মানুষ বিয়ে করে কেন?
বিয়ে মানুষ কেন করে?
তার অনেক কারণই আছে
এবং বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে তা বিভিন্ন রকমই
হয়ে থাকে। কারো বয়স হয়েছে বিয়ে করার, তাই
বিয়ে করছে, কারো চাকরী হয়েছে তাই, কেউ
দীর্ঘদিন পড়াশুনা করছে কিন্তু পড়াশুনা শেষ হচ্ছে
না, কিন্তু বয়স বেড়েই যাচ্ছে তাই বিয়ে করছে,
কেউ বা প্রেম করছে তাই, কারো দাদী বা নানী
চাচ্ছে তাই, বিভিন্ন কারণে মানুষ বিয়ে করে। এসব
কারণের মূল কারণ হচ্ছে মানুষকে বিয়ে করতে
হবে, তাই কোন কিছুকে উপলক্ষ করে মানুষ
বিয়ে করে। এভাবেই সাধারণ মানুষের ধ্যান ধারনা
কাজ করে।
বর্তমানে বিয়ের বাজার কেমন যাচ্ছে? এজন্যই
বাজার বলছি কারণ এখন তা টাকার সাথে সম্পর্কিত। টাকা
ছাড়া যেমন বাজার করা যায় না, তেমনি বিয়েও করা যায়
না। রাসূল (সা:) এর জামানায় লোহার আংটি, জুতা-
স্যান্ডেল মোহর দিয়েও বিয়ে হতো। কিন্তু
এখন সেটা কল্পনারই বিষয়, বাস্তবে লোহার আংটি,
জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে বিয়ে করা সম্ভবই নয়। এমন কি
অপমান করা হবে যে তুমি বিয়ে করতে কেন
চাইছো? কিন্তু স্বর্ণ যুগে মানুষ (রা:) বিয়ে দিয়ে
দিতেন যদিও ছেলের মোহরের টাকা না থাকতো।
তবে বাকি মোহরে কেউ বিয়ে করতো না।
বর্তমানে সবার স্বপ্ন তাদের Dream Marriage
নিয়ে, এমন একটি বিয়ে করতে হবে যা সবার কাছে
চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবাই যেন বলে, এ
বিয়েটা দারুণ! এমন বিয়ে কোন দিন দেখিনি। এমন
একটি বিয়ের মূল্য কত?
অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা এখন তাই ভাবে, আর ইংলিশ/
হিন্দী বিনোদন মাধ্যম গুলি এই স্বপ্নগুলিকে
আরো সুন্দর করে প্রচার করছে এবং এর প্রভাব
বিরাজ করছে সর্বত্র।
এখন কারো Dream Marriage এ ৩০-৫০ লক্ষ টাকা
খরচ হওয়া কিছুই নয়। মোহরনা দিতে হবে ২০-১৫
লক্ষ, বিয়েতে আরো খরচ ৫ লক্ষ। মেয়ে
পক্ষ, মেয়েকে গহনা দিবে, বিয়ের আয়োজন
করবে, নতুন সংসারকে সাজিয়ে দিবে বিভিন্ন Latest
Design এর সামগ্রী দিয়ে। তাই মেয়ে পক্ষকেও
খরচ করতে হবে ১৫-২০ লক্ষের মত। সব মিলিয়ে
Dream Marriage এর বর্তমান বাজার মূল্য ৩০-৫০ লক্ষ
টাকা।
কিছুটা সাধারণ ভাবে বিয়ে করলে হয়তো বা ৫-১০
লক্ষ টাকার মধ্যেও হওয়া সম্ভব।
ভাবতে অবাক লাগছে সমাজ আমাদের কোথায়
নিয়ে যাচ্ছে এবং আমরাও বা তার সাথে তাল মিলিয়ে কি
করছি।
ইসলাম কি আমাদের এই শিক্ষা দেয় !!?
এসবই হচ্ছে পাশ্চাত্যের কুশিক্ষা। যা অনেকে
আবার এটাকে Latest Tradition বলে থাকে।
কিন্তু দ্বীনদার যুব সমাজের উপর এর প্রভাব
কেমন পরছে?
