প্রিয় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আচার ব্যবহার
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ
রয়েছে "
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(৯)বিনয়ী হওয়া,অহংকারী না হওয়া ও
নম্র ব্যবহারকারী হওয়া রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর আদর্শ।
মানুষের ধারনা বিনয়ী হলে ও নম্র
ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয়,
মর্যাদা নীচু হয় ও সম্মানের ঘাটতি হয়,
কিন্তু আসলে বিনয়ী হলে ও নম্র
ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয় না,
বরং মর্যাদা ও সম্মান উচু হয়। আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) বলেন,
ﻦﻣ ﻊﺿﺍﻮﺗ ﻪﻠﻟ ﻪﻌﻓﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﻐﺻ
ﻭ ﻦﻴﻋﺍ ﻲﻓ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻢﻴﻈﻋ ﻦﻣﻭ ﻪﻌﺿﻭ ﺮﺒﻜﺗ ﻪﻠﻟﺍ
ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻦﻴﻋﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻲﻓﻭﺮﻴﻐﺻ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﺒﻛ
ﻲﺘﺣ ﻮﻬﻟ ﻥﻮﻫﺍ ﻦﻣ ﻢﻬﻴﻠﻋ ﺐﻠﻛ ﺮﻳﺰﻨﺧﻭ ﻩﺍﻭﺭ
ﻲﻘﻬﻴﺒﻟﺍ
অর্থ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়,
আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন।
অতএব সে মনে মনে ছোট অথচ মানুষের
দৃষ্টিতে বড়। আর যে ব্যক্তি অহংকার
করে আল্লাহ তাকে নীচু করে দেয়। অতএব
সে মানুষের চোখে ছোট অথচ মনে মনে বড়।
এমনকি সে মানুষের নিকট কুকুর ও শুকরের
চেয়ে লাঙ্চিত।
(বাইহাকী)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিনয়ী, নম্র ও ভদ্র
ছিলেন। এই বিনয়ী ও নম্র হওয়াই
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। আল্লাহ
তায়ালা তার নম্রতার সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,
ﺎﻤﺒﻓ ﻦﻣ ﺔﻤﺣﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻬﻟ ﺖﻨﻟ ﻮﻟﻭ ﺖﻨﻛ ﺎﻈﻓ
ﻆﻴﻠﻏ ﺐﻠﻘﻟﺍ ﺍﻮﻀﻔﻧﻻ ﻚﻟﻮﺣ ﻦﻣ
অর্থ অতএব আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ
অনুগ্রহের কারনে তুমি তাদের
(সাহাবীদের (রাঃ) সাথে নম্র ব্যবহার
করেছ, আর তুমি যদি কঠিন হ়দয়
কর্কশভাষী হতে, তাহলে তারা তোমার পাশ
থেকে ছিটকে পড়তো। (সূরা আলে ইমরান,
আয়াত নং১৫৯)
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﻢﻜﺋﺎﺟ ﺪﻘﻟ ﻦﻣ ﻝﻮﺳﺭ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻪﻴﻠﻋ ﺰﻳﺰﻋ ﺎﻣ
ﻢﺘﻨﻋ ﺺﻳﺮﺣ ﻦﻴﻨﻣﻮﻤﻟﺎﺑ ﻢﻜﻴﻠﻋ ﻑﻭﺅﺭ
ﺓﺭﻮﺳ،ﻢﻴﺣﺭ ﺔﺑﻮﺘﻟﺍ
অর্থ নিশ্চয় তোমাদের মধ্য
থেকে তোমাদের নিকট এক মহান রাসুল
আগমন করেছেন,তোমাদের কষ্ট তাঁর নিকট
কঠিন, তোমাদের প্রতি কল্যাণের আগ্রহী,
মুমিনদের প্রতি অতিঅনুগ্রহশীল, অণিক
দয়ালু। (সূরা আত -তাওবাহ, আয়াত নং)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ফাজরের
নামাজ পড়তেন, তখন মাদীনার সেবকগন
পানিভরা পাত্র নিয়ে আসতো (রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর বরকতপুর্ন হাত তাদের
পানিতে স্পর্শ করার জন্য)। অতএব
তারা যে পাত্রই আনতো,
তিনি তাতে (বরকতের জন্য) হাত ঢুকাতেন।
অনেক সময় তারা তাঁর
কাছে ঠান্ডা সকালে নিয়ে আসতো,
