ ঈদের নামাজ এবং নাহরের অর্থ কুরবানী বলেছেন। এদুটি দায়িত্ব পালন করে গেলে বিরুধী শক্তির সুনাম করার মত লোক থাকবে না। ঈদের নামাজ ঈমানের পর গুরুত্বপুর্ন দৈহিক ইবাদাত। অন্যান্য সকল ইবাদাতের মুল। এই নামাজ পৃথক পৃথক একা একা পড়ে আনন্দ ও খুশী হওয়া হয় না। বরং জামায়াতে আদায় করতে হয় কেন? ইমাম নিয়োগ করতে হয় কেন? ইমাম ইচ্ছামত ইসলামের নিয়মের বিপরিত পদ্ধতিতে নামাজ পড়ালে মুকতাদীরা কি করবে? মেনে নেবে, না ভুল ধরে দেবে? ভুল ধরার পর ইমাম সাহেব ভুল শুধরে না নিলে কি করতে হবে? ইমামের যোগ্যতা কি কি থাকতে হবে? ইত্যাদির মাধ্যমে সমাজে ইমাম বা নেতা সম্পর্কে করনীয় কি? আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ﻳﺆﻡ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﺍﻗﺮﺃﻫﻢ ﻟﻜﺘﺎﺏ ...

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ২

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী মুহাদ্দিস রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻟﻬﻢ ﻳﻮﻣﺎﻥ ﻳﻠﻌﺒﺎﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻘﺎﻝ ﻣﺎ ﻫﺬﺍﻥ ﺍﻟﻴﻮﻣﺎﻥ؟ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻛﻨﺎ ﻧﻠﻌﺐ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺑﺪﻟﻜﻢ ﺑﻬﻤﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻻﺿﺤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। প্রিয় নাবী (সাঃ) পবিত্র মাদীনা আল মুনাওওরায় আগমন করলেন। সে সময় মাদীনাবাসীদের জন্য দুটি দিন ধায্য ছিল, তারা ঐ দুটি দিন খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতো। প্রিয় নাবী (সাঃ) জিঙ্গাসা করলেন, এ দুটি দিনের ব্যাখ্যা কি? জবাবে তারা বললেন, আমরা জাহিলী যুগে এই দুটি দিনে খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতাম। প্রিয় নাবী (সাঃ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা এই দুই দিনের পরিবর্তে দুটি দিন দিয়েছেন, সেই দুটি দিন এই দুটি দিনের চেয়ে অনেক উত্তম, ঈদুল আদ্বহা এবং ঈদুল ফিতর! (আবু দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিজী) মুসলিম জাতি জাতীয়ভাবে আনন্দ ও খুশী প্রকাশ করে ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিতরে। অন্যান্য জাতির লোকেরা তাদের জাতীয় আনন্দের দিনে নাচ - গান, খেলা -ধুলা, মদ -গাজা, অশ্লীল ছায়া - ছবি, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের আনন্...