দাড়ি রাখা ছেলের সাথে বিয়ে দিব না, কারণ দাড়ি নিয়ে
নানান সমস্যা, বলে শেষ করা যাবে না, তাই ঐ
ঝামেলাতে যাওয়া যাবে না।
আর রাজি যদি হয়েও যায়, তবে ছেলে কি করে,
মহরনা ১০-১৫ লক্ষ টাকা দিতে পারবে কিনা ইত্যাদি।
তাই একটি সাধারণ পরিবারের দ্বীনদার ছেলে,
তাদের মতই সাধারণ পরিবারের মেয়েকে বিয়ে
করার সাহস করতে পারে না। যেহেতু মেয়ে
পরিবারের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সমাজ বা পরিবার গুলো নিজেদের
পরিবর্তন না করলে জাতি সফল হতে পারবে না, এই
দুনিয়াতে বা আখেরাতে। কারণ বিয়ে করতে না পারার
কারণে বিভিন্ন ফিতনায় পড়তে হচ্ছে দ্বীনদার
সাধারণ ছেলে-মেয়েদের, ছেলেদের চোখ
চলে যাচ্ছে রূপবতী নারীদের দিকে, মন
চাইছে তাদের সাথে কথা বলতে, সেই সাথে
ইবলিশ অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে তো সর্বদা পাশে
আছেই। ফিতনা থেকে বাচার উপায় বিয়ে, কিন্তু তা
যেন একটা অবাস্তব স্বপ্নের মত।
জুতা-স্যান্ডেলে তো মেয়ের বাবা বিয়ে দিবে
না, কারণ ছেলের ঘারে অতিরিক্ত মোহরনার
বোঝা না দিলে মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
যেকোন সময় মেয়েকে তালাক দিয়ে দিতে
পারে।
রাসূল (সা:) সাহাবীদের একদিন বললেন, স্বামী-
স্ত্রী সহবাস করলে সাদকার সোয়াব হয়, সাহাবীরা
(রা:) অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন এ আবার কেমন
করে হয়? আমরা নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণ করব
আর এতে সাদকার সোয়াব হবে? রাসূল (সা:)
বললেন হ্যাঁ, কারণ এ না করলে অনেক পাপ হবে,
আর স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে বিষয়টি
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকে।
যাহেলী যুগে মানুষ মেয়েদের বিয়ে করতো
ভোগ করার জন্য, স্বর্ণ যুগে মানুষ বিয়ে করতো
পাপ থেকে বাচার জন্য। আর পাপ থেকে বাচার
জন্য বিয়ে করাই হচ্ছে বিয়ের মূল উদ্দেশ্য। এ
জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে আমার ছেলের দ্বারা
তো পাপ হচ্ছে না, আর পাপের আশংকা থাকলে
উচিত হবে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া। কিন্তু তাড়াতাড়ি
দেই কি করে আমার ছেলে বউকে খাওয়াবে কি?
এভাবে ছেলেকে বিয়ে দিলে সমাজ, আত্মীয়রা
কি বলবে। আর বিয়েই বা দিব কি করে মোহরনা,
বিয়ের খরচ তো আর কম না। নাতী-নাতনী হলে
আরো ঝামেলা। তার থেকে ছেলে চাকরী পাক,
বিয়ের টাকা করুক, সমস্যা কি এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে না
করলেও চলবে।
ছেলে Masters করছে, কিন্তু চাকরী নেই। দিন
চলেই যাচ্ছে, মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ
পরকালের চিন্তা করে না, আর পরকালের চিন্তা না
করলে পাপ থেকে বাচার আবার প্রয়োজন কি।
এখন যদি মারা যেতে হয়, তবে আল্লাহ্র কাছে কি
জবাব দিব? চোখের গুনাহ্, ছোট গুনাহ্, বড় গুনাহ্,
কবিরা গুনাহ্ ইত্যাদি।
একটি ছেলে, একটি মেয়ের অবৈধ সম্পর্কের
