আলে কোরআন বর্নিত মুমিনদের আদেশ নিষেধ (২৭)
আল-কুরআনে মুমিনদের আদেশ-নিষেধ২৭
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার
★সুরা আল বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে চারটি বিষয় হারাম করা
হয়েছে ,তার ব্যাখ্যার বাকী অংশ :
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺣﻠﺖ ﻟﻨﺎ
ﻣﻴﺘﺘﺎﻥ ﻭﺩﻣﺎﻥ ﺍﻣﺎ ﺍﻟﻤﻴﺘﺘﺎﻥ ﻓﺎﻟﺤﻮﺕ ﻭﺍﻟﺠﺮﺍﺩ
ﻭﺍﻣﺎﺍﻟﺪﻣﺎﻥ ﻓﺎﻟﻜﺒﺪ ﻭﺍﻟﻄﺤﺎﻝ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ
অনুবাদ হযরত ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)ইরশাদ করেন, আমাদের জন্য
দুটি মৃত জীব এবং দুটি রক্ত হালাল করা হয়েছে। দুটি
মৃত জীব হলো মাছ ও টিড্ডি (পঙ্গপাল) আর দুটি
রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা।
(মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে ইবনে মাযাহ)
★মৃতজীবের গোস্ত ও রক্ত খেতে কোন
সুস্থ মন -মনজ চায়না। পবিত্র কুরআন ও তার পুর্ববর্তী তাওরাত কিতাবে এদুটি জিনিষকে হারাম ঘোষনা করেছে। তার হাজার হাজার বৎসর পরে
সাস্থ্য বিজ্ঞানীদের কাছে উহা মানবদেহের
জন্য ক্ষতিকর প্রমানিত হয়েছে। আরো ক্ষতিকর
উপাদান ভবিষ্যতে স্পষ্ট হওয়া অসম্ভব নয়। আল্লাহ
হলেন স্রষ্টা, তার কাছে সকল জিনিষের ভাল -মন্দ
স্পষ্ট। তিনি যা হারাম করেন, মানবের দৈহিক ও মানষিক
কল্যানের জন্যই হারাম করেন। তাই মেনে চলাই তার সৃষ্টির জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। নইলে তার ক্ষতি শুধু
দুনিয়াতেই নয়। বরং আখিরাতেও ভোগ করতে হবে। আসলে যে সকল ক্ষতিকর স্বাভাবিক উপলদ্ধি
করা যায়, তা বলার প্রয়োজন হয় না। যে সকল
জিনিষের ক্ষতিকর উপলদ্ধি করা কঠিন, তাই আল্লাহ
হারাম ঘোষনা করেন। এজন্যই আল্লাহ বিষ হারাম বলার
প্রয়োজন হয়নি। কেননা বিষের ক্ষতিকর হওয়া
স্পষ্ট।
★মৃতজীবের গোস্ত খাওয়া যেমন হারাম, তেমন
মৃতজীবের মাধ্যমে কোন উপকার লাভ করা হারাম।
তবে মৃতজীবের হাড়, পশম, শিং, দাত ব্যবহার
জায়েয।যেমন আল্লাহ বলেন,
ﻭﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﺟﻠﻮﺩﺍﻻﻧﻌﺎﻡ ﺑﻴﻮﺗﺎﺗﺴﺘﺨﻔﻮﻧﻬﺎ ﻳﻮﻡ ﻇﻌﻨﻜﻢ
ﻭﻳﻮﻡ ﺍﻗﺎﻣﺘﻜﻢ ﻭﻣﻦ ﺍﺻﻮﺍﻓﻬﺎ ﻭﺍﻭﺑﺎﺭﻫﺎ ﻭﺍﺷﻌﺎﺭﻫﺎ ﺍﺛﺎﺛﺎ
ﻭﻣﺘﺎﻋﺎ ﺍﻟﻲ ﺣﻴﻦ،ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺤﻞ،٨٠
অনুবাদ : আর তিনি তোমাদের জন্য চতুস্পদ গৃহপালিত
পশুর চামড়া থেকে তাঁবুর ব্যবস্থা করেছেন।
যা তোমাদের ভ্রমনের সময় বহন করতে হালকা লাগে এবং তোমাদের অবস্থান কালে খাটানো
সহজ হয়। আর উহার লোম, চুল ও পশম থেকে
