Posts

Showing posts from November, 2015

নারী, পেশা এবং এ সময়ের ভাবনা। (কিছু বাস্তবতা) !!!

Image
নারী, পেশা এবং এ সময়ের ভাবনা। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর কি কাজ করা উচিত না’কি উচিত না? এ’নিয়ে চিন্তাগবেষনার অন্ত নেই। যারা মনে করেন নারীর কাজ করা উচিত না তাদের বক্তব্য হোল এতে নারীর মাতৃত্বের দায়িত্ব বিঘ্নিত হয়। যারা মনে করেন নারীর কাজ করা উচিত তাদের বক্তব্য হোল নইলে মেয়েদের এত কষ্ট করে লেখাপড়া করার প্রয়োজন কি? উভয়েক্ষেত্রেই এমন একটি সরল দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টিকে বিবেচনা করা হচ্ছে যা বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক। কয়েকটি বাস্তব ঘটনা পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হবে কেন বিষয়টিকে এত সরলভাবে দেখা সম্ভব নয়। ৫ নং ঘটনা ব্যাতীত প্রতিটি ক্ষেত্রে গোপনীয়তার স্বার্থে ব্যাক্তির নাম পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছেঃ- ১. অধিকাংশেক্ষেত্রে সন্তান কিছু জিজ্ঞেস করলে মায়েদের বলতে শোনা যায়, “তোমার আব্বু এলে জিজ্ঞেস করে জানাব”। লেখাপড়ার চর্চা থেকে দূরে থাকতে থাকতে তারা একসময় অনেক সাধারন জ্ঞানের বিষয়াবলীও ভুলে যান। ফলে সন্তানের স্বাভাবিক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সন্তানের সামনে লজ্জায় পড়ে যান এবং সন্তানের শ্রদ্ধা হারান। তবে এই ভুলে যাওয়ার পরিধি যে কত ব্যাপক হতে পারে তা দেখে আমি এতটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম যে আমার প্রথম সন্তানের জন্মের ...

শূন্যতা। ( সুন্দর একটি গল্প)

Image
শূন্যতা। লীনার কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে। না আদনান এবারও ওদের ম্যারেজ অ্যানিভার্সারী ভুলে যায়নি- সব বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিরাট পার্টি দিয়েছে; নতুন শাড়ি, নতুন গহনা, ফুলের মালা; উপহারও বিয়ের চেয়ে কিছু কম পড়েনি; মিউজিক, লাইটিং কিছুরই ঘাটতি ছিলোনা। কিন্তু ঘরে ফিরে আসতেই দু’জনের মাঝে আবার সেই অস্পষ্ট, অস্পৃশ্য দুরত্ব। আদনান শুয়ে পড়েছে পার্টি থেকে এসেই, লীনা এখনও পোশাক পরিবর্তন করেনি। মনের ভেতর এক অস্বস্তিকর, দম বন্ধ করা গুমোট আবহাওয়া। নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ায় লীনা, সমুদ্র থেকে এক ঝলক বাতাস এসে ওর চুলে হাত বুলিয়ে দিয়ে যায়, ঠিক যেমন দাদী দিতেন ছোটবেলায়। সময়ের হিসেব হারিয়ে যায়। কি করছে না ভেবেই ফোনের বোতামগুলো টিপতে থাকে লীনা। ফোনের ওপাশে ঘুম ঘুম কন্ঠে ‘হ্যালো’ শুনে খুব লজ্জা পেয়ে যায়- একবার ভাবে ফোনটা কেটে দিলে কেমন হয়, তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ‘দাদী, আমি লীনা, ঘুম থেকে তুললাম?’ সাথে সাথে আনন্দে ভরে গেল দাদীর গলাটা, ‘হ্যাঁরে নাতিন, এই বয়সে কি আর ঘুম আসে সোনা? আমি জেগেই ছিলাম। বল কেমন আছিস? এই বুড়িকে কি করে মনে করলি এত রাতে?’ ভাল মানুষকে ভাল কথা জিজ্ঞেস করেছে, দাদী কি আ...