গুনাহ্ হলো কবিরা গুনাহ্। এটা বয়সের দোষ, এখন
সবাই তাই করে। এটা সাধারণ ব্যাপার, মেনে নিতে
হবে। আগেকার যুগ তো আর নেই।
তাই বর্তমানে:
পাপ কাজ সাধারণ ব্যাপার, বিয়ে স্বপ্নের ব্যাপার।
এবং স্বর্ণ যুগে বা সাহাবীদের যুগে:
পাপ কাজ ছিল স্বপ্নের ব্যাপার, আর বিয়ে ছিল সাধারণ
ব্যাপার।
আল্লাহ্ যেন আমাদের বুঝার, মানার, পাপ থেকে
বাচার তৌফিক দান করেন…আমীন।

তার অনেক কারণই আছে
এবং বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে তা বিভিন্ন রকমই
হয়ে থাকে। কারো বয়স হয়েছে বিয়ে করার, তাই
বিয়ে করছে, কারো চাকরী হয়েছে তাই, কেউ
দীর্ঘদিন পড়াশুনা করছে কিন্তু পড়াশুনা শেষ হচ্ছে
না, কিন্তু বয়স বেড়েই যাচ্ছে তাই বিয়ে করছে,
কেউ বা প্রেম করছে তাই, কারো দাদী বা নানী
চাচ্ছে তাই, বিভিন্ন কারণে মানুষ বিয়ে করে। এসব
কারণের মূল কারণ হচ্ছে মানুষকে বিয়ে করতে
হবে, তাই কোন কিছুকে উপলক্ষ করে মানুষ
বিয়ে করে। এভাবেই সাধারণ মানুষের ধ্যান ধারনা
কাজ করে।
বর্তমানে বিয়ের বাজার কেমন যাচ্ছে? এজন্যই
বাজার বলছি কারণ এখন তা টাকার সাথে সম্পর্কিত। টাকা
ছাড়া যেমন বাজার করা যায় না, তেমনি বিয়েও করা যায়
না। রাসূল (সা:) এর জামানায় লোহার আংটি, জুতা-
স্যান্ডেল মোহর দিয়েও বিয়ে হতো। কিন্তু
এখন সেটা কল্পনারই বিষয়, বাস্তবে লোহার আংটি,
জুতা-স্যান্ডেল দিয়ে বিয়ে করা সম্ভবই নয়। এমন কি
অপমান করা হবে যে তুমি বিয়ে করতে কেন
চাইছো? কিন্তু স্বর্ণ যুগে মানুষ (রা:) বিয়ে দিয়ে
দিতেন যদিও ছেলের মোহরের টাকা না থাকতো।
তবে বাকি মোহরে কেউ বিয়ে করতো না।
বর্তমানে সবার স্বপ্ন তাদের Dream Marriage
নিয়ে, এমন একটি বিয়ে করতে হবে যা সবার কাছে
চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সবাই যেন বলে, এ
বিয়েটা দারুণ! এমন বিয়ে কোন দিন দেখিনি। এমন
একটি বিয়ের মূল্য কত?
অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা এখন তাই ভাবে, আর ইংলিশ/
হিন্দী বিনোদন মাধ্যম গুলি এই স্বপ্নগুলিকে
আরো সুন্দর করে প্রচার করছে এবং এর প্রভাব
বিরাজ করছে সর্বত্র।
এখন কারো Dream Marriage এ ৩০-৫০ লক্ষ টাকা
খরচ হওয়া কিছুই নয়। মোহরনা দিতে হবে ২০-১৫
লক্ষ, বিয়েতে আরো খরচ ৫ লক্ষ। মেয়ে
পক্ষ, মেয়েকে গহনা দিবে, বিয়ের আয়োজন
করবে, নতুন সংসারকে সাজিয়ে দিবে বিভিন্ন Latest
Design এর সামগ্রী দিয়ে। তাই মেয়ে পক্ষকেও
খরচ করতে হবে ১৫-২০ লক্ষের মত। সব মিলিয়ে
Dream Marriage এর বর্তমান বাজার মূল্য ৩০-৫০ লক্ষ
টাকা।
কিছুটা সাধারণ ভাবে বিয়ে করলে হয়তো বা ৫-১০
লক্ষ টাকার মধ্যেও হওয়া সম্ভব।
ভাবতে অবাক লাগছে সমাজ আমাদের কোথায়
নিয়ে যাচ্ছে এবং আমরাও বা তার সাথে তাল মিলিয়ে কি
করছি।
ইসলাম কি আমাদের এই শিক্ষা দেয় !!?
এসবই হচ্ছে পাশ্চাত্যের কুশিক্ষা। যা অনেকে
আবার এটাকে Latest Tradition বলে থাকে।
কিন্তু দ্বীনদার যুব সমাজের উপর এর প্রভাব
কেমন পরছে?
