রাসূলের সাঃ আদর্শঃ-মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের উত্তম আদর্শ
ﻥﺎﻛ ﺪﻘﻟ ﻲﻓ ﻢﻜﻟ ﻝﻮﺳﺭ ﺓﻮﺳﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺔﻨﺴﺣ ﻦﻤﻟ
ﻥﺎﻛ ﻮﺟﺮﻳ ﻪﻠﻟﺍ ﻡﻮﻴﻟﺍﻭ ﺮﻛﺫﻭ ﺮﺧﻻﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺍﺮﻴﺜﻛ
অর্থ নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম
আদর্শ তোমাদের জন্য যারা আল্লাহ ও
শেষ দিনের
আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশী স্বরন
করে। (সূরা আল -আহযাব, আয়াত নং ২১)
পৃথিবীতে দুটি জীবকে জ্ঞান ও বিবেক
দিয়ে আল্লাহ তা'লা স্বাধীনতা প্রদান
করেছেন। তাদের আল্লাহ প্রদত্ব রাজপথ
(শারীয়াহ ও দ্বীন )দিয়ে সেই পথে চলার
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই
রাজপথে চললে জান্নাত
এবং না চললে জাহান্নামে যেতে হবে বলে দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীর সকল কিছুর উপর খিলাফাতের
দায়িত্ব মানুষকে দেয়া হয়েছে। যদিও
ইবাদাতের দায়িত্ব মানুষ ও জিন উভয়ের।
খিলাফাত ও ইবাদাতের জন্য উত্তম আদর্শ
করে পাঠানো হয়েছে বিশ্বনাবী-রাসূল
এবং শেষনাবী -রাসূল (সাঃ) কে। মানব
জীবনের সকল দিক এবং বিভাগের
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তম আদর্শ
থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
১)ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও বৃদ্ধির আকাংখা :
জীবনের সর্সবক্ষেত্রে ইবাদাত ও
খিলাফাতের দায়িত্ব পালনের জন্য
প্রয়োজন ইলম ও জ্ঞান। সেই জ্ঞান অর্জনের
ও বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তা,ওয়ালার
নির্দেশনা আছে।
*** আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﺃﺮﻗﺍ ﻢﺳﺎﺑ ﻚﺑﺭ ﻱﺬﻟﺍ ﻖﻠﺧ
অর্থ (হে রাসূল) তুমি তোমার রবের
নামে পড়, যিনি সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আল -
আলাক, আয়াত নং ১)
*** আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
ﻞﻗ ﺏﺭ ﻲﻧﺩﺯ ﺎﻤﻠﻋ
অর্থ (হে রাসূল) তুমি প্রার্থনা কর, হে রব,
আমার ইলম -জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।
(সূরা ত্বহা,আয়াত নং ১১৪)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইলম ও জ্ঞান অর্জন ও
বৃদ্ধির নিমিত্ত জিবরাইলকে (আঃ) যখন
কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখতেন, তখন
তিনি তা আয়ত্ব ও মুখস্ত করার জন্য কষ্ট ও
চেষ্টা করতেন। ওষ্ঠদ্বয় ও
জিহবা নাড়াতেন। তাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
এর জ্ঞান অর্জনের আকর্ষন ও আগ্রহ অনুভব
করা যায়। তাইতো সহীহ আল -বুখারী ১ম
খন্ডের প্রথমে উল্লেখ আছে,
ﻦﻋ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﻲﻓ ﺽﺭ ﻪﻟﻮﻗ ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ،، ﻲﻟﺎﻌﺗ
ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻝﺎﻗ ،،ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﻥﺎﻛ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ
ﻦﻣ ﺞﻟﺎﻌﻳ ﻞﻳﺰﻨﺘﻟﺍ ﺓﺪﺷ ﻥﺎﻛﻭ ﻙﺮﺤﻳﺎﻤﻣ ﻪﻴﺘﻔﺷ
ﻝﺎﻘﻓ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﺽﺭ ﺎﻤﻬﻛﺮﺣﺍ ﺎﻧﺎﻓ ﻥﺎﻛﺎﻤﻛ ﻚﻟ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﺎﻤﻬﻛﺮﺤﻳ ﻢﻌﻠﺻ ﻝﺎﻗﻭ ﺎﻧﺍ ﺪﻴﻌﺳ
ﺎﻤﻬﻛﺮﺣﺍ ﺎﻤﻛ ﺖﻳﺍﺭ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﺽﺭ ﺎﻤﻬﻛﺮﺤﻳ
ﻙﺮﺤﻓ ﻪﻴﺘﻔﺷ ﻝﺰﻧﺎﻓ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻟﺎﻌﺗ ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ
ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﻥﺍ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺍﺮﻗﻭ ﻪﻌﻤﺟ ﻝﺎﻗ
ﻪﻌﻤﺟ ﻚﻟ ﻩﺃﺮﻘﺗﻭﺭﺪﺻ ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺃﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
ﻝﺎﻗ ﻊﻤﺘﺳﺎﻓ ﺖﺼﻧﺍﻭ ﻪﻟ ﻢﺛ ﻥﺍ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺎﻴﺑ ﻢﺛ ﻥﺍ
ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻥﺍ ﻩﺃﺮﻘﺗ ﻥﺎﻛﻭ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻌﺑ ﻚﻟﺍﺫ
ﻩﺎﺗﺍﺍﺫﺍ ﻞﻳﺮﺒﺟ ﻪﻟ ﻊﻤﺘﺳﺍ ﻖﻠﻄﻧﺍ ﺍﺫﺍﻭ ﻞﻳﺮﺒﺟ ﺃﺮﻗ
ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻛ ﺃﺮﻗ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
অর্থ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্নিত। লহান আল্লাহর
বানী "তাড়াতাড়ী ওহী আয়ত্বে করার জন্য
আপনার জিহবা তার (কুরআনের)
সাথে নাড়াবেন না "(সূরা আল -কিয়ামাহ,
আয়াত নং ১৬) এর ব্যাখ্যায়
তিনি (ইবনে আব্বাস রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওহী নাজিলের সময়
তা আয়ত্বে করতে বেশ কষ্ট স্বীকার
করতেন। এবং প্রায়ই তিনি উভয় ঠোঁট
নাড়াতেন।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) (তাঁর ছাত্র সাঈদ (রঃ)
কে)বলেন, আমি তোমাকে দেখানোর জন্য
ঠোঁট দুটো নাড়ছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) তা নাড়তেন। সাইদ (রঃ)(তাঁর
সাগরেদদের) বলেন, আমি ইবনে আব্বাস
(রাঃ) কে যেভাবে তাঁর ঠোঁট
দুটি নাড়তে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোট
দুটি নাড়ছি। এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট
দুটি নাড়লেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ
তায়ালা নাজিল করলেন,
ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻥﺍ ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻌﻤﺟ
ﻪﻧﺍﺮﻗﻭ ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺍﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
অর্থ তাড়াতাড়ি অহী আয়ত্বে করার জন্য
আপনি আপনার জিহবা তার সাথে নাড়াবেন
না। এর সংরক্ষন ও পাঠ করানোর দায়িত্ব
আমারই (সূরা আল -কিয়ামাহ, আয়াত
নং ১৬-১৮)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর অর্থ হলো,
আপনার বক্ষে তা সংরক্ষন করা এবং আপনার
তা পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই।
ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺍﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
অর্থ সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি,
আপনি সে পাঠের অনুসরন করুন। (সুরা আল -
কিয়ামাহ, আয়াত নং ১৯)ইবনে আব্বাস
(রাঃ) বলেন, অর্থাৎ মনোযোগ সহ শ্রবন
করুন এবং চুপ থাকুন।
ﻥﺍ ﻢﺛ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺎﻴﺑ
অর্থ এরপর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব
আমারই। (সুরা আল -কিয়ামাহ, আয়াত নং১৯)
তারপর আপনি তা পাঠ করবেন, এটাও
দায়িত্ব আমারই। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর কাছে জিবরাইল (আঃ) আসতেন,
তখন তিনি মনোযোগ সহকারে শুধু শুনতেন।
আর জিবরাইলকে (আঃ)
চলে গেলে তিনি যেমন পড়েছিলেন,
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ঠিক তেমনি পড়তেন।
(সহীহ আল -বুখারী)
