Posts

Showing posts from 2014

যৌবন কাল আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত

যৌবন কাল আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত মোঃ জুলফিকার রহমান যৌবনকাল মানুষের শ্রেষ্ঠ সময়, যা দুরন্তপনা ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য পরিচালিত করে। যেকোনো মহৎ উদ্দেশ্যে সহজে জীবন বিলিয়ে দিতে প্ররোচিত করে। যুবমানসের স্বভাব বা প্রকৃতি এবং সাহসিকতা সম্পর্কে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ডা: লুতফর রহমান বলেছেন, ‘যুবকদের গায়ের জোরে আস্থা বেশি।…যুবকেরাই যুদ্ধের যোগ্য। লড়াই করা, নিজের জীবনের মায়া না করা ওদের স্বভাব। নিজে ছোট বা দুর্বল, পরাজয়ের বিপদ তার ভাগ্যে ঘটতে পারে এ কথা সে মোটেই বিশ্বাস করতে পারে না।’ যৌবনকাল দায়িত্বপূর্ণ কাজের জন্য উপযুক্ত সময়। আল্লাহ নবী নির্বাচন করেছেন যুবকদের মধ্য থেকেই। হজরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রা: বলেছেন, ‘আল্লাহ যুবক ছাড়া কোনো নবী পাঠাননি এবং যুবক ছাড়া কাউকে ইলম দান করেননি।’ তারপর এ আয়াতটি পাঠ করেন : ‘তারা বলে আমরা এক যুবককে মূর্তিগুলোর কথা স্মরণ করতে শুনেছি, যার নাম ইব্রাহিম।’ হজরত ইউসুফ আ: সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি যখন পূর্ণ যৌবনে পৌঁছলেন, তখন তাকে প্রজ্ঞা ও ব্যুৎপত্তি দান করলাম।’ (সূরা ইউসুফ-২২)। হজরত মুসা আ: সম্পর্কে এরশাদ হয়েছে, ‘যখন মুসা আ: ভরা যৌবনে পদার্পণ করেন ...

চোখ ও কানের হেফাজত জরুরি

চোখ ও কানের হেফাজত জরুরি মোঃজুলফিকার রহমান সুন্দর অবয়ব দিয়ে আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যেই কুশলী স্রষ্টার অসাধারণ নৈপুণ্য পরিলক্ষিত হয়। চোখ-কান এ দু টি অঙ্গেও আল্লাহর কুদরতের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের প্রতিটি অঙ্গই অতীব প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে মানুষের দুটি অঙ্গ চোখ ও কানের গুরুত্ব একটু বেশিই। মানুষের বোধ ও উপলব্ধির মাপকাঠি এ দুটি অঙ্গ। দেখা এবং শোনার মাধ্যমেই মানুষ তাদের সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ আসনে আসীন করতে সক্ষম হয়েছে। মানুষের মনুষ্যত্ববোধের বিকাশ ঘটেছে চোখ ও কানের মাধ্যমে। সুরা নাহালে আছে, ‘আল্লাহ তোমাদের তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদের চোখ, কান ও আত্মা দিয়েছেন যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর।’ এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, তারা মূলত কিছুই ছিল না। নিজের ভালো-মন্দের খবর পর্যন্ত রাখতে পারত না। তাই তাকে দিয়েছেন চোখ, কান ও আত্মা, যেন এগুলো দ্বারা বুঝতে ও জানতে পারে, উপলব্ধি করতে পারে। আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অলঙ্কারসমৃদ্ধ ভাষায় বারবার চোখ ও কানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। এ...

আদর্শ পিতা হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১৩) আদর্শ পিতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। পৃথিবীর মূখ দেখার প্রধান মাধ্যম হলো পিতা -মাতা। মায়ের জরায়ুতে স্থিতি লাভের থেকেই পিতা-মাতার দায়িত্ব শুরু হয়। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ﻞﻛ ﺪﻟﻮﻳ ﺩﻮﻟﻮﻣ ﻲﻠﻋ ﺓﺮﻄﻔﻟﺍ ﻩﺍﻮﺑﺎﻓ ﻪﻧﺍﺩﻮﻬﻳ ﻪﻧﺍﺮﺼﻨﻳﻭ ﻪﻧﺎﺴﺠﻤﻳﻭ ﺦﻟﺍ অর্থ প্রত্যক সন্তান প্রকৃতির উপর জন্মগ্রহন করে। তারপর পিতা -মাতা সন্তানকে ইয়াহুদী, খৃষ্টান বা অগ্নি উপাসক বানায়, (মিশকাত) সন্তান গড়ে ওঠার জন্য পিতা -মাতার বিরাট প্রভাব আছে। পিতার -মাতা আদর্শস্থানীয় নাহলে সন্তান পরিবার ও সন্তান ভালভাবে গড়ে ওঠে না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আদর্শ পিতা ছিলেন। তাঁর ৪ কন্যা ও ৩ পুত্র ছিল। কন্যাদের নাম যথাক্রমে (১)জয়নাব,(রাঃ)(২)রুকাইয়া, (রাঃ) (৩)উম্মে কুলসুম (রাঃ)ও (৪)ফাতিমা (রাঃ)। বদর যুদ্ধের পরপরই রুকাইয়া (রাঃ) ইন্তিকাল করেন। উম্মে কুলসুম (রাঃ) ও যায়নাব (রাঃ) ৭ম ও ৮ম হিজরীতে ইন্তিকাল করেন। ফাতিমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তিকালের ছয় মাস পর ইন্তিকাল করেন। পুত্র সন্তান ৩জন ছিলেন।(১) কাসিম (রাঃ) (২)আবদুল্লাহ, (ত্বইয়েব, তাহির) (৩)ইবরাহীম। এই তিনজনই রাসুলুল্ল...