তারপরেও তিনি তাঁর হাত তাতে(ঠান্ডার
কারনে কষ্ট হলেও) ডুবাতেন।(সহীহ
মুসলিম)
মানুষের অন্তর তুষ্টির জন্য তিনি কষ্ট
বরদাশত করতেন। বিশেষ করে সেবক ও
দুর্বল লোকদের সাথে এই নম্র আচরন
করতেন। দুর্বললোকদের সাথে রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বিনয়ী ব্যবহারের বর্ননা এই
হাদীসে বিদ্যমান।
হযরত আনাস ( রাঃ) বর্নিত। তিনি বলেন,
(রাসূলুলুল্লাহ(সাঃ) এত বিনয়ী ছিলেন
যে,ধরে নেয়া যায়) মাদীনাবাসী কোন
দাসী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাত
ধরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিয়ে যেতে পারে।
(সহীহ আল -বুখারী)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক
মহিলার হালকা বুদ্ধি ছিল। সে বললো,
হে আল্লাহর রাসুল, আমার আপনার
কাছে প্রয়োজন আছে। তখন তিনি বলেন,
হে অমুকের মা, তুমি চিন্তা করে দেখ,
তুমি যে গলিতে ই্চ্ছা,আমি সেখানে যেয়ে তোমার
প্রয়োজন পুর্ন করবো। তিনি কোন এক
রাস্তায় নির্জনে যেয়ে তার প্রয়োজন
মিটালেন। (সহীহ মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে লক্ষ্য করে আল্লাহ
বলেন,
ﻊﻓﺩﺍ ﻲﻫ ﻲﺘﻟﺎﺑ ﻦﺴﺣﺍ ﺍﺫﺎﻓ ﻱﺬﻟﺍ ﻪﻨﻴﺑﻭ ﻚﻨﻴﺑ
ﻪﻧﺎﻛ ﺓﻭﺍﺪﻋ ﻲﻟﻭ ﻢﻴﻤﺣ
অর্থ তুমি সর্বোত্তম ব্যবহারের
মাধ্যমে (বাতিল পন্থীদের অসৎব্যবহার)
দুর কর দাও। তাহলে দেখবে যার মধ্যে ও
তোমার মধ্যে শত্রুতা আছে, সে পরম
একনিষ্ট বন্ধুতে পরিনত হয়েছে।
(সূরা হামীম আস -সিজদাহ, আয়াত নং ৩৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আচার -ব্যবহারে,
বিনয়ী ও নম্রতায় ও
নিরাহংকারে বিশ্বের আদর্শ স্থানীয়
ব্যক্তিত্ব ছিলেন। (চলবে)
মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ
রয়েছে "
মুহাম্মাদ রবিউল বাশার
(৯)বিনয়ী হওয়া,অহংকারী না হওয়া ও
নম্র ব্যবহারকারী হওয়া রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর আদর্শ।
মানুষের ধারনা বিনয়ী হলে ও নম্র
ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয়,
মর্যাদা নীচু হয় ও সম্মানের ঘাটতি হয়,
কিন্তু আসলে বিনয়ী হলে ও নম্র
ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয় না,
বরং মর্যাদা ও সম্মান উচু হয়। আল্লাহর
রাসুল (সাঃ) বলেন,
ﻦﻣ ﻊﺿﺍﻮﺗ ﻪﻠﻟ ﻪﻌﻓﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﻐﺻ
ﻭ ﻦﻴﻋﺍ ﻲﻓ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻢﻴﻈﻋ ﻦﻣﻭ ﻪﻌﺿﻭ ﺮﺒﻜﺗ ﻪﻠﻟﺍ
ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻦﻴﻋﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻲﻓﻭﺮﻴﻐﺻ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﺒﻛ
ﻲﺘﺣ ﻮﻬﻟ ﻥﻮﻫﺍ ﻦﻣ ﻢﻬﻴﻠﻋ ﺐﻠﻛ ﺮﻳﺰﻨﺧﻭ ﻩﺍﻭﺭ
ﻲﻘﻬﻴﺒﻟﺍ
অর্থ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়,
আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন।
অতএব সে মনে মনে ছোট অথচ মানুষের
দৃষ্টিতে বড়। আর যে ব্যক্তি অহংকার
করে আল্লাহ তাকে নীচু করে দেয়। অতএব
সে মানুষের চোখে ছোট অথচ মনে মনে বড়।
এমনকি সে মানুষের নিকট কুকুর ও শুকরের
চেয়ে লাঙ্চিত।
(বাইহাকী)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিনয়ী, নম্র ও ভদ্র
