প্রেম -ভালবাসা অতীব জরুরি! !??

image

আজকাল আমাদের কাছে প্রেম,ভালবাসা শব্দদ্বয়
অতীব সুখকর এবং পরিচিত শব্দ। কোন কোন
ছেলেরা এটাকে cool সাজারও একটা অন্যতম উপায়
বলে মনে করে। কারো যদি গার্লফ্রেন্ড না
থাকে সে তার পুরুষত্ব নিয়েও প্রশ্নের
সম্মুখীন হয়েছে এরকম উদাহরনও নেহায়েত
কম নয়। কিছুদিন আগে একজন ফেসবুকে প্রেম
করার খায়েস হইছে জানিয়ে স্ট্যাটাস দিল দেখলাম
(May be পুরুষত্ব না থাকার অপবাদ ঘোচানোর
জন্য), আবার অনেকে আছে একাধিক connection
এ connected। একটা সময় নচিকেতার খুব ফ্যান ছিলাম
বাদ্যসহ গানবাজনা হারাম বলে এখনও আর ওসকল গান
না শুনার চেষ্টা করি। নচিকেতা তার গানে
গেয়েছিলেন
“সংকীর্ন মনের মানুষ যারা তারাই তো
ভালবাসে একবার
যার মন বড় যত দেখে ভাল অবিয়ত তারাই
তো ভালবাসে
বারবার।”
হয়ত অনেকে কয়েকটি প্রেম করে বড়
হৃদয়ের চেষ্টায় আছে কিনা আমি জানি না।
ফেসবুকে একটা পেজ দেখলাম, “গার্লফ্রেন্ড/
বয়ফ্রেন্ড” একটা হলে ভাল হয়, দুটি হলে আর নয়।
অনেকে বড় মনের পরিচয় দেয়ার জন্য প্রেম
করে তা নয়। আমার এক পরিচিত লোকের
সম্পর্কে শুনলাম দুই তিনটার সাথে লাইন মারছে
(দুঃখিত চলতি ভাষা ব্যবহারের জন্য) কারন জিজ্ঞেস
করতেই বলল, “আরে মামু Back up রাখলাম আর কি”।
চিত্রগুলো খুব একটা আনকমন না। এখন আবার
আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করলাম গার্লফ্রেন্ডকে বউ
ডাকা (মেয়েরা বয়ফ্রেন্ডকে কি ডাকে জানি না),
আমার এক ফ্রেন্ড প্রেম করে বলেই আমি জানি।
একদিন আমরা বসেছিলাম ঐ বন্ধুটি দেখলাম পাশে
দিয়ে চলে যাওয়া একটা মেয়ের দিকে তীক্ষন
আর লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। জিজ্ঞেস
করলাম কিরে তোর না গার্লফ্রেন্ড আছে? উত্তর
দিল আরে তার সাথে যে বিয়ে হবে এমন কোন
কথা আছে? সত্যিই সেলুকাস।
আমার দাড়ি টুপির জন্য কিংবা অন্য কোন কারনেই
হোক বন্ধুরা আমাকে এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন
করতে ভালবাসে। একদিন একবন্ধু জিজ্ঞেস করল,
“আচ্ছা দোস্ত প্রেম করা কি জায়েজ? ওখানে
আরো অনেকে ছিল।
আমি বললাম হ্যাঁ জায়েজ। সকলে কিছুটা বিস্মিত হল
অনেকের চোখে মুখে কিছুটা স্বস্তির ছাপও
লক্ষ্য করলাম।
কেউ কোন কিছু জিজ্ঞেস করলেই আমি
সাধারনত এমন ভাবে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি যেন
সে ভড়কে যায়। একবার কে যেন আমাকে (কি
প্রশ্ন করেছিল ঠিক মনে নেই) প্রশ্ন করেছিল ,
আমি তাকে সরাসরি বলে ফেললাম আরে তুমি তো
কাফির। সে দেখলাম কিছুটা হতভম্ব হয়ে গেল।
তাকে বললাম আরে এত হতভম্ব হওয়ার কিছু নাই,
আমিও কাফির। এবার দেখলাম সে পূর্বের চেয়ে
আরো বেশি হতভম্ব হয়ে গেল। আমি বলেছিলাম
আল্লাহ কোরানে বলেছেন-
যারা গোমরাহকারী ‘তাগুত’দেরকে মানবে না এবং
আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে
নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়।বাকারা-২৫৬
এখানে আল্লাহ তা আলা তাগুতকে অস্বীকার করার
জন্য বলেন নি? আল্লাহ যে শব্দটি ব্যবহার
করেছেন তা হল “ইয়াকফুর”, আল্লাহ এখানে কুফর
করার জন্য বলেছেন। সকল মিথ্যা স্রষ্টা ও
তাগুতের বিরুদ্ধে আমরা কুফরী করি বলেই আমরা
কাফির । সে দেখলাম কিছুটা আশস্ত হয়ে ঠোটের
কিনারায় একটু মৃদু হাসি দিল। যা বলছিলাম এ প্রেম ভালবাসা
অবশ্যই জায়েজ স্রষ্টা প্রেম, মানব প্রেম,
জীবপ্রেম, পিতৃপ্রেম, মাতৃপ্রেম, দেশপ্রেম,
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর প্রেম, স্ত্রীর প্রতি
স্বামীর প্রেম সবই তো জায়েজ ,না জায়েজ
কে বললো রে ভাই”।
ও বলল না না এসব প্রেম না আমি বলছি বিয়ের আগে
ছেলে মেয়েদের প্রেম । আমি বললাম ও
আচ্ছা (ব্যাপারটা আমি আগে বুঝি নাই তা কিন্তু নয়) LBW
এর কথা বলছ? Love before wedding এটি ইসলামে
হারাম, ইসলাম Love after wedding মানে। ইসলাম LAW
মানে কিন্তু LBW মানে না। LAW মানে আইন,
শরীয়ত। মানলে ধরা খাওয়ার চান্স নাই। LBW হলে
তো পুরাই ধরা।
মানুষের মধ্যে ইদানিং খুব সচেতনতা গ্রো
করেছে, কিছু শুনলে রেফারেন্স চায়। অত্যন্ত
ভাল আলামত। তাই একজন আমার কাছে দলিলও
চেয়ে বসল। আমি বললাম আল্লাহ কি কুরআনে সুরা
নূরে ৩০ নং আয়াতে পুরুষদেরকে এবং ৩১ নং
আয়াতে নারীদেরকে দৃষ্টি সংযত রাখতে বলেন
নি? যেখানে চোখ পড়লেই ইসলামে দৃষ্টি
সরানোর কথা বলেছেন সেখানে TSC , ধানমন্ডি
লেক কিংবা ফুলার রোডের রাস্তার পাশে বসে
পুতুপুতু কথা বলা ইসলাম জায়েজ করে এ চিন্তা আসল
কোথায় থেকে?
মহানবী (সাঃ) বলেছেন কোন জায়গায় ছেলে ও
মেয়ে একা একসাথে থাকলে তৃতীয়জন হচ্ছে
শয়তান”।
অনেকে আবার প্রেম পবিত্র, প্রেম শ্বাশ্বত-
স্বর্গীয়। এসকল বুলি আওড়ায়। ভাই দলিল কি?
বাংলা সিনেমা: ইলিয়াস কাঞ্চন অন্জু ঘোষকে
বলেছে, Amazing...
আমাদের গানে গানে প্রচার করা হয় "প্রেম
করেছেন ইউসুফ নবী, তার প্রেমে জুলেখা বিবি
গোওওওওও",হারাম!হারাম!গানে গানে আল্লাহর এক
নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।ইবনে
কাসীর থেকে সুরা ইউসুফ এর তাফসীর খানা পড়ে
নিন
ইদানিং আবার হালাল প্রেমের জোয়ারে ও দুএকজন
গা ভাসিয়েছে, বোরকা পড়ে প্রেম করে হাত
ধরাধরি করে হাটলেও নাকি এটা হালাল প্রেম (আল্লাহ
রক্ষা কর), আর সত্যিই আজিব এসমাজ ব্যাবস্থা আপনার
বিয়ের বয়স হয়েছে আপনাকে বিয়ে দেবে না,
অথচ প্রেম করলে কোন দোষ নাই। তাড়াতাড়ি
বিয়ে করলে প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক সমস্যা,
হ্যানতেনের লিষ্ট দেখায়।
কিছু ছেলে আবার এমনও ধারনা পোষন করে
মেয়েরা নাকি সিগারেটের মত টানা শেষে ছুড়ে
ফেলে দাও। একবার ব্লগে একজন প্রশ্ন
করেছিল আপনি যাকে স্ত্রী হিসেবে চান তার
বিয়ের আগে প্রেম করাকে কিভাবে দেখেন?