আদর্শ স্বামী হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার ১২) আদর্শ স্বামী হিসাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)। পরিবারের প্রধান সাধারনতঃ স্বামী হয়ে থাকে।মানব ইতিহাসের প্রথম পরিবার. (আদি পিতা ও আদি মাতা)হযরত আদম(আঃ)ও হযরত হাওয়া (আঃ)প্রথম স্বামী -স্ত্রী। স্বামী - স্ত্রী নিয়ে পরিবার গঠিত হয়। যেভাবে পারিবারিক জীবন-যাপন করলে দুনিয়ার জীবন সুখী ও শান্তিপুর্ন জীবন হয়, আখিরাতের জীবনের জন্য সহায়ক হয়, সে জীবন হলো আদর্শ জীবন। পারিবারিক জীবন সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হলে, সমাজ সুন্দর হয়। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) স্বামী হিসেবে যে আদর্শ রেখেছেন, সে আদর্শ সকল পুরুষ গ্রহন করে স্বামী হিসাবে দায়িত্ব পালন করলে দুনিয়ার পারিবারিক জীবন সুখী হবে, পরকালের জন্য সহায়ক হবে এবং পরিবার সুদৃঢ় ও শক্তিশালী হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর ১১ জন স্ত্রী ছিলেন। হযরত খাদীজা (রাঃ) প্রথম থাকতে দ্বিতীয় বিবাহ করেননি। রাসুলের ৫০ বৎসর বয়সে মাক্কী জীবনের ১০ম নববীতে সনে খাদীজা (রাঃ) ইন্তিকাল করেন। যয়নাব বিনতে খুযাইমা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবদ্দশায় ইন্তিকাল করেন। ৯জন একসাথে থাকা অঅবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইন্তিকাল করেন। ১১জন স্ত্...

শ্রেষ্ঠ দানশীলতায় রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার উত্তম আদর্শ রয়েছে। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১১) যথাউপযুক্ত দানশীলতার আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। *** আল্লাহ তায়ালা অধিক দানশীল। তাঁর শ্রেষ্ঠতম প্রতিনিধি প্রিয়নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)সম্পর্কে বর্নিত আছে " ﻥﺎﻛ ﺩﻮﺟﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ"অর্থাৎ তিনি (রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন। (সহীহ আল -বুখারী, ওহী অধ্যায়) আরবীতে দানশীল বুঝাতে দুটি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যথা(১)সাখাওয়াত (২)যূদ। প্রয়োজনে ও অপ্রয়জনে সম্পদ দান করাকে সাখাওয়াত (দানশীলতা) বলে। পক্ষান্তরে যার যে পরিমান যে জিনিষ দরকার, তাকে সে পরিমান সে জিনিষ দেয়াকে আরবীতে"যূদ" বলে। শুধু সম্পদ নয়। কারো একটি নিদ্দিষ্ট পরিমান সম্পদ দরকার, কারো নিদ্দিষ্ট পরিমান ইলম বা জ্ঞান দরকার, কারো পোষাক দরকার, কারো খাদ্য দরকার, যার যা দরকার তাই দেয়া, যে পরিমান দরকার যার, সে পরিমান দিতেন তার। এইজন্য তাকে "আযওয়াদ " (অধিক দানশীল)বলা হয়েছে। *** ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻼﺟﺭ ﻥﺍ ﻝﺎﺳ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻨﻏ ﻦﻴﺑ ﻩﺎﻄﻋﺎﻓ ﻦﻴﻠﺒﺟ ﻩﺎﻳﺍ ﻲﺗﺎﻓ ﻝﺎﻘﻓ ﻪﻣﻮﻗ ﻯﺍ ﻡﻮﻗ ﻪﻠﻟﺍﻮﻓ ﺍﻮﻤﻠﺳﺍ ﻲﻄﻌﻴﻟ ﺍﺪﻤﺤﻣ ﻥﺍ ﺀﺎﻄﻋ ﺮﻘﻔﻟﺍ ﻑﺎﺨﻳﺎﻣ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ অর...

মানবতার কান্ডারী রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (১০) বিশ্বমানবতাকে প্রেম,দয়া ও ভালবাসার আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। আল্লাহ তায়ালা হলেন বিশ্বের স্রষ্টা ও মালিক। তিনি তাঁর সৃষ্টি ও মালিকানাধীন ব্যক্তি ও বস্তুর প্রতি অতীব দয়ালু। তাঁর দয়ার কোন সীমা নির্ধারন করা সম্ভব নয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সংকীর্ন চিন্তার অধিকারী মানুষকে আল্লাহর দয়ার ধারনা দেয়ার জন্য একটি উদাহরন দিয়েছেন। আল্লাহর দয়া, প্রেম ও ভালবাসাকে একশত ভাগের একভাগ সারা পৃথিবীর সকল মানুষ-জিন, জীব- জানোয়ার, পশু -পাখী, কীট -পতঙ্গ সকল জীবের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। এই দয়ার কারনে মানুষের মধ্যে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে, পিতা সন্তানকে, সন্তান পিতাকে, মাতা সন্তানকে, সন্তান মাতাকে, ভাই বোনকে ,বোন ভাইকে, বন্ধু বান্ধবীকে, বান্ধবী বন্ধুকে, আত্মীয় আত্মীয়কে, একজন আর একজনকে, সকল জীব একে অপরকে ভালবাসে। সমস্ত সৃষ্টজীবের একে অপরের প্রতি ভালবাসা আল্লাহর দয়া ও ভালবাসার ১০০ ভাগের একভাগ মাত্র। আর আল্লাহর একশত ভাগ ভালবাসা ও দয়া তাহলে কেমন? আল্লাহর শ্রেষ্ঠপ্রতিনিধি হলেন বিশ্বনাবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। মালিক ...

