মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা জায়েয?
আল -কুরআনে মুমিনদের আদেশ -নিষেধ(৭৩)
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
--------------------------------------------------------------
★মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা জাইয?
জবাব : মুসাফিরের জন্য রোযা ভঙ্গ করার দুটি শর্ত
আছে। যথা (১)সফরের দুরত্ব এমন হতে হবে,
যাতে নামায কসর করা জাইয বা ওয়াজিব হয়।
(২)ফাযরের সময় হওয়ার পুর্বে সফর শুরু করে
ফাযরের সময় হওয়ার পুর্বে এমন স্থানে পৌছাতে
হবে, যে স্থানে নামায কসর শুরু করতে হবে।
তবে সফর যদি নামায কসর করাকে জাইয বা আবশ্যক
না করে, তাহলে রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা জাইয
নয়। যেহেতু আল্লাহ বলেন,
ﻓﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﻜﻢ ﻣﺮﻳﻀﺎ ﺍﻭ ﻋﻠﻲ ﺳﻔﺮ ﻓﻌﺪﺓ ﻣﻦ ﺍﻳﺎﻡ ﺍﺧﺮ
অর্থ অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি
অসুস্থ্য থাকলে বা সফরের উপর থাকলে, তারপর
(রোযা ভঙ্গ করলে )অন্যদিন গননা করে রোযা
রাখা উচিৎ।
★"সফরের উপর থাকলে "শব্দের মাধ্যমে দুটি
বিষয় জানা যায়। যথা (1)দীর্ঘ সফর বুঝায়, যা নামায কসর
করাকে মুবাহ বা ওয়াজিব করে দেয়।( 2)সফর শুরু
করার পুর্বে রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
মুসাফিরের জন্য রোযা ভঙ্গ করা বৈধ হওয়ার জন্য এই
দুটি শর্ত সম্পর্কে হানাফী, মালিকী ও শাফিয়ী
মাযহাবের আলিমগন ঐক্যমত পোষন করেন।
★হাম্বালী মাযহাবের আলিমগন প্রথম শর্তের
ব্যপারে বিপরিত মত পোষন করে বলেন,
রোযাদার ব্যক্তি নিজ এলাকা থেকে দিনের বেলা
এমনকি সূর্য ঢলে যাওয়ার পরেও এমন বৈধ সফর
করে, যে সফরে নামায কসর করা মুবাহ (বৈধ) হয়ে
যায়, তাহলে তার জন্য রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা
জাইয। কিন্তু ঐ দিনের রোযা (ভঙ্গ না করে) পুর্ন
করা উত্তম।
★শাফিয়ী মাযহাবের আলিমগন মুসাফিরের জন্য
রোযা ভঙ্গ করা জাইয হওয়ার ব্যপারে উপরোক্ত
দুটি শর্ত সম্পর্কে একমত হওয়ার সাথে সাথে
অতিরিক্ত একটি শর্ত বৃদ্ধি করেছেন। সেই তৃতীয়
শর্ত হলো, ব্যক্তির সফর চালু না রাখা। যদি সে সফর
চালু রাখে, তাহলে তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা হারাম।
কিন্তু রোযা রাখায় যদি এমন কঠিন কষ্টের সম্মুখীন
হয়, যেমন কাঠিন্যে তায়াম্মুম বৈধ হয়ে যায়, তাহলে
রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব।
★কোন ব্যক্তি যদি ফাযরের সময় হওয়ার পর সফর
শুরু করে, তাহলে তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা হারাম।
তারপরেও যদি রোযা ভঙ্গ করে, তাহলে হানাফী,
মালিকী ও হাম্বালী মাযহাবের আলিমগনের মতে
তার কাযা করা আবশ্যক, কাফফারা আবশ্যক নয়।
★শাফিয়ী মাযহাবের আলিমগন এ ব্যপারে বিপরিত মত
