ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানি ২
ঈদুল আদ্বহা ও কুরবানী
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻟﻬﻢ ﻳﻮﻣﺎﻥ ﻳﻠﻌﺒﺎﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻘﺎﻝ ﻣﺎ
ﻫﺬﺍﻥ ﺍﻟﻴﻮﻣﺎﻥ؟ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻛﻨﺎ ﻧﻠﻌﺐ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺑﺪﻟﻜﻢ ﺑﻬﻤﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻨﻬﻤﺎ
ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻻﺿﺤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ
ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। প্রিয়
নাবী (সাঃ) পবিত্র মাদীনা আল মুনাওওরায়
আগমন করলেন। সে সময় মাদীনাবাসীদের জন্য
দুটি দিন ধায্য ছিল, তারা ঐ দুটি দিন
খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতো। প্রিয়
নাবী (সাঃ) জিঙ্গাসা করলেন, এ দুটি দিনের
ব্যাখ্যা কি? জবাবে তারা বললেন,
আমরা জাহিলী যুগে এই
দুটি দিনে খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতাম।
প্রিয় নাবী (সাঃ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ
তায়ালা এই দুই দিনের পরিবর্তে দুটি দিন
দিয়েছেন, সেই দুটি দিন এই দুটি দিনের
চেয়ে অনেক উত্তম, ঈদুল আদ্বহা এবং ঈদুল ফিতর!
(আবু দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিজী)
মুসলিম জাতি জাতীয়ভাবে আনন্দ ও খুশী প্রকাশ
করে ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিতরে। অন্যান্য জাতির
লোকেরা তাদের জাতীয় আনন্দের দিনে নাচ -
গান, খেলা -ধুলা, মদ -গাজা, অশ্লীল ছায়া -
ছবি, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের আনন্দ ও
খুশী প্রকাশ করে।
মুসলিম জাতির দুই ঈদের দিনে কিভাবে ঈদ
উৎসব পালন করা হয়? তিনটি কাজ প্রধান।
যথা (ক) দুই রাকআত জামায়াতে নামাজ আদায়
করা হয়। (খ) উপস্থিত মুসল্লীদের দায়িত্ব ও
কর্তব্য সম্পর্কে খুত্ববা দেয়া হয়। (গ) ঈদুল
ফিতরে প্রত্যেক স্বচ্ছল ব্যাক্তি পরিবারের সকল
সদস্যের পক্ষ থেকে গরীবদের নিকট সাদাকাতুল
ফিতর আদায় করা। দারিদ্র বিমোচনের
লক্ষ্যে কাজ করা। এবং ঈদুল আদ্বহায় স্বচ্ছল
ব্যাক্তিরা কমপক্ষে একটি কুরবানী করবে। এই
কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের
জন্য, দ্বিতীয় ভাগ আত্মীয়স্বজন
পাড়াপ্রতিবেশীের জন্য এবং তৃতীয় ভাগ
গরীবদের জন্য দেওয়া।
মুসলিম জাতির খুশী ও আনন্দ হলো আল্লাহর
ইবাদাত -বন্দেগী করে, মুসলিম জাতির দায়িত্ব
সম্পর্কে অবিহিত করে, দায়িত্ব সচেতন
করে এবং দারিদ্র বিমোচন করে এবং গরীবদের
আনন্দে ও ঈদে শরীক করে। ফিতরা ও কুরবানীর
মাধ্যমে তা করা হয়।
মুসলিমরা মুলত আল্লাহর
গোলামী করে এবং ইবাদাত করে আনন্দ ও
খুশী হয়।
মুসলিমরা মহান আল্লাহর দৈহিক এবং আর্থিক
গোলামী ও ইবাদাত করে খুশী। শয়তানের
গোলামী করে, মানুষের গোলামী করে, প্রবৃত্তির
গোলামী করে এবং অন্য জাতির
গোলামী করে আনন্দ ও খুশী প্রকাশ
করতে পারেনা। তাইতো কবি বলেছেন,
"যতদিন না কায়েম হবে খোদার ধরায় তাঁরই
দ্বীন,
কিসের আবার ঈদের খুশী? এ অনুষ্ঠান অর্থহীন।
আল্লাহর পৃথিবীতে আল্লাহর গোলামী বর্জন
করে মানুষের, প্রবৃত্তির, অন্যজাতির
গোলামী করে কোন সুস্থ বিবেকবান
ব্যাক্তি আনন্দ ও খুশী হতে পারে না, আনন্দ ও
খুশী প্রকাশ করতে পারে না।
কেহ কেহ বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আদ্বহা কি মুসলিম জাতির
জন্য উৎসব নয়? দুর্গা পুজা কি হিন্দু
ভাইয়েরা উৎসব হিসাবে গ্রহন করেন নি? ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আদ্বহায় মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ও
বৌধ্যরা উৎসব হিসাবে অংশগ্রহন করে? উৎসব
যদি সবার হয়, তাহলে সকল ধর্মাবলম্বীকে ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আদ্বহায় এই উৎসবদ্বয়ে অংশগ্রহন
করা লাগে। অনুরুপভাবে দুর্গাপুজা সহ বিভিন্ন
পুজা উৎসবে সকল ধর্মাবলম্বীরা যোগদান
করা লাগে। তা কি হিন্দু ভাইয়েরা বা মুসলিম
ভাইয়েরা মেনে নিতে পারবেন?
