আচার -ব্যবহারে রাসুলুল্লাহঃ সা ছিলেন শ্রেষ্ঠ আদর্শ

রাসুলুল্লাহ সাঃ ছিলেন উত্তম আচার -ব্যবহার কারী।

মুহাদ্দিস রবিউল বাশার শিষ্টাচারিতা

 

আদর্শ মানব বিশ্বনাবী ও শ্রেষ্ঠরাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মানববিক গুন, আচরন ও ব্যবহার মানুষের মন আকর্ষন

করে। এমনকি শত্রুহনন মনও জয় করতে পারে।

মানুষকে যেমন দৈহিক কাঠামো ও আকল-বিবেক

দিয়ে সৃষ্টির সেরা করা হয়েছে, অনুরুপ মানবিক

আচরন ও ব্যবহার না থাকলে পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আচরন ওও বব্যবহারে

শ্রেষ্ঠ আদর্শ ব্যক্তিত্ব। নিম্মে আদর্শ স্থানীয়

আচরন ও ব্যবহার তুলে ধরা হলো।

(ক) মুচকি হাসিতে মানুষের মন কেড়ে নেয়।

গম্ভীর মেজায মানুষের মনে ক্ষতের সৃষ্টি

করে। গুরু -গম্ভীর মেজায রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ছিল

না। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই বলেছেন, ﺍﻥ ﺗﻠﻘﻲ ﺍﺧﺎﻙ

ﺑﻮﺟﻪ ﻃﻠﻴﻖ ﺻﺪﻗة

অর্থ : তুমি তোমার  ভাইয়ের

সাথে হাস্যোজ্জল মুখে সাক্ষাত করা

সাজদাকারীকে তুল্য। (মিশকাত)

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ব্যপারে হাদীসে আছে,

ﻋﻦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ ﺑﻦ ﺟﺰﺀ ﻗﺎﻝ ﻣﺎ ﺭﺍﻳﺖ ﺍﺣﺪﺍ

ﺍﻛﺜﺮ ﺗﺒﺴﻤﺎ ﻣﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ

অর্থ আবদুল্লাহ বিন আল -হারিস বিন জুয (রাঃ) থেকে

বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) চেয়ে

অধিক মুচকি হাসতে আর কাউকে দেখিনি। (তিরমিযী)

(খ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেন না। তিনি ছিলেন ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যক্তি। অতিরিক্ত

কথায় ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়।

ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮﺑﻦ ﺳﻤﺮﺓ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ

ﻃﻮﻳﻞ ﺍﻟﺼﻤﺖ ﺍﻱ ﻛﺜﻴﺮ ﺍﻟﺴﻜﻮﺕ ﻭﻻ ﻳﺘﻜﻠﻢ ﺍﻻ ﻟﺤﺎﺟﺔ

ﻛﺬﺍ ﻓﻲ ﺷﺮﺡ ﺍﻟﺴﻨﺔ

অর্থ হযরত যাবির বিন সামুরাহ (রাঃ)থেকে বর্নিত। তিনি

বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)অধিক সময় চুপ থাকতেন।

অর্থাৎ বেশী সময় চুপ থাকতেন, প্রয়োজন ছাড়া তিনি কথা বলতেন না।

(শারহুস সুন্নাহ)

(গ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ধীর -স্থিরভাবে, আস্তে আস্তে, বিরতি দিয়ে, বুঝিয়ে কথা বলতেন।

শ্রোতাদের বুঝতে, মুখস্ত করতে ও স্মরন

রাখতে কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতেন।

ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺽ ﻗﺎﻟﺖ ﻣﺎﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻳﺴﺮﺩ

ﺳﺮﺩﻛﻢ ﻫﺬﺍ ﻭﻟﻜﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻜﻠﻢ ﺑﻜﻼﻡ ﺑﻴﻨﻪ ﻓﺼﻞ ﻓﺤﻔﻈﻪ

ﻣﻦ ﺟﻠﺲ ﺍﻟﻴﻪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ

অর্থ হযরত আইশা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তোমাদের মত ক্রমাগত কথা বলতেন

না। কিন্তু তিনি এমনভাবে কথা বলতেন যে, মাঝখানে বিরতি থাকতো। তাই তাঁর নিকট বসা ব্যক্তি তা মুখস্ত করে নিতে পারতো। (তিরমিযী)

(ঘ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট আসা ব্যক্তির প্রয়োজন

শেষ না হওয়া পর্যন্ত, তাকে তিনি ছাড়তেন না।

(১)অন্যব্যক্তি মুসাফাহার হাত না ছাড়া পর্যন্ত তিনি হাত ছাড়তেন না।  (২)অন্যব্যক্তি অন্যদিকে মুখ না ফিরানো পর্যন্ত তিনি অন্যদিকে মুখ ফিরাতেন না।

 