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্বভাব

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে! মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিতের পর) (১০) (৯এর বাকী অংশ)পুর্বে হাদীসের অনুবাদ দেয়া হয়েছে।নিম্ম আরবীতে দেয়া হল) ١‏) . ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﻝﺎﻗ ﺽﺭ ﻥﺎﻛ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺍﺫﺍ ﺓﺍﺪﻐﻟﺍ ﻲﻠﺻ ﻡﺪﺧ ﺀﺎﺟ ﺔﻨﻳﺪﻤﻟﺍ ﻢﻬﺘﻴﻧﺎﺑ ﺎﻬﻴﻓ ﺀﺎﻤﻟﺍ ﻥﻮﺗﺎﻳ ﺎﻤﻓ ﺀﺎﻧﺎﺑ ﻻﺍ ﺲﻤﻏ ﻩﺪﻳ ﺎﻤﺑﺮﻓ ﺎﻬﻴﻓ ﺓﺩﺭﺎﺒﻟﺍ ﺓﺍﺪﻐﻟﺎﺑ ﻩﻮﺋﺎﺟ ﺲﻤﻐﻴﻓ ﻩﺪﻳ ﺎﻬﻴﻓ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ .٢ ‏)ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻝﺎﻗ ﺖﻧﺎﻛ ﻦﻣ ﺔﻣﺍ ﻞﻫﺍﺀﺎﻣﺍ ﺬﺧﺎﺗ ﺔﻨﻳﺪﻤﻟﺍ ﺪﻴﺑ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻪﺑ ﻖﻠﻄﻨﺘﻓ ﺖﺋﺎﺷ ﺚﻴﺣ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ .٣‏) ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﻥﺍ ﺓﺃﺮﻣﺍ ﻲﻓ ﺖﻧﺎﻛ ﺊﻴﺷ ﺎﻬﻠﻘﻋ ﺖﻟﺎﻘﻓ ﻝﻮﺳﺭﺎﻳ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻲﻟ ﻥﺍ ﻚﻴﻟﺍ ﺔﺟﺎﺣ ﻝﺎﻘﻓ ﻡﺍﺎﻳ ﻥﻼﻓ ﻱﺮﻈﻧﺍ ﻱﺍ ﻙﺎﻜﺴﻟﺍ ﺖﺌﺷ ﻲﺘﺣ ﻲﻀﻗﺍ ﻚﻟ ﻚﺘﺟﺎﺣ ﻼﺨﻓ ﻲﻓ ﺎﻬﺑ ﺾﻌﺑ ﻕﺮﻄﻟﺍ ﻦﻣ ﺖﻏﺮﻓ ﻲﺘﺣ ﺎﻬﺘﺟﺎﺣ ﻩﺍﻭﺭ ﻢﻠﺴﻣ ٤‏) ﻦﻋ. ﻦﺑﺮﻴﺒﺟ ﻮﻫﺎﻤﻨﻴﺑ ﻢﻌﻄﻣ ﻊﻣ ﺮﻴﺴﻳ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻪﻠﻔﻘﻣ ﺖﻘﻠﻌﻓ ﻦﻴﻨﺣ ﻦﻣ ﺏﺍﺮﻋﻻﺍ ﻪﻧﻮﻟﺎﺴﻳ ﻲﺘﺣ ﻲﻟﺍ ﻩﻭﺮﻄﺿﺍ ﺓﺮﻤﺳ ﺖﻔﻄﺨﻓ ﻪﺋﺍﺩﺭ ﻒﻗﻮﻓ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻝﺎﻘﻓ ﻢﻌﻠﺻ ﻲﻧﺎﻄﻋﺍ ﻲﺋﺍﺩﺭ ﻲﻟ ﻥﺎﻛﻮﻟ ﺩﺪﻋ ﻩﺬﻫ ﻢﻌﻧ ﻩﺎﻀﻌﻟﺍ ﻪﺘﻤﺴﻘﻟ ﻢﻜﻨﻴﺑ ﻢﺛ ﻲﻧﻭﺪﺠﺗﻻ ﻼﻴﺨﺑ ﺎﺑﻭﺬﻛﻻﻭ ﺎﻧﺎﺒﺟﻻﻭ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟﺍ অনুবাদ :যুবাইর বিন মুতইমন (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি হুনাইন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে ভ্রমন করতেছি...

প্রিয় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আচার ব্যবহার

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৯)বিনয়ী হওয়া,অহংকারী না হওয়া ও নম্র ব্যবহারকারী হওয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। মানুষের ধারনা বিনয়ী হলে ও নম্র ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয়, মর্যাদা নীচু হয় ও সম্মানের ঘাটতি হয়, কিন্তু আসলে বিনয়ী হলে ও নম্র ব্যবহারকারী হলে ছোট হতে হয় না, বরং মর্যাদা ও সম্মান উচু হয়। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেন, ﻦﻣ ﻊﺿﺍﻮﺗ ﻪﻠﻟ ﻪﻌﻓﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﻐﺻ ﻭ ﻦﻴﻋﺍ ﻲﻓ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻢﻴﻈﻋ ﻦﻣﻭ ﻪﻌﺿﻭ ﺮﺒﻜﺗ ﻪﻠﻟﺍ ﻲﻓ ﻮﻬﻓ ﻦﻴﻋﺍ ﺱﺎﻨﻟﺍ ﻲﻓﻭﺮﻴﻐﺻ ﻪﺴﻔﻧ ﺮﻴﺒﻛ ﻲﺘﺣ ﻮﻬﻟ ﻥﻮﻫﺍ ﻦﻣ ﻢﻬﻴﻠﻋ ﺐﻠﻛ ﺮﻳﺰﻨﺧﻭ ﻩﺍﻭﺭ ﻲﻘﻬﻴﺒﻟﺍ অর্থ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার মর্যাদাকে উঁচু করে দেন। অতএব সে মনে মনে ছোট অথচ মানুষের দৃষ্টিতে বড়। আর যে ব্যক্তি অহংকার করে আল্লাহ তাকে নীচু করে দেয়। অতএব সে মানুষের চোখে ছোট অথচ মনে মনে বড়। এমনকি সে মানুষের নিকট কুকুর ও শুকরের চেয়ে লাঙ্চিত। (বাইহাকী) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিনয়ী, নম্র ও ভদ্র ছিলেন। এই বিনয়ী ও নম্র হওয়াই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। আল্লাহ তায়ালা তার নম্রতার সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, ﺎﻤﺒﻓ ﻦﻣ ﺔﻤﺣﺭ ﻪﻠﻟﺍ ﻢﻬﻟ ﺖﻨﻟ ﻮﻟﻭ ﺖﻨﻛ ﺎﻈﻓ ﻆﻴﻠﻏ...

রাসূলের আদর্শ ৮

"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানবতার জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে। " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৮) সামষ্টিক কাজে পরামর্শ করে কাজ করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ। যে সকল ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর নির্দেশনা আছে, সে সকল ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীগন (রাঃ) এর সাথে বা কারো সাথে পরামর্শ করতেন না। যে সব সব ব্যপারে মহান আল্লাহর. নির্দেশ নেই, সে সব ব্যপারে তিনি পরামর্শ করতেন। পরামর্শ করে কাজ করা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর আদর্শ ছিল। আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সাহাবীগন(রাঃ) এর সাথে পরামর্শ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সাহাবীগন (রাঃ) এর অভ্যাস ছিল পরস্পর পরামর্শের মাধ্যমে কর্ম সম্পাদন করা। আল্লাহ তায়াল বলেন, ﻢﻫﺮﻣﺍﻭ ﻱﺭﻮﺷ ﻢﻬﻨﻴﺑ অর্থ আর তাদের (সাহাবীগন (রাঃ) এর কর্ম তাদের পারস্পারিক পরামর্শের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে !(সূরা আশ - শূরা, আয়াত নং ৩৮) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ﻲﻓ ﻢﻫﺭﻭﺎﺷﻭ ﺮﻣﻻﺍ ﺍﺫﺎﻓ ﺖﻣﺰﻋ ﻞﻛﻮﺘﻓ ﻲﻠﻋ ﻪﻠﻟﺍ ﻥﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺐﺤﻳ ﻝﺍ ﺓﺭﻮﺳ،ﻦﻴﻠﻛﻮﺘﻤﻟﺍ ﻥﺍﺮﻤﻋ . অর্থ আর (হে রাসূল,) তুমি বিশেষ সামষ্টিক ব্যপারে তাঁদের (সাহাবীগন রাঃ) সাথে পরামর্শ কর। তারপর যখন তুমি দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেবে, তখন আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (নির্...

