প্রিয়তমার কাছে আমার লেখা চিঠি
প্রিয়তমার কাছে চিঠি

ইদানিং তোমাকে প্রায়ই মনে পড়ে। তুমিও কি
আমার মতন এমন অজস্র তিক্ত মূহুর্ত কাটাচ্ছ?
তুমিও কি প্রায়ই সমাজের নোংরামিতে অসহায়
হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকো?
যখন বন্ধুরা তাদের বউদের নিয়ে/
গার্লফ্রেন্ডদের হাজির করে আড্ডায়,
দেখানোর আগ্রহটা থাকে প্রকট। এই
প্রদর্শনেচ্ছা বুঝতে অন্তর্যামী হতে
হয়না, একটু বুদ্ধি থাকলেই হয়। অফিসের কলিগ,
কলেজ ও ভার্সিটির বন্ধুদের আড্ডাতে ওই
মেয়েগুলো যখন অমন করে -- ওদের
নিজেদেরই কি খুব স্বস্তি হয়? আমার
আসলে তা মনে হয় না। আমি তাই কোনদিন
যেচে পড়ে কারো সাথে আলাপ করতে
বা পরিচিত হতেও যাইনি।
আমি তোমাকে এমন পুতুল বানিয়ে
প্রদর্শনে বিশ্বাসী নই। তুমি আমার কাছে
এত ঠুনকো নও যার মূল্য আমি পরের
চোখে বুঝতে যাব। দু'জন মানুষ একসাথে
যেন অনন্তকাল পাড়ি দিতে পারি তাই অনন্তের
মালিকের কাছে প্রিয় আর পছন্দের হওয়াই
তো আমার হৃদয়ের আজন্ম প্রত্যাশা।
'একটা এমন সঙ্গী দরকার যাকে নিয়ে
ঘোরা যাবে' -- এমন মানসিকতা নিয়ে সবাই
আজকাল বড়শি ফেলতে থাকে কলেজ
জীবন থেকেই। পিচ্চি পিচ্চি
ছেলেগুলোও সাময়িক মাস্তির লক্ষ্যে কত
কিছুই না করে। এই সমাজের বন্ধনগুলো
কোথায় যাচ্ছে বল তো? আমার বড্ড খারাপ
লাগে। এই ছেলেমেয়েগুলোর হৃদয়
সারাক্ষণ অস্থির থাকে, জ্বালাপোড়া থাকে।
ভালোলাগাগুলো শরীরের ভালোলাগা,
তাতে সাকীনাহ থাকে না, তাতে ঝিরিঝিরি
বৃষ্টিতে মুখ ভেজানোর অনুভূতি থাকে না।
জানিনা তুমি কোথায় আছ। খুব স্বস্তিতে নেই
জানি। এমন উত্তাল অস্থির সংস্কৃতি আর
কামাসক্তদের প্রচারণার সমাজে সচ্চরিত্রা
নারীর চলাফেরা অনেক কঠিনই বটে।
তোমার জন্য আমি তেমন কিছু করতেও
পারছি না। তবে বিশ্বাস করো বোকা
মেয়ে, তোমার জন্য দু'আ আমার থাকে
প্রতিদিন অনেক বার করে প্রতিবেলায়। যদি
বেঁচে থাকতে আল্লাহ আমাদের দেখা না-ও
করান, জান্নাতের বাগানে দেখা হবে ইনশা
আল্লাহ। তোমার কথা ভাবলেই আমার স্বপ্ন
জাগে এমন মূহুর্তের যেখানে স্বচ্ছ পানির
এক নদীর পাশে দু'জনা বসে আছি।
জান্নাতের বর্ণনায় এমন চাওয়াই আমার বুকে
জাগে। নিজের যত্ন নিয়ো, তোমার
প্রতিদিনের দু'আতে আমাকে সঙ্গী
করিয়ো।
ইতি, তোমার প্রিয়।
মুল লেখা এখানে
http://thesafwanism.blogspot.com/2013/08/blog-post_5074.html

ইদানিং তোমাকে প্রায়ই মনে পড়ে। তুমিও কি
আমার মতন এমন অজস্র তিক্ত মূহুর্ত কাটাচ্ছ?
