বিশ্ব ভালবাসা দিবস! How interesting

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা ইসলাম কতটুকু
সমর্থন করে?

u1_engagement
প্রত্যেক মুসলিম ভাই-বোনদের পড়ার জন্য
অনুরোধ ৷
লেখক ও সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহ্ আল বাকী
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস কে আল্লামা সাঈদী নাম
দিয়েছেন“বিশ্ববেহায়া দিবস"তিনি আরও গুরুত্বপূর্ণ
কথা বলেছেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ৷
এবং কেউ মনোযোগ দিয়ে শুনলে অনেক তথ্যবহুল
পয়েন্ট পাবে ৷ আলহামদুলিল্লাহ সেই ভিডিওটি
আপনাদের সহায়তায় প্রায় ষাট হাজার মানুষের কাছে
পৌছে এবং বিপুল ভিউ ও শেয়ার হয় ৷ এতে আমার
কোন লাভ নেই ৷ লাভ একটায় যদি কেউ শুনে ভালো
হয় এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া ৷
আমি একজন মুসলিম,পৃথিবীর সকল কিছুকে সবসময়
ভালোবাসি আল্লাহকে খুশি করার জন্য,ঘৃণাও করি
আল্লাহর জন্য ই ৷ আমরা দিন নির্ধারিত করে
কাউকে ভালোবাসি না ৷ যারা সর্বদাই মানুষকে
ভালোবাসতে পারে না তারাই শুধু এই নোংরামি করে

