বিয়ের আগে প্রেম করা যাবে না কেন?

বিয়ের আগে প্রেম করা যাবে না কেন??Muslim-wedding-in-Delhi_080316_SB8302

লেখক ও সম্পাদনায়: আব্দুল্লাহ্ আল বাকী
চলুন এই প্রশ্নের উত্তর
পেতে ইসলামের
আলো থেকে ঘুরে আসি।
একটা ছেলের
প্রতি একটা মেয়ের আকর্ষণ
থাকবে অথবা একটা মেয়ের
প্রতি একটা ছেলের আকর্ষণ
থাকবেই,এটাই স্বাভাবিক ।
যদি করো মাঝে এই feel,(অনুভূতি)
না থাকে তবে সে ছেলে,মেয়ে
কোনটিই না।
কাউকে ভালো লাগলে তার
প্রতি আকর্ষণ জন্মায়।আর এই
আকর্ষণকে অধিকারে রুপান্তরের
নামই ভালবাসা। এই
অধিকারটা বিয়ের
আগে বা পরে যেকোনো সময়
ঘটতে পারে। আসুন
আমরা আলোচনা করি, বিয়ের
আগের অবস্থা নিয়ে। আগেই
বলে রাখি,যেহেতু
এটা হারাম,তাই শয়তানের
প্ররোচনা থাকবেই।এখন
ভাবি,বিয়ের আগে এই
অধিকারটা জন্মাল দুটি মনেই।
তারা পরস্পর মাঝে এই অধিকার
স্বীকৃত করল।
সাথে সাথে শয়তানের
প্ররোচনা বেড়ে গেল। এরপর
তারা তাদের অবৈধ অধিকার
,ধীরে ধীরে কথা বলা থেকে বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যাই।
ইসলামে যেটা যিনা নামে
পরিচিত। এ বেপারে আল্লাহ্
বলেছেনঃ
“বেভিচারি পুরুষ
কেবল বেভিচারিনী নারী অথবা মুশরিক
নারীকে বিয়ে করে এবং বেভিচারিনীকে কেবল
বেভাচারি অথবা মুশরিক পুরুষ
বিয়ে করে এবং এদের কে মুমিন
দের জন্য হারাম করা হয়েছে ।
(সুরা আননুর-৩)”
আর যারা এটা like করে ,তাদের
বেপারে বলা হয়েছেঃ
“যারা পছন্দ করে যে ঈমানদার
দের মধ্যে বেভিচার প্রসার
লাভকরুক,তাদের জন্য ইহকাল ও
পরকালে যন্ত্রনা দায়কশাস্তি
রয়েছে,আল্লাহ যা
জানেন ,তোমরা জাননা।
(সুরা আন নুর-১৯)”
আপনি নিশ্চই ওই মেয়ের বাবা বা ভাই
হয়ে ,যেনা করাটা মেনে নেবেন
না।আমার ছোটো বড়ো ভাই ও বন্ধু
যারা ভাবেন যেঃ আমরা প্রেম
করলেও দুজনে ওই
কাজটা মানে যিনা করবো না।একটু কথা হবে,সে
স্কার্ফ পড়ে থাকবে আমি একটু
তাকাবো,ফেসবুক,হোয়াটস আপে আনলিমিটেড
মেসেজ চলবে!আমরা তো যেনা করছি না ৷ এটা
কোন ব্যাপার না৷ আমরা পর্দা মানি। ৫ বার নামাজ
পড়ি।তাদের জন্য একটি আদর্শ শিক্ষনীয় ঘটনা:
“একজন বড়পাদ্রি ছিল ।সে অনেক
ধার্মিক ছিল। কোনো এক যুদ্ধ এ
দুজন বড় ভাই ওই পাদ্রীর
কাছে এসে বলল দেখুন
আমরা যুদ্ধে যাচ্ছি,আমাদের
বোনকে দেখার কেউ নাই।
পাদ্রী এতে অসম্মতি জানায়।
এমন সময় শয়তান
পাদ্রিকে কে বলে একটা মেয়ে
বিপদে পড়ছে তুমি তাকে
সাহায্য করবা না, এটা কিছু
হইলো ।অতঃপর পাদ্রী রাজি হল।
সে বলল আপনাদের বোনকে দুরের
ওই ঘরে রেখে যান।এরপর
পাদ্রী প্রতিদিন ওই ঘরে খাবার
দিয়ে,কথা না বলে ,
চলে আসতো ।আবার শয়তান
আবারো এসে বলল
মেয়েটা একা থাকে,তুমি তার
সাথে একটু কথা বললেই পার।
অতঃপর পাদ্রী কথা বলতে শুরু
করলো।
আস্তে আস্তে পাদ্রী মেয়েটির
খুব কাছা কাছি চলে গেল। এক
সময় মেয়েটির