নিদ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গৃহসামগ্রী ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করেছেন।
(সুরা আন -নাহল, আয়াত নং৮০)
এখানে মৃত -জীবিত জীবের পার্থর্ক করা হয়নি।
তারপর পশম, চুল ও লোম যখন ব্যবহার করা যায়, তখন
হাড়, দাঁত, শিং আদ্রতায় প্রভাব বিস্তার করে না, তা
ব্যবহার হালাল। এ সম্পর্কে সকল ইমাম একমত।
★অবশ্য মৃত-জীবের চামড়া লবন বা ঔষধের
মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে শুকিয়ে ব্যবহার বৈধ।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﺑﺸﺎﺓ ﻣﻴﺘﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﻫﻼ ﺍﺳﺘﻤﺘﻌﺘﻢ ﺑﺎﻫﺎﺑﻬﺎ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﻧﻬﺎ ﻣﻴﺘﺔ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎﺣﺮﻡ ﺍﻛﻠﻬﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ، ٥١٣٣
অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে
বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একটি মৃত ছাগলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি বললেন, তোমরা এই
ছাগলের চামড়া দিয়ে উপকার লাভ করছো না কেন?
তখন উপস্থিত সাহাবীগন (রাঃ) বলেন, (হে আল্লাহর
রাসুল (সা)), ওটা মৃত ছাগল। তখন তিনি বলেন, মৃতজীব খাওয়া হারাম করা হয়েছে।
(সহীহ আল -বুখারী)(৫১৩৩নং হাদীস)
মুহাদ্দিস রবিউল বাশার

★সুরা আল বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে চারটি বিষয় হারাম করা
হয়েছে ,তার ব্যাখ্যার বাকী অংশ :
ﻋﻦ ﺍﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻌﻢ ﺍﺣﻠﺖ ﻟﻨﺎ
ﻣﻴﺘﺘﺎﻥ ﻭﺩﻣﺎﻥ ﺍﻣﺎ ﺍﻟﻤﻴﺘﺘﺎﻥ ﻓﺎﻟﺤﻮﺕ ﻭﺍﻟﺠﺮﺍﺩ
ﻭﺍﻣﺎﺍﻟﺪﻣﺎﻥ ﻓﺎﻟﻜﺒﺪ ﻭﺍﻟﻄﺤﺎﻝ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺣﻤﺪ ﻭﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ
অনুবাদ হযরত ইবনে ওমার (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ)ইরশাদ করেন, আমাদের জন্য
দুটি মৃত জীব এবং দুটি রক্ত হালাল করা হয়েছে। দুটি
মৃত জীব হলো মাছ ও টিড্ডি (পঙ্গপাল) আর দুটি
রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা।
(মুসনাদে আহমাদ ও সুনানে ইবনে মাযাহ)
★মৃতজীবের গোস্ত ও রক্ত খেতে কোন
সুস্থ মন -মনজ চায়না। পবিত্র কুরআন ও তার পুর্ববর্তী তাওরাত কিতাবে এদুটি জিনিষকে হারাম ঘোষনা করেছে। তার হাজার হাজার বৎসর পরে
সাস্থ্য বিজ্ঞানীদের কাছে উহা মানবদেহের
জন্য ক্ষতিকর প্রমানিত হয়েছে। আরো ক্ষতিকর
উপাদান ভবিষ্যতে স্পষ্ট হওয়া অসম্ভব নয়। আল্লাহ
হলেন স্রষ্টা, তার কাছে সকল জিনিষের ভাল -মন্দ