তুমিও কি প্রায়ই সমাজের নোংরামিতে অসহায়
হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে থাকো?
যখন বন্ধুরা তাদের বউদের নিয়ে/
গার্লফ্রেন্ডদের হাজির করে আড্ডায়,
দেখানোর আগ্রহটা থাকে প্রকট। এই
প্রদর্শনেচ্ছা বুঝতে অন্তর্যামী হতে
হয়না, একটু বুদ্ধি থাকলেই হয়। অফিসের কলিগ,
কলেজ ও ভার্সিটির বন্ধুদের আড্ডাতে ওই
মেয়েগুলো যখন অমন করে -- ওদের
নিজেদেরই কি খুব স্বস্তি হয়? আমার
আসলে তা মনে হয় না। আমি তাই কোনদিন
যেচে পড়ে কারো সাথে আলাপ করতে
বা পরিচিত হতেও যাইনি।
আমি তোমাকে এমন পুতুল বানিয়ে
প্রদর্শনে বিশ্বাসী নই। তুমি আমার কাছে
এত ঠুনকো নও যার মূল্য আমি পরের
চোখে বুঝতে যাব। দু'জন মানুষ একসাথে
যেন অনন্তকাল পাড়ি দিতে পারি তাই অনন্তের
মালিকের কাছে প্রিয় আর পছন্দের হওয়াই
তো আমার হৃদয়ের আজন্ম প্রত্যাশা।
'একটা এমন সঙ্গী দরকার যাকে নিয়ে
ঘোরা যাবে' -- এমন মানসিকতা নিয়ে সবাই
আজকাল বড়শি ফেলতে থাকে কলেজ
জীবন থেকেই। পিচ্চি পিচ্চি
ছেলেগুলোও সাময়িক মাস্তির লক্ষ্যে কত
কিছুই না করে। এই সমাজের বন্ধনগুলো
কোথায় যাচ্ছে বল তো? আমার বড্ড খারাপ
লাগে। এই ছেলেমেয়েগুলোর হৃদয়
সারাক্ষণ অস্থির থাকে, জ্বালাপোড়া থাকে।
ভালোলাগাগুলো শরীরের ভালোলাগা,
তাতে সাকীনাহ থাকে না, তাতে ঝিরিঝিরি
বৃষ্টিতে মুখ ভেজানোর অনুভূতি থাকে না।
জানিনা তুমি কোথায় আছ। খুব স্বস্তিতে নেই
জানি। এমন উত্তাল অস্থির সংস্কৃতি আর
কামাসক্তদের প্রচারণার সমাজে সচ্চরিত্রা
নারীর চলাফেরা অনেক কঠিনই বটে।
তোমার জন্য আমি তেমন কিছু করতেও
পারছি না। তবে বিশ্বাস করো বোকা
মেয়ে, তোমার জন্য দু'আ আমার থাকে
প্রতিদিন অনেক বার করে প্রতিবেলায়। যদি
বেঁচে থাকতে আল্লাহ আমাদের দেখা না-ও
করান, জান্নাতের বাগানে দেখা হবে ইনশা
আল্লাহ। তোমার কথা ভাবলেই আমার স্বপ্ন
জাগে এমন মূহুর্তের যেখানে স্বচ্ছ পানির
এক নদীর পাশে দু'জনা বসে আছি।
জান্নাতের বর্ণনায় এমন চাওয়াই আমার বুকে
জাগে। নিজের যত্ন নিয়ো, তোমার
প্রতিদিনের দু'আতে আমাকে সঙ্গী
করিয়ো।
ইতি, তোমার প্রিয়।
মুল লেখা এখানে
http://thesafwanism.blogspot.com/2013/08/blog-post_5074.html
Comments
Post a Comment