রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দাওয়াত
"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানুষের
আদর্শ রয়েছে "
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(৪)দাওয়াত ও তাবলীগের আদর্শ
রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে।
আদর্শ ও নীতি যতই সুন্দর ও উন্নত হোক
না কেন, তার দিকে আকর্ষনীয়ভাবে আহবান
ও প্রচার না থাকলে, সাধারন মানুষের
কাছে গ্রহনযোগ্য হয়না, মানুষ তা গ্রহন
করে না। পন্য -দ্রব্য যতই উন্নত হোক
না কেন, তার প্রচারক না থাকলে,
সে পন্যের প্রতি মানুষের আকর্ষন হয় না,
বাজারে তার যথাউপযুক্ত
কাটতি হয়না এবং বিক্রি হয় না।
ইসলামী জীবন -ব্যবস্থা সর্বোত্তম জীবন -
ব্যবস্থা। এর প্রতি আহবান করা ও তার
তাবলীগ করা আবশ্যক -ফারজ করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﻉﺩﺍ ﻞﻴﺒﺳ ﻲﻟﺍ ﻚﺑﺭ
ﺔﻈﻋﻮﻤﻟﺍﻭ ﺔﻤﻜﺤﻟﺎﺑ ﺔﻨﺴﺤﻟﺍ
অর্থ তুমি তোমার রবের পথের দিকে আহবান
কর প্রজ্ঞা ও উত্তম নাসীহাত সহকারে।
(সূরা আন -নাহলে, আয়াত নং)
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
ﺎﻬﻳﺎﻳ ﻝﻮﺳﺮﻟﺍ ﻎﻠﺑ ﻝﺰﻧﺍ ﺎﻣ ﻚﺑﺭ ﻦﻣ ﻚﻴﻟﺍ ﻥﺍﻭ ﻢﻟ
ﻞﻌﻔﺗ ﺖﻐﻠﺑ ﺎﻤﻓ ﻪﺘﻟﺎﺳﺭ .
অর্থ হে রাসূল, তোমার নিকট তোমার রবের
পক্ষ থেকে যা অবতীর্ন হয়েছে,
তা তুমি প্রচার কর। আর
যদি তুমি তা না কর, তাহলে তুমি তাঁর
পয়গাম পৌছালেও না! (সূরা আল -মাইদা,
আয়াত নং)
মহান আল্লাহর এই দাহওয়াত ও তাবলীগের
নির্দেশ পালন করতে যেয়ে আদর্শ স্থাপন
করেছেন। তিনি প্রথমে গোপনে প্রায় তিন
বৎসর কাল দাওয়াত দিয়েছেন। তারপর
আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্য দাওয়াত
সাফা পাহাড় থেকে শুরু করেন। তিনি প্রায়
প্রতিটি জনসমাবেশে দাওয়াত ও
তাবলীগের কাজ করেন। হাজ্জের
মৌসুমে মিনা সহ বাভিন্ন
সমাবেশে দাওয়াত দেন। তিনি বলতেন,
ﺎﻬﻳﺍﺎﻳ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻪﻟﺍﻻ ﺍﻮﻟﻮﻗ ﻻﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﻥﻮﺤﻠﻔﺗ
অর্থ হে মানব জাতি, তোমরা "আল্লাহ
ছাড়া কোন মাবুদ নেই "বল,
তাহলে তোমরা সফল হবে, মুক্তি পাবে।
কখনো কিয়ামতের দাওয়াত দেতেন। আল্লাহ
তাকে রাসূল করে পাঠানোর কথা বলতেন।
কখনো বিভিন্ন স্থান থেকে আয়াত
তিলাওয়াত করে দাওয়াত দিতেন। আল্লাহ
তাঁকে দায়ী হিসাবে প্রেরন করেছেন।