পোষন করে বলেন, ফাযরের সময় হওয়ার পর
যে রোযাদার ব্যক্তি সফর শুরু করেছে, সে যদি
এমন জিনিষ দিয়ে রোযা ভঙ্গ করে, যার মাধ্যমে
কাযা ও কাফফারা উভয় ওয়াজিব হয়, তাহলে কাযা ও
কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে। আর যদি এমন জিনিষ দিয়ে
রোযা ভঙ্গ করে, যার মাধ্যমে কাযা ওয়াজিব হয়,
তাহলে কাযা ওয়াজিব হবে। সর্বাবস্থায় রোযা ভঙ্গ
করা হারাম।
★যে মুসাফির রাত্রি থেকেই রোযার নিয়াত
করেছে, ( শাফিয়ী ও হাম্বালী মাযহাবের
আলিমগনের মতে) তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা
জাইয।কোন গুনাহ হবে না। তবে কাযা করা আবশ্যক।
★যেহেতু রাসূলুল্লেহ (সাঃ) মাক্কা বিজয়ের বৎসর
রমাদানের মাসে মাক্কা রওয়ানা হন। তিনি রোযা রাখেন
এবং সাহাবীগন রোযা রাখেন। উসফান নামক স্থানে
আসরের নামাযের পর পানি চেয়ে সবার সম্মুখে তা
পান করে রোযা ভঙ্গ করেন। (সহীহ বুখারী,
সহীহ মুসলিম ও সুনানে নাসায়ী)
★এই হাদীস থেকে জানা যায়, মুসাফির রমাদান মাসে
রোযা রেখে ভঙ্গ করা জাইয।
★মালিকী মাযহাবের আলিমগন বিপরিত মত পোষন
করে বলেন,যে মুসাফির রাতেই রোযার নিয়াত
করেছে। সফরে প্রভাতেও রোযা ছিল, তারপর
রোযা ভঙ্গ করেছে, তার কাযা ও কাফফারা উভয়
আবশ্যক।রোযা ভঙ্গ করার ব্যাপারে ব্যাখ্যার আশ্রয়
গ্রহন করুক, বা না করুক।
★হানাফী মাযহাবের আলিমগন বলেন, যে মুসাফির
রাতেই রোযার নিয়াত করেছে, তার জন্য রোযা
ভঙ্গ করা হারাম, তাই কঠিন কষ্টের অবস্থায় ছাড়া
রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা জাইয নেই। রোযা ভঙ্গ
করলে তার কাযা আবশ্যক। কিন্তু কাফফারা আবশ্যক
নয়।যেহেতু মাক্কা বিজয়ের বৎসর রমাদানের
মাসের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রোযা রেখে তা ভঙ্গ করার
ঘটনা এভাবে উল্লেখ আছে।--------------------------
--------------
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﺧﺮﺝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻲ ﻣﻜﺔ ﻋﺎﻡ ﺍﻟﻔﺘﺢ ﻓﺼﺎﻡ ﺣﺘﻲ
ﺑﻠﻎ ﺍﻟﻲ ﻛﺮﺍﻉ ﺍﻟﻐﻤﻴﻢ ﻭﺻﺎﻣﻮﺍ ﻣﻌﻪ ﻓﻘﻴﻞ ﺍﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻗﺪ
ﺷﻖ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺼﻴﺎﻡ ﻭﺍﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻨﻈﺮﻭﻥ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻌﻠﺖ ﻓﺪﻋﺎ
ﺑﻘﺪﺡ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻌﺼﺮﻭﺷﺮﺑﻪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻨﻈﺮﻭﻥ ﺍﻟﻴﻪ
ﻓﺎﻓﻄﺮ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻭﺻﺎﻡ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻓﺒﻠﻐﻪ ﺍﻥ ﻧﺎﺳﺎ ﺻﺎﻣﻮﺍ ﻓﻘﺎﻝ
ﺍﻭﻟﻴﻚ ﺍﻟﻌﺼﺎﺓ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﻱ ﻭ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