দাড়ি রাখা ছেলের সাথে বিয়ে দিব না, কারণ দাড়ি নিয়ে
নানান সমস্যা, বলে শেষ করা যাবে না, তাই ঐ
ঝামেলাতে যাওয়া যাবে না।
আর রাজি যদি হয়েও যায়, তবে ছেলে কি করে,
মহরনা ১০-১৫ লক্ষ টাকা দিতে পারবে কিনা ইত্যাদি।
তাই একটি সাধারণ পরিবারের দ্বীনদার ছেলে,
তাদের মতই সাধারণ পরিবারের মেয়েকে বিয়ে
করার সাহস করতে পারে না। যেহেতু মেয়ে
পরিবারের চাহিদা অনেক বেশি।
এই ক্ষেত্রে সমাজ বা পরিবার গুলো নিজেদের
পরিবর্তন না করলে জাতি সফল হতে পারবে না, এই
দুনিয়াতে বা আখেরাতে। কারণ বিয়ে করতে না পারার
কারণে বিভিন্ন ফিতনায় পড়তে হচ্ছে দ্বীনদার
সাধারণ ছেলে-মেয়েদের, ছেলেদের চোখ
চলে যাচ্ছে রূপবতী নারীদের দিকে, মন
চাইছে তাদের সাথে কথা বলতে, সেই সাথে
ইবলিশ অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে তো সর্বদা পাশে
আছেই। ফিতনা থেকে বাচার উপায় বিয়ে, কিন্তু তা
যেন একটা অবাস্তব স্বপ্নের মত।
জুতা-স্যান্ডেলে তো মেয়ের বাবা বিয়ে দিবে
না, কারণ ছেলের ঘারে অতিরিক্ত মোহরনার
বোঝা না দিলে মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
যেকোন সময় মেয়েকে তালাক দিয়ে দিতে
পারে।
রাসূল (সা:) সাহাবীদের একদিন বললেন, স্বামী-
স্ত্রী সহবাস করলে সাদকার সোয়াব হয়, সাহাবীরা
(রা:) অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন এ আবার কেমন
করে হয়? আমরা নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণ করব
আর এতে সাদকার সোয়াব হবে? রাসূল (সা:)
বললেন হ্যাঁ, কারণ এ না করলে অনেক পাপ হবে,
আর স্বামী-স্ত্রীর মিলনের ফলে বিষয়টি
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকে।
যাহেলী যুগে মানুষ মেয়েদের বিয়ে করতো
ভোগ করার জন্য, স্বর্ণ যুগে মানুষ বিয়ে করতো
পাপ থেকে বাচার জন্য। আর পাপ থেকে বাচার
জন্য বিয়ে করাই হচ্ছে বিয়ের মূল উদ্দেশ্য। এ
জন্য লক্ষ্য রাখতে হবে আমার ছেলের দ্বারা
তো পাপ হচ্ছে না, আর পাপের আশংকা থাকলে
উচিত হবে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া। কিন্তু তাড়াতাড়ি
দেই কি করে আমার ছেলে বউকে খাওয়াবে কি?
এভাবে ছেলেকে বিয়ে দিলে সমাজ, আত্মীয়রা
কি বলবে। আর বিয়েই বা দিব কি করে মোহরনা,
বিয়ের খরচ তো আর কম না। নাতী-নাতনী হলে
আরো ঝামেলা। তার থেকে ছেলে চাকরী পাক,
বিয়ের টাকা করুক, সমস্যা কি এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে না
করলেও চলবে।
ছেলে Masters করছে, কিন্তু চাকরী নেই। দিন
চলেই যাচ্ছে, মাথায় টাক পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ
পরকালের চিন্তা করে না, আর পরকালের চিন্তা না
করলে পাপ থেকে বাচার আবার প্রয়োজন কি।
এখন যদি মারা যেতে হয়, তবে আল্লাহ্র কাছে কি
জবাব দিব? চোখের গুনাহ্, ছোট গুনাহ্, বড় গুনাহ্,
কবিরা গুনাহ্ ইত্যাদি।
একটি ছেলে, একটি মেয়ের অবৈধ সম্পর্কের
গুনাহ্ হলো কবিরা গুনাহ্। এটা বয়সের দোষ, এখন
সবাই তাই করে। এটা সাধারণ ব্যাপার, মেনে নিতে
হবে। আগেকার যুগ তো আর নেই।
তাই বর্তমানে:
পাপ কাজ সাধারণ ব্যাপার, বিয়ে স্বপ্নের ব্যাপার।
এবং স্বর্ণ যুগে বা সাহাবীদের যুগে:
পাপ কাজ ছিল স্বপ্নের ব্যাপার, আর বিয়ে ছিল সাধারণ
ব্যাপার।
আল্লাহ্ যেন আমাদের বুঝার, মানার, পাপ থেকে
বাচার তৌফিক দান করেন…আমীন।
Comments
Post a Comment