ইনসাফের প্রতীক রাসূলুল্লাহ সাঃ

"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানুষের. জন্য আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার . (৭)রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে ন্যায় বিচার করার আদর্শ বিদ্যমান। বিচার করা যায় কিন্তু প্রতিকুল মুহুর্তেও ন্যায় ও ইনসাফের উপর টিকে থেকে বিচার করার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা স্বাভাবিক ব্যপার নয়। ন্যায় ও ইনসাফ থেকে বিচ্যুত হয় প্রধান দুটি কারনে!যথা (১)পিতা - মাতা, আত্মীয় -স্বজন, বন্ধু ও স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলেও ইনসাফ ও ন্যায়বিচার বিচ্যুত হয়! (২)শত্রুর পক্ষে গেলে ইনসাফ ও. ন্যায়বিচার বিচ্যুত হয়। মুমিনদের দায়িত্ব হল ইনসাফ ও অন্যায়কে সমুন্নত করা। *** আল্লাহ বলেন, ﺎﻳ ﺎﻬﻳﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍ ﺍﻮﻣﺍ ﻦﻴﻣﺍﻮﻗ ﺍﻮﻧﻮﻛ ﻂﺴﻘﻟﺎﺑ ﺀﺍﺪﻬﺷ ﻪﻠﻟ ﻮﻟﻭ ﻲﻠﻋ ﻢﻜﺴﻔﻧﺍ ﻭﺍ ﻦﻳﺪﻟﺍﻮﻟﺍ ﻦﻴﺑﺮﻗﻻﺍﻭ অর্থ ওহে যারা ঈমান এনেছো, তোমরা ন্যায় ও ইনসাফ.কায়েমকারী, আল্লাহর উদ্দেশ্যে সাক্ষ্যদাতা হও, যদিও নিজেদের বা পিতামাতার ও নিকট্- আত্মীয়দের বিরুদ্ধে যায়। (সুরা আন নিসা, আয়াত নং) *** আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ﺎﻳ ﺍﻮﻨﻣﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍﺎﻬﻳﺍ ﻦﻴﻣﺍﻮﻗ ﺍﻮﻧﻮﻛ ﻪﻠﻟ ﺀﺍﺪﻬﺷ ﻂﺴﻘﻟﺎﺑ ﻻﻭ ﻡﻮﻗ ﻥﺎﻨﺷ ﻢﻜﻨﻣﺮﺠﻳ ﻲﻠﻋ ﻻﺍ ﺍﻮﻟﺪﻌﺗ অর্থ ওহে যারা ঈমান এনেছো, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দন্ডায়মান, ন্যায়ের সাক্ষ্যদাতা হও...

বীরশ্রেষ্ঠ হিসাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসুলুল্লাহ (সাঃ )এর মধ্যে বিশ্বমানুষের জন্য আদর্শ আছে। " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৬)সেনাপতি হওয়ার আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে নিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করতে হয়। দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে আদর্শের প্রভাব জনসাধারনের মধ্যে সৃষ্টি হয়। নৈতিক গুনের যোগ্য ব্যক্তিরা আদর্শের দাওয়াত গ্রহন করে এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যোগ্য নীতিবান হিসাবে গড়ে ওঠে। কিন্তু স্বার্থবাদী, স্বার্থান্বেষী ও ভোগবাদী লোকেরা স্বার্থের করনে নীতিবানদের বিরুদ্ধে অবস্থান. গ্রহন করে। তারা চিন্তা করে নীতিবানদের হাতে ক্ষমতা গেলে তাদের ভোগের পথে বাধা হবে এবং স্বার্থহানী ঘটবে, তাই দুর্নীতিবাজ ও ভোগবাদী লোকেরা সর্বশক্তি দিয়ে নীতিবানদের আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি করে। তখন বাধে সংঘর্ষ। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইসলামী আদর্শবাদী একদল লোক তৈরী করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যচ্ছেন, ইসলামের জন্য জুলুম -নির্যাতন সহ্য করতে লাগলেন, সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়ে গেলেন, প্রয়োজনে দেশ ত্যাগ করলেন এবং মুহাজিরদের আনসানরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করলেন! এমনকি নিজের প্রান দিতে কুন্ঠাবোধ করলেন না। এমন ধর...

দাওয়াতি জীবনে রাসূলুল্লাহ সাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে রয়েছে বিশ্ব মানুষের জন্য আদর্শ " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৫)রাষ্ট্র গঠন ছিল রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দাওয়াত ও তাবলীগের আদর্শিক লক্ষ্য : মুসলিম সমাজে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ বিভিন্ন লক্ষ্যে করা হয়ে থাকে। কিছু লোক আত্মশুদ্ধির জন্য দাওয়াত ও তাবলীগ করে। কিছু লোক বহু সাওয়াব অর্জনের জন্য দাওয়াত ও ছয় উসুল ভিত্তক তাবলীগ করে। বিভিন্ন ব্যক্তি দাওয়াত ও তাবলীগ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে করে থাকে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দ্বীন কায়েমের জন্য ও ইসলামী রাষ্টীয় ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য দাওয়াত ও তাবলীগের আদর্শ রেখে গেছেন। (ক) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মাক্কী জীবনে প্রকাশ্যভাবে দাওয়াত ও তাবলীগ শুরু করার পর থেকে ঠাট্টা, বিদ্রুপ, প্রশ্ন, অভিযোগ, নির্যাতন, জুলুম, দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ বন্দ করার বিভিন্ন পদ্ধতি ইত্যাদি অবলম্বন করলে মুশরিক নেতৃবৃন্দ অন্তত চারবার রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চাচা আবু তালিবের কাছে আসে। দ্বিতীয় /তৃতীয় বারে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছিলেন, ﻢﻫﺪﻳﺭﺍ ﻲﻠﻋ ﺔﻣﺎﻛ ﺓﺪﺣﺍﻭ ﻢﻬﻟ ﻦﻳﺪﺗ ﺎﻬﺑ ﺏﺮﻌﻟﺍ ﻢﻬﻴﻟﺍ ﻱﺩﻮﺗﻭ ﻢﺠﻌﻟﺍ ﺔﻳﺰﺠﻟﺍ অর্থ আমি কুরাইশদের কাছে একটি কালিমার দাবী করেছি, যার মাধ্যমে আরবরা তাদের অনুগত হবে ...

