আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার উপায়।

মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)
(ভুমিকার বাকী অংশ)


মানুষকে আল্লাহর দাস বানানো এবং আল্লাহর
প্রতিনিধি বানানোর লক্ষ্যে নাবীরাসুল (সাঃ) গন
প্রেরিত। পু্র্ব আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে ,সৃষ্টির
দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর গোলাম বানানোর
জন্য সকল নাবীরাসুল (সাঃ) কে প্রেরন করার কথা। এখন
আলোচনার বিষয় হলো, আল্লাহর খালীফা বানানোর
কথা। দ্বীন কায়েম ছাড়া খিলাফাতের দ্বায়িত্ব পালন
করা যায় না। তাই খিলাফাত কায়েম করতে দ্বীন
প্রতিষ্ঠা করার জন্য সকল নাবীরাসুল (সাঃ) কে দ্বায়িত্ব
দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﺷﺮﻉ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻣﺎ ﻭﺻﺎ ﺑﻪ ﻧﻮﺣﺎ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﺍﻭﺣﻴﻨﺎ
ﺍﻟﻴﻚ ﻭﻣﺎ ﻭﺻﻴﻨﺎ ﺑﻪ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻭﻣﻮﺳﻲ ﻭ ﻋﻴﺴﻲ ﺍﻥ
ﺍﻗﻴﻤﻮﺍ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﻭﻻﺗﺘﻔﺮﻗﻮﺍ ﻓﺒﻪ .ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺸﻮﺭﻱ
অর্থ তিনি তোমাদের জন্য ঐ দ্বীন নির্ধারন করেছেন,
যার তাকীদ তিনি হযরত নূহ (আঃ) কে করেছেন, যার
অহী আমি তোমার কাছে করেছি এবং যার তাকীদ
আমি হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত
ঈসা (আঃ) কে এই নির্দেশ সহকারে করেছি যে,
তোমরা দ্বীন কায়েম করো এবং এ ব্যপারে ভিন্ন মত
করোনা। (সুরা আশশুরা, আয়াত নং 13)
এই পাঁচজন অত্যান্ত দৃঢ়চেতা নাবীরাসুল (সাঃ) ছিলেন। এই
পাঁচজন আরবদের মধ্যে অধিক পরিচিত ও প্রশিদ্ধ ছিলেন
বলে তাঁদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য নাবীরাসুল
(সাঃ) গনের উল্লেখ করা হয়নি। দ্বীন কায়েম করা সকলের
দ্বায়িত্ব ছিল।
দ্বীন কায়েমের মাধ্যম হলো পুর্ন দ্বীনের দাওয়াত
দেওয়া ও পুর্ন দ্বীনের তাবলীগ করা। পুর্ন দ্বীনের
দাওয়াত ও পুর্ন দ্বীনের তাবলীগ ছাড়া দ্বীন কায়েম
সম্ভব নয়। আংশিক দ্বীনের বা কয়েকটি উসুলের দাওয়াত
দিয়ে বা তাবলীগ করে অন্য কিছু কায়েম হতে পারে। কিন্তু
দ্বীন কায়েম হতে পারে না। তাই সকল নাবীরাসুল (সাঃ)
কে দাওয়াত দাতা ও তাবলীগকারী হিসাবে পাঠিয়ে দেন।শেষ
নাবীরাসুল (সেঃ) কে একই দায়িত্ব দেন। আল্লাহ
তায়ালা বলেন,
ﻳﺎﺍﻳﻬﺎﺍﻟﺮﺳﻮﻝ ﺑﻠﻎ ﻣﺎﺍﻧﺰﻝ ﺍﻟﻴﻚ ﻣﻦ ﺭﺑﻚ ﻭﺍﻥ ﻟﻢ ﺗﻔﻌﻞ
ﻓﻤﺎﺑﻠﻐﺖ ﺭﺳﺎﻟﺘﻪ
অর্থ হে রাসূল, তোমার কাছে তোমার রবের পক্ষ
থেকে যা অবতীর্ন হয়েছে, তা তুমি তাবলীগ ও প্রচার
করো। আর যদি তুমি তা না করো, তাহলে তুমি তার
