রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ইবাদত

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের উত্তম আদর্শ

মুহাম্মাদ রবিউল বাশার।

(২) ইবাদাত ও বন্দেগীর ব্যাপারে রাসুল
(সাঃ) এর আদর্শ :
সাধারন নিরক্ষর ধার্মিক
ব্যক্তিরা প্রতিযুগে ইবাদাতের
ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ীকে পছন্দ করে।
একদেশদর্শীর ভূমিকা পালন করে,
একপেষে কাজ করতে ভালবাসে। নফল
নামাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, নফল
রোজা সারা বৎসর রাখতেই থাকে, সবসময়
জিকির আজকারে ব্যস্ত। কিন্তু ভারসাম্য
রক্ষা করে ইবাদাত করে না। অন্যান্য
ইসলামী দায়িত্ব পালনের প্রতি ভ্রুক্ষেপ
করেনা। আসলে ইসলামী জীবন
ভারসাম্যপুর্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সে আদর্শই
রেখে গিয়েছেন।
ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﺀﺎﺟ ﻝﺎﻗ ﺔﺛﻼﺛ ﻲﻟﺍ ﻂﻫﺭ ﺝﺍﻭﺯﺍ
ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻥﻮﻠﺌﺴﻳ ﺓﺩﺎﺒﻋ ﻦﻋ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ
ﺎﻤﻠﻓ ﺍﻭﺮﺒﺧﺍ ﺎﻬﺑ ﻢﻬﻧﺎﻛ ﺍﻮﻟﺎﻘﻓ ﺎﻫﻮﻟﺎﻘﺗ ﻦﻳﺍ ﻦﺤﻧ
ﻦﻣ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻗﻭ ﻡﺪﻘﺗﺎﻣ ﻪﻠﻟﺍﺮﻔﻏ ﻪﺒﻧﺫ ﻦﻣ
ﻝﺎﻘﻓ ﺮﺧﺎﺗﺎﻣﻭ ﺎﻣﺍ ﻢﻫﺪﺣﺍ ﺎﻧﺍ ﻞﻴﻠﻟﺍ ﻲﻠﺻﺎﻓ ﺍﺪﺑﺍ
ﻝﺎﻗﻭ ﻡﻮﺻﺍ ﺎﻧﺍ ﺮﺧﻻﺍ ﺭﺎﻬﻨﻟﺍ ﺍﺪﺑﺍ ﻻﻭ ﺮﻄﻓﺍ ﻝﺎﻗﻭ
ﻝﺰﺘﻋﺍﺎﻧﺍ ﺮﺧﻻﺍ ﺀﺎﺴﻨﻟﺍ ﻼﻓ ﺝﻭﺰﺗﺍ ﺍﺪﺑﺍ ﺀﺎﺠﻓ ﻲﺒﻨﻟﺍ
ﻝﺎﻘﻓ ﻢﻬﻴﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻢﺘﻧﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍ ﺍﺬﻛ ﻢﺘﻠﻗ ﺍﺬﻛﻭ
ﺎﻣﺍ ﻪﻠﻟﺍﻭ ﻲﻧﺍ ﻢﻛﺎﺸﺧﻻ ﻪﻟ ﻢﻛﺎﻘﺗﺍﻭ ﻪﻠﻟ ﻲﻨﻜﻟﻭ
ﻡﻮﺻﺍ ﺮﻄﻓﺍﻭ ﻲﻠﺻﺍﻭ ﺝﻭﺰﺗﺍﻭ ﺪﻗﺭﺍﻭ ﺀﺎﺴﻨﻟﺍ ﻦﻤﻓ
ﺐﻏﺭ ﻦﻋ ﻲﺘﻨﺳ ﻲﻨﻣ ﺲﻴﻠﻓ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
ﻢﻠﺴﻣﻭ
অর্থ :হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত।
তিনি বলেন, তিন ব্যক্তি প্রিয়নাবীর
স্ত্রীদের কাছে আসেন প্রিয়নাবীর
ইবাদাত সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানতে।
তারপর যখন তাদেরকে সে সম্পর্কে সংবাদ
দেয়া হল, তখন তাঁরা এই ইবাদাত কম
বলে অনুভব করলো। তারপর তাঁরা বললো,
প্রিয়নাবীর থেকে আমরা কোথায়? অথচ
আল্লাহ তাঁর পুর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহ
ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাদের একজন বললো,
আমি সর্বদা রাতব্যপি নামাজ পড়বো।
আরএকজন বললো,
সর্বদা দিনে রোজা রাখবো এবং কোনদিন
রোজা ভাঙবো না। আর একজন বললো,
আমি নারীদের থেকে পৃথক থাকবো। অতএব
কখনো বিয়ে করবো না।
এমনি মুহুর্তে প্রিয়নাবী (সাঃ) তাঁদের
নিকট আগমন করলেন। তারপর বললেন,
তোমরাই তো এই এই কথা বলেছো। শুনে রাখ,
আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, নিশ্চয়
আমি তোমাদের চেয়ে বেশী আল্লাহকে ভয়
করি এবং তোমাদের চেয়ে আল্লাহকে ভয়
করে পরহেজ করি, কিন্তু আমি রোজা রাখি,
আবার রোজা ভাঙ্গি, নামাজ পড়ি, আবার
ঘুমাই, বিবাহ করি। অতএব
যে ব্যক্তি আমার নীতি ও আদর্শ থেকে মুখ
ফিরিয়ে নেবে, সে আমার (উম্মাতের)
অন্তর্ভুক্ত নয়। (সহীহ আল -বুখারী ও সহীহ
মুসলিম।)
উপরোক্ত হাদীস থেকে জানা যায়,
প্রতিদিন সমস্ত রাত নামাজের অভ্যাস
করা এবং সারা রাত জাগা/ না ঘুমানো,
প্রতিদিন রোজা রাখা এবং কোন দিন
রোজা না ভাঙ্গা, অবিবাহিত জীবন -যাপন
করা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ নয়।
ভারসাম্যপর্ন ইবাদাত -বন্দেগী করাই
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। রাতে শরীর
ও স্বাস্থের প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমান,
বসরে পাঁচদিন ছাড়া সারা বৎসর
রোজা রাখা জায়েয হলেও শরীর ও
স্বাস্থ্যের জন্য এবং দুনিয়ার অন্যান্য
দায়িত্ব পালনের জন্য কষ্টকর, বৈবাহিক
জীবন পরিহার করা মানব বংশ ধ্বংসের
শামিল। প্রাকৃতিক প্রয়োজন পুরন
না হওয়ায় শারীরের জন্যও ক্ষতিকর।
আল্লাহ মানুষকে দুনিয়ার খিলাফাতের
দায়িত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। শুধু জিকির,
শুধু নামাজ পড়া, শুধু রোজা রাখার জন্য
সৃষ্টি করেন নি। মানুষ আল্লাহর বিধান
মোতাবেক ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ
মোতাবেক দুনিয়া আবাদ করবে। ইবাদাত
এবং খিলাফাতের দায়িত্ব
ভারসাম্যপুর্নভাবে পালন করতে হবে।
(চলবে)

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়