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দাওয়াত

"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে বিশ্বমানুষের আদর্শ রয়েছে " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (৪)দাওয়াত ও তাবলীগের আদর্শ রয়েছে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। আদর্শ ও নীতি যতই সুন্দর ও উন্নত হোক না কেন, তার দিকে আকর্ষনীয়ভাবে আহবান ও প্রচার না থাকলে, সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়না, মানুষ তা গ্রহন করে না। পন্য -দ্রব্য যতই উন্নত হোক না কেন, তার প্রচারক না থাকলে, সে পন্যের প্রতি মানুষের আকর্ষন হয় না, বাজারে তার যথাউপযুক্ত কাটতি হয়না এবং বিক্রি হয় না। ইসলামী জীবন -ব্যবস্থা সর্বোত্তম জীবন - ব্যবস্থা। এর প্রতি আহবান করা ও তার তাবলীগ করা আবশ্যক -ফারজ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﻉﺩﺍ ﻞﻴﺒﺳ ﻲﻟﺍ ﻚﺑﺭ ﺔﻈﻋﻮﻤﻟﺍﻭ ﺔﻤﻜﺤﻟﺎﺑ ﺔﻨﺴﺤﻟﺍ অর্থ তুমি তোমার রবের পথের দিকে আহবান কর প্রজ্ঞা ও উত্তম নাসীহাত সহকারে। (সূরা আন -নাহলে, আয়াত নং) আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ﺎﻬﻳﺎﻳ ﻝﻮﺳﺮﻟﺍ ﻎﻠﺑ ﻝﺰﻧﺍ ﺎﻣ ﻚﺑﺭ ﻦﻣ ﻚﻴﻟﺍ ﻥﺍﻭ ﻢﻟ ﻞﻌﻔﺗ ﺖﻐﻠﺑ ﺎﻤﻓ ﻪﺘﻟﺎﺳﺭ . অর্থ হে রাসূল, তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ন হয়েছে, তা তুমি প্রচার কর। আর যদি তুমি তা না কর, তাহলে তুমি তাঁর পয়গাম পৌছালেও না! (সূরা আল -মাইদা, আয়াত নং) মহান আল্লাহর এই দাহওয়াত ও তাবল...

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রাষ্ট্র পরিচালনা

"রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের জন্য উত্তম আদর্শ" মুহাম্মাদ রবিউল বাশার। (৩) রাষ্ট্র পরিচালনা করার আদর্শ রয়েছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে। মুশরিক, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ধর্মে যুগ উপযোগী রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ম নীতি না থাকায় তারা মানব-রচিত নিয়ম অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে থাকে। তারা প্রচার করে, ধর্ম আর রাষ্ট্র আলাদা, এবং ধর্মে রাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতি নেই। ধর্ম হলো আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের নাম ! সেজন্য তাদের ধর্মে রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক বিধান, পারিবারিক নীতি ইত্যাদি নাও থাকতে পারে। আজকের মুসলিমরা আল্লাহর কুরআন ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাত থেকে শিক্ষা না নিয়ে ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মুশরিকদের নিকট থেকে শিক্ষা নেয়ার কারনে তাদের বুলি আওড়ায়। আসলে ইসলামে এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগের নিয়ম- নীতি ও আদর্শ বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজে মহান আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। পরিপুর্নভাবে জীবন - বিধান ইসলামে রাষ্ট্রপরিচালনার মুলনীতি আছে। ১)আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ﺔﻌﺒﺳ ﻢﻬﻠﻈﻳ ﻲﻓ ﻪﻠﻟ...

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ইবাদত

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের উত্তম আদর্শ মুহাম্মাদ রবিউল বাশার। (২) ইবাদাত ও বন্দেগীর ব্যাপারে রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ : সাধারন নিরক্ষর ধার্মিক ব্যক্তিরা প্রতিযুগে ইবাদাতের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ীকে পছন্দ করে। একদেশদর্শীর ভূমিকা পালন করে, একপেষে কাজ করতে ভালবাসে। নফল নামাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে, নফল রোজা সারা বৎসর রাখতেই থাকে, সবসময় জিকির আজকারে ব্যস্ত। কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করে ইবাদাত করে না। অন্যান্য ইসলামী দায়িত্ব পালনের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেনা। আসলে ইসলামী জীবন ভারসাম্যপুর্ন হওয়া একান্ত প্রয়োজন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সে আদর্শই রেখে গিয়েছেন। ﺲﻧﺍ ﻦﻋ ﺽﺭ ﺀﺎﺟ ﻝﺎﻗ ﺔﺛﻼﺛ ﻲﻟﺍ ﻂﻫﺭ ﺝﺍﻭﺯﺍ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻥﻮﻠﺌﺴﻳ ﺓﺩﺎﺒﻋ ﻦﻋ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺎﻤﻠﻓ ﺍﻭﺮﺒﺧﺍ ﺎﻬﺑ ﻢﻬﻧﺎﻛ ﺍﻮﻟﺎﻘﻓ ﺎﻫﻮﻟﺎﻘﺗ ﻦﻳﺍ ﻦﺤﻧ ﻦﻣ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﺪﻗﻭ ﻡﺪﻘﺗﺎﻣ ﻪﻠﻟﺍﺮﻔﻏ ﻪﺒﻧﺫ ﻦﻣ ﻝﺎﻘﻓ ﺮﺧﺎﺗﺎﻣﻭ ﺎﻣﺍ ﻢﻫﺪﺣﺍ ﺎﻧﺍ ﻞﻴﻠﻟﺍ ﻲﻠﺻﺎﻓ ﺍﺪﺑﺍ ﻝﺎﻗﻭ ﻡﻮﺻﺍ ﺎﻧﺍ ﺮﺧﻻﺍ ﺭﺎﻬﻨﻟﺍ ﺍﺪﺑﺍ ﻻﻭ ﺮﻄﻓﺍ ﻝﺎﻗﻭ ﻝﺰﺘﻋﺍﺎﻧﺍ ﺮﺧﻻﺍ ﺀﺎﺴﻨﻟﺍ ﻼﻓ ﺝﻭﺰﺗﺍ ﺍﺪﺑﺍ ﺀﺎﺠﻓ ﻲﺒﻨﻟﺍ ﻝﺎﻘﻓ ﻢﻬﻴﻟﺍ ﻢﻌﻠﺻ ﻢﺘﻧﺍ ﻦﻳﺬﻟﺍ ﺍﺬﻛ ﻢﺘﻠﻗ ﺍﺬﻛﻭ ﺎﻣﺍ ﻪﻠﻟﺍﻭ ﻲﻧﺍ ﻢﻛﺎﺸﺧﻻ ﻪﻟ ﻢﻛﺎﻘﺗﺍﻭ ﻪﻠﻟ ﻲﻨﻜﻟﻭ ﻡﻮﺻﺍ ﺮﻄﻓﺍﻭ ﻲﻠﺻﺍﻭ ﺝﻭﺰﺗﺍﻭ ﺪﻗﺭﺍﻭ ﺀﺎﺴﻨﻟﺍ ﻦﻤﻓ ﺐﻏﺭ ﻦﻋ ﻲﺘﻨﺳ ﻲﻨﻣ ﺲﻴﻠﻓ ﻩﺍﻭﺭ ﻱﺭﺎﺨﺒﻟ...