ইসলাম পরিপুর্ন জীবন বিধান। ইসলাম ঈদের
মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর দৈহিক ও
আর্থিক ইবাদাতের শিক্ষা দেয়। এই
শিক্ষা মুসলিম জাতির গ্রহন করা উচিৎ। নামাজ,
যাকাত, রোজা, হাজ্জ ও জিকিরের
ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদাত। এবং পরিবারিক,
সমাজিক, অর্থিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক
ইত্যাদি ক্ষেত্রে শয়তান বা মানুষের গোলামী।
এটা মুলত শয়তানী শিক্ষা। আল্লাহ,রাসুল (সাঃ)
বা কুরআনের শিক্ষা নয়।
আল্লাহ বলেন, ﺍﻧﺎ ﺍﻋﻄﻴﻨﺎﻙ ﺍﻟﻜﻮﺛﺮ ﻓﺼﻞ ﻟﺮﺑﻚ ﻭﺍﻧﺤﺮ
ﺍﻥ ﺷﺎﻧﺌﻚ ﻫﻮ ﺍﻻﺑﺘﺮ
অর্থ নিশ্চয় আমি তোমাকে বিপুল নেয়ামত দান
করেছি। অতএব তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ পড়
এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার
সাথে হিংসা পোষনকারীই লেজকাটা। (সুরা আল
কাওসার) (চলবে)
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
(পুর্ব প্রকাশিত হওয়ার পর)
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻟﻬﻢ ﻳﻮﻣﺎﻥ ﻳﻠﻌﺒﺎﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻘﺎﻝ ﻣﺎ
ﻫﺬﺍﻥ ﺍﻟﻴﻮﻣﺎﻥ؟ ﻗﺎﻟﻮﺍ ﻛﻨﺎ ﻧﻠﻌﺐ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻲ
ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺑﺪﻟﻜﻢ ﺑﻬﻤﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻨﻬﻤﺎ
ﻋﻴﺪ ﺍﻟﻔﻄﺮ ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻻﺿﺤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻮﺩﺍﻭﺩ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﺉ
ﻭﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
অর্থ হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। প্রিয়
নাবী (সাঃ) পবিত্র মাদীনা আল মুনাওওরায়
আগমন করলেন। সে সময় মাদীনাবাসীদের জন্য
দুটি দিন ধায্য ছিল, তারা ঐ দুটি দিন
খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতো। প্রিয়
নাবী (সাঃ) জিঙ্গাসা করলেন, এ দুটি দিনের
ব্যাখ্যা কি? জবাবে তারা বললেন,
আমরা জাহিলী যুগে এই
দুটি দিনে খেলাধুলা করে আনন্দ ফুর্তি করতাম।
প্রিয় নাবী (সাঃ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ
তায়ালা এই দুই দিনের পরিবর্তে দুটি দিন
দিয়েছেন, সেই দুটি দিন এই দুটি দিনের
চেয়ে অনেক উত্তম, ঈদুল আদ্বহা এবং ঈদুল ফিতর!