(৩)তাঁর সামনে বসা ব্যক্তির সামনে তাঁর দুই

হাটু এগিয়ে দিতে দেখা যায়নি।

ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻛﺎﻥ ﺍﺫﺍ ﺻﺎﻓﺢ

ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻟﻢ ﻳﻨﺰﻉ ﻳﺪﻩ ﻣﻦ ﻳﺪﻩ ﺣﺘﻲ ﻳﻜﻮﻥ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﻨﺰﻉ

ﻳﺪﻩ ﻭﻻ ﻳﺼﺮﻑ ﻭﺟﻬﻪ ﻋﻦ ﻭﺟﻬﻪ ﺣﺘﻲ ﻳﻜﻮﻥ ﻫﻮ ﺍﻟﺬﻱ

ﻳﺼﺮﻑ ﻭﺟﻬﻪ ﻋﻦ ﻭﺟﻬﻪ ﻭﻟﻢ ﻳﺮ ﻣﻘﺪﻣﺎ ﺭﻛﺒﺘﻴﻪ ﺑﻴﻦ ﻳﺪﻱ

ﺟﻠﻴﺲ ﻟﻪ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ

অর্থ হযরত আনাস(রাঃ) থেকে বর্নিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ)

যখন কোন পুরুষের সাথে মুসাফাহা করতেন, তখন

তিনি নিজের হাত তার হাত থেকে টেনে নিতেন না,

যতক্ষন সেই তার হাত টেনে না নিত,নিজের চেহারা

তার চেহারা থেকে ফিরায়ে নিতেন না, যতক্ষন

সেই তার চেহারাকে তাঁর চেহারা থেকে

ফিরায়ে না নিতেন

এবং তাঁকে তাঁর বসা ব্যক্তির সামনে

তাঁর দুই হাটু এগিয়ে দিতে দেখা যায়নি।

(তিরমিজী)

(ঙ) হকদারের হক সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুব সজাগ ছিলেন। পাওনা উসুলকারীর বাড়াবাড়ী সহ্য

করতেন। তাঁর সাহাবীগন (রাঃ) সামান্য ঈঙ্গিত পেলে

পাওনাদারদের অস্বাভাবিক ব্যবহার বরদাশত করতেন না।

ﻋﻦ ﻋﻠﻲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﺍﻥ ﻳﻬﻮﺩﻳﺎ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻓﻼﻥ ﺣﺒﺮ

ﻛﺎﻥ ﻟﻪ ﻋﻠﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺩﻧﺎﻧﻴﺮ ﻓﺘﻘﺎﺿﻲ ﺍﻟﻨﺒﻲ

ﺻﻠﻌﻢ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻳﺎﻳﻬﻮﺩﻱ ﻣﺎﻋﻨﺪﻱ ﻣﺎﺍﻋﻄﻴﻚ ﻗﺎﻝ ﻓﺎﻧﻲ ﻻ

ﺍﻓﺎﺭﻗﻚ ﺣﺘﻲ ﺗﻌﻄﻴﻨﻲ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺫﺍ

ﺍﺟﻠﺲ ﻣﻌﻚ ﻓﺠﻠﺲ ﻣﻌﻪ ﻓﺼﻠﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ

ﺍﻟﻈﻬﺮﻭﺍﻟﻌﺼﺮﻭﺍﻟﻢﻏﺮﺏ ﻭﺍﻟﻌﺸﺎﺀﺍﻻﺧﺮﺓﻭﺍﻟﻐﺪﺍﺓ ﻭﻛﺎﻥ

ﺍﺻﺤﺎﺏ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺘﻬﺪﺩﻭﻧﻪ ﻭﻳﺘﻌﻮﺩﻭﻧﻪ ﻓﻔﻄﻦ ﺭﺳﻮﻝ

ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﺎﺍﻟﺬﻱ ﻳﺼﻨﻌﻮﻥ ﺑﻪ ﻓﻘﺎﻟﻮﺍ ﻳﺎﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ

ﻳﻬﻮﺩﻱ ﻳﺤﺒﺴﻚ ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﻣﻨﻌﻨﻲ ﺭﺑﻲ ﺍﻥ

ﺍﻇﻠﻢ ﻣﻌﺎﻫﺪﺍ ﻓﻠﻤﺎﺗﺮﺣﻞ ﺍﻟﻨﻬﺎﺭ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩﻱ ﺍﺷﻬﺪ ﺍﻥ

ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﺷﻬﺪﺍﻧﻚ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺷﻄﺮ ﻣﺎﻟﻲ ﻓﻲ

ﺳﺒﻴﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻣﺎﻭﺍﻟﻠﻪ ﻣﺎﻓﻌﻠﺖ ﺑﻚ ﺍﻟﺬﻱ ﻓﻌﻠﺖ ﺑﻚ ﺍﻻ