স্পষ্ট। তিনি যা হারাম করেন, মানবের দৈহিক ও মানষিক
কল্যানের জন্যই হারাম করেন। তাই মেনে চলাই তার সৃষ্টির জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। নইলে তার ক্ষতি শুধু
দুনিয়াতেই নয়। বরং আখিরাতেও ভোগ করতে হবে। আসলে যে সকল ক্ষতিকর স্বাভাবিক উপলদ্ধি
করা যায়, তা বলার প্রয়োজন হয় না। যে সকল
জিনিষের ক্ষতিকর উপলদ্ধি করা কঠিন, তাই আল্লাহ
হারাম ঘোষনা করেন। এজন্যই আল্লাহ বিষ হারাম বলার
প্রয়োজন হয়নি। কেননা বিষের ক্ষতিকর হওয়া
স্পষ্ট।
★মৃতজীবের গোস্ত খাওয়া যেমন হারাম, তেমন
মৃতজীবের মাধ্যমে কোন উপকার লাভ করা হারাম।
তবে মৃতজীবের হাড়, পশম, শিং, দাত ব্যবহার
জায়েয।যেমন আল্লাহ বলেন,
ﻭﺟﻌﻞ ﻟﻜﻢ ﻣﻦ ﺟﻠﻮﺩﺍﻻﻧﻌﺎﻡ ﺑﻴﻮﺗﺎﺗﺴﺘﺨﻔﻮﻧﻬﺎ ﻳﻮﻡ ﻇﻌﻨﻜﻢ
ﻭﻳﻮﻡ ﺍﻗﺎﻣﺘﻜﻢ ﻭﻣﻦ ﺍﺻﻮﺍﻓﻬﺎ ﻭﺍﻭﺑﺎﺭﻫﺎ ﻭﺍﺷﻌﺎﺭﻫﺎ ﺍﺛﺎﺛﺎ
ﻭﻣﺘﺎﻋﺎ ﺍﻟﻲ ﺣﻴﻦ،ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﻨﺤﻞ،٨٠
অনুবাদ : আর তিনি তোমাদের জন্য চতুস্পদ গৃহপালিত
পশুর চামড়া থেকে তাঁবুর ব্যবস্থা করেছেন।
যা তোমাদের ভ্রমনের সময় বহন করতে হালকা লাগে এবং তোমাদের অবস্থান কালে খাটানো
সহজ হয়। আর উহার লোম, চুল ও পশম থেকে
নিদ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত গৃহসামগ্রী ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করেছেন।
(সুরা আন -নাহল, আয়াত নং৮০)
এখানে মৃত -জীবিত জীবের পার্থর্ক করা হয়নি।
তারপর পশম, চুল ও লোম যখন ব্যবহার করা যায়, তখন
হাড়, দাঁত, শিং আদ্রতায় প্রভাব বিস্তার করে না, তা
ব্যবহার হালাল। এ সম্পর্কে সকল ইমাম একমত।
★অবশ্য মৃত-জীবের চামড়া লবন বা ঔষধের
মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে শুকিয়ে ব্যবহার বৈধ।
ﻋﻦ ﻋﺒﺪﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺽ ﺍﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﺑﺸﺎﺓ ﻣﻴﺘﺔ ﻓﻘﺎﻝ ﻫﻼ ﺍﺳﺘﻤﺘﻌﺘﻢ ﺑﺎﻫﺎﺑﻬﺎ
ﻗﺎﻟﻮﺍ ﺍﻧﻬﺎ ﻣﻴﺘﺔ ﻗﺎﻝ ﺍﻧﻤﺎﺣﺮﻡ ﺍﻛﻠﻬﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ، ٥١٣٣
অনুবাদ : হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) থেকে
বর্নিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একটি মৃত ছাগলের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তিনি বললেন, তোমরা এই
ছাগলের চামড়া দিয়ে উপকার লাভ করছো না কেন?
তখন উপস্থিত সাহাবীগন (রাঃ) বলেন, (হে আল্লাহর
রাসুল (সা)), ওটা মৃত ছাগল। তখন তিনি বলেন, মৃতজীব খাওয়া হারাম করা হয়েছে।
(সহীহ আল -বুখারী)(৫১৩৩নং হাদীস)
Comments
Post a Comment