হযরত যাবির (রা) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)(মাদীনা মুনাওওরা থেকে) মাক্কা
বিজয়ের বৎসর মাক্কায় রওয়ানা হন। তিনি রোযা
রাখেন এমনকি (উসফানের নিকটবর্তী স্থান)কুরাউল
গামীম নামক স্থানে পৌছান। তাঁর সাথে সাহাবীগন
রোযা রেখেছিলেন। তাঁকে বলা হলো, নিশ্চয়
মানুষদের(সাহাবীগনের) রোযা রাখতে কষ্ট
হচ্ছে। মানুষেরা (সাহাবীগন) আপনার কর্মের
দিকে তাকিয়ে আছেন। তখন তিনি আসরের পর এক
পেয়ালা পানি চেয়ে পান করেন। আর মানুষেরা
(সাহাবীগন) তাঁর দিকে তাঁর দিকে তাকিয়ে
দেখতেছিলেন। তারপর কিছু সাহাবী রোযা ভঙ্গ
করেন এবং কিছু সাহাবী রোযা অব্যাহত রাখেন।
তখন তিনি বলেন, উহারা (রোযা অব্যাহত রাখা ব্যক্তিরা)
নাফরমান। (সহীহ মুসলিম, সুনান আন -নাসাঈ ও জামি আত
-তিরমিযী। তিনি এই হাদীসকে সহীহ সাব্যস্ত
করেছেন)
★ এই হাদীস থেকে জানা যায়, রমাদানের মাসে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফর অবস্থায় রাত্রি থেকে রোযার
নিয়াত করে রোযা রেখে আসরের পর রোযা
ভঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু এটা স্বাভাবিক অবস্থায়
রোযা ভঙ্গ করেননি। সাহাবীগন (রাঃ)রোযার
কারনে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হন। এ সংবাদ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পেয়ে রোযা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত
নেন। কঠিন ও কষ্টের সম্মুখীন হওয়ায় রোযা
ভঙ্গ করেন।অবএব স্বাভাবিক অবস্থায় রোযা ভঙ্গ
করা জাইয প্রমানিত হয়না।
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

--------------------------------------------------------------
★মুসাফিরের জন্য কখন রোযা ভঙ্গ করা জাইয?
জবাব : মুসাফিরের জন্য রোযা ভঙ্গ করার দুটি শর্ত
আছে। যথা (১)সফরের দুরত্ব এমন হতে হবে,
যাতে নামায কসর করা জাইয বা ওয়াজিব হয়।
(২)ফাযরের সময় হওয়ার পুর্বে সফর শুরু করে
ফাযরের সময় হওয়ার পুর্বে এমন স্থানে পৌছাতে
হবে, যে স্থানে নামায কসর শুরু করতে হবে।
তবে সফর যদি নামায কসর করাকে জাইয বা আবশ্যক
না করে, তাহলে রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা জাইয
নয়। যেহেতু আল্লাহ বলেন,
ﻓﻤﻦ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﻜﻢ ﻣﺮﻳﻀﺎ ﺍﻭ ﻋﻠﻲ ﺳﻔﺮ ﻓﻌﺪﺓ ﻣﻦ ﺍﻳﺎﻡ ﺍﺧﺮ
অর্থ অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি
অসুস্থ্য থাকলে বা সফরের উপর থাকলে, তারপর
(রোযা ভঙ্গ করলে )অন্যদিন গননা করে রোযা
রাখা উচিৎ।
★"সফরের উপর থাকলে "শব্দের মাধ্যমে দুটি
বিষয় জানা যায়। যথা (1)দীর্ঘ সফর বুঝায়, যা নামায কসর
করাকে মুবাহ বা ওয়াজিব করে দেয়।( 2)সফর শুরু
করার পুর্বে রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