বিবাহ বিচ্ছেদ।

Image
বিবাহ বিচ্ছেদ। ফেসবুকে শেয়ার দেওয়া ইউ টিউবে upload করা NTV এর একটি প্রতিবেদন দেখে কিছুটা শঙ্কার জন্ম নিল মনের মাঝে। প্রতিবেদনটিতে DCC এর statistics এ দেখানো হল গত বছর প্রায় ৯০০০ শিক্ষিত বিবাহিত নারী পুরুষের বিবাহ বিচ্ছেদ আবেদন জমা পড়ে । এর মাঝে ৬০০০ - ই নারীদের করা । বাঁকি ৩০০০ বিচ্ছেদ ঘটে পুরুষদের ইচ্ছায় যেখানে ২০০৪ সালে আবেদন জমা পড়ে মোট ৩৩৩৮ টি যার ২৮১৪ টি। বিগত পাঁচ বছরে এই সংখ্যা প্রায় তিনগুনে এসে দাড়িয়েছে। আমাদের সমাজ কি পশ্চীমা সমাজের ন্যায় বন্ধনহীন হয়ে যাচ্ছে ?? এমন ভয়ই মনের ভেতর মাথা চারা দিয়ে উঠল। বিচ্ছেদের কারন হিসেবে পুরুষরা অভিযোগ করেন , ১। নারীদের ফেসবুক , টুইটার , ইয়াহু - তে আড্ডা দেয়া । ২। সামাজিক অবক্ষয় , ৩। বিয়ের আগের প্রেম এর কথা জানতে পারা , ৪। পরকিয়া প্রেম , ৫।অন্য পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব , ইত্যাদি । আর নারীরা পুরুষদের প্রতি অভিযোগ হিসেবে বলেন , ১। নেশা করা , ২। শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করা , ৩। ওয়াইফ এর প্রতি যত্ন না নেয়া , ৪। ওয়াইফ -কে সময় দিতে না পারা , ৫। ভালোবাসার অভাব , ৬। বন্ধুদের সাথে পার্টি করা , ৭। ফেসবুক , টুইটার , ইয়াহু - তে মেয়েদের সাথে আড্ডা দেয়া , ৮।...

অলিখিত যৌতুক।

Image
অলিখিত যৌতুক। ১ আজ থেকে বহু বছর আগের কথা। বিয়েটা হচ্ছে ছেলে মেয়েদের নিজেদের পছন্দে। বাবা মায়েরা তখনি বিয়ে দেয়ার জন্যে তৈরি ছিলেন না। মেয়ের বাবার হাতে তেমন একটা টাকা পয়সাও ছিল না। বহু কষ্টে মেয়েকে গয়না গড়িয়ে দিয়েছেন এক সেট। দুই পক্ষের কোনও পক্ষই যৌতুকের ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন না। বিয়েও যৌতুক ছাড়াই হবে— তখনকার দিনে তাঁরাই আধুনিক– ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত, শহরে থাকেন সবাই। কিন্তু ফার্নিচারটা? আহা ওটাতো যৌতুক না! মেয়ের বাবা মা শখ করে দেন মেয়ের জন্য। তা এক্ষেত্রে মেয়ের বাবা ছেলের বাবার সাথে দেখা করতে গেলেন। “বেয়াই সাহেব, ঘরের আসবাবপত্র আমরা বিয়ের কটা দিন পরেই দিই, কেমন? এখন পেরে ওঠাটা কষ্টকর।” ছেলের বাবা গম্ভীর মুখে বললেন, “আমার আত্মীয় স্বজনের কাছে মান মর্যাদার একটা ব্যাপার আছে।” বিয়ে সম্পন্ন হল। খুব কষ্টে যোগাড় করা টাকায় ফার্নিচারও দেয়া হল। ২ আমার বাবা বা চাচারা কেউই সিলেটী হওয়া সত্ত্বেও সিলেটী বিয়ে করেননি। একজন ছাড়া। তিনিও নিজেদের বংশের “মান” রেখে বিয়ে করেননি, বিয়ে করেছেন সিলেটের তথাকথিত “নিচু বংশের” একজন মসজিদের ইমামের মেয়েকে। এতে আমাদের অনেকের আত্মীয় স্বজন রাগ ক...