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ভুমিকা : ঈদ অর্থ খুশী ও আনন্দ। খুশী ও আনন্দ আপেক্ষিক বিষয়। কেহ আনন্দ পায় খেলাধুলা করে, কেহ আনন্দ পায় গান -বাজনা করে, কেহ আনন্দ পায় মদ -গাজা খেয়ে, কেহ আনন্দ পায় অশ্লীল ছায়া ছবি ও সিনেমা দেখে, কেহ আনন্দ পায় ইবাদাত -বন্দেগী করে, কেহ আনন্দ পায় বইপত্র পড়াশুনা করে। এ আনন্দ ব্যাক্তিগত পর্যায়ে, বিশেষ বিশেষ পর্যায়ে বিভিন্ন জাতির লোকেরা সামষ্টিক আনন্দ প্রকাশ করে। স্বাধীনতা দিবসে, বিজয় দিবসে ইত্যাদি।এসব দিবসে বৈধ -অবৈধ বাদ বিচার না বিভিন্ন পদ্ধতিতে আনন্দ প্রকাশ করা হয়ে থাকে। ইসলাম বৎসরে দুটি দিন নির্ধারন করেছে, যে দুটি দিনে সামষ্টিক ও জাতীয়ভাবে ঈদ - খুশী -আনন্দ প্রকাশ করা হয়! রাসুলুল্লাহ (সাঃ )যখন পবিত্র মাক্কা হিজরাত করে মাদীনায় চলে আসেন ! তখন দেখতে পান ,মাদীনা বাসিরা দুটি দিন নির্ধারন করে রেখেছে ,ঐ দুইদিন খেলাধুলা ও গানবাজনা করে আনন্দ ফুর্তি করতো ! আল্লাহর রাসুল(সাঃ)বললেন ,আল্লাহ তায়ালা তোমাদের এই দুই দিনের পরিবর্তে অন্য দুইদিন ঈদ উৎযাপন করার জন্য দিয়েছেন !সেই দুটি দিন হলো (1)ঈদুল ফিতর ও (2)ঈদুল আদ্বহা। ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻤﺪﻳ...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ৮

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (6)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার ষষ্টম শর্ত হলো আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। মানুষ যখন নিজের দুর্বলতা ও অক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, তখন মহান ক্ষমতাবান আল্লাহর কাছে দুআ ও প্রার্থনা করে, আল্লাহ দুআর শর্ত পুরন হলে তা কবুল করেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻣﺦ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺍﺕ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ অর্থ দুআ ও প্রার্থনা করা ইবাদাতের মুল। (জামি তিরমিজী) মুমিন ব্যাক্তি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া দ্বীন বিজয়ী করা সম্ভব নয় তাই দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করা উচিৎ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বদর প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে তাঁর জন্য তৈরী করা শামিয়ানার মধ্যে রাত জেগে ইবাদাত বন্দেগী করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুআ করতে থাকেন। প্রার্থনা করেন, ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻥ ﺗﻬﻠﻚ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻌﺼﺎﺑﺔ ﻻﺗﻌﺒﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻨﺼﺮﻙ ﺍﻟﺬﻱ ﻭﻋﺪﺗﻪ অর্থ হে আল্লাহ , তুমি যদি এই (মুসলিম) দলকে (যারা তিন শতের কিছু উর্ধে, যাদের বাহন কম এবং যুদ্ধাস্ত্রও কম, কাফির ও মুশরিকদের মাধ্যমে )ধ্বংস করে দাও,তবে পৃথিবীতে তোমার ইবাদাত হবে না। অতএব তো...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ১২

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দশম হলো শর্ত খালিচভাবে আল্লাহ মুখী হওয়া। বিশ্বের মালিকানা ও সার্বভৌমক্ষমতা আল্লাহর। তাৃরই সৃষ্টি ও গোলাম মানুষ। তাঁরই নির্দেশ ও বিধান পালন করবে মানুষ খালিচভাবে একমাত্র তাঁরই সন্তুষ্টি কামনায়। তাঁরই জন্য সবকিছু করলে তাঁর সাহায্য পাওয়া যায়। আল্লাহ বলেন, ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻊ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﺗﻘﻮﺍ ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﻣﺤﺴﻨﻮﻥ ﻫﻢ অর্থ নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সাথে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে চলেছে এবং উত্তমকর্মসম্পাদনকারী। (সুরা আল নাহল, শেষ আয়াত) আল্লাহ আরো বলেন, ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺤﺐ ﺍﻟﻤﺤﺴﻨﺒﻦ অর্থ নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন। (সুরা আল বাকারা) আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ইহসান হলো তুমি এমনভাবে ইবাদাত করো যেন তুমি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ। আর যদি তুমি ঐ ভাব সৃষ্টি না করতে পার, তাহলে তুমি এই বিশ্বাস করবে যে, তিনি তোমাকে দেখতে পাচ্ছেন। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) একব্যাক্তি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে জিঙ্গাসা করে, কোন ব্যাক্তি ইসলামের বিজয়ের চেষ্টা কর। তার উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি ও স্মৃতি রেখে যাওয়া! কোন সাওয়াব পাবে কিন? তিনি বলেন, কোন পারিশ...

