ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ৩

ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী।

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার
পর)

সুরা আল কাওসারে বিপুল নেয়ামাত দেওয়ার
উল্লেখ করেছেন। নাহরে কাওসার ও
হাওদ্বে কাওসার সহ অগনিত নেয়ামাত আল্লাহ
দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ﻭﺍﻥ ﺗﻌﺪﻭﺍ ﻧﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ
ﻻﺗﺤﺼﻮﻫﺎ
অর্থ আর যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামাত
গননা করো, তাহলে তা গুনে শেষ
করতে পারবে না। (সুরা ইবরাহীম)
এই নেয়ামাতের শুকরিয়া স্বরুপ নামাজ ও নাহর
করার নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক তাফসীরকার
নামাজ অর্থ ঈদের নামাজ এবং নাহরের অর্থ
কুরবানী বলেছেন। এদুটি দায়িত্ব পালন
করে গেলে বিরুধী শক্তির সুনাম করার মত লোক
থাকবে না।
ঈদের নামাজ ঈমানের পর গুরুত্বপুর্ন দৈহিক
ইবাদাত। অন্যান্য সকল ইবাদাতের মুল। এই
নামাজ পৃথক পৃথক একা একা পড়ে আনন্দ ও
খুশী হওয়া হয় না। বরং জামায়াতে আদায়
করতে হয় কেন? ইমাম নিয়োগ করতে হয় কেন?
ইমাম ইচ্ছামত ইসলামের নিয়মের বিপরিত
পদ্ধতিতে নামাজ পড়ালে মুকতাদীরা কি করবে?
মেনে নেবে, না ভুল ধরে দেবে? ভুল ধরার পর
ইমাম সাহেব ভুল শুধরে না নিলে কি করতে হবে?
ইমামের যোগ্যতা কি কি থাকতে হবে? ইত্যাদির
মাধ্যমে সমাজে ইমাম বা নেতা সম্পর্কে করনীয়
কি? আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ﻳﺆﻡ ﺍﻟﻘﻮﻡ
ﺍﻗﺮﺃﻫﻢ ﻟﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺎﻥ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﺳﻮﺍﺀ ﻓﺎﻋﻠﻤﻬﻢ
ﺑﺎﻟﺴﻨﺔ ﻓﺎﻥ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻓﻴﻪ ﺳﻮﺍﺀ ﻓﺎﻗﺪﻣﻬﻢ ﻫﺠﺮﺓ ﻓﺎﻥ
ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻓﻴﻪ ﺳﻮﺍﺀ ﻓﺎﻛﺒﺮﻫﻢ ﺳﻨﺎ ﺍﻟﺦ ﺭﻭﺍﻩ রিতাজ থ্রঅ
ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ইমামতি করবে/নেতৃত্ব দেবে তাদের
মধ্যে অধিক আল্লাহর কিতাব পাঠকারী। অতপর
তারা যদি এ ব্যাপারে সমান হয়, তাহলে তাদের
মধ্যে অধিক সুন্নাহ সম্পর্কে ঙ্গানী ব্যাক্তি।
অতপর এ ব্যাপেরে সমান হয়, তাহলে তাদের
মধ্যে অধিক অগ্রিম হিজরাতকারী ব্যাক্তি।
অতপর এব্যাপারে তারা সমান হলে তাদের অধিক
বয়সে বড় ব্যাক্তি। (তিরমিজী)
প্রথম নেতৃত্বের অধিক যোগ্য অধিক সহীহ ও
সুন্দর তিলাওয়াতকারী। এ ব্যাপারে উপস্থিত
ব্যাক্তিরা সমান হলে অধিক ইসলাম
সম্পর্কে ঞ্জানী ব্যাক্তি। এব্যাপারে সমান
হলে অধিক মুত্তাকী ব্যাক্তি। এব্যাপারে সমান
হলে অধিক বয়সী ব্যাক্তি নেতৃত্ব দেবে।
এভাবে সামাজিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার
শিক্ষা নিতে হবে। আমি দেখবো যারা মেম্বর,
চেয়ারম্যান ও এম, পি পদে দাড়িয়েছেন,তাদের
মধ্যে কার অধিক কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ ও সহীহ?
কে অধিক ইসলাম সম্পর্কে ঞ্জানী? কে অধিক
মুত্তাকী? কে অধিক সততার সাথে যোগ্য?তাকেই
নির্বাচিত করার সর্বাত্তক চেষ্টা করতে হবে।
ইমাম নামাজের নিয়ম কানুনে ভুল করেন
তাহলে মুকতাদীরা ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য
লোকমা দেবেন। ইমাম সাহেব ই্চছা করে ভুল
শুধরে না নিলে, গোড়ামী করলে এমন ইমাম যেমন
বাদ দেয়া হয়, অনুররপভাবে এখান
থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ যে,সমাজের কোন
নেতা ইসলাম মুতাবেক সমাজ
না চালালে প্রথমে লোকমা দিতে হবে।
শুধরে নানিলে,গোড়ামী করে অইসলামের উপর
অটল থাকলে, তাকে পরিবর্তন করার
চেষ্টা করতে হবে! তাকে নিজের ব্যাক্তিগত
স্বার্থ রক্ষার জন্য
নেতা হিসাবে টিকিয়ে রাখার
চেষ্টো করা অন্যায়।
খুতবায় ইমাম ইসলামের পুর্নরুপ তুলে ধরবেন।
মুসলিমগনের পুর্ন ইসলাম মেনে চলার
মানষিকতা ও চেষ্টা থাকবে। অইসলামী নিয়ম
নীতি ও জাহিলী নিয়মকানুন বর্জন করার
সিদ্ধান্ত থাকতে হবে।
সামনে কুরবানী সম্পর্কে আলোচনা করবো।
(ইনশা -আল্লাহ)(চলবে)কুরবানীর পশু

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়