মোহরানা।

Image
মোহরানা। মেয়েটা জলিল সাহেবের খুবই পছন্দ হল, বয়স এখনও আঠারো পার হয়নি, কম বয়সী মেয়েতে সুবিধা অনেক। শশুর বাড়ীর সবাইকে ভয় করে চলে, গায়ের রংটা একটু শ্যামলা, এই যা। শ্যামলা হলেও দেখতে বেশ ডাগর। মেয়ের বাবা মিজান সাহেব, একটু দোমনা করতে চেয়েছিলেন। ছেলের বয়সটা একটু বেশী বলে। ছেলের বয়স মেয়ের থেকে দশ – এগারো বছর বেশী হবে। কিন্তু জলিল সাহেব এটাসেটা বলে ম্যানেজ করে নিয়েছেন। “বেয়াই সাহেব, আল্লাহর রহমতে আমারতো কিছুর অভাব নেই, আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। আপনি মেয়ে নিয়ে কোন চিন্তা করবেন না, ও এখন থেকে আমার মেয়ে। আপনি চানতো ওর নামে আমি আমার মফস্বলের বাড়ীটা লিখে দেবো।” “না, না, বেয়াই সাহেব, আমার মেয়ে বাড়ী দিয়ে কি করবে – তা’ ছাড়া আপনার অন্য ছেলেদের হক আছে ” Ñ মিজান সাহেব বাড়ীর প্রস্তাবটি নাকচ করে দিলেন। দু’ পক্ষই সন্তুষ্ট, ঠিক হল এক লাখ টাকা মোহরানায় বিয়ে হবে। জলিল সাহেব বললেন, “মোহরানা মেয়ে হক, এটা আদায় করা ফরজ, না হলে আল্লাহ পাক নারাজ হবেন। আমি মোহরানার সবটুকু আদায় করেই বিয়ে দিতে চাই।” পঞ্চাশ হাজার টাকার ন্বর্ণ ও পঞ্চাশ হাজার টাকার জমি বাবদ উসুল ধরে কাবিন হল। মিজান সাহেব মন...

বাবার কাছে বিবাহযোগ্য মেয়ের চিঠি।

Image
বাবার কাছে বিবাহযোগ্য মেয়ের চিঠি। প্রিয় বাবা, যদিও তুমি অনেক কাছেই আছো, তবুও কিছু কথা তোমাকে কিছুতেই মুখে বলতে পারছিনা। কিছুটা সামাজিক আচারের প্রতি নিষ্ঠা, আবার কিছুটা জড়তা এবং তোমার উত্তপ্ত চাহনি বিনিময়ের ভয়েই লেখার আশ্রয় নিচ্ছি। কারন, উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে আর যাই হোক কোন গঠনমূলক আলোচনা হতে পারেনা। বুঝলে বাবা! পৃথিবীর বেশীরভাগ মানুষই মনে হয় দ্বিচারী মানসিকতার! তুমি আমি আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষরা এই অভ্যাস কিংবা স্বভাব থেকে কিছুতেই বের হতে পারছি না। বাবা হিসেবেই আমার যে কাজটা তুমি মেয়ে হিসেবে সমর্থন করো নি, ছেলের জন্য সেই একই কাজকে দ্বিগুণ উৎসাহে করার উপদেশ দিয়েছ সবসময়। যাই হোক! কিন্তু আজ জীবনের একটা বড় বাঁকে এসেও তুমি সেই কাজই করছ। তোমার মনে আছে কি? ভাইয়ার যখন বিয়ের কথা চলছিলো তখন এই তুমিই বাসার সমস্ত হাদিস বই নামিয়ে হারিকেন জ্বেলে খুঁজছিলে মোহরানা যেন মাত্রাতিরিক্ত বা বোঝা হয়ে না দাড়ায় সেই সংক্রান্ত বিধি বিধান। এবং পেয়েও গিয়েছিলে । যেদিন লতা ভাবির বাসায় এই সংক্রান্ত আলাপে গিয়েছিলে সেদিন হাদিস বইটিও সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলে, যেন তোমার ছেলেকে মেয়ে পক্ষ মোহরানার চাপে পিষ্ট করে ফেলতে না ...