রাসূলের সাঃ আদর্শঃ-মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বমানুষের উত্তম আদর্শ ﻥﺎﻛ ﺪﻘﻟ ﻲﻓ ﻢﻜﻟ ﻝﻮﺳﺭ ﺓﻮﺳﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺔﻨﺴﺣ ﻦﻤﻟ ﻥﺎﻛ ﻮﺟﺮﻳ ﻪﻠﻟﺍ ﻡﻮﻴﻟﺍﻭ ﺮﻛﺫﻭ ﺮﺧﻻﺍ ﻪﻠﻟﺍ ﺍﺮﻴﺜﻛ অর্থ নিশ্চয় আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ তোমাদের জন্য যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে এবং আল্লাহকে বেশী স্বরন করে। (সূরা আল -আহযাব, আয়াত নং ২১) পৃথিবীতে দুটি জীবকে জ্ঞান ও বিবেক দিয়ে আল্লাহ তা'লা স্বাধীনতা প্রদান করেছেন। তাদের আল্লাহ প্রদত্ব রাজপথ (শারীয়াহ ও দ্বীন )দিয়ে সেই পথে চলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সেই রাজপথে চললে জান্নাত এবং না চললে জাহান্নামে যেতে হবে বলে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর সকল কিছুর উপর খিলাফাতের দায়িত্ব মানুষকে দেয়া হয়েছে। যদিও ইবাদাতের দায়িত্ব মানুষ ও জিন উভয়ের। খিলাফাত ও ইবাদাতের জন্য উত্তম আদর্শ করে পাঠানো হয়েছে বিশ্বনাবী-রাসূল এবং শেষনাবী -রাসূল (সাঃ) কে। মানব জীবনের সকল দিক এবং বিভাগের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তম আদর্শ থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। ১)ইলম বা জ্ঞান অর্জন ও বৃদ্ধির আকাংখা : জীবনের সর্সবক্ষেত্রে ইবাদাত ও খিলাফাতের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন ইলম ও জ্ঞান। সেই জ্ঞান অর্জনের ও বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ তা,ওয়ালার নির্দেশনা আছ...

ইসলামী সমাজ গঠনে করনীয়ঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

সমাজ গঠনে করনীয় " মুহাম্মাদ রবিউল বাশার পুর্ব প্রকাশিতের পর(2) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে যেমন পরিপুর্ন উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, তেমন তিনি তাঁর জীবদ্দশায় উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী জাতি সৃষ্টি করেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ঐ ধরনের জাতি দ্বিতীয়টি দেখা যায়নি এবং ভভবিষ্যতে যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে বলেছেন, ﺑﻌﺜﺖ ﻻﺗﻤﻢ ﻣﻜﺎﺭﻡ ﺍﻻﺧﻼﻕ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺎﻟﻚ অর্থ আখলাক ও চরিত্রকে অপুর্নতা প্রদান করার জন্য আমি প্রেরিত। (মুয়াত্তায়ে ইমাম মালিক) (খ) সমাজ গঠন করতে হলে সমাজের সদস্যদের একে অপরের মধ্যে গভীর ভালবাসা ও আন্তরিকতা থাকতে হবে। একে অপরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভালবাসবে। দুনিয়ার স্বার্থের জন্য ভালবাসবে না। স্বার্থ যখন পাওয়া যাবে না, যার স্বার্থ নষ্ট হবে,তখন তার ভালবাসা থাকবে না। ঘৃনা সৃষ্টি হবে। মুমিন সমাজ সম্পর্কে ধারনা দিতে যেয়ে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)বলেন, ﺗﺮﻱ ﺍﻟﻤﻮﻣﻨﻴﻦ ﻓﻲ ﺗﻮﺍﺩﻫﻢ ﻭﺗﻌﺎﻃﻔﻬﻢ ﻭﺗﺮﺍﺣﻤﻬﻢ ﻛﻤﺜﻞ ﺍﻟﺠﺴﺪ ﺍﻥ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﻋﻀﻮ ﻣﻨﻪ ﺍﺷﺘﻜﻲ ﺳﺎﺋﺮﺍﻟﺠﺴﺪ ﺑﺎﻟﺴﻬﺮ ﻭﺍﻟﺤﻤﻲ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ অর্থ মুমিন সমাজকে দেখতে পাবে তাদের মধ্যে পরস্পর হৃদ্যতা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা এত গভীর যেন একটি অখন্ড দেহ, যার একটি অংশে অসুস্থ হলে সমস্ত দে...