মুসাফিরের জন্য রোযা ভঙ্গ করা বৈধ হওয়ার জন্য এই
দুটি শর্ত সম্পর্কে হানাফী, মালিকী ও শাফিয়ী
মাযহাবের আলিমগন ঐক্যমত পোষন করেন।
★হাম্বালী মাযহাবের আলিমগন প্রথম শর্তের
ব্যপারে বিপরিত মত পোষন করে বলেন,
রোযাদার ব্যক্তি নিজ এলাকা থেকে দিনের বেলা
এমনকি সূর্য ঢলে যাওয়ার পরেও এমন বৈধ সফর
করে, যে সফরে নামায কসর করা মুবাহ (বৈধ) হয়ে
যায়, তাহলে তার জন্য রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা
জাইয। কিন্তু ঐ দিনের রোযা (ভঙ্গ না করে) পুর্ন
করা উত্তম।
★শাফিয়ী মাযহাবের আলিমগন মুসাফিরের জন্য
রোযা ভঙ্গ করা জাইয হওয়ার ব্যপারে উপরোক্ত
দুটি শর্ত সম্পর্কে একমত হওয়ার সাথে সাথে
অতিরিক্ত একটি শর্ত বৃদ্ধি করেছেন। সেই তৃতীয়
শর্ত হলো, ব্যক্তির সফর চালু না রাখা। যদি সে সফর
চালু রাখে, তাহলে তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা হারাম।
কিন্তু রোযা রাখায় যদি এমন কঠিন কষ্টের সম্মুখীন
হয়, যেমন কাঠিন্যে তায়াম্মুম বৈধ হয়ে যায়, তাহলে
রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব।
★কোন ব্যক্তি যদি ফাযরের সময় হওয়ার পর সফর
শুরু করে, তাহলে তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা হারাম।
তারপরেও যদি রোযা ভঙ্গ করে, তাহলে হানাফী,
মালিকী ও হাম্বালী মাযহাবের আলিমগনের মতে
তার কাযা করা আবশ্যক, কাফফারা আবশ্যক নয়।
★শাফিয়ী মাযহাবের আলিমগন এ ব্যপারে বিপরিত মত
পোষন করে বলেন, ফাযরের সময় হওয়ার পর
যে রোযাদার ব্যক্তি সফর শুরু করেছে, সে যদি
এমন জিনিষ দিয়ে রোযা ভঙ্গ করে, যার মাধ্যমে
কাযা ও কাফফারা উভয় ওয়াজিব হয়, তাহলে কাযা ও
কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে। আর যদি এমন জিনিষ দিয়ে
রোযা ভঙ্গ করে, যার মাধ্যমে কাযা ওয়াজিব হয়,
তাহলে কাযা ওয়াজিব হবে। সর্বাবস্থায় রোযা ভঙ্গ
করা হারাম।
★যে মুসাফির রাত্রি থেকেই রোযার নিয়াত
করেছে, ( শাফিয়ী ও হাম্বালী মাযহাবের
আলিমগনের মতে) তার জন্য রোযা ভঙ্গ করা
জাইয।কোন গুনাহ হবে না। তবে কাযা করা আবশ্যক।
★যেহেতু রাসূলুল্লেহ (সাঃ) মাক্কা বিজয়ের বৎসর
রমাদানের মাসে মাক্কা রওয়ানা হন। তিনি রোযা রাখেন
এবং সাহাবীগন রোযা রাখেন। উসফান নামক স্থানে
আসরের নামাযের পর পানি চেয়ে সবার সম্মুখে তা
পান করে রোযা ভঙ্গ করেন। (সহীহ বুখারী,
সহীহ মুসলিম ও সুনানে নাসায়ী)
★এই হাদীস থেকে জানা যায়, মুসাফির রমাদান মাসে
রোযা রেখে ভঙ্গ করা জাইয।
★মালিকী মাযহাবের আলিমগন বিপরিত মত পোষন
করে বলেন,যে মুসাফির রাতেই রোযার নিয়াত
করেছে। সফরে প্রভাতেও রোযা ছিল, তারপর
রোযা ভঙ্গ করেছে, তার কাযা ও কাফফারা উভয়
আবশ্যক।রোযা ভঙ্গ করার ব্যাপারে ব্যাখ্যার আশ্রয়
গ্রহন করুক, বা না করুক।
★হানাফী মাযহাবের আলিমগন বলেন, যে মুসাফির
রাতেই রোযার নিয়াত করেছে, তার জন্য রোযা
