বীরশ্রেষ্ঠ হিসাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃ )এর মধ্যে বিশ্বমানুষের
জন্য আদর্শ আছে। "

মুহাম্মাদ রবিউল বাশার

(৬)সেনাপতি হওয়ার আদর্শ
রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে।
আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে নিয়মতান্ত্রিক
পন্থা অবলম্বন করতে হয়। দাওয়াত ও
তাবলীগের মাধ্যমে আদর্শের প্রভাব
জনসাধারনের মধ্যে সৃষ্টি হয়। নৈতিক
গুনের যোগ্য ব্যক্তিরা আদর্শের দাওয়াত
গ্রহন করে এবং দুর্নীতিবাজদের
বিরুদ্ধে যোগ্য নীতিবান
হিসাবে গড়ে ওঠে। কিন্তু স্বার্থবাদী,
স্বার্থান্বেষী ও
ভোগবাদী লোকেরা স্বার্থের
করনে নীতিবানদের বিরুদ্ধে অবস্থান.
গ্রহন করে।
তারা চিন্তা করে নীতিবানদের
হাতে ক্ষমতা গেলে তাদের ভোগের
পথে বাধা হবে এবং স্বার্থহানী ঘটবে,
তাই দুর্নীতিবাজ ও
ভোগবাদী লোকেরা সর্বশক্তি দিয়ে নীতিবানদের
আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি করে। তখন
বাধে সংঘর্ষ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
ইসলামী আদর্শবাদী একদল লোক
তৈরী করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য
সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যচ্ছেন,
ইসলামের জন্য জুলুম -নির্যাতন সহ্য
করতে লাগলেন, সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত
হয়ে গেলেন, প্রয়োজনে দেশ ত্যাগ করলেন
এবং মুহাজিরদের আনসানরা সর্বাত্মক
সহযোগিতা করলেন! এমনকি নিজের প্রান
দিতে কুন্ঠাবোধ করলেন না। এমন ধরনের
হক -বাতিলের লড়াই, মুমিন -কাফিরের
লড়াই হয়েছে অনেক। পৃথিবীর
ইতিহাসে আদর্শ স্থানীয় ২৭টি হক -
বাতিলের যুদ্ধে এবং মুমিন -কাফিরের
যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেনাপতির
দায়িত্ব পালন করেছেন। বদর, ওহুদ, খন্দক,
খাইবার, মাক্কা বিজয়, হুনাইন, তাবুক
ইত্যাদি যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)আদর্শ
সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পৃথিবীর
ইতিহাসে আদর্শ সেনানায়ক তাঁর মত
দ্বিতীয় আর
কারো পাওয়া যায়নি এবং ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে না।
মহান আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)
এর উপর যুদ্ধের দায়িত্ব অর্পন করেন
এবং মুমিনদের যুদ্ধের উৎসাহ দেয়ার
দায়িত্ব দিয়ে বলেন,
ﻲﻓ ﻞﺗﺎﻘﻓ ﻞﻴﺒﺳ ﻪﻠﻟﺍ ﻒﻠﻜﺗ ﻻ ﻻﺍ ﺽﺮﺣﻭ ﻚﺴﻔﻧ
ﻦﻴﻨﻣﻮﻤﻟﺍ
অর্থ (হে নাবী,)অতএব তুমি আল্লাহর
পথে লড়াই কর। দায়িত্ব তোমার নিজের
উপর ছাড়া অন্য কারো উপর নয়। আর
তুমি মমিনদেরকে উৎসাহ দাও। (সূরা আন -
নিসা,আয়াত নং)
যুদ্ধের ময়দানে কঠিন মুহুর্তে আদর্শিক
নিয়ম পালনের ঘাটতিকে রাসুলুল্লাহ(সাঃ
)পছন্দ করেননি। তিনি যুদ্ধের নিয়ম -
নীতি বলে দেন :
(১) কোন নারী যুদ্ধের
ময়দানে হত্যা করা যাবে না।
যুদ্ধে সহায়তা করলে ভিন্ন কথা।
(২)কোন শিশুকে যুদ্ধের
ময়দানে হত্যা করা যাবে না।
(৩ ) যুদ্ধের উপযুক্ত নয়, এমন বৃদ্ধ
ব্যক্তিকে যুদ্ধের
ময়দানে হত্যা করা যাবে না।
(৪)কোন অমুসলিম
সৈনিককে হত্যা কে চেহারা বা অঙ্গপ্রতঙ্গ
বিকৃত করা যাবে না।
(৫)কোন বেসামরিক
ব্যক্তি হত্যা করা যাবে না।
(৬)যুদ্ধ হতে হবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির
উদ্দেশ্যে। নামযষ লাভের জন্য, সুনামের
জন্য, নিজের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য,
গনীমাতের সম্পদ পাওয়ার জন্য
বা দুনিয়ার কোন স্বার্থের জন্য যুদ্ধ
করলে কোন সেওয়াব পাওয়া যাবে না।
ইত্যাদি।
যুদ্ধকে এভাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
পরিচ্ছন্ন করেন।
বিশ্বে যারা শ্রেষ্ঠত্বের
আসনে বসে বিশ্বকে নসীহাত ফরমান,
তাদের যুদ্ধে মানবাধিকার
বিরুধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়।
তাতে প্রশংসার বাক্য
শুনতে ওৎপেতে থাকে। তারা বেসামরিক
ব্যক্তিদের হত্যা করে, হত্যা করার পর
দেহ ও চেহারা বিকৃত করে! বাড়ীঘর
ভেঙ্গে জালিয়ে তছনছ করে। সম্পদ -
গাছগাছালি কেটে ধংস করে। অন্যদের
বেলায় তা মেনে নেয় না। রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) আল্লাহর নির্দেশনার বাহিরে কোন
কাজের অনুমোদন করেননি। আল্লাহ বলেন,
ﺍﻭﺪﺘﻌﺗ ﻻﻭ ﻥﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺐﺤﻳ ﻻ ﻦﻳﺪﺘﻌﻤﻟﺍ অর্থ
আর তোমরা সীমা লঙ্ঘন করনা। নিশ্চয়
আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন
না। (সুরা আল -বাকারা, আয়াত নং)
যুদ্ধের সর্বোত্তম আদর্শ বিশ্বনাবীর
জীবনে বিদ্যমান। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন
সুন্দর সকল দিকের আদর্শ
ব্যক্তি পাওয়া যায়নি এবং পাওয়া যাবে না।
(চলবে)

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়