সাবধান এগুলো ক্ষতিকর

পুরুষদের জন্য ক্ষতিকর কয়েকটি জিনিস। এইগুলো থেকে সাবধানঃ ১. বেদাতী হুজুর, পীর ফকিরঃ এইগুলোর পাল্লায় পড়ে আপনার ঈমান নষ্ট হয়ে ইহকাল ও পরকাল সবই হারাতে পারেন। নিকৃষ্ট এই দাজ্জাল গুলোই সবচাইতে বেশি ক্ষতিকর। ২. বেপর্দা, ফাহেশা মেয়ে মানুষঃ এরা আপনার অন্তরকে কলুষিত করে দেবে, চরিত্র নষ্ট করে দেবে। আপনাকে যেনা, ব্যাভিচারের দিকে আহবান করবে। আপনার সাজানো সংসার ছাড়খাড় করে দেবে। ৩. মাদকঃ নেশা আপনার বিবেক-বিবেচনা নষ্ট করে দিবে। পরিবার ও সমাজ ধ্বংস হয় মাদকের ছোবলে। মনে রাখবেনঃ সিগারেট থেকেই এর শুরু। ৪. দুনিয়ার ধোকাঃ সম্পদ ও দুনিয়া পাওয়ার ধান্দায় কত মানুষ যে দ্বীনকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়! ৫. হারাম টাকাঃ আপনার দ্বীনদারী, তাকওয়া, আল্লাহর রহমতের জন্য বড় একটা বাঁধা হলো হারাম উপার্জন। আল্লাহ আমাদের ও আমাদের পরিবারের জন্য দ্বীন ও দুনিয়ার, ইহকাল ও পরকালে নিরাপত্তা ও ক্ষমা দান করুন, আমিন।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ১১

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাদ্দিস রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (৯)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার নবম শর্ত আল্লাহ ভীতি সহকারে সমস্ত কাজ সম্পাদন করা! তাকওয়া ভিত্তিক সমস্ত কাজ করা। আল্লাহকে ভয় করে জীবন যাপন করা। আল্লাহর ভয় ইবলিসেরও আছে। ঐ ভয়ে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায় ন। বদর যুদ্ধের সময় ইবলিস সুরাকা বিন মালেকের আকৃতি ধারন করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে মুশরিক সৈন্যবাহিনীকে উৎসাহ জন্য বলে আমি কেনানা গোত্রের নেতা। এই গোত্রের পক্ষথেকে তোমাদের ভয় নেই। আমি তোমাদের প্রতিবেশী হিসাবে সাহায্য করবো, ক্ষতি করবো না। কুরাইশদের ভয় হচ্ছিল কেনানা গোত্রের পক্ষথেকে কুরাইশ গোত্র পুরুষশুন্য মনে করে আক্রমন করে কিনা? ইবলিশ তাদের ভয়মুক্ত করা এবং সাহস যোগাবার জন্য কেনানা গোত্রের নেতা সুরাকা বিন মালিকের আকৃতি ধারন করে সমমনা ও সহযোগী সাজে। ইবলিস মুশরিকদের সাহস যোগায়ে এবং ভয়মুক্ত করে বলে, আজ তোমাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। আর আমি তোমাদের প্রতিবেশী। মুমিন এবং মুশরিক দল যখন পরস্পর মুকাবালার সময় পরস্পরকে দেখে, তখন পিছন ফিরে পালাতে থাকে এবং মুশরিকসৈন্যবাহি নীকে বলতে থাকে, তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ৯

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়! মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (9-) (7)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার সপ্তম শর্ত হলো আল্লাহর সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা। আল্লাহ তায়ালা সাহায্যের ওয়াদা করেছেন, সেই সাহায্য পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা মুমিনের কাজ। সমাজে প্রচলিত একটা কথা আছে, ﺍﻻﻧﺘﻈﺎﺭ ﺍﺷﺪ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻮﺕ অর্থ অপেক্ষা করা মৃত্যু যন্ত্রনার চেয়েও কঠিন। পুর্ববর্তী রাসুল ও মুমিনগন কঠিন দৈহিক ও আর্থিকভাবে