ইনসাফের প্রতীক রাসূলুল্লাহ সাঃ

"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
মধ্যে বিশ্বমানুষের. জন্য আদর্শ রয়েছে "

মুহাম্মাদ রবিউল বাশার .

(৭)রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে ন্যায়
বিচার করার আদর্শ বিদ্যমান।
বিচার করা যায় কিন্তু প্রতিকুল মুহুর্তেও
ন্যায় ও ইনসাফের উপর টিকে থেকে বিচার
করার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা স্বাভাবিক
ব্যপার নয়। ন্যায় ও ইনসাফ থেকে বিচ্যুত
হয় প্রধান দুটি কারনে!যথা (১)পিতা -
মাতা, আত্মীয় -স্বজন, বন্ধু ও স্বার্থের
বিরুদ্ধে গেলেও ইনসাফ ও ন্যায়বিচার
বিচ্যুত হয়! (২)শত্রুর পক্ষে গেলে ইনসাফ
ও. ন্যায়বিচার বিচ্যুত হয়। মুমিনদের
দায়িত্ব হল ইনসাফ ও অন্যায়কে সমুন্নত
করা।
*** আল্লাহ বলেন,
ﺎﻳ ﺎﻬﻳﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍ ﺍﻮﻣﺍ ﻦﻴﻣﺍﻮﻗ ﺍﻮﻧﻮﻛ ﻂﺴﻘﻟﺎﺑ
ﺀﺍﺪﻬﺷ ﻪﻠﻟ ﻮﻟﻭ ﻲﻠﻋ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻭﺍ ﻦﻳﺪﻟﺍﻮﻟﺍ
ﻦﻴﺑﺮﻗﻻﺍﻭ
অর্থ ওহে যারা ঈমান এনেছো,
তোমরা ন্যায় ও ইনসাফ.কায়েমকারী,
আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্যদাতা হও, যদিও
নিজেদের বা পিতামাতার ও নিকট্-
আত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়। (সুরা আন নিসা,
আয়াত নং)
*** আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
ﺎﻳ ﺍﻮﻨﻣﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍﺎﻬﻳﺍ ﻦﻴﻣﺍﻮﻗ ﺍﻮﻧﻮﻛ ﻪﻠﻟ ﺀﺍﺪﻬﺷ
ﻂﺴﻘﻟﺎﺑ ﻻﻭ ﻡﻮﻗ ﻥﺎﻨﺷ ﻢﻜﻨﻣﺮﺠﻳ ﻲﻠﻋ ﻻﺍ ﺍﻮﻟﺪﻌﺗ
অর্থ ওহে যারা ঈমান এনেছো,
তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান,
ন্যায়ের সাক্ষ্যদাতা হও। আর কোন জাতির
শত্রুতা যেন তোমাদের ন্যায়বিচার ও
ইনসাফ না করতে উৎসাহ না দেয়! (সুরা আল
-মাইদাহ, আয়াত নং )
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সারা বিশ্বের সকল
ব্যপারে আদর্শ ব্যক্তিত্ব। বিচারের
ক্ষেত্রে তিনি একজন আদর্শ বিচারক।
আত্মীয়তা, বন্ধুত্ব, জাতীয়তা, সম্পদ কোন
কিছুই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে ন্যায় ভ্রষ্ট ও
ইনসাফ বিচ্যুত করতে পারেনি।
নিম্মে উদাহরন পেশ করা হল।
(ক) এক নামধারী মুসলিম ও একজন
ইয়াহুদীর মধ্যে বিবাদ হয়।
ইয়াহুদী বলে বাহৃিক মুসলিমকে,
চলো বিচার -ফায়সালর জন্য
আমরা মুহাম্মাদের কাছে যাই।
নামধারী মুসলিম ইয়াহুদীকে বিচার -
ফায়সালার জন্য ইয়াহুদী নেতা কা'ব বিন
আশরাফের কাছে যাওয়ার জন্য বলে।
পরিশেষে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
কাছে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সবকিছু
শোনার পর ইয়াহুদীর পক্ষে রায় দেয়।
(তাফসীরের জালালাইন, তাফসীরের
বাইজাবী, তাফসীরের কাশ্শাফ ইত্যাদি)
মুসলমান -অমুসলমান না দেখে সত্য ও ন্যায়
দেখে ইয়াহুদীর পক্ষে হলেও রায়
দিয়েছেন।
(খ) মাক্কা বিজয়ের বৎসর কুরাইশ
বংশীয়া এক
মহিলা চুরি করে বলে প্রমানিত
হলে কুরাইশ গোত্রের লোকেরা চোরের
হাতকাটা বাদ দিয়ে অন্যকিছু
ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করার জন্য হযরত
উসামা বিন যায়েদ (রাঃ)কে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর নিকট পাঠায়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
সাহাবী (রাঃ) কে সমবেত করে বক্তব্য
পেশ করেন। বলেন ইতিপুর্বের
জাতিরা ধ্বংস হয়ে গেছে এজন্য যে, ভদ্র ও
উচ্চস্তরের ব্যক্তি চুরি / অপরাধ
করলে ছেড়ে দেয়া হতো এবং নীচু স্তরের
লোক চুরি/অপরাধ
করলে শাস্তি দেয়া হতো। শুনে রাখ,
মুহাম্মাদের
কন্যা ফাতিমা যদি চুরি করতো,
তাহলে আমি স্বয়ং তার হাত কর্তন করতাম।
(সহীহ মুসলিম)
পবিত্র হাদীস ও
সীরাতে গ্রন্থে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
ফায়সালা ও বিচারের আদর্শ বিদ্যমান।
(গ) হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মায়ায বিন
যাবাল (রাঃ) কে বিচারক নিয়োগ দেয়ার
সময় নিয়ম -পদ্ধতি প্রশিক্ষন দেন।
আদর্শ শ্রেষ্ট বিচারক হলেন বিশ্বনাবী,
শ্রেষ্ঠনাবী এবং শেষনাবী মুহাম্মাদ
মুস্তফা (সাঃ)।

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়