ছিলেন। এই বিনয়ী ও নম্র হওয়াই
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। আল্লাহ
তায়ালা তার নম্রতার সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,
ﺎﻤﺒﻓ ﻦﻣ ﺔﻤﺣﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻬﻟ ﺖﻨﻟ ﻮﻟﻭ ﺖﻨﻛ ﺎﻈﻓ
ﻆﻴﻠﻏ ﺐﻠﻘﻟﺍ ﺍﻮﻀﻔﻧﻻ ﻚﻟﻮﺣ ﻦﻣ
অর্থ অতএব আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ
অনুগ্রহের কারনে তুমি তাদের
(সাহাবীদের (রাঃ) সাথে নম্র ব্যবহার
করেছ, আর তুমি যদি কঠিন হ়দয়
কর্কশভাষী হতে, তাহলে তারা তোমার পাশ
থেকে ছিটকে পড়তো। (সূরা আলে ইমরান,
আয়াত নং১৫৯)
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﻢﻜﺋﺎﺟ ﺪﻘﻟ ﻦﻣ ﻝﻮﺳﺭ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻪﻴﻠﻋ ﺰﻳﺰﻋ ﺎﻣ
ﻢﺘﻨﻋ ﺺﻳﺮﺣ ﻦﻴﻨﻣﻮﻤﻟﺎﺑ ﻢﻜﻴﻠﻋ ﻑﻭﺅﺭ
ﺓﺭﻮﺳ،ﻢﻴﺣﺭ ﺔﺑﻮﺘﻟﺍ
অর্থ নিশ্চয় তোমাদের মধ্য
থেকে তোমাদের নিকট এক মহান রাসুল
আগমন করেছেন,তোমাদের কষ্ট তাঁর নিকট
কঠিন, তোমাদের প্রতি কল্যাণের আগ্রহী,
মুমিনদের প্রতি অতিঅনুগ্রহশীল, অণিক
দয়ালু। (সূরা আত -তাওবাহ, আয়াত নং)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ফাজরের
নামাজ পড়তেন, তখন মাদীনার সেবকগন
পানিভরা পাত্র নিয়ে আসতো (রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর বরকতপুর্ন হাত তাদের
পানিতে স্পর্শ করার জন্য)। অতএব
তারা যে পাত্রই আনতো,
তিনি তাতে (বরকতের জন্য) হাত ঢুকাতেন।
অনেক সময় তারা তাঁর
কাছে ঠান্ডা সকালে নিয়ে আসতো,
তারপরেও তিনি তাঁর হাত তাতে(ঠান্ডার
কারনে কষ্ট হলেও) ডুবাতেন।(সহীহ
মুসলিম)
মানুষের অন্তর তুষ্টির জন্য তিনি কষ্ট
বরদাশত করতেন। বিশেষ করে সেবক ও
দুর্বল লোকদের সাথে এই নম্র আচরন
করতেন। দুর্বললোকদের সাথে রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বিনয়ী ব্যবহারের বর্ননা এই
হাদীসে বিদ্যমান।
হযরত আনাস ( রাঃ) বর্নিত। তিনি বলেন,
(রাসূলুলুল্লাহ(সাঃ) এত বিনয়ী ছিলেন
যে,ধরে নেয়া যায়) মাদীনাবাসী কোন
দাসী রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাত
ধরে যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিয়ে যেতে পারে।
(সহীহ আল -বুখারী)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। জনৈক
মহিলার হালকা বুদ্ধি ছিল। সে বললো,
হে আল্লাহর রাসুল, আমার আপনার
কাছে প্রয়োজন আছে। তখন তিনি বলেন,
হে অমুকের মা, তুমি চিন্তা করে দেখ,
তুমি যে গলিতে ই্চ্ছা,আমি সেখানে যেয়ে তোমার
প্রয়োজন পুর্ন করবো। তিনি কোন এক
রাস্তায় নির্জনে যেয়ে তার প্রয়োজন
মিটালেন। (সহীহ মুসলিম)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে লক্ষ্য করে আল্লাহ
বলেন,
ﻊﻓﺩﺍ ﻲﻫ ﻲﺘﻟﺎﺑ ﻦﺴﺣﺍ ﺍﺫﺎﻓ ﻱﺬﻟﺍ ﻪﻨﻴﺑﻭ ﻚﻨﻴﺑ
ﻪﻧﺎﻛ ﺓﻭﺍﺪﻋ ﻲﻟﻭ ﻢﻴﻤﺣ
অর্থ তুমি সর্বোত্তম ব্যবহারের
মাধ্যমে (বাতিল পন্থীদের অসৎব্যবহার)
দুর কর দাও। তাহলে দেখবে যার মধ্যে ও
তোমার মধ্যে শত্রুতা আছে, সে পরম
একনিষ্ট বন্ধুতে পরিনত হয়েছে।
(সূরা হামীম আস -সিজদাহ, আয়াত নং ৩৪)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আচার -ব্যবহারে,
বিনয়ী ও নম্রতায় ও
নিরাহংকারে বিশ্বের আদর্শ স্থানীয়
ব্যক্তিত্ব ছিলেন। (চলবে)
Comments
Post a Comment