ইসলামী সমাজ গঠনে করনীয়ঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
সমাজ গঠনে করনীয় "
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
পুর্ব প্রকাশিতের পর(2)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে যেমন পরিপুর্ন উন্নত
চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, তেমন তিনি তাঁর
জীবদ্দশায় উন্নত নৈতিক চরিত্রের
অধিকারী জাতি সৃষ্টি করেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ঐ
ধরনের
জাতি দ্বিতীয়টি দেখা যায়নি এবং ভভবিষ্যতে যাবে না।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে বলেছেন, ﺑﻌﺜﺖ ﻻﺗﻤﻢ ﻣﻜﺎﺭﻡ
ﺍﻻﺧﻼﻕ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺎﻟﻚ
অর্থ আখলাক ও চরিত্রকে অপুর্নতা প্রদান করার জন্য
আমি প্রেরিত। (মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক)
(খ) সমাজ গঠন করতে হলে সমাজের সদস্যদের
একে অপরের মধ্যে গভীর ভালবাসা ও
আন্তরিকতা থাকতে হবে। একে অপরকে আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসবে। দুনিয়ার স্বার্থের জন্য
ভালবাসবে না। স্বার্থ যখন পাওয়া যাবে না, যার
স্বার্থ নষ্ট হবে,তখন তার ভালবাসা থাকবে না।
ঘৃনা সৃষ্টি হবে। মুমিন সমাজ
সম্পর্কে ধারনা দিতে যেয়ে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ)বলেন,
ﺗﺮﻱ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻴﻦ ﻓﻲ ﺗﻮﺍﺩﻫﻢ ﻭﺗﻌﺎﻃﻔﻬﻢ ﻭﺗﺮﺍﺣﻤﻬﻢ
ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﺠﺴﺪ ﺍﻥ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﻋﻀﻮ ﻣﻨﻪ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﺳﺎﺋﺮﺍﻟﺠﺴﺪ
ﺑﺎﻟﺴﻬﺮ ﻭﺍﻟﺤﻤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থ মুমিন সমাজকে দেখতে পাবে তাদের
মধ্যে পরস্পর হৃদ্যতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা এত
গভীর যেন একটি অখন্ড দেহ, যার একটি অংশে অসুস্থ
হলে সমস্ত দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।
(সহীহ আল বুখারী)
মুমিনদের মধ্যে পরস্পর ভালবাসা থাকা সমাজ
গঠনের জন্য প্রয়োজন, দুনিয়ার কল্যান পাওয়া যায়,
আখিরাতে জান্নাত পাওয়া সম্ভব। আল্লাহর রাসুল
(সাঃ) বলেন,
ﻻﺗﺪﺧﻠﻮﻥ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺣﺘﻲ ﺗﻮﻣﻨﻮﺍ ﻭﻻﺗﻮﻣﻨﻮﻥ ﺣﺘﻲ ﺗﺤﺎﺑﻮﺍ ﺍﻻ
ﺍﺩﻟﻜﻢ ﻋﻠﻲ ﺷﻴﺊ ﺍﺫﺍ ﻓﻌﻠﺘﻤﻮﻩ ﺗﺤﺎﺑﺒﺘﻢ ﺑﻪ ﺍﻓﺸﻮﺍ
ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺑﻴﻨﻜﻢ থ্রঅ
ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ
করতে পারবে না। আর তোমরা মুমিন
হতে পারবে না যতক্ষন তোমরা পরস্পর
না ভালবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন
একটি বিষয়ের কথা বলব? যা করলে তোমাদের
মধ্যে আন্তরিকতার সৃষ্টি হবে। তোমরা ব্যপক
সালাম দেবে। (সহীহ মুসলিম)