নির্যাতিত হয়েও আল্লাহর সাহায্য কখন আসবে? আর কত অপেক্ষা করতে হবে? প্রশ্ন তুলে তাঁদের আকুতি ও মিনতি পেশ করেছেন। আল্লাহ তায়ালা জবাবে বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর সাহায্য নিকটবর্তী সময়ে আসবে। এখনো অপেক্ষা করতে হবে। একথা উল্লেখ করে আল্লাহ বলেন, ﺍﻡ ﺣﺴﺒﺘﻢ ﺍﻥ ﺗﺪﺧﻠﻮﺍ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﻟﻤﺎ ﻳﺎﺗﻜﻢ ﻣﺜﻞ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺧﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﻗﺒﻠﻜﻢ ﻣﺴﺘﻬﻢ ﺍﻟﺒﺎﺳﺎﺀ ﻭﺍﻟﻀﺮﺍﺀ ﻭﺯﻟﺰﻟﻮﺍ ﺣﺘﻲ ﻳﻘﻮﻝ ﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﻭﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻣﻌﻪ ﻣﺘﻲ ﻧﺼﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻻ ﺍﻥ ﻧﺼﺮ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺮﻳﺐ অর্থ( 214)তোমাদের কি এই ধারনা যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা এখনো তোমাদের কাছে আসেনি, যারা তোমাদের পুর্বে অতীত হয়েছে। তাদের নিকট এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর তাদেরকে শিহরিত হতে হয়েছে। এমনকি রাসুল (সাঃ) এবং তাঁ...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায় ১০

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (১০) (৮)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার অষ্টম শর্ত আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করা। সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। কার্য সম্পাদন করা, সাহায্য করা, বিজয়ী করা ইত্যাদি সবকিছুর মালিক আল্লাহ্। তাঁর সাহায্য ও সহায়তা ছাড়া বিজয়ী লাভ করা এবং সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই আল্লাহর সাহায্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া মুমিনদের উচিৎ। আল্লাহ যখন দেখবেন বান্দাহ আমার সাহায্যের উপর নির্ভরশীল। অন্য সকল শক্তি থেকে মুখ ফুরিয়ে নিয়েছে এবং আমার দিকে মুখ নিবদ্ধ করে রেখেছে। নিজের শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা সাধনা করছে, তখন আল্লাহ সাহায্য করার জন্য অগ্রসর হন। আল্লাহ বলেন, ﺍﻥ ﻳﻨﺼﺮﻛﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻼﻏﺎﻟﺐ ﻟﻜﻢ ﻭﺍﻥ ﻳﺨﺬﻟﻜﻢ ﻓﻤﻦ ﺫﺍﺍﻟﺬﻱ ﻳﻨﺼﺮﻛﻢ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻩ ৮ ﻭﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻠﻴﺘﻮﻛﻞ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ অর্থ যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন, তাহলে কেউ তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না। আর যদি তিনি তোমাদের সাহায্য করা ত্যাগ করেন, তাহল এমন কে আছে যে, আল্লাহর পরে তোমাদের সাহায্য করবেন? আর আল্লাহর উপরেই মুমিনদের নির্ভর করা উচিৎ। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬০) আল্লাহর উপর ভরসা ও নির্ভর করে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য প...