যুদ্ধ একটি সংসার।

Image
যুদ্ধ একটি সংসার। “আপা আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? আমি আপনাকে পাগলের মত খুঁজছি!” পেছন ফিরে গলার অধিকারীকে দেখে চিনতে অনেক বেগ পেতে হোল। শায়লা ভাবী না? এ কি অবস্থা ওনার? বিধ্বস্ত চেহারা, উস্কোখুস্কো চুল, ওনার ট্রেডমার্ক হাসিটাও মিসিং। দুষ্টুমী করে বললাম, “কি ব্যাপার ভাবী? আপনি কি আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গেছিলেন নাকি? আপনাকে তো চিনতেই পারছিনা! তা বলুন, আমি আপনার কি খেদমত করতে পারি?” শায়লা ভাবীকে আমার খুব ভালো লাগে। বিশাল বড়লোকের বৌ হয়েও ওনার মধ্যে কখনো কোন অহংকারের ছায়া পর্যন্ত দেখিনি, আমাদের চেয়েও সাধারণভাবে চলেন, নিজেই বাচ্চাদের রিক্সায় করে স্কুলে আনা নেয়া করেন। আমার হাত খুবলে ধরে বললেন, “আপা, আমাকে একটু সময় দেন, আমি আপনার বাসায় আসব”। অ্যাঁ! বলে কি? এত বড়লোক মানুষকে আমি কি দিয়ে অপ্যায়ন করব? আমার তো রান্নাঘর পর্যন্ত নেই- নিজেই খাই শ্বাশুড়ী আম্মার দয়ায়! যাই হোক। বললাম, “ভাবী, আমি বাসায় থাকার সুযোগ পাই খুব কম, আজকে তিনটা থেকে চারটা এক ঘন্টা বাসায় থাকব। আপনি আসতে পারেন কিন্তু দেরী করলে আমি সময় দিতে পারবনা”। উনি বললেন, “আমি আসব”। ওনার কথাবার্তা, চেহারায় একধরণের ফবংঢ়বৎধঃরড়...

ঐক্য।

Image
বাসর রাতের যে সময়টা নবদম্পতিরা সচরাচর প্রেমালাপে বিভোর থাকে সে সময় এক বেরসিক মেয়ে তার সদ্য স্বামীর সাথে আলাপকরছিল, ‘শুনুন, আমরা দু’জন দু’টো ভিন্ন পরিবার থেকে, পৃথক পরিবেশ থেকে এসে একত্রিত হয়েছি। সুতরাং, আমাদের চিন্তা চেতনা, ধ্যানধারণা, কাজ করার ধরণ, সিদ্ধান্ত নেবার পদ্ধতি থেকে প্রতিটা বিষয়ে পার্থক্য থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। আবার এটাও সত্য একসময় আমরা পরস্পরের সাথে এতটাই সিঙ্ক্রোনাইজড হয়ে যাব যে একজন আরেকজনের চেহারা দেখেই বলে দিতে পারব সে কি ভাবছে বা কেমন অনুভব করছে। কিন্তু সে ব্যাপারটা দু’একদিনে ঘটবেনা। এর জন্য সময় লাগবে কয়েক বছর, সারা জীবনও লেগে যেতে পারে। এর মধ্যে খুঁটিনাটি থেকে বড় বড় ব্যাপারগুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হবে, মনোমালিন্য হবে, তর্কাতর্কি হওয়া অস্বাভাবিক নয়, চুলাচুলিও হতে পারে। কিন্তু চলুন একটি ব্যাপারে আমরা সম্মত হই। আমাদের মধ্যে যা হবে তা বন্ধ দরজার এপাশেই রয়ে যাবে। এই দরজা খুলে যখন আমরা পৃথিবীর সামনে বের হব তখন নিজেদের মধ্যে যতই মাথা ফাটাফাটি থাকুক না কেন, জনসমক্ষে আমরা হব পরস্পরের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। নইলে তৃতীয় কোন ব্যাক্তি আমাদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করা...

ফিরতি।

ফিরতি ১/ দলিল উদ্দীন মন্ডল। বিরাট ব্যাবসায়ী। নিজের বাড়ী, একাধিক গাড়ী, চার ছেলেমেয়ে। দলিল মন্ডলের জীবনে একমাত্র অর্থবহ বস্তু টাকা। সে পাকা ব্যাবসায়ী, সে জানে টাকায় টাকা আনে। নিজে বি এ পাশ হলেও বড় ছেলেকে ডাক্তারী পড়িয়েছে, ছোট ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং। ছেলেদের মেধা নেই তো কি হয়েছে, মেধায় যা অর্জন করা যায়না টাকায় তা ছিনিয়ে আনা যায়। ছেলেদের ডিগ্রী তার জন্য বিনিয়োগ। এবার সে দুই ছেলেকে চড়া মূল্যে বিক্রি করবে। তারপর ওরা মানুষ মারে তো মারুক, ওদের তৈরী বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ে তো পড়ুক, তাতে দলিল মন্ডলের কিছু এসে যায়না। বড় ছেলেকে অলরেডি নিলামে তোলা হয়েছে। দরদাম ভালোই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কয়েক জায়গায় পাকা দেখে এসেও বেচারা ছেলের বিয়ে দিতে পারেনি। দলিল মন্ডলের কি দোষ? আংটি পরিয়ে বাসায় এসে যদি দেখে আরো ভাল প্রস্তাব অপেক্ষা করছে তখন বরং আংটি গচ্চা দিয়ে প্রস্তাবটা লুফে নেয়াটাই বেশি লাভজনক মনে হয়। ছেলে অবশ্য প্রথম প্রথম সামান্য কোঁ কোঁ করছিল, কিন্তু দলিল মন্ডল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘তোমার নামের পাশে যে ডাক্তারীর সিল সেটা আমার পয়সায় কেনা, সুতরাং বিয়ে আমার কথামত হবে’। ছেলেও বাধ্য হয়ে কোরবানীর গরুর মত সেজেগুজে বাপের ...

বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় আচরণ কি কাল্পনিক কথাবার্তা? ভিন্নচোখে দেখা কিছু মুক্ত আলোচনা।

Image
বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় আচরণ কি কাল্পনিক কথাবার্তা? ভিন্নচোখে দেখা কিছু মুক্ত আলোচনা। নারী নিয়ে যত কথা হয় সমাজে, পত্রিকায়, টক-শো, সেমিনারে যত লোকের, যতটা সময়ে -- তার ক্বচিৎ-কদাচিত যদি পরিবর্তনের প্রতি সত্যিকারের কাজ করত তাহলে সত্যিই অনেককিছু বদলে যেত বলে আমার ধারণা। বিষয়টা স্পর্শকাতর, সত্যিকারের সমস্যার। মুসলিম সমাজের নারীর অবস্থান নিয়ে সম্ভবত পাশ্চাত্য বা বাংলাদেশি ইসলামবিদ্বেষী সেক্যুলাররা বা অমুসলিমরা যত কথা বলেছে -- খুব কমই এই সমাজের ভিতরের মানুষ থেকে এসেছে। কথা অনেক হয়। মুসলিম নারীরা যখন কিছু লেখালেখি শিখে তারাও বলে। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী হওয়ায় ভাষার নখর মোটামুটি পুরুষবিদ্বেষ পর্যায়ে যায়। লেখার আগাগোড়া পড়ার পরে আমার অনেকবার মনে হয়েছে -- এই মহিলা না লিখতে বসলেই বরং নারীর উপকার হত। মুসলিম পরিচয়ের আদর্শিক অনুভূতি থেকে এবং সমস্যা বুঝে তার সমাধানে "পুরুষবিদ্বেষ" অবস্থান থেকে বেরিয়ে লিখতে দেখিনি অনেক উচ্চশিক্ষিত মুসলিম ফেমিনিস্টদেরকেও। কারণ আমি নিজেই বুঝি, পুরুষসত্ত্বার প্রতি আক্রমণ করে সমস্যা দূরীকরণে পুরুষের সাহায্য কীভাবে পাবে নারীরা? সমাজে/পৃথিবীতে অর্ধে...

সৎ এবং সাহসী মানুষ।

Image
সৎ এবং সাহসী মানুষ ১। জোন অফ আর্ক, ইখতিয়ারুদ্দিন মুহাম্মাদ বখতিয়ার খিলজি, উসামা বিন জায়েদ- এরা ভিন্ন ভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে জন্মেছে এবং বেড়ে উঠেছে। কিন্ত এদের মাঝে রয়েছে এক বিরল সাদৃশ্য। এরা প্রত্যেকেই জাতির সংকটময় মূহূর্তে নিজ নিজ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে অকল্পনীয় পরিস্থিতির ভেতর বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এদের আরেকটা মিল হোল ওরা সবাই ছিল টিনেজার- early teenager. অথচ তাদের বোঝার ক্ষমতা, মেধা, যোগ্যতা, দায়িত্বশীলতা ছিল অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ এবং পরিপক্ক লোকজনকে পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট। আজ পৃথিবীর কোথাও কি আমরা এমন একজন টিনেজার খুঁজে বের করতে পারব? আমাদের টিনেজারদের দোষ নয়- তাদের বাবারা কলের ইঁদুরের মত টাকার পেছনে ছুটছেন, পরিবারকে এনে দিচ্ছেন সকলপ্রকার ধনসম্পদ প্রাচুর্য সম্ভার কিন্তু সন্তানের গঠনপ্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ করার সময় নেই; মায়েরা স্বাভাবিকভাবেই অনুভূতিপ্রবণ এবং সন্তানের কল্যাণকামী, কিন্তু স্বামীর অনুপস্থিতিতে সন্তানকে আগলে রাখার প্রবণতা বেড়ে এমন এক পর্যায়ে চলে যায় যা তাকে পঙ্গু করে ফেলার জন্য যথেষ্ট। আর স্বামী যখন সর্বদাই অনুপস্থিত তখন মায়ের এই অতিরিক্ত protecti...