পেটে বাচ্চা আসলো।শয়তান
এবার বলল তুমি এটা কি করলে,এখন
সবচেয়ে ভাল উপায় হল
মেয়েটিকে মেরে ফেলা ।
পাদ্রী তাই করল।মেরে ওই ঘরেই
কবর দিল। যখনমেয়ে টির দুই ভাই
যুদ্ধো থেকে ফিরে আসলো তখন
পাদ্রী বলল
মেয়েটি অসুখে মারা গেছে।
রাত্রে শায়তান মেয়েটির
ভাইকে সপ্নে দেখাল
মেয়েটিকে যে ঘরে রেখে
গিয়েছিল সেই ঘরেই
মারা হয়েছে । কবর খুড়ে সেই
সত্ততা পাওয়া গেলো। এবার
পাদ্রীকে ধরা হলো এবং তার
deathsentence(মৃত্যুদন্ড) দেয়া হল।এ বার
শয়তান এসে বলল
আমি তো তোমাকে বিপদে
ফেলেছি,আমার কাছে সাহায্য
চাও ।পাদ্রি আবার ও শয়তানের
কাছে সাহায্য চাইলো। এবার
শয়তান হাসতে হাসতে বলল,অবশেষে
আমি তোমাকে কাফির
বানাতে পেরেছি।“
পাদ্রী শয়তানকে সেজদা করল ৷ কিন্তু শয়তান
বলল:তুমি এখন মুশরিক হয়ে মরবে,আমি তোমাকে
ধোকা দিয়েছি,তোমাকে সাহায্য করবো না that
means মৃত্যুদন্ড থেকে বাচাবো না ৷
আরও
বলা হল ;ভাইয়া আমি এমন
অনেককে দেখেছি যারা প্রেম
করা সত্তেও যিনা করে নি। এই
প্রশ্নের উত্তর অনেক সহজ: আরে ভাই! পরনারীর
সাথে কথা বলা মুখের যিনা ,তাদের সুললিত কন্ঠের
কথা শ্রবণ করা কানের যেনা,তাকানো চোখের
যেনা,পরনারীর সাথে দেখা করার উদ্দেশে হেটে যাওয়া
পায়ের যেনা,অন্তরে কুচিন্তা করা মনের যেনা ৷
উপরোক্ত যেনাগুলো সম্পন্ন হলেই বিছানার যিনা
হয় ৷ আপনি না দেখে, না কথা বলে,পার্কে না
গিয়ে,কেমনে প্রেম করবেন? এগুলো ই তো হারাম ৷
যদি এগুলো আপনার স্ত্রীর সাথে এসব করেন
তাহলে অবশ্যই সওয়াব পাবেন৷
তাহলে বিয়ে করার সময় একজন
আরেক জনকে না দেখেই
বিয়ে করবে?
ইসলামের আলোকে সুন্দর
ব্যাখ্যাটা দেয়ার
চেষ্টা করিঃ আপনি যাকে বিয়ে করবেন তার
সম্পর্কে আপনি জানবেন। এই
অনুমতি ইসলাম দিয়েছে।
আপনি ওই মেয়ে বা ছেলেকে জানার জন্য
ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে পারেন কিন্তু
একজন (তৃতীয় ব্যাক্তি)
যাকে বিবাহ করা হারাম
তাকে রাখতে হবে।কারন
আপনি এতে উগ্র কথা বলতে পারবেন না।
তাহলে আমরা কিভাবে চলবো…
ইসলাম এর সমাধান দিয়েছে।
১-১ম বেপারটা হল পর্দা। এটা অনেকে জানে ,তাই
আলচনার পরিধি বাড়াবো না।
২-আল্লাহ রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ“যার সাথে বিবাহ
হারাম নয় এই রকম কোন নারির
সাথে একাকী অবস্থান এ নিষেধ,
অনুরুপ বিবাহ হারাম নয় এই
রকম পুরুষেরএসাথে একাকি অবস্থানও
নিষেধ ,কেননা সেখানে শয়তান
third person হিসেবে থাকে।
“(সাহীহ মুসলিম)
তাই,বাবা-মা জোর করিয়ে ছেলে মেয়ের অপছন্দ
কাউকে চাপিয়ে দিতে পারবে না ৷ বাবা-মার অনুমতির
ব্যাপারে অনেক মাসয়ালা যা এখন আলোচনা করবো
না ৷ ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে ৷ করবেন।
আব্দুল্লাহ আল বাকী

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়