আল্লাহ বলেন,
ﻲﻟﺍ ﺎﻴﻋﺍﺩﻭ ﺎﺟﺍﺮﺳﻭ ﻪﻧﺫﺎﺑ ﻪﻠﻟﺍ ﺍﺮﻴﻨﻣ
অর্থ আর আল্লাহর দিকে তাঁর
অনুমতিক্রমে দায়ী ও উজ্জল প্রদীপ
হিসাবে ----।(সূরা আল -আহযাব, আয়াত নং)
ﻞﻗ ﻩﺬﻫ ﻮﻋﺩﺍ ﻲﻠﻴﺒﺳ ﻲﻟﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻠﻋ ﺎﻧﺍ ﺓﺮﻴﺼﺑ
ﻦﻣﻭ ﻲﻨﻌﺒﺗﺍ
অর্থ এই আমার পথ, আমি আল্লাহর
দিকে দাওয়াত দেই স্পষ্ট প্রমানের উপর
ভিত্তি করে এবং আমার অনুসারীরাও
(আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়।)
(সূরা ইউসুফ, আয়াত নং)
ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াত দিয়েছেন। আবার
সামষ্টিক দাওয়াতও দিয়েছেন।
তায়ফে যেয়ে তিন গোত্রীয়
নেতাকে দাওয়াত দিয়েছেন। মাদীনায়
এসেও দাওয়াত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ বিন
উবাই সহ মুনাফিকদেরও তিনি দাওয়াত
দিয়েছেন। যখন আদেশ সুচক বা নিষেধ সুচক
আয়াত অবতীর্ন হতো, তখন
তিনি সাহাবীদের দিয়ে প্রচার করাতেন।
সাহাবীরা (রাঃ) নিজেরাও প্রচার
করতেন। তাঁর তাবলীগ নিদ্দিষ্ট কোন
দফার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর
দাওয়াতী বক্তব্যের নিয়ম ছিল
ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে।
একাধিকবার করে। ভাষা ছিল মোলায়েম ও
হৃদয় স্পর্ষী।যুক্তি ভিত্তিক। খারাপ
ব্যবহার ও আচরন করলেও তিনি খারাপ
আচরন করতেন না। ধৈয্যের সাথে দাওয়াত
ও তাবলীগের দায়িত্ব পালন করতেন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
ﺍﻮﻧﻮﻜﺗﻻ ﻥﺍ ﻥﻮﻟﻮﻘﺗ ﺔﻌﻣﺍ ﻦﺴﺣﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﺎﻨﺴﺣﺍ
ﻥﺍﻭ ﺍﻮﺋﺎﺳﺍ ﺎﻨﺌﺳﺍ ﻦﻜﻟﻭ ﺍﻮﻨﻃﻭ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻥﺍ
ﻦﺴﺣﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﺍﻮﻨﺴﺤﺗ ﻥﺍ ﻥﺍﻭ ﺍﻮﺋﺎﺳﺍ ﺍﻮﻤﻠﻈﺗﻻﺍ
অর্থ তোমরা এমন চরিত্রের হবে না যে,
তোমরা বলতে থাকবে, মানুষেরা ভাল
ব্যবহার করলে, আমরাও ভাল ব্যবহার করব
এবং তারা খারাপ ব্যবহার করলে, আমরাও
খারাপ ব্যবহার করব। কিন্তু
তোমরা নিজেদের
এমনভাবে তৈরী করবে যে, মানুষেরা ভাল
ব্যবহার করলে তোমরা ভাল ব্যবহার
করবে। এবং তারা খারাপ ব্যবহার
করলে তোমরা জুলুম করবে না। (মিশকাত)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যে দ্বীন কায়েমের
জন্য পাঠান, সে দ্বীনের দাওয়াত ও
তাবলীগের আদর্শ তার মধ্যে বিদ্যমান।