ইসলামী সমাজ গঠনে করণীয়ঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

সমাজ গঠনে করনীয় মুহাম্মাদ রবিউল বাশার (পুর্ব প্রকাশিতের পর) (৩) পারস্পারিক সম্পর্ক ও ভালবাসা সৃষ্টিকারী বিষয়গুলি করা : ১)সালামের ব্যাপক প্রচলন : মুসলমান মাত্রই সালাম দেয়া, পরিচিত, অপরিচিত,আত্মীয়, অনাত্মীয়, ধনী, গরীব, নেতা, কর্মী সকলকে সালাম দেয়া। ছোট বড়কে, হাটা লোক দাড়ানো লোককে, দাড়ানো লোক বসালোককে, কম লোক বেশী লোককে সালাম দেবে। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের কথা বলবো, যার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে ভালবাসার সৃষ্টি হবে? তোমরা ব্যাপকভাবে সেলামের প্রচলন কর। (সহীহ মুসলিম) ২)মুসাফাহা করা : সালামের পর মুসাফাহা করলে ভালবাসা গাড়ি হয়। তড়িৎ দেখা সাক্ষাতে সালাম যথেষ্ট। তড়িৎ দেখা সাক্ষাত না হলে একটু বিলম্ব হলে মুসাফাহা করা ভাল। মুসাফাহার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। ৩)মুআনাকা করা : বেশী দিন পর পর দেখা সাক্ষাত হলে মুয়ানাকা করা সুন্নাহ। মুয়ানাকার মাধ্যমে ভালবাসা ও আন্তরিকতা দৃড় হয়। ৪)হাদিয়া দেওয়ার প্রথার প্রচলন : একে অপরকে সাধ্যের ভিতরে হাদিয়া - তোহফা দেওয়ার প্রচলন করলে পরস্পরের মধ্যে আন্তরিকতা ও ভালবাসার সৃষ্টি হয়। তরকারীতে ঝোল বেশী দিয়ে তরকারীতে হাদিয়া দেয়ার নির্দেশনা আছে। ছাগলের পায়...

ইসলামী সমাজ গঠনে করণীয়ঃ মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

সমাজ গঠনে করনীয়! ভূমিকা :- 1) বিশ্বইতিহাসে শ্রেষ্ঠ সমাজ হলো রাসূলুল্লাহ (সাঃ)প্রতিষ্ঠিত সমাজ। সেই আদর্শ সমাজের আলোকে সমাজ গঠন করাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সমাজ গঠন বলতে ইসলামী সমাজ গঠন বুঝানো হয়েছে। সে সমাজের প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব হলো। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ﻭﺗﻌﺎﻭﻧﻮﺍ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﺒﺮ ﻭﺍﻟﺘﻘﻮﻱ ﻭﻻ ﺗﻌﺎﻭﻧﻮﺍ ﻋﻠﻲ ﺍﻻﺛﻢ ﻭﺍﻟﻌﺪﻭﺍﻥ অর্থ : কল্যান ও তাকওয়াপুর্ন কাজে পরস্পর সহযোগীতা কর এবং গুনাহ ও বাড়াবাড়ীমুলক কাজে একে অপরকে সহযোগীতা করনা। (সুরা আল - মাইদাহ,আয়াত নং-২) যে সমাজের লোকেরা পাঁচ ওয়াক্ত নিয়মিত নামাজী, যে সমাজের ধনীরা গরীবদের অভাব মিটানোর জন্য হিসাব করে যাকাত দেয়, সৎকাজের আদেশ করে এবং অসৎকাজের নিষেধ করে। আল্লাহ বলেন, ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺍﻥ ﻣﻜﻨﺎﻫﻢ ﻓﻲ ﺍﻻﺭﺽ ﺍﻗﺎﻣﻮﺍ ﺍﻟﺼﻠﻮﺓ ﻭﺍﺗﻮﺍ ﺍﻟﺰﻛﻮﺓ ﻭﺍﻣﺮﻭﺍ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ﻭﻧﻬﻮﺍ ﻋﻦ ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ অর্থ আমি যদি তাদের পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি, তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে,যাকাত আদায় করবে, সৎকাজে আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজে নিষেধ করবে। (সুরা আল হাজ্জ,আয়াত নং -) অনুরুপ সমাজ গঠনে মুসলিমদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 2)ইসলামী সমাজ গঠন করবে তো মুসলিমরা। কিন্তু যে শষ্য দিয়ে ভূত ঝাড়ানো হবে, সেই শষ্...

আশুরার দিনে শোক মাতম মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

(১)আল্লেহর রাসুল সাঃ বলেছেন,আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাসী কোন মুমিন ব্যক্তির জন্য হালাল নয় কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা কিন্তু স্বামীর জন্য স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে! (সহীহ আল বুখারী) (২)রাসুল্লাহ(সাঃ),হযরত আলী(রাঃ),হযরত ফাতিমা (রাঃ)হযরত হাসান (রাঃ)এর জন্য কি এখন শোক ,মাতম করা হয়? (৩)হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ)শাহাদাতের পুর্বের ঘটনা পড়ে দেখবেন তিনি বারবার পরিবারের জীবিত সদস্যদের মাতম ও আহাজারী করতে নিষেধ করেছেন! (৪)মুহার্রাম মাস সকল মুসলমানের শোকের মাস নয় !কেননা, রাসুল(সাঃ) তিন দিনের উপরে শোক পালন করতে নিষেধ করেছেন স্ত্রী ছাড়া !স্বামী মারা গেলে স্ত্রী চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে আল্লেহ বলেছেন! (সুরা আলবাকারা) (৫)আল্লাহর রাসুল (সাঃ)আশুরার দিন রোজা রাখতে বলেছেন!(সহীহবুখারী সহ অন্যান্য হাদীসের কিতাব) এটা রহিত করার ক্ষমতা আর কারো নেই! (৬)অন্তর দুঃখিত হওয়া ও চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত হওয়ায় দোষ নেই! মুখ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির বাহিরে কোন কথা বের হওয়াই দোষ!বুক চাপড়ানো , জামাকাপড় ছেড়া ও বুকেপিঠে ছুরিকাঘাত করা দোষ !(সহীহ আল বুখারী)