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (8) (6)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার ষষ্টম শর্ত হলো আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। মানুষ যখন নিজের দুর্বলতা ও অক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়, তখন মহান ক্ষমতাবান আল্লাহর কাছে দুআ ও প্রার্থনা করে, আল্লাহ দুআর শর্ত পুরন হলে তা কবুল করেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻣﺦ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺍﺕ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ অর্থ দুআ ও প্রার্থনা করা ইবাদাতের মুল। (জামি তিরমিজী) মুমিন ব্যাক্তি বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া দ্বীন বিজয়ী করা সম্ভব নয় তাই দ্বীনকে বিজয়ী করার চেষ্টার সাথে সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্যের প্রার্থনা করা উচিৎ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বদর প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে তাঁর জন্য তৈরী করা শামিয়ানার মধ্যে রাত জেগে ইবাদাত বন্দেগী করতে থাকেন এবং মহান আল্লাহর কাছে কাকুতি মিনতি করে দুআ করতে থাকেন। প্রার্থনা করেন, ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻥ ﺗﻬﻠﻚ ﻫﺬﻩ ﺍﻟﻌﺼﺎﺑﺔ ﻻﺗﻌﺒﺪ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻓﻨﺼﺮﻙ ﺍﻟﺬﻱ ﻭﻋﺪﺗﻪ অর্থ হে আল্লাহ , তুমি যদি এই (মুসলিম) দলকে (যারা তিন শতের কিছু উর্ধে, যাদের বাহন কম এবং যুদ্ধাস্ত্রও কম, কাফির ও মুশরিকদের মাধ্যমে )ধ্বংস করে দাও,তবে পৃথিবীতে তোমার ইবাদাত হবে না। অতএ...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়া উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়া উপায়। মুহাদ্দীস রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (6) (4)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার চতুর্থ শর্ত হলো আল্লাহর দ্বীন মেনে মাজলুম হওয়া। জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাঃ) এর আনুগত্য করতে যেয়ে এবং পরিপুর্ন দ্বীন মানতে যেয়ে জুলুমের শিকার হলে এক পর্যায়ে আল্লাহর সাহায্য পাওয়া যায়। যারা আল্লাহকে রব মেনে জীবনের সর্বক্ষেত্রে সে মুতাবিক জীবন যাপন করার চেষ্টার কারনে জুলুমের সম্মুখীন হয়, নির্যাতনের মুখোমুখী হয়, তাদের সাথে লড়াই শুরু করা হয়, দেশ থেকে বহিস্কারের ষড়যন্ত্র করা হয়, বহিস্কার করা হয়। তাদের অপরাধ হলো একমাত্র আল্লাহকে রব মেনে তাঁরই নির্দেশদনা অনুযায়ী জীবন যাপন করা। তাঁরই দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ও তাবলীগ করা এবং তাঁরই পরিপুর্ন দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। আল্লাহ বলেন, ﻭﻣﺎ ﻧﻘﻤﻮﺍ ﻣﻨﻬﻢ ﺍﻻ ﺍﻥ ﻳﺆﻣﻨﻮﺍ রআ থ্রঅ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰﺍﻟﺤﻤﻴﺪ তারা (বাতিলের অনুসারীরা) তাঁদের (মুমিনদের) থেকে অধিক প্রশংসিত অপরাজয়ী শক্তিধর আল্লাহর উপর ঈমান আনা ছাড়া অন্য কোন কারনে প্রতিশোধ নেয়নি। (সুরা বুরুজ, আয়াত নং 8) মহান আল্লাহর উপর ঈমান আনাই ছিল অপরাধ। ঈমান আানার অপরাধে তাদের উপর নির্যাতন ও জুলুম করা ...