বিভিন্ন সীরাত পড়লে উপরোক্ত আদর্শ
পাওয়া যাবে। (চলবে)
আদর্শ রয়েছে "
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(৪)দাওয়াত ও তাবলীগের আদর্শ
রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে।
আদর্শ ও নীতি যতই সুন্দর ও উন্নত হোক
না কেন, তার দিকে আকর্ষনীয়ভাবে আহবান
ও প্রচার না থাকলে, সাধারন মানুষের
কাছে গ্রহনযোগ্য হয়না, মানুষ তা গ্রহন
করে না। পন্য -দ্রব্য যতই উন্নত হোক
না কেন, তার প্রচারক না থাকলে,
সে পন্যের প্রতি মানুষের আকর্ষন হয় না,
বাজারে তার যথাউপযুক্ত
কাটতি হয়না এবং বিক্রি হয় না।
ইসলামী জীবন -ব্যবস্থা সর্বোত্তম জীবন -
ব্যবস্থা। এর প্রতি আহবান করা ও তার
তাবলীগ করা আবশ্যক -ফারজ করা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﻉﺩﺍ ﻞﻴﺒﺳ ﻲﻟﺍ ﻚﺑﺭ
ﺔﻈﻋﻮﻤﻟﺍﻭ ﺔﻤﻜﺤﻟﺎﺑ ﺔﻨﺴﺤﻟﺍ
অর্থ তুমি তোমার রবের পথের দিকে আহবান
কর প্রজ্ঞা ও উত্তম নাসীহাত সহকারে।
(সূরা আন -নাহলে, আয়াত নং)
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
ﺎﻬﻳﺎﻳ ﻝﻮﺳﺮﻟﺍ ﻎﻠﺑ ﻝﺰﻧﺍ ﺎﻣ ﻚﺑﺭ ﻦﻣ ﻚﻴﻟﺍ ﻥﺍﻭ ﻢﻟ
ﻞﻌﻔﺗ ﺖﻐﻠﺑ ﺎﻤﻓ ﻪﺘﻟﺎﺳﺭ .
অর্থ হে রাসূল, তোমার নিকট তোমার রবের
পক্ষ থেকে যা অবতীর্ন হয়েছে,
তা তুমি প্রচার কর। আর
যদি তুমি তা না কর, তাহলে তুমি তাঁর
পয়গাম পৌছালেও না! (সূরা আল -মাইদা,
আয়াত নং)
মহান আল্লাহর এই দাহওয়াত ও তাবলীগের
নির্দেশ পালন করতে যেয়ে আদর্শ স্থাপন
করেছেন। তিনি প্রথমে গোপনে প্রায় তিন
বৎসর কাল দাওয়াত দিয়েছেন। তারপর
আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্য দাওয়াত
সাফা পাহাড় থেকে শুরু করেন। তিনি প্রায়
প্রতিটি জনসমাবেশে দাওয়াত ও
তাবলীগের কাজ করেন। হাজ্জের
মৌসুমে মিনা সহ বাভিন্ন
সমাবেশে দাওয়াত দেন। তিনি বলতেন,
ﺎﻬﻳﺍﺎﻳ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻪﻟﺍﻻ ﺍﻮﻟﻮﻗ ﻻﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﻥﻮﺤﻠﻔﺗ
অর্থ হে মানব জাতি, তোমরা "আল্লাহ
ছাড়া কোন মাবুদ নেই "বল,
তাহলে তোমরা সফল হবে, মুক্তি পাবে।
কখনো কিয়ামতের দাওয়াত দেতেন। আল্লাহ
তাকে রাসূল করে পাঠানোর কথা বলতেন।
কখনো বিভিন্ন স্থান থেকে আয়াত
তিলাওয়াত করে দাওয়াত দিতেন। আল্লাহ
তাঁকে দায়ী হিসাবে প্রেরন করেছেন।
আল্লাহ বলেন,
ﻲﻟﺍ ﺎﻴﻋﺍﺩﻭ ﺎﺟﺍﺮﺳﻭ ﻪﻧﺫﺎﺑ ﻪﻠﻟﺍ ﺍﺮﻴﻨﻣ
অর্থ আর আল্লাহর দিকে তাঁর