ভঙ্গ করা হারাম, তাই কঠিন কষ্টের অবস্থায় ছাড়া
রমাদানের রোযা ভঙ্গ করা জাইয নেই। রোযা ভঙ্গ
করলে তার কাযা আবশ্যক। কিন্তু কাফফারা আবশ্যক
নয়।যেহেতু মাক্কা বিজয়ের বৎসর রমাদানের
মাসের রাসুলুল্লাহ (সাঃ) রোযা রেখে তা ভঙ্গ করার
ঘটনা এভাবে উল্লেখ আছে।--------------------------
--------------
ﻋﻦ ﺟﺎﺑﺮ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﺧﺮﺝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻲ ﻣﻜﺔ ﻋﺎﻡ ﺍﻟﻔﺘﺢ ﻓﺼﺎﻡ ﺣﺘﻲ
ﺑﻠﻎ ﺍﻟﻲ ﻛﺮﺍﻉ ﺍﻟﻐﻤﻴﻢ ﻭﺻﺎﻣﻮﺍ ﻣﻌﻪ ﻓﻘﻴﻞ ﺍﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻗﺪ
ﺷﻖ ﻋﻠﻴﻬﻢ ﺍﻟﺼﻴﺎﻡ ﻭﺍﻥ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻨﻈﺮﻭﻥ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻌﻠﺖ ﻓﺪﻋﺎ
ﺑﻘﺪﺡ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻌﺼﺮﻭﺷﺮﺑﻪ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻨﻈﺮﻭﻥ ﺍﻟﻴﻪ
ﻓﺎﻓﻄﺮ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻭﺻﺎﻡ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﻓﺒﻠﻐﻪ ﺍﻥ ﻧﺎﺳﺎ ﺻﺎﻣﻮﺍ ﻓﻘﺎﻝ
ﺍﻭﻟﻴﻚ ﺍﻟﻌﺼﺎﺓ ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ﻭﺍﻟﻨﺴﺎﻱ ﻭ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ
হযরত যাবির (রা) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)(মাদীনা মুনাওওরা থেকে) মাক্কা
বিজয়ের বৎসর মাক্কায় রওয়ানা হন। তিনি রোযা
রাখেন এমনকি (উসফানের নিকটবর্তী স্থান)কুরাউল
গামীম নামক স্থানে পৌছান। তাঁর সাথে সাহাবীগন
রোযা রেখেছিলেন। তাঁকে বলা হলো, নিশ্চয়
মানুষদের(সাহাবীগনের) রোযা রাখতে কষ্ট
হচ্ছে। মানুষেরা (সাহাবীগন) আপনার কর্মের
দিকে তাকিয়ে আছেন। তখন তিনি আসরের পর এক
পেয়ালা পানি চেয়ে পান করেন। আর মানুষেরা
(সাহাবীগন) তাঁর দিকে তাঁর দিকে তাকিয়ে
দেখতেছিলেন। তারপর কিছু সাহাবী রোযা ভঙ্গ
করেন এবং কিছু সাহাবী রোযা অব্যাহত রাখেন।
তখন তিনি বলেন, উহারা (রোযা অব্যাহত রাখা ব্যক্তিরা)
নাফরমান। (সহীহ মুসলিম, সুনান আন -নাসাঈ ও জামি আত
-তিরমিযী। তিনি এই হাদীসকে সহীহ সাব্যস্ত
করেছেন)
★ এই হাদীস থেকে জানা যায়, রমাদানের মাসে
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফর অবস্থায় রাত্রি থেকে রোযার
নিয়াত করে রোযা রেখে আসরের পর রোযা
ভঙ্গ করেছিলেন। কিন্তু এটা স্বাভাবিক অবস্থায়
রোযা ভঙ্গ করেননি। সাহাবীগন (রাঃ)রোযার
কারনে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হন। এ সংবাদ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পেয়ে রোযা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত
নেন। কঠিন ও কষ্টের সম্মুখীন হওয়ায় রোযা
ভঙ্গ করেন।অবএব স্বাভাবিক অবস্থায় রোযা ভঙ্গ
করা জাইয প্রমানিত হয়না।
Comments
Post a Comment