পয়গামের তাবলীগ ও প্রচার করলে না। (সুরা আল
মাইদাহ, আয়াত নং 67)
দাওয়াত ও তাবলীগ যেমন নাবী (সাঃ) করবেন, অনুরুপ
উম্মাতেরও একই দ্বায়িত্ব। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﻗﻞ ﻫﺬﻩ ﺳﺒﻴﻠﻲ ﺍﺩﻋﻮ ﺍﻟﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻲ ﺑﺼﻴﺮﺓ ﺍﻧﺎ
ﻭﻣﻦ থ্রঅ
ﺍﺗﺒﻌﻨﻲ (হে রাসুল সাঃ) তুমি বলে দাও, এই হলো আমার
পথ, স্পস্ট প্রমানের উপর ভিত্তি করে আমি এবং আমার
অনুসারীরা আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই। (সুরা ইউসুফ,
আয়াত নং 108)
এই আয়াত থেকে প্রমানিত হয় যে, দাওয়াত ও তাবলীগ
যেমন নাবী হিসাবে নাবীর দ্বায়িত্ব, অনুরুপভাবে উম্মাত
হিসাবে উম্মাতের দ্বায়িত্ব হলো পুর্নদ্বীনের দাওয়াত
এবং পু্র্নদ্বীনের তাবলীগ করা।
পুর্নদ্বীন কায়েম করার লক্ষ্যে পুর্নদ্বীনের দাওয়াত ও
তাবলীগ করেছেন যুগে যুগে নাবীরাসুল (সাঃ) গন
এবং তাঁদের সাথী মুমিনগন। দ্বীন কায়েমের দ্বয়িত্ব
এবং দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ
করতে যেয়ে তাঁরা গালাগালী, ঠাট্টাবিদ্রুপ,
মিথ্যা অভিযোগ, অপবাদ, মারধর,দেশত্যাগ,
হত্যা ইত্যাদির সম্মুখীন হয়েছেন। বিশ্বনাবী ,
শেষনাবী ও শ্রেষ্ঠনাবী মুহাম্মাদ(সাঃ) এবং তাঁর
অনুসারী মুমিনগন দ্বীন কায়েমের দ্বায়িত্ব পালন
করতে যেয়ে বিরুধী শক্তির পক্ষ থেকে অন্যায়
সমালোচনা, মিথ্যা অভিযোগ, অপবাদ, দোষারোপ,
ঠাট্টাবিদ্রুপ, কটুক্তি, প্রশ্নবান নিক্ষেপ, জানমালের
ক্ষতি, দেশান্তর, হত্যার হুমকি এমনকি যুদ্ধেরও সম্মুখীন
হন। এমন মুহুর্তেও আল্লাহর নির্দেশনা হলো,
ﻭﻟﻨﺒﻠﻮﻧﻜﻢ ﺑﺸﻴﺊ ﻣﻦ ﺍﻟﺨﻮﻑ ﻭﺍﻟﺠﻮﻉ ﻭﻧﻘﺺ ﻣﻦ
ﺍﻻﻣﻮﺍﻝ ﻭﺍﻻﻧﻔﺲ ﻭﺍﻟﺜﻤﺮﺍﺕ ﻭﺑﺸﺮ ﺍﻟﺼﺎﺑﺮﻳﻦ
অর্থ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়ভীতি ও
দুর্ভিক্ষক্ষুধা দিয়ে এবং সম্পদ, জানপ্রান ও ফলফসলের
ক্ষতি করে পরীক্ষা করবো। আর (হে রাসুল সাঃ) তুমি (এ
কঠিন মুহুর্তে) ধৈয্যশীলদের সুসংবাদ দাও। (সুরা আল
বাকারা, আয়াত নং 155)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর সাহাবীগন আল্লাহর
নির্দেশনা মুতাবিক পুর্ন আমলে উত্তীর্ন হন। দ্বীন
থেকে সামান্যতম বিচ্যুত হননি। ধৈয্যের রশিকে একটুও
হাতছাড়া করেননি! তাঁরা পদে পদে আল্লাহর সাহায্য লাভ
করেন। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ অধ্যয়ন করলে আল্লাহর
সাহায্য পাওয়া শর্ত কি? আল্লাহর সাহায্য কখন
পাওয়া যায়? আল্লাহর সাহায্য কখন আসে? আল্লাহর
সাহায্যের ব্যাখ্যা কি? জানা যায়। পরবর্তীতে এ
সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!
(চলবে)

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়