ﻻﻧﻈﺮﺍﻟﻲ ﻧﻌﺘﻚ ﻓﻲ ﺍﻟﺘﻮﺭﺍﺓ ﻣﺤﻤﺪﺑﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﻣﻮﻟﺪﻩ

ﺑﻤﻜﺔ ﻭﻣﻬﺎﺟﺮﻩ ﺑﻄﻴﺒﺔ ﻭﻣﻠﻜﻪ ﺑﺎﻟﺸﺎﻡ ﻟﻴﺲ ﺑﻔﻆ ﻭﻻﻏﻠﻴﻆ

ﻭﻻﺳﺨﺎﺏ ﻓﻲ ﺍﻻﺳﻮﺍﻕ ﻭﻻﻣﺘﺰﻱ ﺑﺎﻟﻔﺤﺶ ﻭﻻﻗﻮﻝ ﺍﻟﺨﻨﺎ

ﺍﺷﻬﺪﺍﻥ ﻻﺍﻟﻪ ﺍﻻﺍﻟﻠﻪ ﻭﺍﺷﻬﺪﺍﻧﻚ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻫﺬﺍ ﻣﺎﻟﻲ

ﻓﺎﺣﻜﻢ ﻓﻴﻪ ﺑﻤﺎﺍﺭﺍﻙ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻴﻬﻮﺩﻱ ﻛﺜﻴﺮ ﺍﻟﻤﺎﻝ ﺭﻭﺍﻩ

ﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ

অর্থ হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি

বলেন, জনৈক ইয়াহুদী, যাকে অমুক আলিম বলা

হতো, সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে কিছু স্বর্নমুদ্রা

পেতো। সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে সেই

ঋনের তাকাদা করলে তিনি তাকে বলেন,হে

ইয়াহুদী, তোমাকে ঋন আদায় করার মত আমার

কাছে কিছু নেই। তখন সে বললো, তাহলে আপনি

আমাকে ঋন আদায় নে করা পর্যন্ত আমি আপনার

থেকে পৃথক হব না। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন,

তাহলে আমি তোমার সাথে বসে পড়বো। সেও তাঁর সাথে বসে পড়লো। তারপর তিনি যুহর, আসর, মাগরিব, শেষ ঈশা ও ফযরের নামায আদায়

করলেন। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবীগন (রাঃ) তাকে ধমকাচ্ছিলেন ও ভয়দেখাচ্ছিলেন।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বুঝতে পারলেন যে, তাঁরা(সাহাবীগন (রাঃ)) তার

(ইয়াহুদীর) সাথে কি ব্যবহার করতে পারে।

সাহাবীগন (রাঃ) জিঙ্গাসা করলেন, ইয়াহুদী আপনাকে

আটকে রেখেছে? তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, আমার প্রভূ আমাকে চুক্তিবদ্ধ অমুসলিমকে জুলুম

করতে নিষেধ করেছেন। তারপর যখন বেলা উপরে উঠে গেল, তখন সে ইয়াহুদী কালিমার

সাক্ষ্য দিয়ে ঈমান প্রকাশ করে বললো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসূল (সাঃ)।

 

আমার অর্ধেক সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় দান করলাম।

ভালোকরে জেনে রাখুন, আমি আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি আপনার সাথে যে ব্যবহার করেছি,

সে ব্যবহার এজন্যই করেছি যে,

আমি তাওরাত

কিতাবে লিখিত দেখেছি আপনার গুন 'মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল, তাঁর জন্মস্থান মাক্কায়, তাঁর হিযরাতের স্থান পবিত্র মাদীনায়, তাঁর রাজত্ব.সিরিয়ায়, তিনি কর্কশভাষী, কঠিন হৃদয়ের নন,তিনি বাজারে হৈ হুল্লুড়কারী নন, তিনি অশ্লীল চরিত্রে চিত্রিত নন, তিনি শুষ্কবাক্য ব্যবহারকারী নন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া একসনা মাবুদ নেই এবং  আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহর রাসুল, আর এই আমার সম্পদ, আল্লাহ আপনাকে যেভাবে দেখিয়েছেন, সেভাবে উহাতে ফায়সালা করুন। ইয়াহুদী বহু সম্পদের মালিক ছিল (বাইহাকী)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আচার ও ব্যবহার দেখে অনেকেই ইসলাম গ্রহন করার সৌভাগ্য লাভ করে।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ)

আদর্শ আচার -ব্যবহারকারী মানুষ ছিলেন। আল্লাহ মানবজাতীকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁকে অনুসরন করার তাওফীক দিন!

আমিন

Comments

Popular posts from this blog

বাংলাদেশী মেয়েদের হট ছবি

হে যুবক কোন দিকে যাও!! জান্নাতি হুর তোমাকে ডাকছে

ইসলামের দৃষ্টিতে যৌন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও শক্তি বৃদ্ধিকারী খাদ্য-পানীয়