মুমিনদের মধ্যে পরস্পর ভালবাসা আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য না হলে যেমন সুন্দর সমাজ গঠিত
হবে না,অনুরুপ আখিরাতের কল্যান লাভ
করা যাবে না। তাই আল্লাহর রাসুল বলেন, সাত
শ্রেনীর ব্যক্তিদের কিয়ামতের দিন যখন কোন আশ্রয়
থাকবে না, আল্লাহ তাদের নিজের আশ্রয়ে স্থান
দান করবেন! তাদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেনী হলো,
যারা একে অপরকে ভালবাসবে আল্লেহর সন্তুষ্টির
জন্য। আল্লাহ সন্তুষ্ট হবে বলে একেত্রিত হয়। আবার
আল্লাহ সন্তুষ্ট হবে বলে বিচ্ছিন্ন হয়।
ﺳﺒﻌﺔ ﻳﻈﻠﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻇﻠﻪ ﻳﻮﻡ ﻻ ﻇﻞ ﺍﻻ
ﻇﻠﻪ ............ﻭﺭﺝﻻﻥ ﺗﺤﺎﺑﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺟﺘﻤﻌﺎ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺗﻔﺮﻗﺎ ﻋﻠﻴﻪ জামস
........ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ গঠন করতে হলে পরস্পরের মধ্যে আল্লাহর
সন্তুষ্টি কামনায় ভালবাসার সৃষ্টির জন্য উদ্বুদ্ধ
করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের
মধ্যে গভীর আন্তরিকতা থাকতে হবে। তারাই মুমিন
সমাজকে দৃঢ় করার জন্য, সমাজকে ইসলামের
আলোকে গড়ে তোলা ও উন্নত করার জন্য
কর্মীরা সর্বাত্তক চেষ্টা করবে। যে সকল
কারনে পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট ও ঘাটতি হয়,
তা যেমন কর্মীরা বর্জন করবে, অনুরুপ মুমিন
সমাজকে বর্জন করার জন্য তৈরী করবে। যে সকল
কারনে পরস্পর সম্পর্ক. গাড় ও দৃড় হয়,
সে সবগুলো যেমন কর্মীরা করবে, অনুরুপভাবে মুমিন
সমাজকে গড়ে তুলবে।
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
পুর্ব প্রকাশিতের পর(2)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে যেমন পরিপুর্ন উন্নত
চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, তেমন তিনি তাঁর
জীবদ্দশায় উন্নত নৈতিক চরিত্রের
অধিকারী জাতি সৃষ্টি করেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ঐ
ধরনের
জাতি দ্বিতীয়টি দেখা যায়নি এবং ভভবিষ্যতে যাবে না।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে বলেছেন, ﺑﻌﺜﺖ ﻻﺗﻤﻢ ﻣﻜﺎﺭﻡ
ﺍﻻﺧﻼﻕ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺎﻟﻚ
অর্থ আখলাক ও চরিত্রকে অপুর্নতা প্রদান করার জন্য
আমি প্রেরিত। (মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক)
(খ) সমাজ গঠন করতে হলে সমাজের সদস্যদের
একে অপরের মধ্যে গভীর ভালবাসা ও
আন্তরিকতা থাকতে হবে। একে অপরকে আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসবে। দুনিয়ার স্বার্থের জন্য
ভালবাসবে না। স্বার্থ যখন পাওয়া যাবে না, যার
স্বার্থ নষ্ট হবে,তখন তার ভালবাসা থাকবে না।
ঘৃনা সৃষ্টি হবে। মুমিন সমাজ
সম্পর্কে ধারনা দিতে যেয়ে আল্লাহর রাসুল
(সাঃ)বলেন,
ﺗﺮﻱ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻴﻦ ﻓﻲ ﺗﻮﺍﺩﻫﻢ ﻭﺗﻌﺎﻃﻔﻬﻢ ﻭﺗﺮﺍﺣﻤﻬﻢ
ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﺠﺴﺪ ﺍﻥ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﻋﻀﻮ ﻣﻨﻪ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﺳﺎﺋﺮﺍﻟﺠﺴﺪ
ﺑﺎﻟﺴﻬﺮ ﻭﺍﻟﺤﻤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
অর্থ মুমিন সমাজকে দেখতে পাবে তাদের
মধ্যে পরস্পর হৃদ্যতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা এত
গভীর যেন একটি অখন্ড দেহ, যার একটি অংশে অসুস্থ
হলে সমস্ত দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।
(সহীহ আল বুখারী)
মুমিনদের মধ্যে পরস্পর ভালবাসা থাকা সমাজ
গঠনের জন্য প্রয়োজন, দুনিয়ার কল্যান পাওয়া যায়,
আখিরাতে জান্নাত পাওয়া সম্ভব। আল্লাহর রাসুল
(সাঃ) বলেন,
ﻻﺗﺪﺧﻠﻮﻥ ﺍﻟﺠﻨﺔ ﺣﺘﻲ ﺗﻮﻣﻨﻮﺍ ﻭﻻﺗﻮﻣﻨﻮﻥ ﺣﺘﻲ ﺗﺤﺎﺑﻮﺍ ﺍﻻ
ﺍﺩﻟﻜﻢ ﻋﻠﻲ ﺷﻴﺊ ﺍﺫﺍ ﻓﻌﻠﺘﻤﻮﻩ ﺗﺤﺎﺑﺒﺘﻢ ﺑﻪ ﺍﻓﺸﻮﺍ
ﺍﻟﺴﻼﻡ ﺑﻴﻨﻜﻢ থ্রঅ
ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ
করতে পারবে না। আর তোমরা মুমিন
হতে পারবে না যতক্ষন তোমরা পরস্পর
না ভালবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন
একটি বিষয়ের কথা বলব? যা করলে তোমাদের
মধ্যে আন্তরিকতার সৃষ্টি হবে। তোমরা ব্যপক
সালাম দেবে। (সহীহ মুসলিম)
মুমিনদের মধ্যে পরস্পর ভালবাসা আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্য না হলে যেমন সুন্দর সমাজ গঠিত
হবে না,অনুরুপ আখিরাতের কল্যান লাভ
করা যাবে না। তাই আল্লাহর রাসুল বলেন, সাত
শ্রেনীর ব্যক্তিদের কিয়ামতের দিন যখন কোন আশ্রয়
থাকবে না, আল্লাহ তাদের নিজের আশ্রয়ে স্থান
দান করবেন! তাদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেনী হলো,
যারা একে অপরকে ভালবাসবে আল্লেহর সন্তুষ্টির
জন্য। আল্লাহ সন্তুষ্ট হবে বলে একেত্রিত হয়। আবার
আল্লাহ সন্তুষ্ট হবে বলে বিচ্ছিন্ন হয়।
ﺳﺒﻌﺔ ﻳﻈﻠﻬﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻇﻠﻪ ﻳﻮﻡ ﻻ ﻇﻞ ﺍﻻ
ﻇﻠﻪ ............ﻭﺭﺝﻻﻥ ﺗﺤﺎﺑﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺟﺘﻤﻌﺎ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺗﻔﺮﻗﺎ ﻋﻠﻴﻪ জামস
........ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ গঠন করতে হলে পরস্পরের মধ্যে আল্লাহর
সন্তুষ্টি কামনায় ভালবাসার সৃষ্টির জন্য উদ্বুদ্ধ
করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের
মধ্যে গভীর আন্তরিকতা থাকতে হবে। তারাই মুমিন
সমাজকে দৃঢ় করার জন্য, সমাজকে ইসলামের
আলোকে গড়ে তোলা ও উন্নত করার জন্য
কর্মীরা সর্বাত্তক চেষ্টা করবে। যে সকল
কারনে পরস্পরের সম্পর্ক নষ্ট ও ঘাটতি হয়,
তা যেমন কর্মীরা বর্জন করবে, অনুরুপ মুমিন
সমাজকে বর্জন করার জন্য তৈরী করবে। যে সকল
কারনে পরস্পর সম্পর্ক. গাড় ও দৃড় হয়,
সে সবগুলো যেমন কর্মীরা করবে, অনুরুপভাবে মুমিন
সমাজকে গড়ে তুলবে।
Comments
Post a Comment