সঠিক জ্ঞান অর্জন করা ও জ্ঞানের আগ্রহ
প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। (চলবে)
মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের উত্তম আদর্শ
ﻥﺎﻛ ﺪﻘﻟ ﻲﻓ ﻢﻜﻟ ﻝﻮﺳﺭ ﺓﻮﺳﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺔﻨﺴﺣ ﻦﻤﻟ
ﻥﺎﻛ ﻮﺟﺮﻳ ﻪﻠﻟﺍ ﻡﻮﻴﻟﺍﻭ ﺮﻛﺫﻭ ﺮﺧﻻﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺍﺮﻴﺜﻛ
অর্থ নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম
আদর্শ তোমাদের জন্য যারা আল্লাহ ও
শেষ দিনের
আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশী স্বরন
করে। (সূরা আল -আহযাব, আয়াত নং ২১)
পৃথিবীতে দুটি জীবকে জ্ঞান ও বিবেক
দিয়ে আল্লাহ তা'লা স্বাধীনতা প্রদান
করেছেন। তাদের আল্লাহ প্রদত্ব রাজপথ
(শারীয়াহ ও দ্বীন )দিয়ে সেই পথে চলার
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই
রাজপথে চললে জান্নাত
এবং না চললে জাহান্নামে যেতে হবে বলে দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীর সকল কিছুর উপর খিলাফাতের
দায়িত্ব মানুষকে দেয়া হয়েছে। যদিও
ইবাদাতের দায়িত্ব মানুষ ও জিন উভয়ের।
খিলাফাত ও ইবাদাতের জন্য উত্তম আদর্শ
করে পাঠানো হয়েছে বিশ্বনাবী-রাসূল
এবং শেষনাবী -রাসূল (সাঃ) কে। মানব
জীবনের সকল দিক এবং বিভাগের
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তম আদর্শ
থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো।
১)ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও বৃদ্ধির আকাংখা :
জীবনের সর্সবক্ষেত্রে ইবাদাত ও
খিলাফাতের দায়িত্ব পালনের জন্য
প্রয়োজন ইলম ও জ্ঞান। সেই জ্ঞান অর্জনের
ও বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তা,ওয়ালার
নির্দেশনা আছে।
*** আল্লাহ তায়ালা বলেন,
ﺃﺮﻗﺍ ﻢﺳﺎﺑ ﻚﺑﺭ ﻱﺬﻟﺍ ﻖﻠﺧ
অর্থ (হে রাসূল) তুমি তোমার রবের
নামে পড়, যিনি সৃষ্টি করেছেন। (সূরা আল -
আলাক, আয়াত নং ১)
*** আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
ﻞﻗ ﺏﺭ ﻲﻧﺩﺯ ﺎﻤﻠﻋ
অর্থ (হে রাসূল) তুমি প্রার্থনা কর, হে রব,
আমার ইলম -জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও।
(সূরা ত্বহা,আয়াত নং ১১৪)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইলম ও জ্ঞান অর্জন ও
বৃদ্ধির নিমিত্ত জিবরাইলকে (আঃ) যখন
কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখতেন, তখন
তিনি তা আয়ত্ব ও মুখস্ত করার জন্য কষ্ট ও
চেষ্টা করতেন। ওষ্ঠদ্বয় ও
জিহবা নাড়াতেন। তাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)
এর জ্ঞান অর্জনের আকর্ষন ও আগ্রহ অনুভব
করা যায়। তাইতো সহীহ আল -বুখারী ১ম
খন্ডের প্রথমে উল্লেখ আছে,
ﻦﻋ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﻲﻓ ﺽﺭ ﻪﻟﻮﻗ ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ،، ﻲﻟﺎﻌﺗ
ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻝﺎﻗ ،،ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﻥﺎﻛ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ
ﻦﻣ ﺞﻟﺎﻌﻳ ﻞﻳﺰﻨﺘﻟﺍ ﺓﺪﺷ ﻥﺎﻛﻭ ﻙﺮﺤﻳﺎﻤﻣ ﻪﻴﺘﻔﺷ
ﻝﺎﻘﻓ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﺽﺭ ﺎﻤﻬﻛﺮﺣﺍ ﺎﻧﺎﻓ ﻥﺎﻛﺎﻤﻛ ﻚﻟ
ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﺎﻤﻬﻛﺮﺤﻳ ﻢﻌﻠﺻ ﻝﺎﻗﻭ ﺎﻧﺍ ﺪﻴﻌﺳ
ﺎﻤﻬﻛﺮﺣﺍ ﺎﻤﻛ ﺖﻳﺍﺭ ﻦﺑﺍ ﺱﺎﺒﻋ ﺽﺭ ﺎﻤﻬﻛﺮﺤﻳ
ﻙﺮﺤﻓ ﻪﻴﺘﻔﺷ ﻝﺰﻧﺎﻓ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻟﺎﻌﺗ ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ
ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﻥﺍ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺍﺮﻗﻭ ﻪﻌﻤﺟ ﻝﺎﻗ
ﻪﻌﻤﺟ ﻚﻟ ﻩﺃﺮﻘﺗﻭﺭﺪﺻ ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺃﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
ﻝﺎﻗ ﻊﻤﺘﺳﺎﻓ ﺖﺼﻧﺍﻭ ﻪﻟ ﻢﺛ ﻥﺍ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺎﻴﺑ ﻢﺛ ﻥﺍ
ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻥﺍ ﻩﺃﺮﻘﺗ ﻥﺎﻛﻭ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻌﺑ ﻚﻟﺍﺫ
ﻩﺎﺗﺍﺍﺫﺍ ﻞﻳﺮﺒﺟ ﻪﻟ ﻊﻤﺘﺳﺍ ﻖﻠﻄﻧﺍ ﺍﺫﺍﻭ ﻞﻳﺮﺒﺟ ﺃﺮﻗ
ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻛ ﺃﺮﻗ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ
অর্থ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)
থেকে বর্নিত। লহান আল্লাহর
বানী "তাড়াতাড়ী ওহী আয়ত্বে করার জন্য
আপনার জিহবা তার (কুরআনের)
সাথে নাড়াবেন না "(সূরা আল -কিয়ামাহ,
আয়াত নং ১৬) এর ব্যাখ্যায়
তিনি (ইবনে আব্বাস রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ওহী নাজিলের সময়
তা আয়ত্বে করতে বেশ কষ্ট স্বীকার
করতেন। এবং প্রায়ই তিনি উভয় ঠোঁট
নাড়াতেন।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) (তাঁর ছাত্র সাঈদ (রঃ)
কে)বলেন, আমি তোমাকে দেখানোর জন্য
ঠোঁট দুটো নাড়ছি, যেভাবে রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) তা নাড়তেন। সাইদ (রঃ)(তাঁর
সাগরেদদের) বলেন, আমি ইবনে আব্বাস
(রাঃ) কে যেভাবে তাঁর ঠোঁট
দুটি নাড়তে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোট
দুটি নাড়ছি। এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট
দুটি নাড়লেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ
তায়ালা নাজিল করলেন,
ﻪﺑ ﻙﺮﺤﺗﻻ ﻚﻧﺎﺴﻟ ﻥﺍ ﻪﺑ ﻞﺠﻌﺘﻟ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻌﻤﺟ
ﻪﻧﺍﺮﻗﻭ ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺍﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
অর্থ তাড়াতাড়ি অহী আয়ত্বে করার জন্য
আপনি আপনার জিহবা তার সাথে নাড়াবেন
না। এর সংরক্ষন ও পাঠ করানোর দায়িত্ব
আমারই (সূরা আল -কিয়ামাহ, আয়াত
নং ১৬-১৮)
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, এর অর্থ হলো,
আপনার বক্ষে তা সংরক্ষন করা এবং আপনার
তা পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই।
ﺍﺫﺎﻓ ﻩﺎﻧﺍﺮﻗ ﻊﺒﺗﺎﻓ ﻪﻧﺍﺮﻗ
অর্থ সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি,
আপনি সে পাঠের অনুসরন করুন। (সুরা আল -
কিয়ামাহ, আয়াত নং ১৯)ইবনে আব্বাস
(রাঃ) বলেন, অর্থাৎ মনোযোগ সহ শ্রবন
করুন এবং চুপ থাকুন।
ﻥﺍ ﻢﺛ ﺎﻨﻴﻠﻋ ﻪﻧﺎﻴﺑ
অর্থ এরপর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব
আমারই। (সুরা আল -কিয়ামাহ, আয়াত নং১৯)
তারপর আপনি তা পাঠ করবেন, এটাও
দায়িত্ব আমারই। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর কাছে জিবরাইল (আঃ) আসতেন,
তখন তিনি মনোযোগ সহকারে শুধু শুনতেন।
আর জিবরাইলকে (আঃ)
চলে গেলে তিনি যেমন পড়েছিলেন,
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ঠিক তেমনি পড়তেন।
(সহীহ আল -বুখারী)
সঠিক জ্ঞান অর্জন করা ও জ্ঞানের আগ্রহ
প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
মানবজাতির জন্য উত্তম আদর্শ। (চলবে)
Comments
Post a Comment