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)(4) (2)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার দ্বিতীয় শর্ত হলো সবর ও ধৈয্য। মানুষকে দুনিয়ার শান্তি এবং আখিরাতে মুক্তির পথ দেখানোর জন্য নাবীরাসুল (সাঃ) গনের আগমন। সকলের দাওয়াত ছিল, ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ (অর্থ আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই),তিনি আল্লাহর নাবী বা রাসুল এবং পরবর্তী কালে আখিরাতে জীবনের হিসাব ও কর্মফল অনুযায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম। এই দাওয়াতের ভিত্তিতে মানুষের চিন্তার পরিবর্তন, দাওয়াত গ্রহনকারীব্যক্তিদের সংগঠিত করন এবং তারবিয়াত ওপ্রশিক্ষন প্রদান, তাদেরকে সাথে নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচ্ছন্ন করার সর্বাত্তক প্রচেষ্টা তাঁরা করেছিলেন। দায়িত্ব পালনে, মার্যাদা পাওয়া ও আখিরাতে প্রতিদান পাওয়ার দিক দিয়ে তাঁরা সকলে সফল। কিন্ত্র দুনিয়ায় রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে অনেকে সফল হয়েছেন। আবার অনেকে দুনিয়াতে রাষ্ট্র গঠনে সফলতার মুখ দেখেননি। তাঁরা সবর ও ধৈয্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আল্লাহর সাহায্য তাঁরা পেয়েছেন। আল্লাহর সাহায্য বন্চিত তাঁরা হননি। বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) যখন দাওয়াত শুরু করেন, তাঁকে কবি, যাদুকর, গনৎকার, পাগল, ইবনে আবী কাবশা ইত্যাদি বিভিন...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (5) (5)আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য জানমাল দিয়ে জিহাদ করা তৃতীয় শর্ত। আল্লাহ তায়ালা এ দুনিয়ায় একটি সাধারন নিয়ম রেখেছেন, যে সকল বিষয় মানুষের ক্ষমতার অধীন, সে সকল বিষয়ের জন্য সাধ্য মুতাবিক চেষ্টা ও তাদবীর না করলে, তা সম্পন্ন হয়না। আল্লাহ তায়ালা এই কারনে দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদ করা (সর্বাত্তম সংগ্রাম করা) আল্লাহর সাহায্যের জন্য শর্ত করেছেন। ক্ষমা ও জান্নাত লাভের জন্য যেমন ঈমান ও জিহাদের প্রয়োজন, অনুরুপভাবে দুনিয়ায় আল্লাহর সাহায্য লাভভের জন্য ঈমান ও জিহাদ শর্ত। আল্লাহ বলেন, ﺎﻬﻳﺍﺎﻳ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻫﻞ ﺍﺩﻟﻜﻢ ﻋﻠﻲ ﺗﺠﺎﺭﺓ ﺗﻨﺠﻴﻜﻢ ﻣﻦ ﻋﺬﺍﺏ ﺍﻟﻴﻢ ﺗﺆﻣﻨﻮﻥ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ ﻭﺗﺠﺎﻫﺪﻭﻥ ﺑﺎﻣﻮﺍﻟﻜﻢ ﻭﺍﻧﻔﺴﻜﻢ ﺫﺍﻟﻜﻢ ﺧﻴﺮ ﻟﻜﻢ ﺍﻥ ﻛﻨﺘﻢ ﺗﻌﻠﻤﻮﻥ ﻳﻐﻔﺮ ﻟﻜﻢ ﺫﻧﻮﺑﻜﻢ ﻭﻳﺪﺧﻠﻜﻢ ﺟﻨﺎﺕ ﺗﺠﺮﻱ ﻣﻦ ﺗﺤﺘﻬﺎ ﺍﻻﻧﻬﺎﺭ ﻭﻣﺴﺎﻛﻦ ﻃﻴﺒﺔ ﻓﻲ ﺟﻨﺎﺕ ﺣﺪﻥ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﻔﻮﺯ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ ﻭﺍﺧﺮﻱ ﺗﺤﺒﻮﻧﻬﺎ ﻧﺼﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻓﺘﺢ ﻗﺮﻳﺐ ﻭﺑﺸﺮ ারায ,েহও থ্রঅ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ঈমান এনেছো, আমি তোমাদের এমন ব্যবসার কথা বলবো ,যা তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি থেকে মুক্তি দেবে? তা হলো এই যে, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আনবে এব...