অনেকে অনেক রকম উত্তর দিয়েছিল। তার
মধ্যে কিছু উত্তর সত্যিই চিন্তার খোরাক জোগায়।
একজন বলল- আমি সাপোর্ট করি না।
আরেকজন বলল – বিয়ের আগে থাকলে সমস্যা
নেই, বিয়ের পড়ে যেন না থাকে।
অপর আরেকজন বলল – প্রেম থাকলে কোন
সমস্যা নেই কিন্তু শারীরিক কোন সম্পর্ক থাকতে
পারবে না।
আরেকজন বলল দেখলাম – বিয়ের আগে
শারীরিক সম্পর্ক থাকলেও কোন সমস্যা নেই।
তবে তার কোন ভিডিও বের হতে পারবে না।
(সম্ভবত প্রভা আর চৈতীর ভিডিও দেখে এই
আইডিয়া পেয়েছে)
সত্যিই অদ্ভুত মানুষের বিবেক। আজকাল মুক্তবুদ্ধি
সম্পন্ন মুক্তমনারাও বিবেক নামক জিনিসের উপকারিতা
খুব ভালভাবেই উপলব্ধি করেছেন। তাইতো সেই
বিবেকের হুইল শয়তানের হাতে দিয়ে সবকিছুর
বৈধতা খুব ভালভাবেই দিয়ে যাচ্ছেন।
বা্ংলাদেশের একজন খ্যাতিমান লেখক হুমায়ুন
আহমেদ তার এক বইতে বলেছিলেন “প্রত্যেক
প্রেমের পিছনেই দেহ কাজ করে”, আমি জানি
অনেক প্রেমিক প্রেমিকারা এ কথায় কিছুটা রব
তোলার চেষ্টা করলেও সাম্প্রতিক সময়ে পত্রিকার
সাথে সুসম্পর্কওয়ালা পাবলিকরা এতে দ্বিমত করবে
না।
প্রেমিকের হাতে মুন্নী আর ঝরনাদের খুনকে
অনেকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বললেও এসকল ঘটনা যে
সমাজের নষ্টচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করছে এটা
নিশ্চিত।
রুপালী আক্তার কিংবা অর্পনা আক্তারের আত্মহত্যা
আমাদের কিসের মেসেজ দিচ্ছে তাও একবার
ভেবে দেখা দরকার।
আর ছেলে এবং মেয়েদেরকে বলছি ইসলামী
নিষিদ্ধ কর্ম সাধনের পর সুখের আশা করাটা কিছুটা
প্রশ্নবিদ্ধ বলেই আমার মনে হয়।
practising মুসলিম ছেলেদের জন্য সুসংবাদঃ ৮ ই
জানুয়ারী the daily independent এ একটা খবর
এসেছিল "islam is solution“শিরোনামে। খবরে
বলা হয় যে মেয়েরা স্বামী হিসেবে এমন
ছেলেকে পছন্দ করে সে নবী মুহাম্মাদ
(সাঃ)কে অনুসরন করে এবং বিবাহ বহির্ভুত সর্ম্পকে
জড়ায় না।
আমার একটি কঠিন প্রশ্নের উত্তরঃ
বুয়েটের আমার এক
সিনিয়র বড় ভাইকে (আমার অত্যন্ত প্রিয় যার তাকওয়ায়
আমি মুগ্ধ) একদিন জিজ্ঞেস করলাম ভাই দুনিয়ার যে
অবস্থা তাতে pure spouse পাওয়া তো বড়ই
কষ্টের।ভাইয়া বললেন “দেখ মুজাহিদ, আল্লাহ
চোখকে হেফাজত করতে বলেছেন তাই
চোখকে হেফাজত করছি।কি হয় না হয় জানিনা তবে
আল্লাহ অবশ্যই ভাল ব্যবস্থা করে দেবেন বলেই
আমার বিশ্বাস”, আর আল্লাহর কাছে এ দোয়া কর-
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের
পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ
থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা
দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে
আদর্শস্বরূপ কর।সুরা ফুরকান-৭৪
মনে মনে চিন্তা করলাম আহা! আমাদের সাথে তাঁর
তাকওয়ার কত difference!!!
মূলত ভাইয়ার এ কথা আমাদের জন্য একটি অতীব
গুরুত্বপূর্ন মেসেজ-----
courtesy : MuZahid Rasel (muzahid.rasel)

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়