অনুমতিক্রমে দায়ী ও উজ্জল প্রদীপ
হিসাবে ----।(সূরা আল -আহযাব, আয়াত নং)
ﻞﻗ ﻩﺬﻫ ﻮﻋﺩﺍ ﻲﻠﻴﺒﺳ ﻲﻟﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻠﻋ ﺎﻧﺍ ﺓﺮﻴﺼﺑ
ﻦﻣﻭ ﻲﻨﻌﺒﺗﺍ
অর্থ এই আমার পথ, আমি আল্লাহর
দিকে দাওয়াত দেই স্পষ্ট প্রমানের উপর
ভিত্তি করে এবং আমার অনুসারীরাও
(আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়।)
(সূরা ইউসুফ, আয়াত নং)
ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াত দিয়েছেন। আবার
সামষ্টিক দাওয়াতও দিয়েছেন।
তায়ফে যেয়ে তিন গোত্রীয়
নেতাকে দাওয়াত দিয়েছেন। মাদীনায়
এসেও দাওয়াত দিয়েছেন। আবদুল্লাহ বিন
উবাই সহ মুনাফিকদেরও তিনি দাওয়াত
দিয়েছেন। যখন আদেশ সুচক বা নিষেধ সুচক
আয়াত অবতীর্ন হতো, তখন
তিনি সাহাবীদের দিয়ে প্রচার করাতেন।
সাহাবীরা (রাঃ) নিজেরাও প্রচার
করতেন। তাঁর তাবলীগ নিদ্দিষ্ট কোন
দফার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তাঁর
দাওয়াতী বক্তব্যের নিয়ম ছিল
ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে বুঝিয়ে বুঝিয়ে।
একাধিকবার করে। ভাষা ছিল মোলায়েম ও
হৃদয় স্পর্ষী।যুক্তি ভিত্তিক। খারাপ
ব্যবহার ও আচরন করলেও তিনি খারাপ
আচরন করতেন না। ধৈয্যের সাথে দাওয়াত
ও তাবলীগের দায়িত্ব পালন করতেন।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
ﺍﻮﻧﻮﻜﺗﻻ ﻥﺍ ﻥﻮﻟﻮﻘﺗ ﺔﻌﻣﺍ ﻦﺴﺣﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﺎﻨﺴﺣﺍ
ﻥﺍﻭ ﺍﻮﺋﺎﺳﺍ ﺎﻨﺌﺳﺍ ﻦﻜﻟﻭ ﺍﻮﻨﻃﻭ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻥﺍ
ﻦﺴﺣﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﺍﻮﻨﺴﺤﺗ ﻥﺍ ﻥﺍﻭ ﺍﻮﺋﺎﺳﺍ ﺍﻮﻤﻠﻈﺗﻻﺍ
অর্থ তোমরা এমন চরিত্রের হবে না যে,
তোমরা বলতে থাকবে, মানুষেরা ভাল
ব্যবহার করলে, আমরাও ভাল ব্যবহার করব
এবং তারা খারাপ ব্যবহার করলে, আমরাও
খারাপ ব্যবহার করব। কিন্তু
তোমরা নিজেদের
এমনভাবে তৈরী করবে যে, মানুষেরা ভাল
ব্যবহার করলে তোমরা ভাল ব্যবহার
করবে। এবং তারা খারাপ ব্যবহার
করলে তোমরা জুলুম করবে না। (মিশকাত)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে যে দ্বীন কায়েমের
জন্য পাঠান, সে দ্বীনের দাওয়াত ও
তাবলীগের আদর্শ তার মধ্যে বিদ্যমান।
বিভিন্ন সীরাত পড়লে উপরোক্ত আদর্শ
পাওয়া যাবে। (চলবে)
Comments
Post a Comment