মুহার্রম মাস ও আশুরা৩

মুহার্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু কথা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার এই আশুরার দিনে অনেক ঘটনার উল্লেখ করা হয় ,যার অধিকাংশ জাল বা অধিক দুর্বল! একটি ঘটনা সহীহ হাদীসে উল্লেখ পাওয়া যায় ! সে ঘটনা হলো বানী ইসরাইল ফিরআউনের দাসত্ব শৃংখল থেকে মুক্তি লাভ এবং ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনীকে ডুবিয়ে মারা হয় এই দশই মুহার্রম আশুরায় !এই ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ﻭﺟﺎﻭﺯﻧﺎ ﺑﺒﻨﻲ ﺍﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﺍﻟﺒﺤﺮ ﻓﺎﺗﺒﻌﻬﻢ ﻓﺮﻋﻮﻥ ﻭﺟﻨﻮﺩﻩ ﺑﻐﻴﺎ ﻭﻋﺪﻭﺍ ﺣﺘﻲ ﺍﺫﺍ ﺍﺩﺭﻛﻪ ﺍﻟﻐﺮﻕ ﻗﺎﻝ ﺍﻣﻨﺖ ﺍﻧﻪ ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﺬﻱ ﺍﻣﻨﺖ ﺑﻪ ﺑﻨﻮﺍ ﺍﺳﺮﺍﺋﻴﻞ ﻭﺍﻧﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ0ﺍﻻﻥ ﻭﻗﺪ ﻋﺼﻴﺖ ﻗﺒﻞ ﻭﻛﻨﺖ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻔﺴﺪﻳﻦ 0ﻓﺎﻟﻴﻮﻡ ﻧﻨﺠﻴﻚ ﺑﺒﺪﻧﻚ ﻟﺘﻜﻮﻥ ﻟﻤﻦ ﺧﻠﻔﻚ ﺍﻳﺔ ﻭﺍﻥ ﻛﺜﻴﺮﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻋﻦ ﺍﻳﺎﺗﻨﺎ .ﻥﻮﻠﻓﺎﻐﻟ ‏( ﺳﻮﺭﺓ ﻳﻮﻧﺲ، ٢٩.١٩.٠٩ ) অর্থ(90) আর বানী ইসরাইলকে আমি নদী পার করে দিয়েছি,অতঃপর ফিরআউন ও তার সৈন্যবাহিনী বাড়াবাড়ী ও সীমালঙ্ঘন করে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে "এমনকি যখন সে ডুবতে আরম্ভ করল,তখন বলল,এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে,বানী ইসরাইলরা যার উপর ঈমান এনেছে,তিনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই! আমিও অনুগতদের অন্যতম! (91)এখন একথা বলছ ! অথচ তুমি ইতিপুর্বে নাফরমানী করছিলে এবং বিপর্যয়কারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে! (92)অতএব আজকের দ...

মুহার্রম মাস ও আশুরা২

"মুহার্রম সম্পর্কে কিছু কথা" মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ৭)মুহার্রম মাসের মর্যাদা বর্ননা করতে যেয়ে অনেক লম্বা কথা হাদীসের নামে পেশ করা হয় ! ক)হযরত আদম ( আঃ)তাওবা কবুল হয় মুহার্রমের দশ তারীখ আশুরায়! খ)হযরত ইদরীস ( আঃ)সুউচ্চ মর্যাদায় উত্থিত করা হয় আশুরার দিনে ! গ)হযরত নূহ (আঃ)নৌকা জুদী পাহাড়ে এসে লাগে মুহার্রমের দশ তারীখ আশুরায় ! ঘ)হযরত ইবরাহীম (আঃ)আগুন থেকে উদ্ধার লাভ করেন আশুরার দশ তারীখে! ঙ)হযরত আইউব (আঃ)রোগ থেকে পান আশুরার দিন! চ)তাওরাত কিতাব লাভ করেন আশুরার দিন! ছ)হযরত ইউনুছ( আঃ)মাছের পেট থেকে মুক্তি পান আশুরার দিন ! জ)হযরত ঈছা ( আঃ)কে আসমানে তুলে আেয়া হয় আশুরার দিন ! ঝ)হযরত দাউদ (আঃ)তাওবা কবুল হয় আশুরার দিন ! ঞ)সুলাইমান ( আঃ)বাদশাহীত্ব প্রাপ্ত হন আশুরার দিন ! ট)রাসুলুল্লাহ (সাঃ)পুর্বের ও পরের গুনাহ ক্ষমাপ্রাপ্ত হন আশুরার দিন !ইত্যাদি ! এসকল বিষয় সম্পর্কিত বর্নিত হাদীস দুর্বল ও জাল !মহান আল্লাহ আমাদেরকে দুরবল ও জাল বর্ননে থেকে বাচার তাওফীক দান করুন ! এ সকল ঘটনার মাধ্যমে আশুরার মর্যাদা বর্ননা করা হয় !আশুরার মর্যাদা জাল হাদীসের মাধ্যমে মর্যাদা বৃদ্ধির চেয়ে অনেক উর্ধে !(...

মুহার্রম মাস আশুরার দিন

,মুহার্রম সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছুকথা" মুহাদ্দিস রবিউল বাশার. হিজরী বৎসর বা চান্দ্র বৎসরের প্রথম মাস হল মুহার্রম মাস !পবিত্র কুরআনের বক্তব্য হল বিশ্বসৃষ্টির প্রথম থেকে বারটি মাসের গননা হয়ে থাকে আল্লাহর কিতাব,লিখন বা বিধান অনুযায়ী ! তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত ! যথা( ১)মুহার্রাম (২)রজব (৩)জুল কা'দাহ ও (৪)জুল হাজ্জাহ ! বারটি মাস অন্যায় ও জুলুমমুলক কাজ থেকে সকলকে দুরে থাকা উচিৎ! বিষেশ করে এই চারটি মাসের মর্যাদা বেশী দেয়া উচিৎ !এই চারটি মাসের সম্মান দেয়ার অর্থ হলো অন্যায় ,অপকর্ম ,অন্যের উপর হস্তক্ষেপ ও জুলুম ত্যাগ করা !তাই আল্লাহ বলেন ﺍﻥ ﻋﺪﺓ ﺍﻟﺸﻬﻮﺭ ﻋﻨﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺛﻨﺎ ﻋﺸﺮ ﺷﻬﺮﺍ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﻮﻡ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﺴﻤﻮﺍﺕ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﺭﺑﻌﺔ ﺣﺮﻡ ﺫﺍﻟﻚ ﺍﻟﺪﻳﻦ ﺍﻟﻘﻴﻢ ﻓﻼﺗﻈﻠﻤﻮﺍ ﻓﻴﻬﻦ ﺍﻧﻔﺴﻜﻢ ﻭﻗﺎﺗﻠﻮﺍ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ ﻛﺎﻓﺔ ﻛﻤﺎ ﻳﻘﺎﺗﻠﻮﻧﻜﻢ ﻛﺎﻓﺔ ﻭﺍﻋﻠﻤﻮﺍ ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻊ ﺍﻟﻤﺘﻘﻴﻦ অর্থ আসমান ও জমীন সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহর নিকট মাসসমুহের গননার সংখ্যা হল আল্লাহর কিতাব, বিধান ও লিখন অনুযায়ী বার ! তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত! উহাই স্থায়ী নিয়ম! অতএব তোমরা উহার মধ্যে নিজেদের উপর জুলুম করনা! এবং সকল মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই কর যেমন তারা তোমরা সক...