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর) (ভুমিকার বাকী অংশ) মানুষকে আল্লাহর দাস বানানো এবং আল্লাহর প্রতিনিধি বানানোর লক্ষ্যে নাবীরাসুল (সাঃ) গন প্রেরিত। পু্র্ব আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে ,সৃষ্টির দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর গোলাম বানানোর জন্য সকল নাবীরাসুল (সাঃ) কে প্রেরন করার কথা। এখন আলোচনার বিষয় হলো, আল্লাহর খালীফা বানানোর কথা। দ্বীন কায়েম ছাড়া খিলাফাতের দ্বায়িত্ব পালন করা যায় না। তাই খিলাফাত কায়েম করতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকল নাবীরাসুল (সাঃ) কে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﺷﺮﻉ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻣﺎ ﻭﺻﺎ ﺑﻪ ﻧﻮﺣﺎ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﺍﻭﺣﻴﻨﺎ ﺍﻟﻴﻚ ﻭﻣﺎ ﻭﺻﻴﻨﺎ ﺑﻪ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻭﻣﻮﺳﻲ ﻭ ﻋﻴﺴﻲ ﺍﻥ ﺍﻗﻴﻤﻮﺍ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻭﻻﺗﺘﻔﺮﻗﻮﺍ ﻓﺒﻪ .ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺸﻮﺭﻱ অর্থ তিনি তোমাদের জন্য ঐ দ্বীন নির্ধারন করেছেন, যার তাকীদ তিনি হযরত নূহ (আঃ) কে করেছেন, যার অহী আমি তোমার কাছে করেছি এবং যার তাকীদ আমি হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ) কে এই নির্দেশ সহকারে করেছি যে, তোমরা দ্বীন কায়েম করো এবং এ ব্যপারে ভিন্ন মত করোনা। (সুরা আশশুরা, আয়াত নং 13) এই পাঁচজন অত্যান্ত দৃঢ়চেতা নাবীরাসুল (সাঃ) ছি...

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়.

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ারff উপায়! মুহাম্মাদ রবিউল বাশার। ভূমিকা : আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির সেরা আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে সুন্দর আকৃতি ও কাঠামো দান করেছেন, যা অন্য কোন সৃষ্টে দেননি। আবার মানুষকে দৈহিক কাঠামোর সাথে এমন ঞ্জান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়েছেন, যা অন্য কোন সৃষ্টি জীবকে দেননি। যে লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য মানুষকে ঞ্জান, বিবেক ও বুদ্ধি দিয়েছেন, সে লক্ষ্যে পৌছানোর চেষ্টা না করলে এবং সে মুতাবিক কাজ ও আমল না করলে, সৃষ্টির সেরা এই শীর্ষ আসনে থাকা তো দুরের কথা, অন্যান্য সৃষ্টির সমকক্ষও থাকতে পারবে না। বরং সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হিসাবে গন্য হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﻟﻘﺪ ﺧﻠﻘﻨﺎ ﺍﻻﻧﺴﺎﻥ ﻓﻲ ﺍﺣﺴﻦ ﺗﻘﻮﻳﻢ ﺛﻢ ﺭﺩﺩﻧﺎﻩ ﺍﺳﻔﻞ ﺳﺎﻓﻠﻴﻦ ﺍﻻ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻣﻨﻮﺍ ﻭﻋﻤﻠﻮﺍ ﺍﻟﺼﺎﻟﺤﺎﺕ ﻓﻠﻬﻢ ﺍﺟﺮ ﻏﻴﺮ .ﻥﻮﻨﻤﻣ ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻄﻴﻦ অর্থ (4) নিশ্চয় আমি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে সৃষ্টি করেছি। (5) তারপর আমি তাকে নীচ থেকে নীচে ফিরিয়ে দিয়েছি। (6) কিন্তু যারা ঈমান এনেছে এবং সৎআমল ও সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে অশেষ পুরস্কার। (সূরা আতত্বীন) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ﻭﻟﻘﺪ ﺫﺭﺃﻧﺎ ﻟﺠﻬﻨﻢ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﺠﻦ ﻭﺍﻻﻧﺲ ﻟﻬﻢ ﻗﻠﻮﺏ ﻻﻳﻔﻘﻬﻮﻥ ﺑﻬ...