(আবু দাউদ, নাসাঈ ও তিরমিজী)
মুসলিম জাতি জাতীয়ভাবে আনন্দ ও খুশী প্রকাশ
করে ঈদুল আদ্বহা ও ঈদুল ফিতরে। অন্যান্য জাতির
লোকেরা তাদের জাতীয় আনন্দের দিনে নাচ -
গান, খেলা -ধুলা, মদ -গাজা, অশ্লীল ছায়া -
ছবি, সিনেমা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের আনন্দ ও
খুশী প্রকাশ করে।
মুসলিম জাতির দুই ঈদের দিনে কিভাবে ঈদ
উৎসব পালন করা হয়? তিনটি কাজ প্রধান।
যথা (ক) দুই রাকআত জামায়াতে নামাজ আদায়
করা হয়। (খ) উপস্থিত মুসল্লীদের দায়িত্ব ও
কর্তব্য সম্পর্কে খুত্ববা দেয়া হয়। (গ) ঈদুল
ফিতরে প্রত্যেক স্বচ্ছল ব্যাক্তি পরিবারের সকল
সদস্যের পক্ষ থেকে গরীবদের নিকট সাদাকাতুল
ফিতর আদায় করা। দারিদ্র বিমোচনের
লক্ষ্যে কাজ করা। এবং ঈদুল আদ্বহায় স্বচ্ছল
ব্যাক্তিরা কমপক্ষে একটি কুরবানী করবে। এই
কুরবানীর গোস্ত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের
জন্য, দ্বিতীয় ভাগ আত্মীয়স্বজন
পাড়াপ্রতিবেশীের জন্য এবং তৃতীয় ভাগ
গরীবদের জন্য দেওয়া।
মুসলিম জাতির খুশী ও আনন্দ হলো আল্লাহর
ইবাদাত -বন্দেগী করে, মুসলিম জাতির দায়িত্ব
সম্পর্কে অবিহিত করে, দায়িত্ব সচেতন
করে এবং দারিদ্র বিমোচন করে এবং গরীবদের
আনন্দে ও ঈদে শরীক করে। ফিতরা ও কুরবানীর
মাধ্যমে তা করা হয়।
মুসলিমরা মুলত আল্লাহর
গোলামী করে এবং ইবাদাত করে আনন্দ ও
খুশী হয়।
মুসলিমরা মহান আল্লাহর দৈহিক এবং আর্থিক
গোলামী ও ইবাদাত করে খুশী। শয়তানের
গোলামী করে, মানুষের গোলামী করে, প্রবৃত্তির
গোলামী করে এবং অন্য জাতির
গোলামী করে আনন্দ ও খুশী প্রকাশ
করতে পারেনা। তাইতো কবি বলেছেন,
"যতদিন না কায়েম হবে খোদার ধরায় তাঁরই
দ্বীন,
কিসের আবার ঈদের খুশী? এ অনুষ্ঠান অর্থহীন।
আল্লাহর পৃথিবীতে আল্লাহর গোলামী বর্জন
করে মানুষের, প্রবৃত্তির, অন্যজাতির
গোলামী করে কোন সুস্থ বিবেকবান
ব্যাক্তি আনন্দ ও খুশী হতে পারে না, আনন্দ ও
খুশী প্রকাশ করতে পারে না।
কেহ কেহ বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আদ্বহা কি মুসলিম জাতির
জন্য উৎসব নয়? দুর্গা পুজা কি হিন্দু
ভাইয়েরা উৎসব হিসাবে গ্রহন করেন নি? ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আদ্বহায় মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ও
বৌধ্যরা উৎসব হিসাবে অংশগ্রহন করে? উৎসব
যদি সবার হয়, তাহলে সকল ধর্মাবলম্বীকে ঈদুল
ফিতর ও ঈদুল আদ্বহায় এই উৎসবদ্বয়ে অংশগ্রহন
করা লাগে। অনুরুপভাবে দুর্গাপুজা সহ বিভিন্ন
পুজা উৎসবে সকল ধর্মাবলম্বীরা যোগদান
করা লাগে। তা কি হিন্দু ভাইয়েরা বা মুসলিম
ভাইয়েরা মেনে নিতে পারবেন?
ইসলাম পরিপুর্ন জীবন বিধান। ইসলাম ঈদের
মাধ্যমে জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর দৈহিক ও
আর্থিক ইবাদাতের শিক্ষা দেয়। এই
শিক্ষা মুসলিম জাতির গ্রহন করা উচিৎ। নামাজ,
যাকাত, রোজা, হাজ্জ ও জিকিরের
ক্ষেত্রে আল্লাহর ইবাদাত। এবং পরিবারিক,
সমাজিক, অর্থিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক
ইত্যাদি ক্ষেত্রে শয়তান বা মানুষের গোলামী।
এটা মুলত শয়তানী শিক্ষা। আল্লাহ,রাসুল (সাঃ)
বা কুরআনের শিক্ষা নয়।
আল্লাহ বলেন, ﺍﻧﺎ ﺍﻋﻄﻴﻨﺎﻙ ﺍﻟﻜﻮﺛﺮ ﻓﺼﻞ ﻟﺮﺑﻚ ﻭﺍﻧﺤﺮ
ﺍﻥ ﺷﺎﻧﺌﻚ ﻫﻮ ﺍﻻﺑﺘﺮ
অর্থ নিশ্চয় আমি তোমাকে বিপুল নেয়ামত দান
করেছি। অতএব তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ পড়
এবং কুরবানী কর। নিশ্চয় তোমার
সাথে হিংসা পোষনকারীই লেজকাটা। (সুরা আল
কাওসার) (চলবে)
Comments
Post a Comment