উট বিক্রি করা ঘটনা (শিক্ষনীয় ঘটনা)

Image
এক সাহাবী নিজের একটি উট বিক্রি করার জন্য ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। কিন্তু যাবার সময় ছেলেকে নসিহত করলেন যে, উটটি বিক্রি করার সময় উটের মধ্যে যে খুত/খারাবী আছে তাঅবশ্যই ক্রেতাকে জানিয়ে দিবে। তাতে কোন ক্রেতা উট কিনলে কিনবে না হয় উটটি কে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসবে।ছেলেটিও বাজারে উটটি বিক্রি করে বাবাকে টাকা দেওয়ার পর ছেলেকে প্রশ্ন করলেন,তুমি কি বিক্রির সময় ক্রেতাকে উটের ত্রুটিরকথা গুলো বলেছিলে?কিন্তু ছেলে উট বিক্রির সময় সে কথা ভুলে যাবার কথা বললো আর তাতে বাবা বললো, তাহলে তো তুমিবড় অন্যায় করে ফেলেছো। অতপর উক্ত সাহাবী তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ক্রেতাকে খুঁজতে বের হলেনএবং খুঁজতে খুঁজতে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন।ক্রেতাও একজন সাহাবী ছিলেন তাই তিনি মেহমাননের সম্মানার্থে গোস্ত দিয়ে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করলেন।খাবার পর বিক্রেতা সাহাবী বললেন, ভাই,আমার ছেলে ত ভূল করে আপনার কাছে উটের ত্রুটিসমূহ প্রকাশ না করেই উটটি বিক্রি করে অনেক বেশি অন্যায় করে ফেলেছে। তাই এখন আমি আপনার কাছে উক্ত উটটির ত্রুটি সমূহ প্রকাশ করছি, তাতে যদি আপনি এখন উক্ত উটটি নিজের কাছে রাখতে চান তা পারেন অথবা যদি আপনি আপনার টাকা ফেরত নিত...

একজন মুসলিম বোনের প্রশ্ন এবং তার উত্তর!! আমার মুসলিম ভাই বোনদের ভেবে দেখার অনুরোধ রইল ...

Image
একজন মুসলিম বোনের প্রশ্ন এবং তার উত্তর!! আমার মুসলিম ভাই বোনদের ভেবে দেখার অনুরোধ রইল ... হঠাৎ করে কয়েকটা পেজের এডমিন হয়ে গেছি। যখন পেজগুলোতে ঢুকি মেসেজগুলো দেখে খুবই interesting লাগে। কইদিন আগে মেসেজে এক মেয়ে একটা প্রশ্ন করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এই প্রশ্নগুলো আমাদের অনেকের মনেই আছে যারা ইসলাম নিয়ে খুব একটা জানেনা! তাই আমি প্রশ্নটার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়েছে!! প্রশ্নঃ আমার একটি প্রশ্ন আছে --ইসলাম এ তো প্রতিটি মানুষ এর জোড়া আল্লাহ আগে থেকে বানিয়েছে ...।আয়াতটা কি সত্যি ???? তাহলে যে আজকাল অনেক ধার্মিক ছেলে মেয়ে ও প্রেম এর সম্পর্কে আছে ।। তাহলে কি আয়াতটা ভুল।??? আমি যদি আল্লাহ র কাছে আমার ভালবাসার মানুস এর জন্য দুয়া করি তাহলে।।??? আমি কি ভাবে আল্লাহ র কাছে দুয়া করব।।??? এই সম্পর্কে ইসলাম কি বলে।।??? প্রেম ভালবাসা কি খারাপ।।??? প্লিজ আমাকে জানাবেন। উত্তরঃ আসসালামু আলাইকুম আপনার প্রশ্ন পড়ে মনে হচ্ছে ইসলাম নিয়ে আপনি খুবই ভয়ংকর ধারণা পোষণ করছেন। আপনার মন সন্দেহবাতিকগ্রস্থ। আমি আপনাকে স্পষ্ট করে কিছু কথা বললাম। আশা করি আপনি বুঝতে পারবেন। যদিও আপনার প্রশ্নটি নারী...