আল্লাহ তা'আলা বনি আদমকে কেয়ামতের দিন পাঁচটি
প্রশ্নের জবাব না দিয়ে এক কদম নড়তে
পারবেনা;তন্মধ্যে “তোমার যৌবনকাল কোন পথে
ব্যায় করেছ?"
দেখুন!এখানে বৃদ্ধকাল ও শিশুকাল উল্লেখ নেই ৷
কেননা শিশু ও বৃদ্ধের মধ্যে অন্যায় কাজ করার
প্রবণতা খুবই কম ৷
একজন ১৮ এর যুবক এবং ৮০ বছরের বৃদ্ধা কে যদি
কোন যুবতী যেনার প্রস্তাব দেয়,তাহলে সেই
প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া কার কাছে কঠিন?
নিশ্চয় যুবকের না বলাটা কষ্টকর!তাই,তুলনামূলক
ভাবে প্রতিদান বেশি যুবকই পাবে ৷
অন্য হাদীসে আছে:যেদিন সূর্য আধহাত ওপরে
আসবে,মানুষের মগজ গলে গলে পড়বে,ঘামে ডুবে যাবে
এই সংকটময় মুহূর্তে সাত শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর
আরষের ছায়ায় থাকবে(সুবহানাল্লাহ)
তন্মধ্যে একশ্রেণী হলো-সেই যুবক-যুবতী যারা
অন্যায় (যেনা) প্রস্তাব পাওয়ার পর স্পষ্ট
বলেছে:আমি আল্লাহকে ভয় করি ৷"
কেউ তো এখন অন্যায় কাজের প্রস্তাবতো
বিপরীত লিঙ্গের কাছে সরাসরি এভাবে বলবে না“আমি
তোমার সাথে যেনা করতে চাই"
বলবে বেগানা নারী কে অথবা পুরুষকে:‘‘আমি তোমাকে
পছন্দ করি"বা,“আমি তোমাকে ভালোবাসি"
বেগানা কাউকে এতটুকু বলা মানেই যেনার প্রস্তাব
আর গ্রহন করা ৷ কেননা এর দ্বারা একে অপরে বিবাহ
বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠে যা সম্পূর্ণ হারাম
৷অবশ্য প্রেমিক পুরুষদের একথা মেনে নিতে কষ্ট
হবে ৷ আপনি কি মনে করেন অবাধে একটা পরনারীর
সাথে চলাফেরা,মেলামেশা,কথাবার্তা যায়েজ?যেখানে
মনে চিন্তা করায় হারাম৷ তাকাতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
কেননা কারো প্রতি আকর্ষণ হয় তাকানোর
মাধ্যমেই ৷ তাই,চক্ষু নিম্নগামী করতে বলা হয়েছে
(সুরা নুর৩০-৩১)
যুবকরা এই দিবস পালনে অতিউৎসাহী ৷ তাই বলে,সবাই
না ৷ তাই বলছি: যুবক! সাপের মতো মরার পরে
সোজা হইওনা ৷ আর তেমনি ইবাদতের সর্বোত্তম
সময় থাকতেই করে নাও ৷ বৃদ্ধ বয়সে মৃত্যুর গরগরি
আসলে তোমার তওবা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে
না ৷ নিজেকে মুসলমান দাবি করছ? তুমি কিসের
মুসলমান!
ফেরাউনও তওবা করছিলো নিজেকে মুসলমান দাবি
করেছিলো ৷ মৃত্যুর আগে বলেছিলো ﺍﻧﺎ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ
আমি মুসলমান ৷ কিন্তু আল্লাহ বললেন ﺍﻻﻥ
এখন৷এখন !তুুৃইতো সন্ত্রাসী,মুফসিদিন ৷ তেমনি
নিজেকে মুসলমান দাবি করলেই হবে?
আর যৌবনকাল মনগড়া কথামতো চলেছে,আল্লাহর
হুকুম মানেনাই,তারা বৃদ্ধ বয়সে তওবা করে জান্নাত
কিনতে চায় ৷ তাহলে আমরা এখন মনমতো না চলে
কষ্ট করছি কেন?আমি তো আমার জানমাল
আল্লাহর কাছে বিক্রি করছি,তাই নিজের ইচ্ছায় কিছু
করতে পারিনা ৷
কিছু লোক সারাজীবন ইহুদী-খ্রিষ্টান দের
দিবস,তাদের অনুকরন-অনুসরন,পোষাক,সভ্যতা-
সংষ্কৃতি ও মতবাদ প্রতিষ্টার লড়াই করেছ;কিন্তু
কবরে রাখার সময় বলবে: ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ ﻋﻠﻲ ﻣﻠﺔ ﺭﺳﻮﻝ
ﺍﻟﻠﻪ
আল্লাহর নামে রাসুলের দলে,মিল্লাতে,রেখে গেলাম ৷
রাসুল সা:এর ঠেকা পড়ছে এই মরা লাশ তার দলে
নেওয়ার জন্য?
সারাজীবন অন্যায়,অপরাধ,ইসলামের
বিরোধিতা,আলেমদের বিরোধিতা করেছে তাকে এই
কথাটুকু বলে রেখে আসলেই কি তাকে কেয়ামতের দিন
শাফায়াত করবে নাকি?
সুতরাং ইহুদী-খ্রিষ্টানদের এই পাগলামি ইসলাম
কখনো সাপোর্ট করেনা ৷ বিশ্বনবী সাঃ এর সময়
দুইটা দিবস পালন হতো নওরোজ ও মেহেরজান ৷
আল্লাহ তা'আলা এর বদলে দুই ঈদের দিন দিয়েছেন ৷
এছাড়া কোন দিবস আনন্দের জন্য পালন করা যাবেনা
৷ আমরা ৩৬৫ দিনই আল্লাহর বান্দা,আমরা
খুশি,আনন্দিত,৩৬৫দিন ই ভালোবাসি,হাত ধোয়,পা
ধোয়,বাবাকে সম্মান করি,মায়ের সেবা
করি,শ্রমিকদের অধিকার দেয়,নারীকে সম্মান
করি,আল্লাহ ও
রাসুলকে,পিতামাতা,সন্তানসন্ততি,স্ত্রীকে
ভালোবাসি ৷সুতরাং,এসব দিবস আমার জন্য
নিষ্প্রয়োজন ৷ আর যদি করি তাহলে আল্লাহ
তা'আলা বলছেন:
- হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু
হিসাবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু।
তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে
তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ
প্রদর্শন করেন না। সূরা আল মায়েদাহ:51
এবং, সূরা আল ইমরান:28 - মুমিনগন যেন অন্য
মুমিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না
করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন
সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ
থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে
সাবধানতার সাথে থাকবে আল্লাহ তা'আলা তাঁর
সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন। এবং সবাই কে
তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।
তাহলে,তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং আল্লাহ
সম্পর্কচ্ছেদ করবেন৷

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়